সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

খাদ্যে ভেজালের পরিণতি

মো. আবু তালহা তারীফ

খাদ্যে ভেজালের পরিণতি

জীবনধারণের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন অতুলনীয়। খাদ্য ও পানীয় দেহে পুষ্টি জোগায়। রোগ প্রতিরোধ করে এবং আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। খাদ্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ এক নিয়ামত। নিয়ামতপূর্ণ পবিত্র খাদ্যে অবৈধ রাসায়নিক মিশিয়ে মানুষের জন্য ক্ষতিকর বস্তুতে পরিণত করা মারাত্মক অন্যায় কাজ। খাদ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আহার কর আমি তোমাদের যে হালাল রিজিক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শোকর কর, যদি তোমরা তারই ইবাদত কর।’ সুরা আল বাকারা, আয়াত : ১৭২।

খাদ্যে ভেজাল মেশানোর ফলে আজ ডায়াবেটিসসহ অসংখ্য রোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি বৈকল্য চর্মরোগ ইত্যাদি ব্যাধি মানুষের দেহে বাসা বেঁধে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ধরনের অন্যায় কাজ শয়তানের অনুসরণকারী ব্যতীত অন্য কেউ করতে পারে না। আল্লাহ পবিত্র খাদ্য খাবারের জন্য বলেছেন। কিন্তু শয়তানকে অনুসরণ করতে সম্পূূর্ণ নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ! পৃথিবীতে যা কিছু হালাল ও পবিত্র বস্তু রয়েছে তোমরা তা খাও, আর তোমরা শয়তানের অনুসরণ করবে না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ আল বাকারা, আয়াত : ১৬৮।

ইবনে মাজাহ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, কোনো খাদ্য ওজনে জালিয়াতি বা কম দেওয়ার ব্যাপারে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোনো জাতির মধ্যে ওজনে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে অবশ্যই তাদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও শয়তানের নিপীড়ন এসে পড়বে। ওজনে কম এবং উপাদান সঠিক মাত্রায় না দিলে আল্লাহ সে সমাজের জীবিকা সংকুচিত করে দেন। এ জন্য ভেজাল দ্রব্য কিংবা দোষযুক্ত দ্রব্য বিক্রি করা উচিত নয়। খাদ্যে ভেজালে আল্লাহ অসন্তষ্টি হয়ে যান। এ বিষয়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দোষযুক্ত জিনিস বিক্রি করল অথচ ক্রেতাকে তা অবগত করল না সে সর্বদা আল্লাহর ক্ষোভে পতিত থাকবে। ইবনে মাজাহ।

আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন এবং নবীর সুপারিশ পেতে হলে অবশ্যই কোনোক্রমে ভেজালসহ খাবারে প্রতারণা করা উচিত নয়। এ ব্যাপারে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করবে সে আমাদের নয়। কূটকৌশল ও প্রতারণাকারী জাহান্নামে যাবে।’ তাবরানী।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর