শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আপডেট:

ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ভালো দিয়ে শুরু করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নতুন প্রধান ১২ জুলাই যোগ দিয়েছেন। নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ছিলেন। কাজে নতুন গভর্নরের কিছু সিদ্ধান্ত দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। তার অন্যতম অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। এরপর একই অভিযোগে ডলার কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা ও বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডিদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করেন। এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে দাম বাড়ায় ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন গভর্নরের আমলে সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছিল অনেক উচ্চে কিন্তু তিনি সে আস্থা মনে হয় ধরে রাখতে পারছেন না! ইতোমধ্যে ব্যাংকপাড়ায় কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে গভর্নর তাঁর সাহসী এবং সময়োপযোগী সঠিক ও কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে পারছেন না। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য চাপের কাছে গভর্নর নত হতে সম্ভবত বাধ্য হচ্ছেন! ইতোমধ্যে তিনি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয় বড় ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিলেন, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগও তিনি দিয়ে দিয়েছেন। বিষয়গুলো জনমনে কেমন যেন অস্বচ্ছ মনে হচ্ছে! প্রথমে বলা হয়েছিল, এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়ায় এবং রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের জোগান এবং চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে। একই অভিযোগে ডলারের কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডির কাছে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনের এ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিদের অপসারণ করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। অত্যন্ত সঠিক ও যথোপযুক্ত সাহসী ভালো সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে অটল থাকতে পারলেন না সাবেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ জাঁদরেল একজন আমলা। জনগণ কিছুতেই বুঝতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কী ভুল করলেন যা ফলাও করে প্রচার করছে একটি মহল। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার নামই তো ন্যায়বিচার। অপরাধীকে ক্ষমা করা বা লঘুদন্ড দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তা ছাড়া বড় অপরাধের লঘুদন্ড বা ক্ষমা প্রকারান্তরে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি করে যা একসময় জাতির জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় ব্যাংকের এমডিদের যে চিঠি দিয়েছিল যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছিল, ‘যে-কোনো ব্যাংক আইন ও নীতিমালা মেনে, নৈতিকতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকের কার্যক্রমের মাধ্যমে মুনাফা করতে পারে। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে অভিযোগ উঠেছে, তা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ-জাতীয় অতি মুনাফা অর্জন হয়েছে বলে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ জানতে পেরেছে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। অর্থাৎ অভিযুক্ত ছয়টি ব্যাংক নেতিবাচক কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছে। তা ছাড়া সংবাদমাধ্যমে আরও প্রকাশিত হয়েছে, ‘ব্যাংকের এমডিরা এ পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এজন্য শর্ত সাপেক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাহলে বিষয়টি নিয়ে কী দাঁড়াল- ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছেন; যা তাঁরা নিজেরা স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। পক্ষান্তরে এখন ক্ষমা চেয়ে তাঁদের নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈধ করে দিল!

বিষয়টি জনগণ ভালো চোখে দেখছে না। এ অতি মুনাফার নগ্ন শিকার দেশের আমদানিকারকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা জমা রাখে এবং অন্যান্য ব্যাংকের প্রয়োজনে সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য বা বিনিময় হার কোনো অবস্থাতেই গড় সংগ্রহমূল্যের অধিক হতে পারে না। বরং সরকারের উদার অর্থনৈতিক নীতির আওতায় তা কম বা ডিসকাউন্টেড হতে পারে। ব্যাংক প্রথমত বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য যার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কতিপয় সুনির্দিষ্ট শাখাকে বিভিন্ন নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার শর্তে অথরাইজড ডিলার বা সংক্ষেপে এডি শাখা বলে সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স দেয় এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট কমিশন বা ফি দেওয়া হয়। তা ছাড়া দেশের বাণিজ্যনীতির আওতায় আমদানি ও রপ্তানির সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয় যার জন্য আমদানি ও রপ্তানি কারকরা ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে বা ব্যাংকের চাহিদামতো কমিশন বা ফি দেন। এর বাইরে ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো আর্থিক মুনাফা নৈতিকভাবে নিতে পারে না। রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বিদেশি মুদ্রা কোনো অবস্থায়ই ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য নন। তবে তিনি বিদেশি মুদ্রা দেশের ভিতরে যথেচ্ছভাবে খরচ করতে পারেন না। দেশে যদি রপ্তানিকারকের কোনো ঋণ বা পাওনা থাকে তাহলে তাঁকে তা অবশ্যই প্রথমে পরিশোধ করতে হবে এবং ঋণ ও পাওনাদি আদায় করা ব্যাংকের দায়িত্ব। ঋণ বা পাওনা পরিশোধ করার জন্য রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিনিময় করিয়ে তাঁর হিসাবে টাকায় জমা করবেন, যেখান থেকে তিনি তাঁর ঋণ ও পাওনা পরিশোধ করবেন। ঋণ ও পাওনা আদায় না করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক রপ্তানিকারককে তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে প্রাপ্য অর্থ থেকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা ন্যায়সংগত বা উচিত নয়। ব্যাংক প্রয়োজনে নতুন ঋণ দিতে পারে। ব্যাংক রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন ঋণ ও সেবা দেয় যার জন্য ব্যাংক সুদ নেয় এবং সেবার জন্য ফি ও কমিশন গ্রহণ করে। বিনিময়ে ব্যাংক বিদেশি ব্যাংক থেকে রপ্তানিকারকের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আদায় করে এনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করে নির্দিষ্ট বিনিময় মূল্যে টাকায় রূপান্তরিত করে রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করে। এর জন্য ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এডি শাখাগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সুনির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। যেহেতু বিদেশি মুদ্রার অবাধ লেনদেন দেশে অবৈধ তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় এবং যথেষ্ট কমিশনের বিনিময়ে মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকের এডি শাখার ব্যবস্থা করেছে যারা শুধু বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারবে। আইনের এ সুযোগে ব্যাংকগুলো তাদের এডি শাখাগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে একচেটিয়া তেজারতি করে। ব্যাংকের এডি শাখার এ ব্যবসা বা তেজারতি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং হতে পারে না কারণ কোনো ব্যবসায় কাউকে একচেটিয়া সুযোগ দেওয়া যেতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অসদুদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে ডলার কিনে তাদের ট্রেজারিতে জমা রেখে তা পরে আরও বেশি দামে বিক্রি করে। বিষয়টি মূলত অনৈতিক। ব্যাংকের তহবিল অন্যের আমানত। এ আমানত দিয়ে অতি মুনাফার লোভে বেশি দামে ডলার কেনার ফলে অর্থনীতিতে ও মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। যে কারণে জনদুর্গতি বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(১০) (চ)-তে ‘বিদেশি ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এ আইনের সুযোগ নিয়ে ডলারের মূল্য অস্থিতিশীল করবেন। এটি সবাই জানেন, বেশি দামে কেনাবেচা করতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগীর মুনাফা বাড়বে। তা ছাড়া ডলার কেনাবেচায় ভ্যাট বা কর নেই; ফলে যে-কোনো অর্থ বিনা করে বিনিয়োগ করা যায়। ব্যাংক ছাড়া ডলার বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠান না থাকায় এ ব্যবসায় ব্যাংকগুলোকে একচেটিয়া সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে যার যথেচ্ছ ব্যবহার করছে কিছু কিছু ব্যাংক। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী, সঠিক ও যথোপযুক্ত ছিল।

বাণিজ্যনীতির আওতায় দেশের তাবৎ আমদানি ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। এলসি বা ঋণপত্র ছাড়া কোনো কিছু আমদানি করা যায় না। এমনকি শতকরা এক শ ভাগ অগ্রিম পরিশোধ করার পরও ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে আমদানি করতে হয়। ব্যাংক ঋণের আওতায় এলসি দিলেও তার বিপরীতে আমদানিকারকদের ন্যূনতম ১০% থেকে ৫০% ভাগ নগদ অর্থ বিনা সুদে অগ্রিম জমা রাখতে হয়। এর ফলে সাধারণ আমদানিকারকদের কোটি কোটি টাকা বিনা সুদে ও লাভে ব্যাংকগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পায়। এলসি বা ঋণপত্রের বিপরীত পরিশোধতব্য সব ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা আমদানিকারকদের পরিশোধ করতে হয়। এর জন্য ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা যেদিন যে-দামেই কেনা হয় তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমদানিকারককেই বহন করতে হয়। ব্যাংক এলসি প্রদানের জন্য সব খরচ ও ব্যাংকের কমিশন, এমনকি সুইফট মেসেজে পাঠানোর খরচসহ সব খরচ আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। তারপর আবার আমদানিকারকের টাকা দিয়ে ডলার কিনে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছেই বিক্রি করা যে-কোনো মানদন্ডে অনৈতিক। যেহেতু আমদানিকারকের আমদানির বিল পরিশোধ করার জন্যই ডলার বা বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন পড়বে তাহলে যেদিন যখন এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয় সেদিন বা তৎপরবর্তী যে -কোনো দিন সুযোগমতো ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিজেদের ভল্টে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রেখে দিলে তো ডলার নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হয় না! যদি ডলার কেনার অর্থ বা টাকা না থাকে তাহলে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হবে কীসের ভিত্তিতে? ডলার বা টাকা না থাকলে ঋণপত্র খুলে আমদানি করা হয় কাদের স্বার্থে- প্রশ্নটি করার অধিকার কি জনগণ রাখে না? এটি জলবৎ তরলং যে দেশি ও আন্তর্জাতিক একটি কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থে নিজেদের সাধ্যের বাইরে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয়; যাতে উচ্চমূল্যে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে আমদানির বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। যেহেতু আমদানির অর্থ জোগান না করেই ব্যাংক এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে দিয়েছে তাই পণ্য আমদানি বা জাহাজিকরণের পরে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যাংক অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য; তাতে ডলারের মূল্য যতই হোক না কেন, এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করার পর তার মূল্য পরিশোধ করা ব্যাংকের দায়িত্ব। যদি আমদানিকারক কোনো কারণে পরিশোধ না-ও করেন তাহলে সেই অর্থ অবশ্যই ব্যাংককেই পরিশোধ করতে হবে। কারণ ব্যাংক এলসি প্রদান করেছে।

ডলার আমাদের জন্য মুদ্রা নয়। ডলার আমাদের কাছে একটি পণ্য। আমরা যে পরিমাণ পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করব সে পরিমাণ পণ্যের মূল্যের সমপরিমাণ ডলার পণ্য হিসেবে কিনে আমাদের নিরাপদ কবজায় রেখে দেব। যদি ব্যাংক আমাদের তথা আমদানিকারকের পক্ষে এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে তাহলে ওই ডলার ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রেখে দেব। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ব্যাংক বিদেশি পণ্য সরবরাহকারীকে যথাযথভাবে পরিশোধ করে দেবে। আর ব্যাংক যদি তার ঋণের বিপরীতে এলসি বা ঋণপত্র খোলে তাহলে ব্যাংক এলসি খোলার সময়ই ঋণ থেকে সমপরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে তার বিনিময়ে ডলার কিনে রাখবে। ব্যাংক তার দেওয়া ঋণ থেকে যথানিয়মে সুদ পাবে। কিন্তু তার এবং কায়েমি স্বার্থবাদীদের স্বার্থে টাকার জোগান নিশ্চিত না করেই ডলারের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে ডলারের প্রাপ্যতার শূন্যতা সৃষ্টি করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়। বর্তমান ডলার সংকটের জন্য মূলত ব্যাংকগুলোই দায়ী। ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করে তারা অপরিকল্পিতভাবে বেশি বেশি এলসি খুলে দেওয়ার পর দেশে প্রচ- ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে দেশের অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি ও জনগণের আর্থিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই আমদানিকারকের আমদানি মূল্য পরিশোধ করার জন্য কেনা ডলার থেকে কোনো প্রকার মুনাফা করতে পারে না। তার প্রথম কারণ হলো, ঋণের বিপরীতে এলসি দিয়ে থাকলে ওই ঋণ থেকে ব্যাংক যথাযথ সুদ নিয়েছে। পরবর্তী কারণ হলো, কোনো মার্জিন বা শতভাগ মার্জিন নিয়ে ব্যাংক এলসি খুলে থাকলে আমদানিকারক তাঁর নিজের অর্থে ডলার কিনে দিয়েছেন এবং এলসি খোলার জন্য যাবতীয় খরচ ব্যাংক আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে। এখন ডলার কেনাবেচা করে যদি কোনো বাড়তি অর্থ আমদানিকারকের কাছ থেকে ব্যাংক আদায় করে তাহলে ব্যাংকের জন্য অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। সম্প্রতি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয়টি বড় ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তা শতভাগ সঠিক, যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী ছিল। হয়তো চাপের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি, যার ফলে তাদের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে জনগণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে। সেই সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা- মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিল, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আমদানিকারককে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। পরিশেষে বলতে চাই, ব্যাংকগুলো ডলার কেনাবেচায় যদি অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ না নিত তাহলে ডলারের মূল্য আরও অনেক কম থাকত। অঙ্ক কিন্তু তা-ই বলে।

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

 

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি

১৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

৩৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি
অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি

পেছনের পৃষ্ঠা