শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ আপডেট:

আদর্শহীন রাজনীতির গুন্ডামি ও সাপলুডু খেলা

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আদর্শহীন রাজনীতির গুন্ডামি ও সাপলুডু খেলা

বারবার বলছি, একটা সর্বগ্রাসী মূল্যবোধহীন অবক্ষয়ের পাপের সমাজ অজগরের মতো গিলে খাচ্ছে আমাদের। আমাদের বিবেক, মূল্যবোধ, রুচিবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, দর্শন- এক কথায় একটি আদর্শিক সমাজকে দিনে দিনে গিলে খাচ্ছে। একদল অবৈধ অর্থ-ক্ষমতার গরম সহ্য করতে পারছে না। সীমাহীন লোভের দাম্ভিক পাপে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে। মূল্যবোধসম্পন্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি অংশ এতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। আরেক অংশ অসহায়। সংস্কৃতির সংঘাত বিরাজমান। আরেকদল সুবিধাবাদী। কাপুরুষ। হঠাৎ কাঁচা টাকার মালিক বনে যাওয়া একদল নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিই নয়, নাম-পরিচয়হীন সমাজের বাসিন্দারাও অবৈধ পথে অঢেল অর্থবিত্তের মালিক হয়ে দাম্ভিকতার শিখরে বাস করছে। ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। ক্ষমতা যুক্ত হলেই সংবিধান, আইন, বিধিবিধান তো মানছেই না, মানুষকে মানুষ মনে করছে না। বেপরোয়া গুন্ডামিতে অশোভন আচরণে অশ্লীল কর্মকান্ডে ডুবতে ডুবতে হাবিয়া দোজখের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে। নিজেরা অঢেল অর্থ-সম্পদ-ক্ষমতা নিয়ে হাবিয়া দোজখেও যেন থাকতে পারছে না। শান্তিপ্রিয় ভালো মানুষদেরও সেখানে টেনে নিতে চাচ্ছে। দুনিয়াতেই সমাজে আজ তারা যে হাবিয়া দোজখ তৈরি করছে, সেখানে সেই জাহান্নামের আগুনে সমাজকে টেনে নিতে চাচ্ছে। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে সেই আগুনে পোড়াচ্ছে। টেকনাফে যে অপরাধ ঘটেছিল, সরকার তার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না করতেই সিলেটে পুলিশের পলাতক এসআই আকবরের হাতে রায়হান নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। এমসি কলেজ থেকে বেগমগঞ্জসহ নোয়াখালী অঞ্চল ও বিভিন্ন এলাকায় পাশবিক রোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইমাম, মাদ্রাসাশিক্ষক এমনকি আধুনিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ধর্ষণ ও ছাত্রদের বীভৎস বলাৎকারের ঘটনার বিরুদ্ধেও সরকার অ্যাকশনে যাচ্ছে। অপরাধীর দল বা পেশা কিছুই দেখা হচ্ছে না। সরকার আইন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ এটাই যে, যেখানে অপরাধী যেই হোক, এমনকি নিজ দলের হলেও ক্ষমা করছে না। আইনের আওতায় বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। তিনি তাঁর অঙ্গীকার রক্ষা করছেন। গোটা সমাজ পর্নোগ্রাফি থেকে সাইবার ক্রাইমে আক্রান্ত। কিছু পুলিশ বিতর্কিত হলেও গোটা প্রতিষ্ঠান নয়। পুলিশই অপরাধীদের ধরছে। র‌্যাবই পাকড়াও করছে। এত অপরাধ দিনে দিনে চারদিকে পুলিশ-র‌্যাবকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পুরান ঢাকার প্রতাপশালী এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মো. জাহিদকে এক বছর করে জেল দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় মাস ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে দুজনকে আরও ছয় মাস জেল দেওয়া হয়। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করার কারণে এমন শাস্তি।

রবিবার সন্ধ্যার পর কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত গাড়ি থেকে নেমে এসে হাজী সেলিমপুত্র নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খানকে মারধর করেন। নৌ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা গাড়িতে লাগায় পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর করা হয়। তার স্ত্রীকেও অপদস্থ করা হয়। ক্ষমতার দম্ভ, অর্থ ও পেশিশক্তির বর্বর অহম তাদের দেখতে হয়েছে। রাতেই ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই হাজী সেলিমপুত্রের বাসভবন ঘেরাও করে তল্লাশিই চালানোই হয়নি, রিমান্ডই হয়নি, দেহরক্ষীসহ জেলে পাঠানো হয়েছে। এটাকেই বলা হয় অপরাধীকে শেখ হাসিনা সরকারের ছাড় না দেওয়ার কঠোর নীতি। আর হাজী সেলিম ও তার পুত্ররা যা করে আসছেন, সেটিকে বলা হয় আদর্শহীন রাজনীতির গুন্ডাতন্ত্রের দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ। মানুষ আনন্দে বলছে, ‘বাঘে ধরলে ছেড়ে দেয়, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না।’ এমপিপুত্রের বাড়িতে কি ভয়ঙ্কর রোমহর্ষক টর্চার সেল! এরা বহিষ্কার হয় না কেন? দল থেকে কতকটা বখাটে লোক ও বিতর্কিত এমপি তাড়িয়ে দিলে কী হয়?

রাজনীতি যতক্ষণ আদর্শিক না হবে সমাজ ও পরিবার যতক্ষণ মূল্যবোধের ধারায় নীতি-নৈতিকতার ওপর না দাঁড়াবে ততক্ষণ সমাজে অপরাধীরা যে পেশায় থাকুক, বেপরোয়া উন্মত্ত হয়ে উঠবে। একের পর এক ঘটনা ঘটবে। আর সরকারকে পাকড়াও অভিযান চালাতে হবে। সন্তানের বাবা-মা হওয়া সহজ, কিন্তু আদর্শিক সন্তান গড়ে তোলা কঠিন। পিতা অন্যায় করলে মানুষের সঙ্গে অসদাচরণ করলে, দখলবাজি, অর্থ পাচার ঘুষ-দুর্নীতির সীমাহীন পথ গ্রহণ করলে তার সন্তান সে পথেই অগ্রসর হবে। তার সামনে সেটিই তখন আদর্শ হয়ে দাঁড়ায়। পিতা-মাতা নৈতিক মূল্যবোধে আদর্শিক জীবনব্যবস্থায় পারিবারিক বন্ধনে পরিচালিত হলে সন্তানরাও সে পথে অগ্রসর হয়। তাদের কাছে এটাই আদর্শ হয়ে ওঠে। লোভের বিষাক্ত সমাজে আজ যে সর্বগ্রাসী অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, এ কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই প্রতিরোধ করতে পারবে না, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিসমূহকেও এগিয়ে আসতে হবে। নষ্টদের উল্লাসনৃত্যকালে তাদের স্রোতে গা ভাসানো কোনো সামাজিক মর্যাদার বিষয় নয়। নৈতিক অপরাধে অপরাধী হওয়ার বিষয়। সমাজে আজ অনুশোচনা, আত্মগ্লানি আত্মশুদ্ধি আত্মসংযম যেন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। গোটা সমাজকে নষ্টদের হাত ধরে বিকৃতির অন্ধকারে পাপাচারে নিমজ্জিত করা হচ্ছে। এখানে আদর্শবানদের নীতিমানদের আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থায় এটা চলতে থাকলে প্রকৃতির বৈরী আক্রোশের শিকার হতে হবে। পাপ বাপকেও ছাড়ে না- কথায় আছে। ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, অর্থ পাচারের মতো অপরাধের লাগাম যেমন টেনে ধরতে হবে তেমনি সমাজের আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত শনির রাহুদের হাতে রাজনীতি তুলে দেওয়া যায় না। রাজনীতির অঙ্গন থেকে অপরাধীদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া সব দলের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে শাসক দল আওয়ামী লীগই দলকে অপরাধী-মুক্ত করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা আরও জোরালো করতে পারে। সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজরা দুঃসময়ে থাকে না। দেশ ও এলাকা ছেড়ে পালায়। অপদার্থ নেতৃত্ব ও কোনো কাজে আসে না। জনমত টানবে কী? জনগণের তাড়া খায়। গণবিরোধী ভূমিকা নেয়।

সম্প্রতি আমার এক লেখা পড়ে কথা নেই বার্তা নেই গুজব ছড়িয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শত শত সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমার উত্তরার অ্যাপার্টমেন্টে বর্বর হামলা চালিয়ে যে তা-ব করেছে এতে সবাই স্তম্ভিত। আমি নিজেও নির্বাক। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের বৈঠক করে নিন্দা ও অপরাধীদের গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ১৪ দলের সমন্বয়কারী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমুও নিন্দা জানিয়ে এটিকে অশনিসংকেত বলেছেন। প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ, জাসদের হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশাসহ অনেকেই নিন্দা জানিয়েছেন। বিএফইউজে-ডিইউজে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছে। একজন লেখক সাংবাদিক হিসেবে আমার লেখার শক্তি ছাড়া, চিন্তাশীল জগৎ ছাড়া কোনো অর্থ বা পেশিশক্তি বলে কিছুই নেই। থাকার কথাও নয়। কিন্তু এ বর্বর হামলার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া কেউ বিবৃতি দেয়নি। সারা দেশে সাংবাদিকসমাজসহ নাগরিকরা প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন। এ ভালোবাসা মাথায় তুলে নিয়ে শুধু বলতে চাই, আজন্ম বিশ্বাস করেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই আমার নেতা ও আদর্শ। মুক্তিযুদ্ধই আমার অহংকার। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশই আমার স্বপ্ন। ’৭১-এর পরাজিত বর্বর পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমার জন্মের ঘৃণা। এ বিষয়গুলোতে আমার জীবনবোধ ও চিন্তাধারা পরিষ্কার। এখানে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। মানুষই আমার দল। মানুষের স্বার্থেই আমার লেখা ও চিন্তা। আমার আদর্শের প্রশ্নে যত বড় অন্ধকার শক্তির আঘাত আসুক না কেন, মাথা আমি নত করতে আসিনি। নির্জীবের দীর্ঘ জীবনের চেয়ে বীরের স্বল্প জীবন উত্তম মনে করি। জীবনকে এমনিতেই সবখান থেকে রুচির অবক্ষয়ে গুটিয়ে এনেছি। সীমিত পরিসরে চলছে সামাজিকতা। কোনো সরকারের কাছ থেকে কোনো ব্যক্তিগত বৈষয়িক সুবিধা কখনো নিইনি, অনেকবার বলেছি। এমনকি মন্ত্রী ও সচিবদের দুয়ারে দুয়ারে ঘোরার অভ্যাস নেই। তদবির কাকে বলে শিখিনি। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোতে তৃপ্তি পাই। এটা অহংকার নয়, সবার প্রতি সম্মান রেখে নিজের প্রতি সম্মান ও মর্যাদাবোধ রক্ষা করা। কিন্তু আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু শব্দ থেকে উৎসারিত যে সাহস আমি অর্জন করেছিলাম, সেটি কখনো হারাতে যাব না। মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের রক্তের ঋণ আজ আমরা অনেকে ভুলে গেছি। কিন্তু সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু যে উদার গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেখানে আমাকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটি আমি ভোগ করতে গিয়ে যে কোনো পরিণতি বহন করতে রাজি আছি। এ দেশটার জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৩টি বছর জেল খেটেছেন। গোটা পরিবারসহ বিশ্বাসঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছেন। এ দেশটির জন্য লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী কত নির্দয় নিপীড়ন ভোগ করেছেন। আমি তাদেরই উত্তরাধিকারিত্ব বহন করি। কবি নাজিম হিকমতের মতো কিংবদন্তিরা মানুষ ও মানবতার জন্য জীবনের দীর্ঘ সময় জেল নির্যাতন ভোগ করেন। বেনজামিন মোলায়সের মতো আফ্রিকান কবি ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে যান। আমরা লেখক সাংবাদিকরা আমাদের দায়দায়িত্ব ভুলে গিয়ে অনেকে আজ গোটা দেশপ্রেমকে, মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে হারিয়ে ফেলি। অনেকে দৃশ্যমান দাস হই। পদ ও পদকের কাঙাল হয়ে ঘুরি। আমার জন্মের শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে আপস ও সখ্য রাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকদের হতে পারে। সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক হতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি, লাখো শহীদের প্রতি, সম্ভ্রমহারা মা-বোনের প্রতি দায়বদ্ধ দেশপ্রেমিক মানুষের প্রেম হতে পারে না। ওদের ’৭১-এর অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। যারা এ বর্বর পাকিস্তানের আইএসআইর সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। যারা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয় তারা বাংলাদেশের বিশ্বাসঘাতক। আইএসআই এ ভূখ-ের জন্য আজন্মের অভিশাপ। এদের দোসররা বিশ্বাসঘাতক।

একদল বিকৃত নীতিচ্যুত অপেশাদার নানামুখী অন্ধ দাসরা প্রেতাত্মার মতো আজ শুধু আমার বাড়িতেই বর্বর আক্রমণ করেনি, এর আগেও তাদের নিম্নরুচির বিকৃত মিথ্যাচারের জঘন্য প্রচারণা চালিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গণমাধ্যমের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ইদানীং তুমুলভাবে দানবীয় শক্তিতে আক্রমণ করছে। একে রুখতে হবে। আমি এসব বিকৃতি কর্মকান্ডকে পায়ের হাঁটুর নিচে পাগলা কুত্তার কামড় ছাড়া আর কিছু ভাবী না। আর মানুষের সঙ্গে নিবিড় মনোজগতের সম্পর্ক রাখি।

জীবনে কম দেখা হলো না! কত বিচিত্র মানুষের সঙ্গে, কত আকর্ষণীয়, জ্ঞানী-গুণী সৃষ্টিশীল মেধাবী মানুষও দেখা হলো। কত নিঃসঙ্গ উচ্চশিক্ষিত মর্যাদাবান অভিজাত মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। অনেকের প্রতি যেমন শ্রদ্ধায় মাথা নুয়েছে, মুগ্ধ হয়েছি, তেমনি কত মর্যাদাহীন সস্তা মানুষ দেখেও বিস্মিত হইনি। দিন যত যাচ্ছে সমাজে ভালো মানুষের আকাল পড়লেও ফুরিয়ে যায়নি।

তবে মিথ্যা দম্ভ আর অহংকারে কুৎসিত বিকৃত মানুষরা যখন নিজেদের পাপের আত্মগ্লানি অনুশোচনায় ভোগে না তখন অবাক হই। নষ্টদের দাপটের সমাজে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত থেকে এসে কাঁচা টাকার বিকৃত মালিকও নিজেদের হাইসোসাইটির সদস্য ভাবে, নানা লোভ পোষে। লোভ পূরণ না হলে চরম হতাশায় ডোবে। তখন ঘেন্না লাগে। আমরা একটা সর্বগ্রাসী ক্ষুধার্ত অসুস্থ সমাজের মুখোমুখি। যার যেখানে তুপ্ত সুখী থাকার কথা সেখানে কেউ থাকতে চাইছি না। বিকৃতির গর্ভে বিলীন করে দিচ্ছি সব রুচিবোধ ও ব্যক্তিত্ব। গরিব হওয়া লজ্জার নয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারী প্রতারণা, লজ্জার, করুণার। লোভ জঘন্য। স্বপ্ন মুগ্ধকর। পৃথিবীতে সবার টাকা হতে হবে কেন? লেখক সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, ডাক্তার, প্রকৌশলীদের কেন অঢেল অর্থবিত্ত ভোগ-বিলাস হতে হবে? পৃথিবীতে দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী, শোবিজ জগতের সুপারস্টারদের টাকা হয়। বিলাসী জীবন হয়। সরকারি কর্মচারী, ডাক্তার, প্রকৌশলী যখন ঘুষখোর হয় তখন ঘেন্না লাগে। ওদের কেবল লজ্জা লাগে না!

আমরা কখনো ওয়ান-ইলেভেনের মতো অসাংবিধানিক অশুভ শাসন চাই না। কিন্তু ভুলতে চাই না সেদিন কী পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হয়েছে। চারদিকের একেক ঘটনা যেন অমঙ্গলের মালা গেঁথে চলেছে। কোথায় যেন কারা সাপলুডু খেলছে। শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়নে, করোনার মহাসংকটে জয়ী হয়ে যখন দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তখন কারা যেন বেপরোয়া সর্বনাশা খেলায় নেমেছে। আশঙ্কা হয়। তবে শীর্ষ সন্ত্রাসী থেকে মুরগি মিলনের মতো রাস্তার টোকাই সন্ত্রাসীরা একসময় সমাজকে অভিশপ্ত অশান্ত করেছিল। আজ তাদের করুণ পরিণতির কথাও কেউ মনে করে না। সমাজে কোনো অন্যায় অপরাধ সন্ত্রাস-দুর্নীতি চলতে দেওয়া যায় না। এ মুহূর্তে মহাজোটের সুসংহত ঐক্য ও সরকার সাজিয়ে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবার সময়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির এক কাতারে শামিল হওয়া অনিবার্য। গণমাধ্যমকে পাথরের মতো শক্ত ঐক্যে দাঁড়ানোর সময়।

আত্মমর্যাদাবোধ মূল্যবোধ ও পারিবারিক সংস্কারই যদি না থাকে কীসের মধ্যবিত্ত? কীসের ব্যক্তিত্ব আর লাজলজ্জা অনুশোচনা! যে মানুষের ভুলের অনুশোচনা নেই, কাউকে ঠকানো, প্রতারণা বা নিজের সম্মানহানির  গ্লানি অনুশোচনা নেই সে কি পূর্ণাঙ্গ মানুষ? কেবল যেনতেন টাকা, যেনতেন জীবন কাটানো, যেনতেন ভোগ-বিলাস চতুরতা কখনো জীবন নয়। জীবনের দর্শন ও ন্যূনতম নীতিবোধ থাকতে হয়। এ জীবনে দেখেছি অনেক, সব হিসাব মেলাতে পারিনি। কখনো পারবও না। তবে মর্যাদা ও মূল্যবোধ ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। হয়তো ভুল! কিন্তু এ ছাড়া তৃপ্তির কিছু নেই। মাঝেমধ্যে নিজেকে বড় একা, নিঃসঙ্গ মনে হয়। মনে হয় হয়তো একটি জীবনের অনেকটাই প্রতারিত। এ সমাজে আমি নিজেই অচল, কাউকে কিছু দেব কী, কালের যাত্রাপথে কখন দমবন্ধ জীবনে চলে যাবে হুট করে। অনাগত প্রজন্ম আমার কর্মময় চিন্তাশীল মানুষের জন্য কাজ নিয়ে, কী ভাবল হয়তো তাও মূল্যহীন হয়ে যাবে। নাজিম হিকমতের প্রেমপত্রের মতো কেউ বলবে শোকের আয়ু এক বছর। কিন্তু জেনে রাখুন আমার পাঠকরা, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান বিবেক যেখানে সেখানে বেঁধে দিতে আসিনি। আমার এই মাথা কোনো অন্যায় অপরাধের কাছে নোয়াবার নয়। লেখার জবাব সাহস থাকলে লেখায় দিন। বিকৃতি ও বর্বর সন্ত্রাসের পথ ছাড়ুন।

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
মাস্কের নতুন দলকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প
মাস্কের নতুন দলকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮২
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের ২০ হামলা
ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের ২০ হামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ তুর্কি সেনা নিহত
পাঁচ তুর্কি সেনা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবারের ব্রিকস সম্মেলনে নেই জিনপিং, পুতিন ভার্চুয়ালে
এবারের ব্রিকস সম্মেলনে নেই জিনপিং, পুতিন ভার্চুয়ালে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুতগতিতে কেন গলছে হিমালয়ের হিমবাহ?
প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুতগতিতে কেন গলছে হিমালয়ের হিমবাহ?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থনীতি চাঙা করতে নাগরিকদের প্রণোদনা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
অর্থনীতি চাঙা করতে নাগরিকদের প্রণোদনা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ধামাকা শপিং’য়ের চেয়ারম্যান এম আলী কারাগারে
‘ধামাকা শপিং’য়ের চেয়ারম্যান এম আলী কারাগারে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি : ফারুক
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি : ফারুক

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩৫০০ বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা
৩৫০০ বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এজবাস্টনে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত
এজবাস্টনে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাউথ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে তাইমের স্বর্ণ জয়
সাউথ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে তাইমের স্বর্ণ জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুকে ‘মরা ছাড়া কোনো গতি নেই’ লিখে যুবকের আত্মহত্যা
ফেসবুকে ‘মরা ছাড়া কোনো গতি নেই’ লিখে যুবকের আত্মহত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্লোবাল সুপার লিগে দল পেলেন সাকিব
গ্লোবাল সুপার লিগে দল পেলেন সাকিব

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘একটি পক্ষ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে’
‘একটি পক্ষ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে’

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গলাচিপায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক কর্মশালা
গলাচিপায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক কর্মশালা

৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

নোয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জার্মানির বার্লিনে একক নৃত্যানুষ্ঠান
জার্মানির বার্লিনে একক নৃত্যানুষ্ঠান

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

করাচিতে ভবন ধসে নিহত ২৭, শেষ হয়েছে উদ্ধার অভিযান
করাচিতে ভবন ধসে নিহত ২৭, শেষ হয়েছে উদ্ধার অভিযান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল
ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একটি মহল বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার করছে : প্রিন্স
একটি মহল বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার করছে : প্রিন্স

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে ‘সহজে আপস নয়’ : জাপানের প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে ‘সহজে আপস নয়’ : জাপানের প্রধানমন্ত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’
রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য গোপন করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
পাঁচ সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য গোপন করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী দেখানোর অপচেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল
একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী দেখানোর অপচেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের গলফ ক্লাবের আকাশসীমা লঙ্ঘন, যুদ্ধবিমান দিয়ে তাড়া
ট্রাম্পের গলফ ক্লাবের আকাশসীমা লঙ্ঘন, যুদ্ধবিমান দিয়ে তাড়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'পিআর নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুই হয়নি'
'পিআর নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুই হয়নি'

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি
যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল
ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ‌‘রহস্যময়’ গ্রাফিতি, পেছনের কাহিনী জানা গেল

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যারা এগিয়ে
ক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যারা এগিয়ে

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?
এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েরি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিমানবন্দরে আটকে থাকা ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে
ভারতের বিমানবন্দরে আটকে থাকা ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ
লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেসব অপরাধে ৪ বছর পরীক্ষা দিতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা
যেসব অপরাধে ৪ বছর পরীক্ষা দিতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত, দাবি সামা টিভির

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যা
রাজধানীতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচনের কী দোষ হলো যে পেছাতে হবে, প্রশ্ন রিজভীর
নির্বাচনের কী দোষ হলো যে পেছাতে হবে, প্রশ্ন রিজভীর

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পিআর পদ্ধতি থাকা দেশগুলোতে স্থিতিশীল সরকার নেই : আলাল
পিআর পদ্ধতি থাকা দেশগুলোতে স্থিতিশীল সরকার নেই : আলাল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ জুলাই)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট
২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির
মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আবারও ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্ধ ইসরায়েলি বিমানবন্দর
আবারও ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্ধ ইসরায়েলি বিমানবন্দর

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক