শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ আপডেট:

আদর্শহীন রাজনীতির গুন্ডামি ও সাপলুডু খেলা

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আদর্শহীন রাজনীতির গুন্ডামি ও সাপলুডু খেলা

বারবার বলছি, একটা সর্বগ্রাসী মূল্যবোধহীন অবক্ষয়ের পাপের সমাজ অজগরের মতো গিলে খাচ্ছে আমাদের। আমাদের বিবেক, মূল্যবোধ, রুচিবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, দর্শন- এক কথায় একটি আদর্শিক সমাজকে দিনে দিনে গিলে খাচ্ছে। একদল অবৈধ অর্থ-ক্ষমতার গরম সহ্য করতে পারছে না। সীমাহীন লোভের দাম্ভিক পাপে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে। মূল্যবোধসম্পন্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি অংশ এতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। আরেক অংশ অসহায়। সংস্কৃতির সংঘাত বিরাজমান। আরেকদল সুবিধাবাদী। কাপুরুষ। হঠাৎ কাঁচা টাকার মালিক বনে যাওয়া একদল নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিই নয়, নাম-পরিচয়হীন সমাজের বাসিন্দারাও অবৈধ পথে অঢেল অর্থবিত্তের মালিক হয়ে দাম্ভিকতার শিখরে বাস করছে। ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। ক্ষমতা যুক্ত হলেই সংবিধান, আইন, বিধিবিধান তো মানছেই না, মানুষকে মানুষ মনে করছে না। বেপরোয়া গুন্ডামিতে অশোভন আচরণে অশ্লীল কর্মকান্ডে ডুবতে ডুবতে হাবিয়া দোজখের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে। নিজেরা অঢেল অর্থ-সম্পদ-ক্ষমতা নিয়ে হাবিয়া দোজখেও যেন থাকতে পারছে না। শান্তিপ্রিয় ভালো মানুষদেরও সেখানে টেনে নিতে চাচ্ছে। দুনিয়াতেই সমাজে আজ তারা যে হাবিয়া দোজখ তৈরি করছে, সেখানে সেই জাহান্নামের আগুনে সমাজকে টেনে নিতে চাচ্ছে। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে সেই আগুনে পোড়াচ্ছে। টেকনাফে যে অপরাধ ঘটেছিল, সরকার তার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না করতেই সিলেটে পুলিশের পলাতক এসআই আকবরের হাতে রায়হান নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। এমসি কলেজ থেকে বেগমগঞ্জসহ নোয়াখালী অঞ্চল ও বিভিন্ন এলাকায় পাশবিক রোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইমাম, মাদ্রাসাশিক্ষক এমনকি আধুনিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ধর্ষণ ও ছাত্রদের বীভৎস বলাৎকারের ঘটনার বিরুদ্ধেও সরকার অ্যাকশনে যাচ্ছে। অপরাধীর দল বা পেশা কিছুই দেখা হচ্ছে না। সরকার আইন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ এটাই যে, যেখানে অপরাধী যেই হোক, এমনকি নিজ দলের হলেও ক্ষমা করছে না। আইনের আওতায় বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। তিনি তাঁর অঙ্গীকার রক্ষা করছেন। গোটা সমাজ পর্নোগ্রাফি থেকে সাইবার ক্রাইমে আক্রান্ত। কিছু পুলিশ বিতর্কিত হলেও গোটা প্রতিষ্ঠান নয়। পুলিশই অপরাধীদের ধরছে। র‌্যাবই পাকড়াও করছে। এত অপরাধ দিনে দিনে চারদিকে পুলিশ-র‌্যাবকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পুরান ঢাকার প্রতাপশালী এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মো. জাহিদকে এক বছর করে জেল দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় মাস ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে দুজনকে আরও ছয় মাস জেল দেওয়া হয়। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করার কারণে এমন শাস্তি।

রবিবার সন্ধ্যার পর কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত গাড়ি থেকে নেমে এসে হাজী সেলিমপুত্র নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খানকে মারধর করেন। নৌ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা গাড়িতে লাগায় পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর করা হয়। তার স্ত্রীকেও অপদস্থ করা হয়। ক্ষমতার দম্ভ, অর্থ ও পেশিশক্তির বর্বর অহম তাদের দেখতে হয়েছে। রাতেই ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই হাজী সেলিমপুত্রের বাসভবন ঘেরাও করে তল্লাশিই চালানোই হয়নি, রিমান্ডই হয়নি, দেহরক্ষীসহ জেলে পাঠানো হয়েছে। এটাকেই বলা হয় অপরাধীকে শেখ হাসিনা সরকারের ছাড় না দেওয়ার কঠোর নীতি। আর হাজী সেলিম ও তার পুত্ররা যা করে আসছেন, সেটিকে বলা হয় আদর্শহীন রাজনীতির গুন্ডাতন্ত্রের দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ। মানুষ আনন্দে বলছে, ‘বাঘে ধরলে ছেড়ে দেয়, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না।’ এমপিপুত্রের বাড়িতে কি ভয়ঙ্কর রোমহর্ষক টর্চার সেল! এরা বহিষ্কার হয় না কেন? দল থেকে কতকটা বখাটে লোক ও বিতর্কিত এমপি তাড়িয়ে দিলে কী হয়?

রাজনীতি যতক্ষণ আদর্শিক না হবে সমাজ ও পরিবার যতক্ষণ মূল্যবোধের ধারায় নীতি-নৈতিকতার ওপর না দাঁড়াবে ততক্ষণ সমাজে অপরাধীরা যে পেশায় থাকুক, বেপরোয়া উন্মত্ত হয়ে উঠবে। একের পর এক ঘটনা ঘটবে। আর সরকারকে পাকড়াও অভিযান চালাতে হবে। সন্তানের বাবা-মা হওয়া সহজ, কিন্তু আদর্শিক সন্তান গড়ে তোলা কঠিন। পিতা অন্যায় করলে মানুষের সঙ্গে অসদাচরণ করলে, দখলবাজি, অর্থ পাচার ঘুষ-দুর্নীতির সীমাহীন পথ গ্রহণ করলে তার সন্তান সে পথেই অগ্রসর হবে। তার সামনে সেটিই তখন আদর্শ হয়ে দাঁড়ায়। পিতা-মাতা নৈতিক মূল্যবোধে আদর্শিক জীবনব্যবস্থায় পারিবারিক বন্ধনে পরিচালিত হলে সন্তানরাও সে পথে অগ্রসর হয়। তাদের কাছে এটাই আদর্শ হয়ে ওঠে। লোভের বিষাক্ত সমাজে আজ যে সর্বগ্রাসী অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, এ কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই প্রতিরোধ করতে পারবে না, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিসমূহকেও এগিয়ে আসতে হবে। নষ্টদের উল্লাসনৃত্যকালে তাদের স্রোতে গা ভাসানো কোনো সামাজিক মর্যাদার বিষয় নয়। নৈতিক অপরাধে অপরাধী হওয়ার বিষয়। সমাজে আজ অনুশোচনা, আত্মগ্লানি আত্মশুদ্ধি আত্মসংযম যেন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। গোটা সমাজকে নষ্টদের হাত ধরে বিকৃতির অন্ধকারে পাপাচারে নিমজ্জিত করা হচ্ছে। এখানে আদর্শবানদের নীতিমানদের আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থায় এটা চলতে থাকলে প্রকৃতির বৈরী আক্রোশের শিকার হতে হবে। পাপ বাপকেও ছাড়ে না- কথায় আছে। ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, অর্থ পাচারের মতো অপরাধের লাগাম যেমন টেনে ধরতে হবে তেমনি সমাজের আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত শনির রাহুদের হাতে রাজনীতি তুলে দেওয়া যায় না। রাজনীতির অঙ্গন থেকে অপরাধীদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া সব দলের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে শাসক দল আওয়ামী লীগই দলকে অপরাধী-মুক্ত করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা আরও জোরালো করতে পারে। সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজরা দুঃসময়ে থাকে না। দেশ ও এলাকা ছেড়ে পালায়। অপদার্থ নেতৃত্ব ও কোনো কাজে আসে না। জনমত টানবে কী? জনগণের তাড়া খায়। গণবিরোধী ভূমিকা নেয়।

সম্প্রতি আমার এক লেখা পড়ে কথা নেই বার্তা নেই গুজব ছড়িয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শত শত সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমার উত্তরার অ্যাপার্টমেন্টে বর্বর হামলা চালিয়ে যে তা-ব করেছে এতে সবাই স্তম্ভিত। আমি নিজেও নির্বাক। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের বৈঠক করে নিন্দা ও অপরাধীদের গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ১৪ দলের সমন্বয়কারী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমুও নিন্দা জানিয়ে এটিকে অশনিসংকেত বলেছেন। প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ, জাসদের হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশাসহ অনেকেই নিন্দা জানিয়েছেন। বিএফইউজে-ডিইউজে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছে। একজন লেখক সাংবাদিক হিসেবে আমার লেখার শক্তি ছাড়া, চিন্তাশীল জগৎ ছাড়া কোনো অর্থ বা পেশিশক্তি বলে কিছুই নেই। থাকার কথাও নয়। কিন্তু এ বর্বর হামলার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া কেউ বিবৃতি দেয়নি। সারা দেশে সাংবাদিকসমাজসহ নাগরিকরা প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন। এ ভালোবাসা মাথায় তুলে নিয়ে শুধু বলতে চাই, আজন্ম বিশ্বাস করেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই আমার নেতা ও আদর্শ। মুক্তিযুদ্ধই আমার অহংকার। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশই আমার স্বপ্ন। ’৭১-এর পরাজিত বর্বর পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমার জন্মের ঘৃণা। এ বিষয়গুলোতে আমার জীবনবোধ ও চিন্তাধারা পরিষ্কার। এখানে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। মানুষই আমার দল। মানুষের স্বার্থেই আমার লেখা ও চিন্তা। আমার আদর্শের প্রশ্নে যত বড় অন্ধকার শক্তির আঘাত আসুক না কেন, মাথা আমি নত করতে আসিনি। নির্জীবের দীর্ঘ জীবনের চেয়ে বীরের স্বল্প জীবন উত্তম মনে করি। জীবনকে এমনিতেই সবখান থেকে রুচির অবক্ষয়ে গুটিয়ে এনেছি। সীমিত পরিসরে চলছে সামাজিকতা। কোনো সরকারের কাছ থেকে কোনো ব্যক্তিগত বৈষয়িক সুবিধা কখনো নিইনি, অনেকবার বলেছি। এমনকি মন্ত্রী ও সচিবদের দুয়ারে দুয়ারে ঘোরার অভ্যাস নেই। তদবির কাকে বলে শিখিনি। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোতে তৃপ্তি পাই। এটা অহংকার নয়, সবার প্রতি সম্মান রেখে নিজের প্রতি সম্মান ও মর্যাদাবোধ রক্ষা করা। কিন্তু আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু শব্দ থেকে উৎসারিত যে সাহস আমি অর্জন করেছিলাম, সেটি কখনো হারাতে যাব না। মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের রক্তের ঋণ আজ আমরা অনেকে ভুলে গেছি। কিন্তু সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু যে উদার গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেখানে আমাকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটি আমি ভোগ করতে গিয়ে যে কোনো পরিণতি বহন করতে রাজি আছি। এ দেশটার জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৩টি বছর জেল খেটেছেন। গোটা পরিবারসহ বিশ্বাসঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছেন। এ দেশটির জন্য লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী কত নির্দয় নিপীড়ন ভোগ করেছেন। আমি তাদেরই উত্তরাধিকারিত্ব বহন করি। কবি নাজিম হিকমতের মতো কিংবদন্তিরা মানুষ ও মানবতার জন্য জীবনের দীর্ঘ সময় জেল নির্যাতন ভোগ করেন। বেনজামিন মোলায়সের মতো আফ্রিকান কবি ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে যান। আমরা লেখক সাংবাদিকরা আমাদের দায়দায়িত্ব ভুলে গিয়ে অনেকে আজ গোটা দেশপ্রেমকে, মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে হারিয়ে ফেলি। অনেকে দৃশ্যমান দাস হই। পদ ও পদকের কাঙাল হয়ে ঘুরি। আমার জন্মের শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে আপস ও সখ্য রাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকদের হতে পারে। সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক হতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি, লাখো শহীদের প্রতি, সম্ভ্রমহারা মা-বোনের প্রতি দায়বদ্ধ দেশপ্রেমিক মানুষের প্রেম হতে পারে না। ওদের ’৭১-এর অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। যারা এ বর্বর পাকিস্তানের আইএসআইর সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। যারা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয় তারা বাংলাদেশের বিশ্বাসঘাতক। আইএসআই এ ভূখ-ের জন্য আজন্মের অভিশাপ। এদের দোসররা বিশ্বাসঘাতক।

একদল বিকৃত নীতিচ্যুত অপেশাদার নানামুখী অন্ধ দাসরা প্রেতাত্মার মতো আজ শুধু আমার বাড়িতেই বর্বর আক্রমণ করেনি, এর আগেও তাদের নিম্নরুচির বিকৃত মিথ্যাচারের জঘন্য প্রচারণা চালিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গণমাধ্যমের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ইদানীং তুমুলভাবে দানবীয় শক্তিতে আক্রমণ করছে। একে রুখতে হবে। আমি এসব বিকৃতি কর্মকান্ডকে পায়ের হাঁটুর নিচে পাগলা কুত্তার কামড় ছাড়া আর কিছু ভাবী না। আর মানুষের সঙ্গে নিবিড় মনোজগতের সম্পর্ক রাখি।

জীবনে কম দেখা হলো না! কত বিচিত্র মানুষের সঙ্গে, কত আকর্ষণীয়, জ্ঞানী-গুণী সৃষ্টিশীল মেধাবী মানুষও দেখা হলো। কত নিঃসঙ্গ উচ্চশিক্ষিত মর্যাদাবান অভিজাত মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। অনেকের প্রতি যেমন শ্রদ্ধায় মাথা নুয়েছে, মুগ্ধ হয়েছি, তেমনি কত মর্যাদাহীন সস্তা মানুষ দেখেও বিস্মিত হইনি। দিন যত যাচ্ছে সমাজে ভালো মানুষের আকাল পড়লেও ফুরিয়ে যায়নি।

তবে মিথ্যা দম্ভ আর অহংকারে কুৎসিত বিকৃত মানুষরা যখন নিজেদের পাপের আত্মগ্লানি অনুশোচনায় ভোগে না তখন অবাক হই। নষ্টদের দাপটের সমাজে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত থেকে এসে কাঁচা টাকার বিকৃত মালিকও নিজেদের হাইসোসাইটির সদস্য ভাবে, নানা লোভ পোষে। লোভ পূরণ না হলে চরম হতাশায় ডোবে। তখন ঘেন্না লাগে। আমরা একটা সর্বগ্রাসী ক্ষুধার্ত অসুস্থ সমাজের মুখোমুখি। যার যেখানে তুপ্ত সুখী থাকার কথা সেখানে কেউ থাকতে চাইছি না। বিকৃতির গর্ভে বিলীন করে দিচ্ছি সব রুচিবোধ ও ব্যক্তিত্ব। গরিব হওয়া লজ্জার নয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারী প্রতারণা, লজ্জার, করুণার। লোভ জঘন্য। স্বপ্ন মুগ্ধকর। পৃথিবীতে সবার টাকা হতে হবে কেন? লেখক সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, ডাক্তার, প্রকৌশলীদের কেন অঢেল অর্থবিত্ত ভোগ-বিলাস হতে হবে? পৃথিবীতে দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী, শোবিজ জগতের সুপারস্টারদের টাকা হয়। বিলাসী জীবন হয়। সরকারি কর্মচারী, ডাক্তার, প্রকৌশলী যখন ঘুষখোর হয় তখন ঘেন্না লাগে। ওদের কেবল লজ্জা লাগে না!

আমরা কখনো ওয়ান-ইলেভেনের মতো অসাংবিধানিক অশুভ শাসন চাই না। কিন্তু ভুলতে চাই না সেদিন কী পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হয়েছে। চারদিকের একেক ঘটনা যেন অমঙ্গলের মালা গেঁথে চলেছে। কোথায় যেন কারা সাপলুডু খেলছে। শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়নে, করোনার মহাসংকটে জয়ী হয়ে যখন দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তখন কারা যেন বেপরোয়া সর্বনাশা খেলায় নেমেছে। আশঙ্কা হয়। তবে শীর্ষ সন্ত্রাসী থেকে মুরগি মিলনের মতো রাস্তার টোকাই সন্ত্রাসীরা একসময় সমাজকে অভিশপ্ত অশান্ত করেছিল। আজ তাদের করুণ পরিণতির কথাও কেউ মনে করে না। সমাজে কোনো অন্যায় অপরাধ সন্ত্রাস-দুর্নীতি চলতে দেওয়া যায় না। এ মুহূর্তে মহাজোটের সুসংহত ঐক্য ও সরকার সাজিয়ে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবার সময়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির এক কাতারে শামিল হওয়া অনিবার্য। গণমাধ্যমকে পাথরের মতো শক্ত ঐক্যে দাঁড়ানোর সময়।

আত্মমর্যাদাবোধ মূল্যবোধ ও পারিবারিক সংস্কারই যদি না থাকে কীসের মধ্যবিত্ত? কীসের ব্যক্তিত্ব আর লাজলজ্জা অনুশোচনা! যে মানুষের ভুলের অনুশোচনা নেই, কাউকে ঠকানো, প্রতারণা বা নিজের সম্মানহানির  গ্লানি অনুশোচনা নেই সে কি পূর্ণাঙ্গ মানুষ? কেবল যেনতেন টাকা, যেনতেন জীবন কাটানো, যেনতেন ভোগ-বিলাস চতুরতা কখনো জীবন নয়। জীবনের দর্শন ও ন্যূনতম নীতিবোধ থাকতে হয়। এ জীবনে দেখেছি অনেক, সব হিসাব মেলাতে পারিনি। কখনো পারবও না। তবে মর্যাদা ও মূল্যবোধ ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। হয়তো ভুল! কিন্তু এ ছাড়া তৃপ্তির কিছু নেই। মাঝেমধ্যে নিজেকে বড় একা, নিঃসঙ্গ মনে হয়। মনে হয় হয়তো একটি জীবনের অনেকটাই প্রতারিত। এ সমাজে আমি নিজেই অচল, কাউকে কিছু দেব কী, কালের যাত্রাপথে কখন দমবন্ধ জীবনে চলে যাবে হুট করে। অনাগত প্রজন্ম আমার কর্মময় চিন্তাশীল মানুষের জন্য কাজ নিয়ে, কী ভাবল হয়তো তাও মূল্যহীন হয়ে যাবে। নাজিম হিকমতের প্রেমপত্রের মতো কেউ বলবে শোকের আয়ু এক বছর। কিন্তু জেনে রাখুন আমার পাঠকরা, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান বিবেক যেখানে সেখানে বেঁধে দিতে আসিনি। আমার এই মাথা কোনো অন্যায় অপরাধের কাছে নোয়াবার নয়। লেখার জবাব সাহস থাকলে লেখায় দিন। বিকৃতি ও বর্বর সন্ত্রাসের পথ ছাড়ুন।

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন হবে তুরস্কে
পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন হবে তুরস্কে

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে বাঁশঝাড় থেকে শটগান উদ্ধার
সিলেটে বাঁশঝাড় থেকে শটগান উদ্ধার

৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে বিনামূল্যে ২ হাজার কেজি ব্রি-১০৮ ধানবীজ বিতরণ
গোপালগঞ্জে বিনামূল্যে ২ হাজার কেজি ব্রি-১০৮ ধানবীজ বিতরণ

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়’
‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়’

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো : আসিফ
ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো : আসিফ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নবান্ন উপলক্ষে পীরের আস্তানায় ক্ষীরের উৎসব
নবান্ন উপলক্ষে পীরের আস্তানায় ক্ষীরের উৎসব

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান, দাবি ট্রাম্পের
৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান, দাবি ট্রাম্পের

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত
বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত

২৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি
চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি

২৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম
এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান
এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান

৩৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

৩৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়
শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়

৪২ মিনিট আগে | জীবন ধারা

অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব
অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা
ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন
জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু

৫১ মিনিট আগে | নগর জীবন

কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

৫২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা
ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?
ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?

৫৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ
শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা