শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আপডেট:

ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ভালো দিয়ে শুরু করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নতুন প্রধান ১২ জুলাই যোগ দিয়েছেন। নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ছিলেন। কাজে নতুন গভর্নরের কিছু সিদ্ধান্ত দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। তার অন্যতম অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। এরপর একই অভিযোগে ডলার কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা ও বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডিদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করেন। এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে দাম বাড়ায় ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন গভর্নরের আমলে সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছিল অনেক উচ্চে কিন্তু তিনি সে আস্থা মনে হয় ধরে রাখতে পারছেন না! ইতোমধ্যে ব্যাংকপাড়ায় কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে গভর্নর তাঁর সাহসী এবং সময়োপযোগী সঠিক ও কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে পারছেন না। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য চাপের কাছে গভর্নর নত হতে সম্ভবত বাধ্য হচ্ছেন! ইতোমধ্যে তিনি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয় বড় ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিলেন, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগও তিনি দিয়ে দিয়েছেন। বিষয়গুলো জনমনে কেমন যেন অস্বচ্ছ মনে হচ্ছে! প্রথমে বলা হয়েছিল, এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়ায় এবং রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের জোগান এবং চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে। একই অভিযোগে ডলারের কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডির কাছে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনের এ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিদের অপসারণ করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। অত্যন্ত সঠিক ও যথোপযুক্ত সাহসী ভালো সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে অটল থাকতে পারলেন না সাবেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ জাঁদরেল একজন আমলা। জনগণ কিছুতেই বুঝতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কী ভুল করলেন যা ফলাও করে প্রচার করছে একটি মহল। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার নামই তো ন্যায়বিচার। অপরাধীকে ক্ষমা করা বা লঘুদন্ড দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তা ছাড়া বড় অপরাধের লঘুদন্ড বা ক্ষমা প্রকারান্তরে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি করে যা একসময় জাতির জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় ব্যাংকের এমডিদের যে চিঠি দিয়েছিল যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছিল, ‘যে-কোনো ব্যাংক আইন ও নীতিমালা মেনে, নৈতিকতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকের কার্যক্রমের মাধ্যমে মুনাফা করতে পারে। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে অভিযোগ উঠেছে, তা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ-জাতীয় অতি মুনাফা অর্জন হয়েছে বলে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ জানতে পেরেছে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। অর্থাৎ অভিযুক্ত ছয়টি ব্যাংক নেতিবাচক কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছে। তা ছাড়া সংবাদমাধ্যমে আরও প্রকাশিত হয়েছে, ‘ব্যাংকের এমডিরা এ পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এজন্য শর্ত সাপেক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাহলে বিষয়টি নিয়ে কী দাঁড়াল- ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছেন; যা তাঁরা নিজেরা স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। পক্ষান্তরে এখন ক্ষমা চেয়ে তাঁদের নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈধ করে দিল!

বিষয়টি জনগণ ভালো চোখে দেখছে না। এ অতি মুনাফার নগ্ন শিকার দেশের আমদানিকারকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা জমা রাখে এবং অন্যান্য ব্যাংকের প্রয়োজনে সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য বা বিনিময় হার কোনো অবস্থাতেই গড় সংগ্রহমূল্যের অধিক হতে পারে না। বরং সরকারের উদার অর্থনৈতিক নীতির আওতায় তা কম বা ডিসকাউন্টেড হতে পারে। ব্যাংক প্রথমত বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য যার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কতিপয় সুনির্দিষ্ট শাখাকে বিভিন্ন নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার শর্তে অথরাইজড ডিলার বা সংক্ষেপে এডি শাখা বলে সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স দেয় এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট কমিশন বা ফি দেওয়া হয়। তা ছাড়া দেশের বাণিজ্যনীতির আওতায় আমদানি ও রপ্তানির সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয় যার জন্য আমদানি ও রপ্তানি কারকরা ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে বা ব্যাংকের চাহিদামতো কমিশন বা ফি দেন। এর বাইরে ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো আর্থিক মুনাফা নৈতিকভাবে নিতে পারে না। রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বিদেশি মুদ্রা কোনো অবস্থায়ই ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য নন। তবে তিনি বিদেশি মুদ্রা দেশের ভিতরে যথেচ্ছভাবে খরচ করতে পারেন না। দেশে যদি রপ্তানিকারকের কোনো ঋণ বা পাওনা থাকে তাহলে তাঁকে তা অবশ্যই প্রথমে পরিশোধ করতে হবে এবং ঋণ ও পাওনাদি আদায় করা ব্যাংকের দায়িত্ব। ঋণ বা পাওনা পরিশোধ করার জন্য রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিনিময় করিয়ে তাঁর হিসাবে টাকায় জমা করবেন, যেখান থেকে তিনি তাঁর ঋণ ও পাওনা পরিশোধ করবেন। ঋণ ও পাওনা আদায় না করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক রপ্তানিকারককে তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে প্রাপ্য অর্থ থেকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা ন্যায়সংগত বা উচিত নয়। ব্যাংক প্রয়োজনে নতুন ঋণ দিতে পারে। ব্যাংক রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন ঋণ ও সেবা দেয় যার জন্য ব্যাংক সুদ নেয় এবং সেবার জন্য ফি ও কমিশন গ্রহণ করে। বিনিময়ে ব্যাংক বিদেশি ব্যাংক থেকে রপ্তানিকারকের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আদায় করে এনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করে নির্দিষ্ট বিনিময় মূল্যে টাকায় রূপান্তরিত করে রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করে। এর জন্য ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এডি শাখাগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সুনির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। যেহেতু বিদেশি মুদ্রার অবাধ লেনদেন দেশে অবৈধ তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় এবং যথেষ্ট কমিশনের বিনিময়ে মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকের এডি শাখার ব্যবস্থা করেছে যারা শুধু বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারবে। আইনের এ সুযোগে ব্যাংকগুলো তাদের এডি শাখাগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে একচেটিয়া তেজারতি করে। ব্যাংকের এডি শাখার এ ব্যবসা বা তেজারতি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং হতে পারে না কারণ কোনো ব্যবসায় কাউকে একচেটিয়া সুযোগ দেওয়া যেতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অসদুদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে ডলার কিনে তাদের ট্রেজারিতে জমা রেখে তা পরে আরও বেশি দামে বিক্রি করে। বিষয়টি মূলত অনৈতিক। ব্যাংকের তহবিল অন্যের আমানত। এ আমানত দিয়ে অতি মুনাফার লোভে বেশি দামে ডলার কেনার ফলে অর্থনীতিতে ও মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। যে কারণে জনদুর্গতি বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(১০) (চ)-তে ‘বিদেশি ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এ আইনের সুযোগ নিয়ে ডলারের মূল্য অস্থিতিশীল করবেন। এটি সবাই জানেন, বেশি দামে কেনাবেচা করতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগীর মুনাফা বাড়বে। তা ছাড়া ডলার কেনাবেচায় ভ্যাট বা কর নেই; ফলে যে-কোনো অর্থ বিনা করে বিনিয়োগ করা যায়। ব্যাংক ছাড়া ডলার বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠান না থাকায় এ ব্যবসায় ব্যাংকগুলোকে একচেটিয়া সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে যার যথেচ্ছ ব্যবহার করছে কিছু কিছু ব্যাংক। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী, সঠিক ও যথোপযুক্ত ছিল।

বাণিজ্যনীতির আওতায় দেশের তাবৎ আমদানি ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। এলসি বা ঋণপত্র ছাড়া কোনো কিছু আমদানি করা যায় না। এমনকি শতকরা এক শ ভাগ অগ্রিম পরিশোধ করার পরও ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে আমদানি করতে হয়। ব্যাংক ঋণের আওতায় এলসি দিলেও তার বিপরীতে আমদানিকারকদের ন্যূনতম ১০% থেকে ৫০% ভাগ নগদ অর্থ বিনা সুদে অগ্রিম জমা রাখতে হয়। এর ফলে সাধারণ আমদানিকারকদের কোটি কোটি টাকা বিনা সুদে ও লাভে ব্যাংকগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পায়। এলসি বা ঋণপত্রের বিপরীত পরিশোধতব্য সব ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা আমদানিকারকদের পরিশোধ করতে হয়। এর জন্য ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা যেদিন যে-দামেই কেনা হয় তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমদানিকারককেই বহন করতে হয়। ব্যাংক এলসি প্রদানের জন্য সব খরচ ও ব্যাংকের কমিশন, এমনকি সুইফট মেসেজে পাঠানোর খরচসহ সব খরচ আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। তারপর আবার আমদানিকারকের টাকা দিয়ে ডলার কিনে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছেই বিক্রি করা যে-কোনো মানদন্ডে অনৈতিক। যেহেতু আমদানিকারকের আমদানির বিল পরিশোধ করার জন্যই ডলার বা বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন পড়বে তাহলে যেদিন যখন এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয় সেদিন বা তৎপরবর্তী যে -কোনো দিন সুযোগমতো ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিজেদের ভল্টে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রেখে দিলে তো ডলার নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হয় না! যদি ডলার কেনার অর্থ বা টাকা না থাকে তাহলে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হবে কীসের ভিত্তিতে? ডলার বা টাকা না থাকলে ঋণপত্র খুলে আমদানি করা হয় কাদের স্বার্থে- প্রশ্নটি করার অধিকার কি জনগণ রাখে না? এটি জলবৎ তরলং যে দেশি ও আন্তর্জাতিক একটি কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থে নিজেদের সাধ্যের বাইরে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয়; যাতে উচ্চমূল্যে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে আমদানির বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। যেহেতু আমদানির অর্থ জোগান না করেই ব্যাংক এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে দিয়েছে তাই পণ্য আমদানি বা জাহাজিকরণের পরে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যাংক অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য; তাতে ডলারের মূল্য যতই হোক না কেন, এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করার পর তার মূল্য পরিশোধ করা ব্যাংকের দায়িত্ব। যদি আমদানিকারক কোনো কারণে পরিশোধ না-ও করেন তাহলে সেই অর্থ অবশ্যই ব্যাংককেই পরিশোধ করতে হবে। কারণ ব্যাংক এলসি প্রদান করেছে।

ডলার আমাদের জন্য মুদ্রা নয়। ডলার আমাদের কাছে একটি পণ্য। আমরা যে পরিমাণ পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করব সে পরিমাণ পণ্যের মূল্যের সমপরিমাণ ডলার পণ্য হিসেবে কিনে আমাদের নিরাপদ কবজায় রেখে দেব। যদি ব্যাংক আমাদের তথা আমদানিকারকের পক্ষে এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে তাহলে ওই ডলার ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রেখে দেব। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ব্যাংক বিদেশি পণ্য সরবরাহকারীকে যথাযথভাবে পরিশোধ করে দেবে। আর ব্যাংক যদি তার ঋণের বিপরীতে এলসি বা ঋণপত্র খোলে তাহলে ব্যাংক এলসি খোলার সময়ই ঋণ থেকে সমপরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে তার বিনিময়ে ডলার কিনে রাখবে। ব্যাংক তার দেওয়া ঋণ থেকে যথানিয়মে সুদ পাবে। কিন্তু তার এবং কায়েমি স্বার্থবাদীদের স্বার্থে টাকার জোগান নিশ্চিত না করেই ডলারের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে ডলারের প্রাপ্যতার শূন্যতা সৃষ্টি করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়। বর্তমান ডলার সংকটের জন্য মূলত ব্যাংকগুলোই দায়ী। ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করে তারা অপরিকল্পিতভাবে বেশি বেশি এলসি খুলে দেওয়ার পর দেশে প্রচ- ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে দেশের অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি ও জনগণের আর্থিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই আমদানিকারকের আমদানি মূল্য পরিশোধ করার জন্য কেনা ডলার থেকে কোনো প্রকার মুনাফা করতে পারে না। তার প্রথম কারণ হলো, ঋণের বিপরীতে এলসি দিয়ে থাকলে ওই ঋণ থেকে ব্যাংক যথাযথ সুদ নিয়েছে। পরবর্তী কারণ হলো, কোনো মার্জিন বা শতভাগ মার্জিন নিয়ে ব্যাংক এলসি খুলে থাকলে আমদানিকারক তাঁর নিজের অর্থে ডলার কিনে দিয়েছেন এবং এলসি খোলার জন্য যাবতীয় খরচ ব্যাংক আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে। এখন ডলার কেনাবেচা করে যদি কোনো বাড়তি অর্থ আমদানিকারকের কাছ থেকে ব্যাংক আদায় করে তাহলে ব্যাংকের জন্য অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। সম্প্রতি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয়টি বড় ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তা শতভাগ সঠিক, যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী ছিল। হয়তো চাপের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি, যার ফলে তাদের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে জনগণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে। সেই সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা- মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিল, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আমদানিকারককে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। পরিশেষে বলতে চাই, ব্যাংকগুলো ডলার কেনাবেচায় যদি অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ না নিত তাহলে ডলারের মূল্য আরও অনেক কম থাকত। অঙ্ক কিন্তু তা-ই বলে।

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

 

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সাত দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের মানববন্ধন
সাত দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের মানববন্ধন

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

৪২ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে
ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে

৪৬ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

আইসিইউতে ৪১ শতাংশ রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইইডিসিআর
আইসিইউতে ৪১ শতাংশ রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইইডিসিআর

৩ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

চীনের ঝাংঝো ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হলেন শাবি অধ্যাপক ইফতেখার
চীনের ঝাংঝো ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হলেন শাবি অধ্যাপক ইফতেখার

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ব্রুনাইকে ৮ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
ব্রুনাইকে ৮ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : ফখরুল
ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : ফখরুল

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

রাবির ২ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার
রাবির ২ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

'প্রতিটা স্কুলে মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক টয়লেট থাকতে হবে'
'প্রতিটা স্কুলে মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক টয়লেট থাকতে হবে'

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

হামাস-হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
হামাস-হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
দেশের বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

১৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

‌‘খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে’
‌‘খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে’

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুয়াডাঙ্গায় আট দফা দাবিতে নার্সদের স্মারকলিপি প্রদান
চুয়াডাঙ্গায় আট দফা দাবিতে নার্সদের স্মারকলিপি প্রদান

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমবে
সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমবে

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

রাশিয়ার ২ জাহাজ ইংলিশ চ্যানেলে আটক
রাশিয়ার ২ জাহাজ ইংলিশ চ্যানেলে আটক

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কালীগঞ্জে উদ্ধার ১৬ ককটেল নিষ্ক্রিয় করল ডিসপোজাল ইউনিট
কালীগঞ্জে উদ্ধার ১৬ ককটেল নিষ্ক্রিয় করল ডিসপোজাল ইউনিট

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া কর্তনের সময় গরু চোরাকারবারী আটক
সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া কর্তনের সময় গরু চোরাকারবারী আটক

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে কম্বল গোডাউনে আগুন
চট্টগ্রামে কম্বল গোডাউনে আগুন

২৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তামিলনাড়ুতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ২৮
তামিলনাড়ুতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ২৮

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

দুইবার ঘুরে দাঁড়িয়েও জয় পেল না রিয়াল মাদ্রিদ
দুইবার ঘুরে দাঁড়িয়েও জয় পেল না রিয়াল মাদ্রিদ

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত
বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

যে কারণে 'ভ্যাম্পায়ার' দাঁতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণীদের
যে কারণে 'ভ্যাম্পায়ার' দাঁতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণীদের

৪৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া
শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি

৫৪ মিনিট আগে | শোবিজ

‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী

৫৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা
চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা
আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ