শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ ভোট নৌকায় পড়ে না

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ ভোট নৌকায় পড়ে না

বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস রক্তাক্ত ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি বা সুবর্ণজয়ন্তীর পোস্টমর্টেম করলে তা ওঠে আসে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের বর্ণিল গোছানো উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। স্বাধীন বাংলাদেশের ও বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক জাতির পিতার ১০১তম জন্মদিন ছিল ১৭ মার্চ। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম ও নেতৃত্বে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি বা সুবর্ণজয়ন্তী ছিল ২৬ মার্চ। এ সময়ে পৃথিবী করোনার মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে বিপদগ্রস্ত না হলে দুনিয়ার কত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ বরেণ্য ব্যক্তিরা এ স্বাধীন দেশে আসতেন। এমনকি বাংলাদেশে যতটা উৎসবের আনন্দের রং দেখা গেছে তা আরও বেশি মহোৎসব ও বর্ণিল রং নিত। তবুও করোনার দ্বিতীয় দফা ধাক্কার সময়ে আমাদের প্রতি সম্মান, সৌহার্দ্য, সহানুভূতি জানাতে পাঁচজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এসেছিলেন। উৎসবের ওজন তারা বাড়িয়েছেন। পশ্চিম থেকে পৃথিবীর নানা রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও আন্তরিক বার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের ৫০ বছরের বিস্ময়কর উত্থানের তারা ভূয়সী প্রশংসা করতে ভোলেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই বিশ্ব রাজনীতির কিংবদন্তি ইয়াসির আরাফাত, নেলসন ম্যান্ডেলা, সুলেমান ডেমিরেলকে আমাদের মহান নেতার ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত করেছিলেন। যে মাটিতে ৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মাথা নিচু করে আত্মসমর্পণ করেছিল এ সেই পুণ্যভূমি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও ঢাকায় এসেছেন। যদি করোনার বিষের ছোবলে পৃথিবী ল-ভ- না হতো, এত মৃত্যু না হতো, এত আক্রান্ত মানুষের জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ না চলত তাহলে পৃথিবী দেখত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ডাকে ঢাকা হতো জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে বিশ্ব রাজনীতির আজকের নায়কদের সরব উপস্থিতি। অসংখ্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ বিখ্যাতজনেরা আমাদের মহোৎসবে মিলিত হতেন। এবারের উৎসবের শেষ দিন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উৎসবের মাহাত্ম্য এতে বেড়েছে। ভারতই সেই দেশ যারা ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সেনাদের যুদ্ধে রক্তদান, তাদের জনগণের ও সরকারের ১ কোটি শরণার্থীর আশ্রয়দান, ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের মুজিবনগর বা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা, আশ্রয়, মুক্তিবাহিনী, মুজিববাহিনী ও গেরিলা যোদ্ধাদের অর্থ অস্ত্র ট্রেনিংদান কৃতজ্ঞতার ইতিহাসে আমাদের বন্দী করে রেখেছে। রক্তের ঋণে বেঁধেছে। এমনকি পাকিস্তানে ফাঁসির রায় নিয়ে নির্জন সেলে বন্দী স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর মুক্তি থেকে পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে ও বাঙালি জাতির স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত গড়তে ইন্দিরা গান্ধীর দৌড়ঝাঁপ আমাদের অমিত সাহসী ও ঋণী করেছিল।

সেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পরম বিশ্বস্ত রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ ছিল ইতিহাসের নির্মোহ বিচারে যথার্থ যৌক্তিক রায়। নরেন্দ্র মোদি এসে আমাদের সম্মানিত করেছেন। দুই দেশের উষ্ণ বন্ধুত্বের কথাই বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না সেটিও বলে গেছেন।

কিন্তু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এমন দিনে হেফাজতের ডাকে নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করে উগ্র সাম্প্রদায়িক মূর্তি নিয়ে কেন নামা হলো? কেন বিলুপ্ত প্রজাতির অতি ডানের এতিম থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও পথে নামলেন? গায়ে মানে না আপনি মোড়লরা বিবৃতি দিলেন? কেন একটি সাম্প্রদায়িক উগ্রশক্তির পাশে সাবেক ডাকসু ভিপি নূরেরও মোদি ঠেকাতে নামতে হলো? কেন বিএনপিকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি স্থগিত করে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিতে হলো? কেবলই কি ভারতবিরোধী তার রাজনীতি? অদৃশ্য কালো শক্তির অর্থায়নে ও প্রেসক্রিপশনে এরা সেদিন নেমেছে। বায়তুল মোকররম মসজিদকে তাদের রাজনীতির আশ্রয়স্থল করে সন্ত্রাস করেছে। মসজিদের পবিত্রতা এভাবেই এরা বারবার নষ্ট করে। এই যে হাটহাজারী থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তা-বে গরিবের সন্তানের রক্ত ঝরল উগ্র কর্মকান্ডে এর দায় কে নেবে? সরকার বা অন্য কারও নয়। এই দায় হেফাজত নেতাদেরই নিতে হবে। শাপলা চত্বরে এক দিন তারা চরম প্রতিহিংসা নিয়ে জেগে উঠেছিল। ব্যাংক বাণিজ্যিক পাড়ায় ধ্বংস লীলা চালিয়ে ছিল। সরকার পতনের স্বপ্ন তাদের মিত্ররাও দেখেছিল। বিএনপিও তাদের পাশে দাঁড়ানোর কঠিন ডাক দিয়েছিল। সরকার ক্ষিপ্র হাতে দক্ষদের নেতৃত্বে সেদিন দমন করেছিল। আজ সুবর্ণজয়ন্তীকালে যখন সর্বক্ষেত্রে দেশ অগ্রসর- তারা এটা মানতে পারে না। তারা শিক্ষায় জ্বলে গবেষণায় পুড়ে। নারীর ক্ষমতায়নে হিংস্র হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন না করে তা-ব করে। যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আক্রমণ করে। তারা আবার শাপলা চত্বরে মহা তা-ব চালাতে চায়। যারা বলেন হেফাজত রাজনীতিতে নেই- তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করেন। এরা উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষাক্ত মুখ। এদের পেছনে শক্তিশালী উচ্চাভিলাষী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শক্তি। আইএসআইয়ের কালো হাত। হেফাজতকে কওমি মাদরাসার কোমলমতি পথঘাট না চেনা ছাত্রদের ওপর নির্ভর করে দাবার গুঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। সাম্প্রদায়িক উগ্রশক্তির কাজই হলো ধর্মের নামে রাজনীতির বাতাসকে বিষিয়ে তোলা। উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কাজই হলো ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের পক্ষে টানা। সমাজ-রাজনীতি, সরকারকে অশান্ত করে রক্তের হোলিখেলা। সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এ শক্তি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। এদের বাবারা ৭১ সালে পাকিস্তানের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছে। কেউ আলবদর আলশামস হয়েছে। কেউ শান্তি কমিটিতে গেছে। কেউ গেছে রাজাকার বাহিনীতে। কেউ গেছে ধর্মের নামে পাকিস্তানের পক্ষে ফতোয়া দিতে। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি জড়িয়ে আছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। তারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তারা আল্লাহ রসুলে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা ধর্মপ্রাণ হলেও সাম্প্রদায়িক ছিলেন না। তাদের অপরাধ তারা স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন। ওদের দোসররা ধরিয়ে দিয়েছে আর হানাদার বাহিনী আড়াই লাখ মা-বোনকে ভয়ংকরভাবে ধর্ষণ করেছে অমানুষের মতো। ধর্ষিতাদেরও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। পাকস্তানি হানাদার বাহিনী সেদিন কে মুসলমান কে হিন্দু দেখেনি। মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্ম বর্ণের মানুষ গেছে। ওরা বুদ্ধিজীবীদের ধরিয়ে দিয়েছে। হানাদার বাহিনী তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বুদ্ধিজীবীদেরও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ছিলেন। ধর্মও এদের কাছে বড়-ছিল না, পাকিস্তানই বড় ছিল। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে কত সংগ্রাম, কত আত্মবিলদান সে বিশাল ট্র্যাজেডি। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু হলেন জাতির পিতা। কোমল তাঁর হৃদয়খানিজুড়ে দেশ ও মানুষ। চরিত্রে আপাদমস্তক উদার গণতন্ত্রী। সেই মহান নেতাকে শান্তি দেননি চীনাপন্থি অতি বিপ্লবী থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের উগ্র হঠকারী রাজনৈতিক শক্তি। নিষিদ্ধ আন্ডারগ্রাউন্ড শক্তির লাল সন্তানতো ছিলই। সবাই মিলে মুজিব উৎখাত, সবাই মিলে ভারতবিদ্বেষী রাজনীতির বিষের তাস। বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ গণতন্ত্রের ধাঁচে সংবিধান দিলেন। কী আধুনিক। মূলনীতিতে ঠাঁই পেল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উৎস বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক শক্তি ও মানুষের আকাক্সক্ষাকে লালন করলেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলেন। ৭০ সালেও নির্বাচনে পরাজিত ধর্মভিত্তিক মুসলিম লীগ, জামায়াত, নেজামে ইসলামসহ কিছু দল উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছিল। ৭১ সালে তারাই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হলো। মুক্তিযুদ্ধের চরম বিরোধিতা শুধু নয়, তারা পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করল। সেই নিষিদ্ধ শক্তি অতি বিপ্লবী আর উগ্রপন্থি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু দলে ঠাঁই নিল। নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট চালাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার পরিজনসহ নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন বর্বর হত্যাকান্ডের নজির নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর খুনি মোশতাক থেকে ক্যু পাল্টা ক্যুর মাধ্যমে সেনাশাসক জিয়াউর রহমান ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা চালু করে যে বিএনপি গঠন করলেন তার শক্তি হিসেবে নিলেন আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী চীনের অনুসারী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের। আর নিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী মুসলিম লীগকে। সেই সঙ্গে বাজারে ছেড়ে দিলেন জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক যুদ্ধাপরাধীর শক্তিকে। গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল হলেও ফিরিয়ে আনলেন। তিনি ও তার দলের অনেকে মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত হলেও রাজনীতিটা করলেন বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ আর আবেগ অনুভূতির বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় জোটালেন অনেককে। সুবিধাবাদীরা তো ছিলেনই। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচারও নিষিদ্ধ করলেন। বঙ্গবন্ধুর নামও নিষিদ্ধ। ইতিহাসও নিষিদ্ধ। সেই সঙ্গে চলল ইতিহাস বিকৃতি। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা যারা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সততা-দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তাদের নৃশংস হত্যাকা- ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে বড় ট্র্যাজেডি। সেই ট্র্যাজেডি থেকে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফের রক্তদানের ইতিহাসে সামরিক শাসনের অবসান হলেও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে আর ফিরতে পারেননি। সংবিধান সেই যে এলোমেলো কাটাছেঁড়া করে গেলেন সেনাশাসকরা তাতে একাত্তরের পরাজিত পাকিস্তান ও তাদের মিত্ররা আনন্দিত হলেও আমাদের শহীদদের আত্মার সঙ্গে এ কঠিন বিশ্বাসঘাতকতা।

স্বাধীনতা আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খল, শোষণ শাসন বৈষম্যের অন্ধকার থেকে মুক্তি দিল স্বাধীন জাতি হিসেবে। স্বাধীন আবাসভূমি বা মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে গর্ব নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাঁচার অধিকার দিয়েছে। জাতীয় পতাকা দিয়েছে। জাতীয় সংগীত দিয়েছে। ৭১-এর পরাজিত শক্তির দাসরা জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি তোলার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। বারবার বঙ্গবন্ধুর ছবি, ম্যুরাল, শহীদ মিনারে আক্রমণ করেছে।

এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান হলেও, এ দেশে সব ধর্মের বর্ণের মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা হজে যায়, নামাজ পড়ে, শবেবরাতের রাত জেগে আল্লাহর নৈকট্য চায়, নামাজ পড়ে। জিকির আজগার করে। শুক্রবারে জুমায় মসজিদে ঢল নামে। সব ধর্মের মানুষই এভাবে নিজ নিজ ধর্মের উপাসনা করে। এটা তার অধিকার। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা ধর্মান্ধতা উগ্র সাম্প্রদায়িকতা দূরে থাক, সাম্প্রদায়িকই নয়। চিন্তা মননে অসাম্প্রদায়িক। তাই বাংলা নববর্ষে একুশে বিজয় দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতির প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। ঢল নামে সারা দেশে কোটি মানুষের। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা নরেন্দ্র মোদিকে ঘিরে সহিংস তা-ব করেছে তারা ওসব দিবস মানে না। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও তার সংস্কৃতি মাদরাসার ছাত্রদের শেখানো হয় না। মাদরাসার ভিতরে কী বর্বরতা সেটি গত কয়েক বছর বেরিয়েছে। হাই কোর্টেরও নির্দেশনা আছে। সেদিন মোদির জায়গায় ইমরান খান এলে দেশে প্রতিবাদের ঝড় তুললেও মামুনুল হক এবং তাদের নেপথ্যের শক্তি আনন্দিত হতো। ওরা ৭১-এর বিরুদ্ধে ছিল আজও বিরুদ্ধে। বংশ পরম্পরায় এটা চলবে তাদের। তারা ৭১-এর পাপের জন্য পাকিস্তানের নেতা হিসেবে ক্ষমা চাইতে বিক্ষোভ করত না। আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে বলত না। বরং স্বাগত জানাত মারহাবা খোশ আমদেদ বলে। এখানে তাদের আত্মা। মোল্লা ওমরের তালেবানি দর্শন তাদের চেতনা। এদের হালাল হারাম বড় বেশি ইতিহাসে চেনা।

দেশ এত ট্র্যাজেডি এত বিপর্যয়েও এগিয়েছে। বিশ্বে আজ মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়। উন্নয়নশীল দেশেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় উদীয়মান শক্তি।

৫০ বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে আরেক বাংলাদেশ জেগে ওঠছে। মঙ্গা দুর্ভিক্ষ নির্বাসনে গেছে। গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে। মানুষ এখন সচ্ছল হয়েছে, হচ্ছে। ভাত-কাপড়ের অভাব দূর হয়েছে, হচ্ছে। দেশে কত কত শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠেছে। কৃষিতে বিপ্লব ঘটে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অবকাঠামোর উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষও এখন সন্তানকে পড়ালেখা করায়। তবে বৈষম্য কমেনি। শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হয়নি। ৫০ বছরে সবচেয়ে দুর্বল হয়েছে রাজনৈতিক শক্তি। যে রাজনৈতিক শক্তি দেশের জন্ম দিল সেখানে আজ রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমতাবান দাপুটে হচ্ছে দিনে দিনে। এ এক সর্বনাশা আলামত। বামপন্থি রাজনীতির বাতি নিভে যাওয়ায়, মানুষের পক্ষে কথা বলার শক্তি দুর্বল। আদর্শিক রাজনীতির মৃত্যু বড় সর্বনাশ বয়ে এনেছে। আওয়ামী লীগকে সাম্প্রদায়িক কালো শক্তির বিরুদ্ধে আপস নয়, প্রতিরোধ নীতিতে লড়াইটা করতে হবে। দলকে আদর্শিক চেতনায় জাগাতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্য সুসংহত করে গণজাগরণ ঘটাতে হবে। এদের সঙ্গে আপস চলে না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এ শিক্ষা দেয় না।

আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। নেতৃত্ব ও আদর্শের জায়গা থেকে উগ্র শক্তিই নয়, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গেও তারা আপস করতে পারে না। নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর বই পড়ে ঘুমালেই হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জীবন ও নীতি নৈতিকতা লালনের পাঠ নিতে হবে। লোভ-লালসা, ক্ষমতার বেহুঁশি দম্ভ আচরণ, দুর্নীতি অসততা থেকে মুক্ত হয়ে মানবকল্যাণে গণমুখী রাজনীতি করতে হবে। আওয়ামী লীগকে মনে রাখতে হবে সাম্প্রদায়িক শক্তি দূরে থাক একজন সাম্প্রদায়িক মানুষও তাদের ভোট দেয় না কখনো। দিতে পারে না। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ৭০ সালেও দিয়েছে, এখনো দেয়। কিন্তু ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ভোট নৌকায় পড়ে না। বিরোধী শক্তির মার্কায় পড়ে।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

২ মিনিট আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

৩ মিনিট আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

৩৪ মিনিট আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

৪৪ মিনিট আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত
রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা
উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ
মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন
নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা