শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০ আপডেট:

সেই ওয়ান ইলেভেন শেখ হাসিনায় পরাজিত

খুজিস্তা নুর-ই নাহারীন মুন্নী
প্রিন্ট ভার্সন
সেই ওয়ান ইলেভেন শেখ হাসিনায় পরাজিত

আমার মেয়ে বলল ‘আমি আব্বুকে ভুলতে পারছি না।’ আমি বললাম, ‘আব্বু কি ভোলার জিনিস; কেন তোমার ভুলতে হবে?’ শ্রেয়া বলল, ‘আমি তোমাকে বোঝাতে পারছি না।’ বললাম, ‘আব্বুর জন্য তোমার কষ্ট হচ্ছে?’ বলল, ‘হু।’ ২০০৭-এর ২৩ জানুয়ারি ’৯০-এর ছাত্র আন্দোলনের নেতা ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুকে যখন ধরে নিয়ে গেল, আমার মেয়ের বয়স তখন পাঁচ বছর। ও বলত, ‘আমি ছবির আব্বু চাই না, আমি আব্বুকে কাছে পেতে চাই। আব্বুর বুকে ঘুমাতে চাই, আব্বুর কোলে উঠে বেড়াতে যেতে চাই। ওরা কি জানে না আব্বুর ছোট্ট একটা মেয়ে আছে, ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে।’ সত্যিই তো, ছোট্ট মেয়েটার কী দোষ? আমাদের ছেলেটার কী দোষ? অকারণে কেন আমাদের শাস্তি পেতে হলো? ২০০৭-এর ২৩ জানুয়ারি রাত তখন ১টা, হঠাৎ বিরতিহীনভাবে কলিং বেলের শব্দ। টিংকু তাড়াতাড়ি উঠে দরজা খুলে দিল। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি কালো ড্রেস পরা আট-দশ জন সশস্ত্র লোক আমার বেডরুমে ঢুকে পড়েছে। টিংকু ওদের বলল, ‘আপনারা বাইরে দাঁড়ান।’ ওরা বিন্দুমাত্র নড়ল না। টিংকুকে না নিয়ে ওরা নড়বে না। টিংকু রেগে গেলে ওকে থামিয়ে দিলাম। ওরা তাকে নিয়ে গেল নিচে। আমাকে একজন বলল, ‘আপনাদের মোবাইলগুলো দিন।’ সম্মোহিতের মতো সব মোবাইল ফোন দিয়ে দিলাম। হঠাৎ দেখি একজন অফিসার ডুপ্লেক্স বাসার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে চিৎকার করে বলছে, ‘স্যার, ধরে ফেলেছি।’ ভাব দেখে মনে হচ্ছে না জানি কত কষ্টসাধ্য কাজ করে ফেলেছে। ওরা আমার শাড়ির আলমারি দেখল, গহনা দেখল, ড্রেসিং টেবিল, বইয়ের আলমারি সবকিছু। একজন ড্রইংরুম থেকে একটি শোপিস তলোয়ার এনে বলল, ‘পেয়েছি স্যার।’ অফিসারটি ধমক দিয়ে বলল, ‘এটা শোপিস, রেখে আস।’ ওরা চার তলা শেষ করে তিন তলায় নামল। আমি দুই বাচ্চা নিয়ে বেডরুমে বসে আছি। ভিতরে ভিতরে আমি ভয় পাচ্ছি। আমি একা মেয়েমানুষ। গভীর রাত। পুরো বাড়িতে শখানেক কালো ড্রেস পরা লোক। আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই সেই সময় রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত করে, সমাজে সবাইকে হেয় করে বিকৃত আনন্দ পায়। সে রাতে তারা টিংকুর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ড্রাইভার, কাজের লোক, বাসার ম্যানেজার, কয়েকজন মেহমানÑ তাদেরও ধরে নিয়ে গেল। ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে র‌্যাব-৩-এর অফিসে গেলাম, বাইরে বসে আছি। এমন সময় র‌্যাবের অফিসার সুলতান-ই-নূর এলেন। প্রথমে কথা বললেন না, আমি নাছোড়বান্দা। তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি বললেন, ‘আমার অনেক কাজ আছে।’ বললাম, ‘আমার বাসা আপনার এলাকার ভিতর। আমার স্বামীকে কে বা কারা ধরে নিয়ে গেছে জানি না। আপনার কাছে এসেছি সাহায্য চাইতে।’ এবার আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিলেন। পরদিন পত্রিকা খুলে দেখলাম, ‘গডফাদার, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, হাওয়া ভবনের জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু।’ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। সবার নিষেধ সত্ত্বেও আমি আপার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। আপা মানে আমার বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন থেকে পাওয়া নেত্রী শেখ হাসিনা। আপাকে বললাম, ওরা টিংকুকে বলির পাঁঠা বানাচ্ছে। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে। সাংবাদিকদের দিয়ে যা খুশি তা লিখিয়ে ওর বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে চাচ্ছে। ‘ও’ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হতেই পারে না। হাওয়া ভবনে ‘সে’ কোনো দিন ঢোকেনি। আমি এখন কী করব? আপা আমাকে বললেন, ‘তোমাদের বঙ্গবন্ধু বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, আর তুমি এত অল্পে ভেঙে পড়লে কী করে হবে? কখনো সাহস হারাবে না। মনে রাখবে।’ দুর্বল মনে করলে সবাই পেয়ে বসবে। আমি সেই থেকে আর কিছু পরোয়া করিনি। আপা দারুণ শক্তি দিলেন। আপা এরপর একটি সভায় বলেছিলেন, ‘কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়।’ একেকটি দিন যেন একেকটি মাসের সমান। বিকাল হলেই বুকটা কেমন ধড়ফড় করতে থাকে। নিচের তলায় ড্রইংরুমে বিভিন্ন খতম চলছে। আমার হাতে তসবিহ। সব সময় আমি অজু রাখি, কখন কোন অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় কে জানে। আমার ঘুম হয় না, প্রচণ্ড মাথাব্যথা। অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেললাম। তিন দিনের দিন আমার এক আত্মীয়ের মোবাইল ফোনে একটা কল এলো, বলল, ‘এ রাতটা বড় কঠিন টিংকুর জন্য। কাল সকালে ওরা টিংকুর হার্ট ফেইলোর, স্ট্রোক অথবা ক্রসফায়ার দেখাতে পারে। তোমরা সদকার ব্যবস্থা কর। তোমাদের নেত্রীকে জানাও, এদের টার্গেটের শীর্ষে তিনি। এরা ধীরে ধীরে ওনার দিকে অগ্রসর হবেন।’ হঠাৎ একটা চিরকুট। দুই কোটি টাকা দিলে আমার স্বামীকে ছেড়ে দেবে। এত টাকা কোথায় পাব? টাকার জন্য সবাইকে ফোন করতে লাগলাম। এরপর আবার চিরকুট, টাকার ব্যাপারটা সবাই জেনে গেছে, আমার টেলিফোনে টাকা চাওয়া উচিত হয়নি। এখন ১ কোটি টাকা দিলে ওরা ওকে এমনভাবে টর্চার করবে যাতে ওর কিডনি বিকল না হয়, অন্ধ না হয়। আমি দিশা হারিয়ে ফেললাম। একদিকে আমার স্বামীকে ওরা সন্ত্রাসী বলছে, অন্যদিকে আবার সবার সামনে জিম্মি করে গোপনে টাকা চাইছে। সাত দিন পর মাঝরাতে আমার ড্রাইভারসহ লোকদের ওরা ছেড়ে দিল। আমি ওদের মুখোমুখি বসলাম। ওরা কাঁদতে লাগল। বলল, মধ্যযুগীয় কায়দায় চোখে কালো কাপড় বেঁধে টর্চার করেছে। ইলেকট্রিক শক দিয়েছে। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মুখের ওপর হাজার ভোল্টের বাতি জ্বালিয়ে রেখেছে। মাথা নিচে পা ওপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি ভাবী, চোখে কালো কাঁপড় বাঁধে কেন? তবে কি ওরা ভয় পায়? ওরা কি জেনেশুনে অন্যায় করছে? ওরা ওদের ওপর অকথ্য র্নিযাতন করেছে। ওদের সারা শরীরে কালো কালো দাগ। তবে জানলাম টিংকু বেঁচে আছে। বাকি রাতটুকু আমার চোখে আর ঘুম এলো না।

এমনই এক রাতে টিংকুকে আমাদের মগবাজার বাসায় নিয়ে এলো। তারপর ক্যান্টনমেন্ট থানায়। সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টে আসা। প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে তির্যক মন্তব্য কানে আসে ‘চোরের বউ’। বুঝলাম সবই সাজানো। টিংকু আমাকে বলল, ‘চিন্তা কোরো না, হাবিয়া দোজখ থেকে এলাম, এটা বেহেশত।’ এখান থেকে ওদের ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নেওয়া হলো। জেলে ওকে ৭ নম্বর সেল বকুলে থাকতে দেওয়া হয়েছে। টিংকুর সঙ্গে দেখা করতে এসবি ক্লিয়ারেন্স লাগবে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের অর্পণা সহযোগিতা করল। শুরু হলো আমাদের চিঠি চালাচালি।

দুই দিন পর আমার টিংকুর সঙ্গে দেখা হলো। খানিকটা শুকনো মনে হলো। আমাদের তিনজনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল। বলল, ‘অনেক অত্যাচার করেছে বিনা কারণে। আমি নির্দোষ। এরা কী করতে চাইছে, কেন চাইছে ওরা নিজেরাও জানে না।’

আমি অফিসে যাওয়া শুরু করি। অন্য একটি ব্রোকারেজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম আমাকে বললেন, ‘আপনার স্বামী সন্ত্রাসী!’ আমি বলি, আপনি কী করে জানলেন? ‘পত্রিকা পড়ে’, সোজা উত্তর। পত্রিকায় যা কিছু ছাপা হয় সবই কি সঠিক? আপনি না ইঞ্জিনিয়ার? আমি চিৎকার করে বলি। মনে মনে বলি ওরা সাকসেসফুল।

দ্বিতীয়বার টিংকুর সঙ্গে দেখা করতে গেছি, ওর খুব মন খারপ। বলল, ‘আমাকে ভীষণ চাপ দিচ্ছে জলিল ভাই আর কাদের ভাইয়ের নামে মামলা দিতে।’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কি ঠিক করেছ? ও বলল, ‘আমি ওদের বলে দিয়েছি ওনারা আমার নেতা। প্রয়োজনে জীবন দেব, কিন্তু মামলা করার প্রশ্নই আসে না।’

পঞ্চমবার যখন দেখতে গিয়েছি তখন টিংকুকে খুব হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। তখন জেলে সব নামকরা ব্যবসায়ী আর রাজনীতিবিদ একসঙ্গে। সেও মানিয়ে নিয়েছে।

ষষ্ঠবার গিয়ে দেখি ওকে কেমন যেন অস্থির মনে হচ্ছে। টিংকু বলল, ‘ক্ষমতাসীনরা দেশের পুঁজিপতিদের ধরে এনে এলোপাতাড়ি মামলা দিচ্ছে যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু এর ফলে পুঁজিপতিরা দেশে বিনিয়োগের পরিবর্তে বিদেশকেই নিরাপদ মনে করছেন। এ টাকা দিয়ে দেশের লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হতে পারত, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা সার্বিক পুঁজির বিকাশে তা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু এখন সব টাকা অন্ধকার পথে বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলছে। রাজনীতিবিদদের শেষ করে দিলে দেশ চালাবে কারা?’ সপ্তমবার যখন দেখা করতে যাই তখন সেলে নতুন যোগ হয়েছে ইকবালুর রহিম। ও টিংকুকে খবর পাঠিয়েছিল তাকে যেন ৭ নম্বর সেলে নিয়ে আসে। ডিআইজি শামসুল হায়দার চৌধুরীর ডাকনাম জুয়েল। জামালপুরে আমাদের কাছাকাছি বাসা। এ ছাড়া আমার ভাইয়ের ছেলেবেলার বন্ধু। উনাকে বলে ইকবালকে ৭ নম্বর সেলে নিয়ে আসা হয়। টিংকু বলল, ‘ইকবাল সারা দিনই কান্নাকাটি করছে ওর মনটা বড় নরম। ইকবালকে ওরা চাপ দিচ্ছে বাহাউদ্দিন নাছিমের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। ইকবাল ওর বউ আর তিনটি ছোট ছোট বাচ্চার কথা ভেবে রাজি হয়ে যাচ্ছে। আমি ইকবালকে ভয় দেখিয়েছি, তুই মামলা করলে রাতের বেলা তোকে বালিশচাপা দিয়ে মেরে ফেলব। এখন ইকবাল আরও বেশি কান্নাকাটি করছে।’ নবমবার দেখা করতে গেলে বলল, ‘এত দিন হয়ে গেল কোনো মামলা দিতে পারল না, তবু আটকে রেখেছে। দুই নেত্রীকে ওরা সাবজেলে রেখেছে। কিন্তু এরপর কী করবে সে ব্যাপারে ওদের কোনো নির্দেশনা নেই। ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদকে জেলে বন্দী করে ওরা কী করতে চাইছে তা তারাই ভালো জানে।’ আমি বুঝলাম জেলের চার দেয়ালে ও হাঁপিয়ে উঠেছে। আমরা নিশ্চুপ। তারা সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে, সব জবাবদিহির ঊর্ধ্বে। ওরা নিজেদের একেকজন বিধাতা মনে করছে। এদের চোখ আছে কিন্তু দূরদৃষ্টি নেই। কান আছে কিন্তু মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ সেখানে পৌঁছায় না। সবচেয়ে বেশি যেটা নেই তাদের তা হচ্ছে নিজেদের ক্ষমতা এবং দৌড় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা। নিজেদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে ওরা একেবারেই অজ্ঞ। ওরা সবকিছু লেজেগোবরে করে ফেলেছে। গ্রাম ও মফস্বল শহরগুলোয় বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িঘর ভাঙছে, দোকানপাট ভাঙছে, হাটবাজার নষ্ট করছে। দেশের কোথাও দুর্নীতি কমেনি কিন্তু রেইট বেড়ে গেছে। দেশে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ। অর্থনৈতিক মন্দার চাপে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে তার ওপর আবার র‌্যাংগস ভবেন চাপা পড়ে এতগুলো হতভাগ্য দিনমজুরের মৃত্যু। ওরা গরিব বলে এই কি সুশাসনের নমুনা? কোথায় আছে দেশের তথাকথিত সুশীলসমাজ? মাত্র কিছু দিন আগে যে ক্ষমতাসীনদের তারা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছিল সেখানে শুধুই ধিক্কার। সংবাদের প্রয়াত সম্পাদক বজলুর রহমান আমাকে মেয়ের মতো স্নেহ করতেন। একসঙ্গে রমনা পার্কে হাঁটতাম। একদিন একজন এসে বলল, ‘আপার নামে চাঁদা নেওয়ার মামলা দিতে হবে। টিংকুকে ছেড়ে দেবে।’ রাজি হইনি। মতিয়া আপার বাসায় গেলাম। বললাম, আপাকে জানাতে। আগস্ট মাস। অফিসে মনিটরের দিকে তাকিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করছি হঠাৎ দেখি নিম্নমুখী প্রবণতা। কোনো কারণ নেই। পুঁজিবাজার নীতিনির্ধারণে কোনো পরিবর্তন আছে বা আসছে বলেও আমার জানা নেই। তাহলে কি দেশের অবস্থা খারাপ? অজানা আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে উঠল। রকিব ভাইকে ফোন করলাম। রকিব ভাই বললেন, বাসায় চলে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল। ১৪৪ ধারা জারি হতে পারে। পথঘাট সব ফাঁকা। যে যেদিক পারছে ছুটে পালাচ্ছে। আজ আমার গাড়িতে উঠতে ইচ্ছা হলো না। রিকশায় বাড়ি ফিরব। ‘আঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নিজের ভিতর কেমন একটা প্রশান্তি অনুভব করলাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সবকিছুর সূতিকাগার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের সাহসী সন্তানরা দেশের প্রয়োজনে ঠিকই গর্জে উঠেছে। প্রতিবাদ করছে। প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। ওদের এ আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এতে শামিল হলো। চলল তিন দিনব্যাপী কারফিউ। ওদেরও মনে হয় টনক নড়ল। দেশের মানুষ অত্যাচারে অতিষ্ঠ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া অন্য কোনো শাসন তারা চায় না। এ অকাট্য সত্য কথাটি হয়তো ওরা অনুধাবন করতে পারছে। এ এক বছরে একাধারে ভয়াবহ ভূমিধস, প্রচণ্ড খরা, বন্যা, তীব্র গরম ও তীব্র শীত। তার ওপর সিডরের মহাদুর্যোগ। ভুক্তভোগীরা সবাই বলছে প্রকৃতির প্রতিশোধ!

১০ জানুয়ারি, ২০০৮-এ টিংকুকে ছাড়ার পর পুনরায় নাটকীয়ভাবে অ্যারেস্ট করে জেলে রাখা হলো। এবার টাকার চাপ আরও দ্বিগুণ। কিন্তু আমার পক্ষে সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ও ছাড়া পেল। নতুন করে শুরু হলো মেজর জাকিরের অত্যাচার। দিন নেই রাত নেই আমার মোবাইলে ফোন করে টিংকুকে দেখা করতে বলে। টিংকু দেখা করে এলো।

ওর প্রচণ্ড মাথাব্যথা। বলল, ‘আমি আর পারছি না।’ ভিসা করা ছিল। পরদিন ওকে আমেরিকা পাঠিয়ে দিলাম। দীর্ঘদিন বিদেশ থাকার পর ও ফিরে এলো। পুরো শরীর চেকআপ করিয়েছে শুধু মাথা ছাড়া। ২০০৮-এর ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণরায়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলো। দেশে দিনবদলের হাওয়া লেগেছে। দেশের সামনে ‘ভিশন ২০২১’। ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে। সবকিছুর পরিবর্তন হবে। উন্নত থেকে উন্নততর হবে। ভালো থেকে ভালোতর হবে। কিন্তু ভালো যাছে না টিংকুর শরীরটা। ওর মন-মেজাজ, চিন্তা-চেতনা কোনো কিছুই আগের মতো নেই। কেমন একটু এলোমেলো। মাঝে মাঝে ভয় হয়, আবার ভাবী অত বড় একটা ধকল গেছে পরিবর্তন হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু পরিবর্তনটা যে এত বেশি হয়ে গেছে ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি। টর্চার সেলে ওকে যে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে, ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে তার ফলে ওর ব্রেইনের কোষ মিউটেশন হয়ে টিউমার, টিউমার থেকে ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। পরিণাম ওর এই অকালমৃত্যু। আমি এখন কার শাস্তি চাইব? কার কাছে চাইব? কী অপরাধ ছিল টিংকুর? কেন ওকে বাঁচতে দেওয়া হলো না?

সে সময় কতজনকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কারাবন্দী করা হয়েছে। পরিবার-সন্তানদের নাজেহাল, অপমান করা হয়েছে। নির্দোষ সন্তানদের দুর্নীতিবাজ বানিয়ে আদালতে নেওয়া হয়েছে। কেন এত বাড়াবাড়ি হলো? উত্তর এখনো জানি না। কত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়া হলো, ফিরিয়ে দেওয়া হলো না। অপমান, অন্যায়ের জন্য কারও বিচার হলো না!

তবে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের সীমাহীন অন্যায়-অপরাধের পর ক্ষমতায় টিকে থাকার চতুরতা, প্রশাসনিক শক্তিকে ব্যবহার, মনের মতো ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে একতরফা ক্ষমতায় আসার পদক্ষেপ যে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাতেই ওয়ান-ইলেভেন আসে জনসমর্থনে। কিন্তু তাদের নির্বাচনের পথ পরিহার করে, জুলুম, নির্যাতন, রাজনৈতিক শক্তিকে ভেঙে নির্যাতন করার অপারেশনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব, প্রতিবাদ, বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফিরে কারাবরণ, আপসহীন অবস্থানই তাদের পরাজিত করে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করে। ক্ষোভ ঘৃণায় বিদায় নিতে হয়। ব্যালটযুদ্ধে শেখ হাসিনাই আসেন ক্ষমতায়। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীও সেই ভুল ধারা থেকে দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনতে রাখে ঐতিহাসিক ভূমিকা। নির্ভুল ভোটার তালিকায় করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

বিএনপির ভ্রান্তনীতির কারণে আসা অভিশাপের মতো ওয়ান-ইলেভেন শেখ হাসিনার লড়াইয়েই বিদায় নেয় পরাজিত হয়ে, গণঅসন্তোষে। মাঝখানে কত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী অপমানিত হন। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

লেখক : সম্পাদক, পূর্ব পশ্চিম ডটকম।

এই বিভাগের আরও খবর
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
অনেকের পেশা বদলে
দিয়েছে হাঁড়িভাঙ্গা
অনেকের পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙ্গা

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

কিছু মানুষ মশার কাছে ‘বেশি প্রিয়’, যা বলছে গবেষণা
কিছু মানুষ মশার কাছে ‘বেশি প্রিয়’, যা বলছে গবেষণা

৫ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুল্ক-কর জমা দিতে অনলাইনে চালু হলো ‘এ-চালান’ সেবা
শুল্ক-কর জমা দিতে অনলাইনে চালু হলো ‘এ-চালান’ সেবা

১৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নতুন আইন কোনোভাবেই প্রেস ফ্রিডমে হস্তক্ষেপ করবে না: প্রেস সচিব
নতুন আইন কোনোভাবেই প্রেস ফ্রিডমে হস্তক্ষেপ করবে না: প্রেস সচিব

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ভারতের

১৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে 
চিকিৎসকসহ জনবল সংকট
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসকসহ জনবল সংকট

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, বাদ লিটন-তাসকিন
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, বাদ লিটন-তাসকিন

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

৪৬ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বেতাগীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
বেতাগীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলায় সামাজিক ব্যবসার মডেল গ্রহণ করতে হবে’
‘দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলায় সামাজিক ব্যবসার মডেল গ্রহণ করতে হবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবানলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে তুরস্কে গ্রেফতার ১০
দাবানলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে তুরস্কে গ্রেফতার ১০

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে অভিযানে এসএমজিসহ গ্রেফতার ১৫৪২
দেশজুড়ে অভিযানে এসএমজিসহ গ্রেফতার ১৫৪২

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাজাহানপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কৃষকদলের প্রচার অভিযান
শাজাহানপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কৃষকদলের প্রচার অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুরুতর অসুস্থ লঞ্চযাত্রীকে দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিল কোস্ট গার্ড
গুরুতর অসুস্থ লঞ্চযাত্রীকে দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিল কোস্ট গার্ড

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইলিশের মূল্য নির্ধারণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন
ইলিশের মূল্য নির্ধারণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে চার কিশোর নিখোঁজ
কক্সবাজারে চার কিশোর নিখোঁজ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এই ফল আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না: এস্তেভো
এই ফল আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না: এস্তেভো

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্যহাতির মৃত্যু
নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্যহাতির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটুক্তি করা সেই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটুক্তি করা সেই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন : নাহিদ
আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন : নাহিদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিজ বাঁচাতে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
সিরিজ বাঁচাতে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়
ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু
২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের
দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেফালীর মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রামদেব
শেফালীর মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রামদেব

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
জিরো টলারেন্সে বিএনপি
জিরো টলারেন্সে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন
রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন

নগর জীবন

আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!
আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য
মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য

প্রথম পৃষ্ঠা

আটকে গেল চার বিমানবন্দর
আটকে গেল চার বিমানবন্দর

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল
শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল

প্রথম পৃষ্ঠা

হত্যা করলেই মিলত টাকা
হত্যা করলেই মিলত টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি
ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি

নগর জীবন

চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া
চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল
মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’
নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি
২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি

শনিবারের সকাল

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা
যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা
জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা

মাঠে ময়দানে

ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা
ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা

শনিবারের সকাল

সরকারের ঘাড়ে ঋণের বোঝা
সরকারের ঘাড়ে ঋণের বোঝা

পেছনের পৃষ্ঠা

নব্বই পেরোনো এক নরসুন্দর
নব্বই পেরোনো এক নরসুন্দর

শনিবারের সকাল

ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা
ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা

শোবিজ

পিআর পদ্ধতিতে রোধ হবে দুর্নীতি
পিআর পদ্ধতিতে রোধ হবে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন ভালোবাসায় পারসা ইভানা
নতুন ভালোবাসায় পারসা ইভানা

শোবিজ

অমিতাভের বার্তা জয়ার উচ্ছ্বাস
অমিতাভের বার্তা জয়ার উচ্ছ্বাস

শোবিজ

আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা
আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা

প্রথম পৃষ্ঠা

হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের
হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের

মাঠে ময়দানে

ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত
ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন
টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

আনকাট ‘শোলে’
আনকাট ‘শোলে’

শোবিজ

রানের দেখা নেই লিটনের
রানের দেখা নেই লিটনের

মাঠে ময়দানে