শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

লকডাউনের টক কথা

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
লকডাউনের টক কথা

কেউ বলেন করোনা এক রহস্যময় ভাইরাস। কেউ বলেন মরণ ভাইরাস। যা সারা পৃথিবীর মানুষকে গৃহবন্দী করেছে। কেড়ে নিয়েছে জীবন, জীবিকা, মানবিকতা। গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছরের ১৮ মার্চ। এরপর ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে ২১ ও ২২ মার্চ দুজন মারা যান। এরপর ওই এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকেই আমাদের দেশে এই ‘লকডাউন’ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলায় এই শব্দটির অর্থ অবরুদ্ধ অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের নিয়ন্ত্রিত চলাচলের জন্য গৃহীত আইনগত ব্যবস্থা। অল্প কদিনের মধ্যে এই রোগটি ভয়াবহ গতিতে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তখন ইত্যাদির টিম নিয়ে ঈদের অনুষ্ঠান নির্মাণে ব্যস্ত। বিদেশিদের নিয়ে সপ্তাহে দুই দিন করে মহড়া হচ্ছিল গুলশানের বিভিন্ন বিদেশি ক্লাবে। ফেব্রুয়ারি শেষে আমরা মহড়া শুরু করি। মহড়া শুরুর কয়েক দিন পরই সবার মধ্যে করোনা ভীতি লক্ষ্য করি। অনেককেই দূতাবাস থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। মার্চের মাঝামাঝি বিদেশি নাগরিক ৬০ জন থেকে কমে ৩৫ এ এসে দাঁড়াল। বিদেশিদের পর্বের ধারণ তারিখ ছিল ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল। এরই মধ্যে যে কোনো সময় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসার কানাঘুষা চলছিল। সুতরাং সবার উৎসাহে, অনুরোধে ১৮ এপ্রিলের শুটিং বাতিল করে ২১ মার্চ, শনিবার করার সিদ্ধান্ত নেই। উল্লেখ্য, বিদেশিদের সুবিধার্থে এই পর্বটি সবসময় ছুটির দিন দেখেই করতে হয়। স্বল্প সময়ের প্রস্তু‘তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক কষ্টে শুটিং শেষ করি। করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সে সময় এই পর্বটির পর আর কোনো পর্বই শুটিং করা সম্ভব হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিন ছুটি থাকার পর ৩১ মে সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কল-কারখানা খুলে দেওয়া হয়। যদিও সে সময় ঘোষিত লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জন। গত বছরের ধাক্কাটাকে সামলে সবকিছু যখন স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছিল তখনি শুরু হলো দ্বিতীয় ঢেউ অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাক্কা। বেড়ে চলল মৃত্যুর মিছিল। এক দিনে ৫৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্তের রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনে পৌঁছালে, ৩৭৩ দিন পর গত ৫ এপ্রিল আবার এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল এবং ২১ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার আগে এবং পরে মিডিয়ার টকশোগুলোতে দ্বিমুখী আলোচনা শোনা যায়। লকডাউনের আগে-লকডাউন দিচ্ছে না কেন? লকডাউনের পরে-কেন লকডাউন দিল? পেটে ভাত নেই, তাই পিঠে সয় না। যদিও এ বিষয়টি লকডাউনের আগে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেত। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশের এই লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মজার আলাপের বাজার বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নানা নামে অভিহিত হয়েছে এই লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউন, নাকি ঢিলেঢালা লকডাউন? দেশভিত্তিক লকডাউন, নাকি এলাকাভিত্তিক লকডাউন? কঠোর লকডাউন নাকি সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ? সর্বাত্মক হলেও এটা কি সবার জন্য প্রযোজ্য, নাকি কারও কারও জন্য প্রযোজ্য? কারণ এই লকডাউনে বিধিনিষেধ ভঙ্গে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে রিস্ক উল্টানোর চিত্র দেখা গেলেও কারও ব্যক্তিগত গাড়ি বা জিপ উল্টাতে দেখা যায়নি। লকডাউনের এসব নামকরণের বিভিন্ন কারণও রয়েছে। অনেকেই এই লকডাউন মানতে নারাজ। তাদের কথা, পেটেই যদি ভাত না থাকে তাহলে করোনাকে ভয় পেয়ে কী হবে? এই করোনায় প্রচুর ছাঁটাই হয়েছে। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন গ্রামে, তাদের কী হবে? আবার কারও মতে জীবন আগে-জীবিকা নয়, বেঁচে থাকলে অনেক জীবিকার সন্ধান করা যাবে। কারও মতে জীবন-জীবিকার সমন্বয় প্রয়োজন। কেউ আবার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কথা বলে উদাহরণ দিচ্ছেন-বিশ্বের অনেক জায়গায় কারফিউ দিচ্ছে, কড়া লকডাউন হচ্ছে, কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অন্য পক্ষ বলেন, তাদের ঘরে সময়মতো খাবার পৌঁছে যাচ্ছে, সুতরাং বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরকার নেই। আর এসব চিন্তা করে সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করেছেন। এই প্রণোদনা নিয়েও আবার কেউ কেউ বলছেন ভিন্নকথা। পত্র-পত্রিকায়ও লেখা হচ্ছে, সরকারের দেওয়া প্রণোদনার টাকা কার কাছে যায়! সত্যিকার অর্থে যাদের সাহায্য দরকার তারা নাকি এই টাকা পাওয়ার উপায়ই খুঁজে পান না। একটি দৈনিকে লিখেছে, ‘সরকার যদি দরিদ্র মানুষের উপকার করতে চায় তবে সরাসরি সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা বিকাশ ও রকেট হিসাবে দিতে পারে।’

লকডাউনে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি তো রয়েছেই, কারণ সবকিছু বন্ধ হলে কিছু ক্ষতিতো হবেই। বিগত বছরগুলোতে হরতালসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, ঘনঘন লোডশেডিং এসবের কারণে কি আমাদের কম ক্ষতি হয়েছে? বিশেষ করে ‘লাগাতার জাতীয় হরতালে’ এবং ‘রাজনৈতিক সহিংসতার’ কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের উন্নয়ন, দেশের সম্পদ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তখন শুধু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানই নয়, সরকারি সম্পদ যাকে আমরা জনগণের সম্পদ মনে করি তারও ক্ষতি হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থার শতাধিক গবেষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় এক দিনের হরতালে দেশের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাদের হিসাব মতে, বছরে গড়ে ৪৬ দিন হরতাল হয়, সেদিক থেকে হরতালে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পোশাকশিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং পরিবহন। কিন্তু হরতালের সময় আমরা কেউই এই দৈনিক ক্ষতির হিসাবটা নিয়ে চিন্তা করি না।

শুধু এই ক্ষতিই নয় হরতালে সবচাইতে বড় ক্ষতি যেটা, সেটা হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি। যা অপূরণীয়। বিদেশি বিনিয়োগের আস্থার জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়। এসব ক্ষতির তুলনায় এক সপ্তাহের লকডাউনে ক্ষতি খুবই কম। তেমনি দেশে যখন ভূমিকম্প হয় তখন উঁচু ভবন থেকে মানুষ কত দ্রুত নিচে নামতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু করেন। খাবার চিন্তা করেন না, করেন বাঁচার চিন্তা। বানভাসী মানুষ প্রথমে বাঁচতে চান, একটুখানি পানিমুক্ত স্থান চান থাকার জন্য, তারপর খাবার চিন্তা করেন। জীবন বাঁচলে জীবিকার সন্ধান করা যাবেই। এরপরে তো প্রণোদনা কিংবা বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার পথ খোলা রয়েছেই।

লকডাউনের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে আমরা কি সেটা মেনে চলেছি? অনেকে স্বাস্থ্যবিধি কী সেটাই বোঝেন না। এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। আমরা কি সেই মাস্কটি যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শপিং মল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট সবজায়গাতেই দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক থাকলেও তা সঠিক জায়গায় নেই। হয় নাকের নিচে, নইলে থুঁতনিতে। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক কারও মতে ৬ ঘণ্টা, কেউ বলেন সর্বোচ্চ এক দিন ব্যবহার করে ফেলে দিতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মাস্কে ময়লা জমে এমন রং ধারণ করে যে দেখলে মনে হবে এটি এক দিন নয় এক সপ্তাহেরও বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু মাস্ক আছে যেগুল ধুয়ে পরিষ্কার করে কিছু দিন ব্যবহার করা যায়। সেই ধোয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা কেন জানি কোনো নিয়ম-কানুনই মানতে রাজি নই। দোকানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই কথা বলছেন অথচ দুজনের মাস্কই থুঁতনিতে ঝুলছে। টিভিতে দেখেছি, এই করোনার ঊর্ধ্বগতিতেও অনেকে কোলের শিশুকে নিয়ে পর্যন্ত শপিং করতে গেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভাবখানা দোকানে করোনার প্রবেশ নিষেধ। অনেকে ‘স্যানিটাইজার’ শব্দটির অর্থও জানেন না। অনেক স্থানে তাপমাত্রা মাপা হয় লোক দেখানো, অনেক সময় ওই যন্ত্রে ব্যাটারিই থাকে না। ভাগ্যিস পরবর্তীতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে- যা সবার বোধগম্য। তারপরও কী আমরা সবাই ঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সব কাজ করছি? ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যখন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে এবং লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়, মানুষ জীবিকার সংকটে পড়েন-তখনই সবার সচেতনতা বাড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ বেশি নয়। করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ৩৮তম। সুতরাং আমরা একটু সচেতন হলেই এই ‘ঢিলেঢালা’ উপাধিপ্রাপ্ত লকডাউনের যাতনা সইতে হতো না। এ বছরের শুরুর লকডাউনটি ছিল বেশ হাস্যকর। সীমিত পরিসরে অফিস খোলা, অর্থাৎ অফিসে যেতে পারবেন। কাঁচাবাজারে যেতে পারবেন। গণপরিবহন চলবে না কিন্তু ব্যক্তিগত পরিবহনে যেতে পারবেন। রাস্তায় বেরোনো যাবে না কিন্তু বইমেলায় যেতে পারবেন, ব্যাংকে যেতে পারবেন। এসব নানাবিধ সুযোগের কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া মানুষগুলোর যৌক্তিক অজুহাতের অন্ত নেই। পাশাপাশি চলছে বাদ প্রতিবাদ। অফিসে যেতে হবে অথচ গণপরিবহন বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। গার্মেন্ট খোলা, কলকারখানা খোলা অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। এসব বিষয়ে দুই পক্ষেরই যুক্তি রয়েছে। তবে এসব যুক্ত তর্কের ঊর্ধ্বে প্রধান বিষয় হচ্ছে, আমরা একটি ভয়ংকর সময় পার করছি। বাঁচা-মরার লড়াই। এ রোগ সামাজিক পারিবারিক বন্ধনকে পর্যন্ত ছিন্ন করে দিয়েছে। হাজার কোটি টাকা থাকলেও চিকিৎসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। হাসপাতালে সিট নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ নেই। এটা কারও দোষ নয়, রোগের দোষ। আমরা জানি না কতদিন এই রোগের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। তবে এই যুদ্ধ জয়ের জন্য আমাদের সবাইকেই আরও সচেতনভাবে লড়তে হবে। নিজেদের কিছুটা স্বার্থত্যাগ করে হলেও আমরা কি অন্তত একটি সপ্তাহ এই ‘ঢিলেঢালা’ শব্দটিকে বাদ দিয়ে সত্যিকারভাবে ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলতে পারি না? আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা কি এক সপ্তাহের বাজার করে রাখতে পারি না? যাদের সামর্থ্য নেই, আমাদের দেশের বিত্তশালীরা সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদান করে হলেও সরকার এবং এই ধনীদের অর্থ সহায়তায় গরিব ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে পারি না? এমনিতেই পত্রপত্রিকায় দেখি হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে দেশে এখনো অনেক মানুষের থাকার জন্য একটুখানি জায়গা নেই, সেখানে অনেকে উন্নত দেশগুলোতে সেকেন্ড হোম করছেন। এসব অর্থ আসে কোত্থেকে? পাচার হয় কীভাবে? দেশে এখনো অনেক বিত্তশালী আছেন যারা শত শত কোটি টাকা অসহায় মানুষদের জন্য সরকারি তহবিলে দিতে পারেন। এই করোনায় আমরা অনেক বিত্তশালীর করুণ মৃত্যু দেখেছি, মৃত্যুর সময় কেউ তাদের ধনসম্পত্তি নিয়ে যেতে পারেননি।

বিভিন্ন উৎসব আনন্দে আমরা অনেকেই নুতন পোশাক পরে থাকি। বিগত বছরগুলতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেনাকাটার সুযোগে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। তাই বলে সবসময়ই সব উৎসব আনন্দ একভাবে আসে না। এখন আমাদের মহাসংকট। প্রতিটি পরিবার জীবন রক্ষায় ব্যস্ত। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে কান্নার রোল এখনো থামেনি।             সান্ত্বনা দেওয়ার মানুষ নেই। থাকলেও কাছে যাওয়ার উপায় নাই। এই অবস্থায় আমরা কতটুকু আনন্দ করতে পারব সেটাও ভেবে দেখতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেখানে শঙ্কা সেখানে আনন্দ কতটা নিরাপদ? সেটা কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো সবকিছুর বেলাতেই প্রযোজ্য। দুই লকডাউনের মাঝখানে ২/৩ দিন দোকানপাট খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এবারও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকা সত্ত্বেও ২৫ তারিখ থেকে দোকান-পাট সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। এবারও যে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে তার নিশ্চয়তা কী? আর তার ফলে যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে তার দায়িত্ব-বা কে নেবে?

আসলে বড় উদ্যোক্তারা সবসময়ই লাভবান হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই সবসময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তাদের তত পুঁজি নেই, ব্যাংক ঋণও নেই। আমাদের সবার কথাই ভাবতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা যেমন ভাবতে হবে, তেমনি ভাবতে হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সেই স্থিরচিত্র গ্রাহকের কথা যিনি পর্যটকদের ছবি তুলে দিনাতিপাত করেন কিংবা বান্দরবানের তিন্দুর কোনো টং দোকানদারের কথা, যিনি দৈনিক ৫০০ টাকা বিক্রি করে ৫০/১০০টা লাভ করলেই খুশি হন। এদের কথা কারও মুখেই সেভাবে শোনা যায় না। এমনি অপ্রকাশিত অনেক দুঃখী মানুষ আছেন যারা এই দুর্যোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রণোদনার প্রয়োজন তাদেরও। লক্ষ্য রাখতে হবে প্রণোদনার অর্থ তাদের হাতে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা? এসব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসন এবং বিত্তশালীদের। এই দুর্যোগে জীবন ও জীবিকা দুটোরই সমন্বয় প্রয়োজন।

সম্প্রতি এই কভিড নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া জাতির উদ্দেশে দেওয়া উগান্ডার প্রেসিডেন্টের একটি ভাষণের কিছু অংশ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই। এই ভাষণটিকে দ্বিতীয় কভিডকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষণের এক স্থানে তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের সময় আপনি আপনার ব্যবসা খোলা রাখার জন্য তর্ক করেন না। সময় পেলে দোকান বন্ধ করে দেন। (তবে সেই সময়টুকু যদি আপনি পান)। জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালান। আপনি সারাক্ষণ প্রার্থনা করেন যেন যুদ্ধটা তাড়াতাড়ি শেষ হয় এবং আপনি আপনার ব্যবসাটা আবার চালু করতে পারেন। যদি না আপনার দোকানের সমস্ত মালপত্র লুট হয়ে যায় বা মর্টারের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পৃথিবীতে এমন একটি যুদ্ধ চলছে যেখানে বন্দুক বা গুলির ব্যবহার নেই। এই যুদ্ধের কোনো সীমানা নেই। এই যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি নেই। থামানোর জন্য জাতিসংঘও নেই। এই যুদ্ধের সৈন্যদের কোনো দয়ামায়া নেই। এদের একটাই খায়েশ আর তা হলো মৃত্যু ঘটানো। যা কোনো নিয়মনীতি বা প্রটোকল দ্বারা আবদ্ধ নয়। আর এই সৈনিকরাই হচ্ছে করোনাভাইরাস।

এদের হারাতে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য। এরা আমাদের শারীরিক দূরত্বের কাছে পরাজয় বরণ করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাছেও হার মানে। আপনার হাত জীবাণুমুক্ত থাকলে এরা একেবারেই অসহায়। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, কভিড-১৯-কে পরাজিত করি।’

মনে রাখতে হবে এই মহা দুর্যোগে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতাই আমাদের বাঁচাতে পারবে। এই করোনা আপনার জন্য হুমকি, আপনার পরিবারের জন্য হুমকি, হুমকি আপনার সন্তানের জন্য। আমাদের সবার পরিবারের সুরক্ষার জন্যই এ মুহূর্তে ঘোষিত যে কোনো আদেশ নির্দেশ বিধিমালা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে তৃতীয় ঢেউও আসবে। গত ১২ এপ্রিল বিশ্বাস্বাস্থ্য সংস্থার কভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখব বলেন, ‘মহামারী এখন ঊর্ধ্বগতিতে বাড়ছে।’ এটা নিয়ন্ত্রণের প্রমাণিত উপায় আমাদের জানা আছে, আর তা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিজে নিরাপদে থাকি, পরিবারকেও নিরাপদে রাখি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
বাড়ছে মন্দ ঋণ
বাড়ছে মন্দ ঋণ
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
আল্লাহ আখেরি নবী হিসেবে বেছে নেন মুহাম্মদ (সা.)-কে
আল্লাহ আখেরি নবী হিসেবে বেছে নেন মুহাম্মদ (সা.)-কে
মীরজাফর যুগে যুগে
মীরজাফর যুগে যুগে
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না
মব সন্ত্রাস
মব সন্ত্রাস
অবশেষে যুদ্ধবিরতি
অবশেষে যুদ্ধবিরতি
রাষ্ট্রভাবনা
রাষ্ট্রভাবনা
কওমি মাদরাসার অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
কওমি মাদরাসার অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
৩০ লাখ মানুষ অতি গরিব হতে যাচ্ছে
৩০ লাখ মানুষ অতি গরিব হতে যাচ্ছে
ইরানে ইমাম খামেনির আস্তানায় নারী গুপ্তচর
ইরানে ইমাম খামেনির আস্তানায় নারী গুপ্তচর
সর্বশেষ খবর
বরিশালে গ্রাম আদালতে মামলার নিষ্পত্তির হার ৮৭ শতাংশ
বরিশালে গ্রাম আদালতে মামলার নিষ্পত্তির হার ৮৭ শতাংশ

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল ফারহানের
খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল ফারহানের

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে ট্রাক উল্টে পুকুরে, দুই নারী নিহত
বরিশালে ট্রাক উল্টে পুকুরে, দুই নারী নিহত

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুলাউড়ায় ৯ পরিবার পেল খাস জমি
কুলাউড়ায় ৯ পরিবার পেল খাস জমি

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে করোনার সাথে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ
সিলেটে করোনার সাথে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

২৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চার বছর পর টেস্ট দলে জফরা আর্চার
চার বছর পর টেস্ট দলে জফরা আর্চার

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রিমান্ড শেষে আইভীকে কারাগারে প্রেরণ
রিমান্ড শেষে আইভীকে কারাগারে প্রেরণ

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শিশুর লাশ উদ্ধার
সিলেটে শিশুর লাশ উদ্ধার

৩৯ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ইসরায়েলি হামলায় ৬২ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে : ইরান
ইসরায়েলি হামলায় ৬২ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে : ইরান

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুরে একই পরিবারের দুইজন করোনায় আক্রান্ত
দিনাজপুরে একই পরিবারের দুইজন করোনায় আক্রান্ত

৫০ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

মিয়ানমারে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মাদকদ্রব্য ধ্বংস
মিয়ানমারে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মাদকদ্রব্য ধ্বংস

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল: প্রেসসচিব
সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল: প্রেসসচিব

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

গাইবান্ধায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পরিবেশ দিবস পালিত
গাইবান্ধায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পরিবেশ দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৭২ পরীক্ষার্থী
হবিগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৭২ পরীক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘোড়াঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
ঘোড়াঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন নির্বাচনের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন
তিন নির্বাচনের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাইবান্ধায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ২
গাইবান্ধায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় মার্কিন গোয়েন্দারা
ইরানের ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় মার্কিন গোয়েন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বড় অবকাঠামোতে বায়ু-শব্দ পর্যবেক্ষণ যন্ত্র স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
বড় অবকাঠামোতে বায়ু-শব্দ পর্যবেক্ষণ যন্ত্র স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিরপুরে স্টেডিয়ামে বসেছে 'অনার্স বোর্ড'
মিরপুরে স্টেডিয়ামে বসেছে 'অনার্স বোর্ড'

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারাগারে এইচএসসি পরীক্ষা দিলেন মামুন
কারাগারে এইচএসসি পরীক্ষা দিলেন মামুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে ৬ শিক্ষক অব্যাহতি, বহিষ্কার ১ পরীক্ষার্থী
বরিশালে ৬ শিক্ষক অব্যাহতি, বহিষ্কার ১ পরীক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিবির সভাপতি-সেক্রেটারির ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছাত্রদল সভাপতির
শিবির সভাপতি-সেক্রেটারির ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছাত্রদল সভাপতির

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোবিপ্রবিতে স্বনির্ভর কর্মসূচি
শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোবিপ্রবিতে স্বনির্ভর কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অভিন্ন শত্রুদের পরাজিত করতে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করবো: নেতানিয়াহু
অভিন্ন শত্রুদের পরাজিত করতে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করবো: নেতানিয়াহু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফ্রিকার নিচে হৃদস্পন্দনের মতো কম্পন, জন্ম নিচ্ছে নতুন মহাসাগর
আফ্রিকার নিচে হৃদস্পন্দনের মতো কম্পন, জন্ম নিচ্ছে নতুন মহাসাগর

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সংসদ নির্বাচন সংস্কারে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
সংসদ নির্বাচন সংস্কারে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রামুতে দুই ভাই মিলে খুন করলো অপর ভাইকে
রামুতে দুই ভাই মিলে খুন করলো অপর ভাইকে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি
ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরায়েল: এনবিসি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬ বছরের সংসার ভাঙলো কনার
৬ বছরের সংসার ভাঙলো কনার

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আমেরিকার মুখে ‘কঠিন থাপ্পড়’ মেরেছে ইরান : খামেনি
আমেরিকার মুখে ‘কঠিন থাপ্পড়’ মেরেছে ইরান : খামেনি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ১১ দিন ধরে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য
ভারতে ১১ দিন ধরে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল ভারতীয় পাইলটকে আটক করা সেই পাকিস্তানি মেজরের
সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল ভারতীয় পাইলটকে আটক করা সেই পাকিস্তানি মেজরের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা
যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাক্তন স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার পেলেন না কারিশমা কন্যা
প্রাক্তন স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার পেলেন না কারিশমা কন্যা

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানি ড্রোন প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করেছে ফ্রান্স
ইরানি ড্রোন প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করেছে ফ্রান্স

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ, ক্রেতা খুশি হলেও হতাশ আড়তদাররা
ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ, ক্রেতা খুশি হলেও হতাশ আড়তদাররা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হানা, নিজের পায়েই কুঠার মারল আমেরিকা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হানা, নিজের পায়েই কুঠার মারল আমেরিকা?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর অবরুদ্ধ
এনবিআর অবরুদ্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন-রাশিয়া-ইরানের বিশেষ বৈঠক
চীন-রাশিয়া-ইরানের বিশেষ বৈঠক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার
মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণুর জন্য নয়, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ভিন্ন কারণ জানালেন খামেনি
পরমাণুর জন্য নয়, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ভিন্ন কারণ জানালেন খামেনি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’
বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ২
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের
২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটি নিউজ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন আইন উপদেষ্টা
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটি নিউজ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন আইন উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস
৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?
জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের
বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী নিপীড়ন: এনসিপির দলীয় চেতনা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নীলা ইসরাফিল
নারী নিপীড়ন: এনসিপির দলীয় চেতনা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নীলা ইসরাফিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন দক্ষিণের প্রশাসক, সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন দক্ষিণের প্রশাসক, সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হঠাৎ নিষিদ্ধ হাজারো ফেসবুক গ্রুপ, ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা
হঠাৎ নিষিদ্ধ হাজারো ফেসবুক গ্রুপ, ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রিন্ট সর্বাধিক
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না
মাহাথির বোঝেন ইউনূস বোঝেন না

সম্পাদকীয়

ঝরনায় মৃত্যুর মিছিল
ঝরনায় মৃত্যুর মিছিল

নগর জীবন

খেলা হবে-সিন্ডিকেট
খেলা হবে-সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের হাতে কেউ কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই
জামায়াতের হাতে কেউ কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট
চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পাওনা নিয়ে পিডিবি-আদানি দ্বন্দ্ব
পাওনা নিয়ে পিডিবি-আদানি দ্বন্দ্ব

পেছনের পৃষ্ঠা

অপেক্ষা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে চালকরা
অপেক্ষা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে চালকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে অনেকে সর্বস্বান্ত
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে অনেকে সর্বস্বান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা আসিফকে ক্ষমা চাইতে হবে
উপদেষ্টা আসিফকে ক্ষমা চাইতে হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

কে জয়ী ১২ দিনের যুদ্ধে
কে জয়ী ১২ দিনের যুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরে বিএনপি সম্মত
প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরে বিএনপি সম্মত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসীদের জোয়ারে চ্যালেঞ্জে স্থানীয়রা
প্রবাসীদের জোয়ারে চ্যালেঞ্জে স্থানীয়রা

মাঠে ময়দানে

খানাখন্দে বেহাল সড়ক
খানাখন্দে বেহাল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

৫ আগস্টের পর অপেক্ষায় ছিলাম আমার ভাই ফিরে আসবে
৫ আগস্টের পর অপেক্ষায় ছিলাম আমার ভাই ফিরে আসবে

পেছনের পৃষ্ঠা

মীরজাফর যুগে যুগে
মীরজাফর যুগে যুগে

সম্পাদকীয়

কমলাপুরে ট্রেনে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কমলাপুরে ট্রেনে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবেক সিইসি হাবিবুল গ্রেপ্তার
সাবেক সিইসি হাবিবুল গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের সময় প্রকাশে সবাই সন্তুষ্ট
ভোটের সময় প্রকাশে সবাই সন্তুষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

কূটনীতি কেবল পুরুষের জন্য নয়
কূটনীতি কেবল পুরুষের জন্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

পদাবনতি হয়ে ওসি এখন এসআই
পদাবনতি হয়ে ওসি এখন এসআই

নগর জীবন

জমেছে ইনটেক্স বাংলাদেশ প্রদর্শনী
জমেছে ইনটেক্স বাংলাদেশ প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

কমিশনারের পদত্যাগ দাবি
কমিশনারের পদত্যাগ দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

আগে স্থানীয় নির্বাচনের অনুরোধ জামায়াতের
আগে স্থানীয় নির্বাচনের অনুরোধ জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইকনিক চরিত্রে কিয়ারা
আইকনিক চরিত্রে কিয়ারা

শোবিজ

প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ছিনতাইকারীর ঘুসিতে সাংবাদিক নিহত
ছিনতাইকারীর ঘুসিতে সাংবাদিক নিহত

খবর

ট্রেনে কাটা পড়লেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী
ট্রেনে কাটা পড়লেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী

দেশগ্রাম

খাল বাঁচাতে আবর্জনা অপসারণে ছাত্র-জনতা
খাল বাঁচাতে আবর্জনা অপসারণে ছাত্র-জনতা

দেশগ্রাম

এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে
এখনো স্বস্তি ফেরেনি দেশের অর্থনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা