দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষা কমার পাশাপাশি নতুন রোগীও কমছে। কিন্তু পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার বাড়ছেই। দেশে এখন সংক্রমণের ২৩ সপ্তাহ চলছে। গত টানা ১০ সপ্তাহের মধ্যে শনিবার শেষ হওয়া সংক্রমণের ২২তম সপ্তাহে সবচেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা এবং নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার তুলনায় এ সপ্তাহেই পজিটিভ বা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা আড়াই লাখ পেরিয়ে যায় গত ৭ আগস্ট। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। আক্রান্তের সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়ে বিশ্বে এখন পাকিস্তানের পরই পঞ্চদশ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯তম। জানা গেছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথভাবে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন আগামী ১২ আগস্ট নিবন্ধন করবে। তবে করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য পরীক্ষায় জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, যত বেশি পরীক্ষা করা যাবে তত বেশি সহায়তা হবে। এ সময় জ্বর-কাশি হলেই কভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা এবং কোনো কোনো উপজেলা পর্যায়ে কভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে করোনা মহামারী মোকাবিলার প্রধান শর্ত হলো- পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো অবহেলা করা যাবে না। সঠিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। সাবান-পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ম-কানুন মানতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।