শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আপডেট:

ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ভালো দিয়ে শুরু করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নতুন প্রধান ১২ জুলাই যোগ দিয়েছেন। নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ছিলেন। কাজে নতুন গভর্নরের কিছু সিদ্ধান্ত দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। তার অন্যতম অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। এরপর একই অভিযোগে ডলার কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা ও বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডিদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করেন। এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে দাম বাড়ায় ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন গভর্নরের আমলে সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছিল অনেক উচ্চে কিন্তু তিনি সে আস্থা মনে হয় ধরে রাখতে পারছেন না! ইতোমধ্যে ব্যাংকপাড়ায় কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে গভর্নর তাঁর সাহসী এবং সময়োপযোগী সঠিক ও কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে পারছেন না। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য চাপের কাছে গভর্নর নত হতে সম্ভবত বাধ্য হচ্ছেন! ইতোমধ্যে তিনি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয় বড় ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিলেন, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগও তিনি দিয়ে দিয়েছেন। বিষয়গুলো জনমনে কেমন যেন অস্বচ্ছ মনে হচ্ছে! প্রথমে বলা হয়েছিল, এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়ায় এবং রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের জোগান এবং চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে। একই অভিযোগে ডলারের কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডির কাছে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনের এ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিদের অপসারণ করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। অত্যন্ত সঠিক ও যথোপযুক্ত সাহসী ভালো সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে অটল থাকতে পারলেন না সাবেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ জাঁদরেল একজন আমলা। জনগণ কিছুতেই বুঝতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কী ভুল করলেন যা ফলাও করে প্রচার করছে একটি মহল। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার নামই তো ন্যায়বিচার। অপরাধীকে ক্ষমা করা বা লঘুদন্ড দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তা ছাড়া বড় অপরাধের লঘুদন্ড বা ক্ষমা প্রকারান্তরে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি করে যা একসময় জাতির জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় ব্যাংকের এমডিদের যে চিঠি দিয়েছিল যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছিল, ‘যে-কোনো ব্যাংক আইন ও নীতিমালা মেনে, নৈতিকতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকের কার্যক্রমের মাধ্যমে মুনাফা করতে পারে। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে অভিযোগ উঠেছে, তা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ-জাতীয় অতি মুনাফা অর্জন হয়েছে বলে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ জানতে পেরেছে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। অর্থাৎ অভিযুক্ত ছয়টি ব্যাংক নেতিবাচক কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছে। তা ছাড়া সংবাদমাধ্যমে আরও প্রকাশিত হয়েছে, ‘ব্যাংকের এমডিরা এ পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এজন্য শর্ত সাপেক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাহলে বিষয়টি নিয়ে কী দাঁড়াল- ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছেন; যা তাঁরা নিজেরা স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। পক্ষান্তরে এখন ক্ষমা চেয়ে তাঁদের নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈধ করে দিল!

বিষয়টি জনগণ ভালো চোখে দেখছে না। এ অতি মুনাফার নগ্ন শিকার দেশের আমদানিকারকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা জমা রাখে এবং অন্যান্য ব্যাংকের প্রয়োজনে সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য বা বিনিময় হার কোনো অবস্থাতেই গড় সংগ্রহমূল্যের অধিক হতে পারে না। বরং সরকারের উদার অর্থনৈতিক নীতির আওতায় তা কম বা ডিসকাউন্টেড হতে পারে। ব্যাংক প্রথমত বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য যার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কতিপয় সুনির্দিষ্ট শাখাকে বিভিন্ন নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার শর্তে অথরাইজড ডিলার বা সংক্ষেপে এডি শাখা বলে সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স দেয় এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট কমিশন বা ফি দেওয়া হয়। তা ছাড়া দেশের বাণিজ্যনীতির আওতায় আমদানি ও রপ্তানির সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয় যার জন্য আমদানি ও রপ্তানি কারকরা ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে বা ব্যাংকের চাহিদামতো কমিশন বা ফি দেন। এর বাইরে ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো আর্থিক মুনাফা নৈতিকভাবে নিতে পারে না। রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বিদেশি মুদ্রা কোনো অবস্থায়ই ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য নন। তবে তিনি বিদেশি মুদ্রা দেশের ভিতরে যথেচ্ছভাবে খরচ করতে পারেন না। দেশে যদি রপ্তানিকারকের কোনো ঋণ বা পাওনা থাকে তাহলে তাঁকে তা অবশ্যই প্রথমে পরিশোধ করতে হবে এবং ঋণ ও পাওনাদি আদায় করা ব্যাংকের দায়িত্ব। ঋণ বা পাওনা পরিশোধ করার জন্য রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিনিময় করিয়ে তাঁর হিসাবে টাকায় জমা করবেন, যেখান থেকে তিনি তাঁর ঋণ ও পাওনা পরিশোধ করবেন। ঋণ ও পাওনা আদায় না করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক রপ্তানিকারককে তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে প্রাপ্য অর্থ থেকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা ন্যায়সংগত বা উচিত নয়। ব্যাংক প্রয়োজনে নতুন ঋণ দিতে পারে। ব্যাংক রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন ঋণ ও সেবা দেয় যার জন্য ব্যাংক সুদ নেয় এবং সেবার জন্য ফি ও কমিশন গ্রহণ করে। বিনিময়ে ব্যাংক বিদেশি ব্যাংক থেকে রপ্তানিকারকের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আদায় করে এনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করে নির্দিষ্ট বিনিময় মূল্যে টাকায় রূপান্তরিত করে রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করে। এর জন্য ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এডি শাখাগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সুনির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। যেহেতু বিদেশি মুদ্রার অবাধ লেনদেন দেশে অবৈধ তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় এবং যথেষ্ট কমিশনের বিনিময়ে মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকের এডি শাখার ব্যবস্থা করেছে যারা শুধু বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারবে। আইনের এ সুযোগে ব্যাংকগুলো তাদের এডি শাখাগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে একচেটিয়া তেজারতি করে। ব্যাংকের এডি শাখার এ ব্যবসা বা তেজারতি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং হতে পারে না কারণ কোনো ব্যবসায় কাউকে একচেটিয়া সুযোগ দেওয়া যেতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অসদুদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে ডলার কিনে তাদের ট্রেজারিতে জমা রেখে তা পরে আরও বেশি দামে বিক্রি করে। বিষয়টি মূলত অনৈতিক। ব্যাংকের তহবিল অন্যের আমানত। এ আমানত দিয়ে অতি মুনাফার লোভে বেশি দামে ডলার কেনার ফলে অর্থনীতিতে ও মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। যে কারণে জনদুর্গতি বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(১০) (চ)-তে ‘বিদেশি ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এ আইনের সুযোগ নিয়ে ডলারের মূল্য অস্থিতিশীল করবেন। এটি সবাই জানেন, বেশি দামে কেনাবেচা করতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগীর মুনাফা বাড়বে। তা ছাড়া ডলার কেনাবেচায় ভ্যাট বা কর নেই; ফলে যে-কোনো অর্থ বিনা করে বিনিয়োগ করা যায়। ব্যাংক ছাড়া ডলার বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠান না থাকায় এ ব্যবসায় ব্যাংকগুলোকে একচেটিয়া সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে যার যথেচ্ছ ব্যবহার করছে কিছু কিছু ব্যাংক। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী, সঠিক ও যথোপযুক্ত ছিল।

বাণিজ্যনীতির আওতায় দেশের তাবৎ আমদানি ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। এলসি বা ঋণপত্র ছাড়া কোনো কিছু আমদানি করা যায় না। এমনকি শতকরা এক শ ভাগ অগ্রিম পরিশোধ করার পরও ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে আমদানি করতে হয়। ব্যাংক ঋণের আওতায় এলসি দিলেও তার বিপরীতে আমদানিকারকদের ন্যূনতম ১০% থেকে ৫০% ভাগ নগদ অর্থ বিনা সুদে অগ্রিম জমা রাখতে হয়। এর ফলে সাধারণ আমদানিকারকদের কোটি কোটি টাকা বিনা সুদে ও লাভে ব্যাংকগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পায়। এলসি বা ঋণপত্রের বিপরীত পরিশোধতব্য সব ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা আমদানিকারকদের পরিশোধ করতে হয়। এর জন্য ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা যেদিন যে-দামেই কেনা হয় তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমদানিকারককেই বহন করতে হয়। ব্যাংক এলসি প্রদানের জন্য সব খরচ ও ব্যাংকের কমিশন, এমনকি সুইফট মেসেজে পাঠানোর খরচসহ সব খরচ আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। তারপর আবার আমদানিকারকের টাকা দিয়ে ডলার কিনে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছেই বিক্রি করা যে-কোনো মানদন্ডে অনৈতিক। যেহেতু আমদানিকারকের আমদানির বিল পরিশোধ করার জন্যই ডলার বা বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন পড়বে তাহলে যেদিন যখন এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয় সেদিন বা তৎপরবর্তী যে -কোনো দিন সুযোগমতো ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিজেদের ভল্টে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রেখে দিলে তো ডলার নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হয় না! যদি ডলার কেনার অর্থ বা টাকা না থাকে তাহলে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হবে কীসের ভিত্তিতে? ডলার বা টাকা না থাকলে ঋণপত্র খুলে আমদানি করা হয় কাদের স্বার্থে- প্রশ্নটি করার অধিকার কি জনগণ রাখে না? এটি জলবৎ তরলং যে দেশি ও আন্তর্জাতিক একটি কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থে নিজেদের সাধ্যের বাইরে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয়; যাতে উচ্চমূল্যে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে আমদানির বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। যেহেতু আমদানির অর্থ জোগান না করেই ব্যাংক এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে দিয়েছে তাই পণ্য আমদানি বা জাহাজিকরণের পরে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যাংক অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য; তাতে ডলারের মূল্য যতই হোক না কেন, এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করার পর তার মূল্য পরিশোধ করা ব্যাংকের দায়িত্ব। যদি আমদানিকারক কোনো কারণে পরিশোধ না-ও করেন তাহলে সেই অর্থ অবশ্যই ব্যাংককেই পরিশোধ করতে হবে। কারণ ব্যাংক এলসি প্রদান করেছে।

ডলার আমাদের জন্য মুদ্রা নয়। ডলার আমাদের কাছে একটি পণ্য। আমরা যে পরিমাণ পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করব সে পরিমাণ পণ্যের মূল্যের সমপরিমাণ ডলার পণ্য হিসেবে কিনে আমাদের নিরাপদ কবজায় রেখে দেব। যদি ব্যাংক আমাদের তথা আমদানিকারকের পক্ষে এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে তাহলে ওই ডলার ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রেখে দেব। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ব্যাংক বিদেশি পণ্য সরবরাহকারীকে যথাযথভাবে পরিশোধ করে দেবে। আর ব্যাংক যদি তার ঋণের বিপরীতে এলসি বা ঋণপত্র খোলে তাহলে ব্যাংক এলসি খোলার সময়ই ঋণ থেকে সমপরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে তার বিনিময়ে ডলার কিনে রাখবে। ব্যাংক তার দেওয়া ঋণ থেকে যথানিয়মে সুদ পাবে। কিন্তু তার এবং কায়েমি স্বার্থবাদীদের স্বার্থে টাকার জোগান নিশ্চিত না করেই ডলারের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে ডলারের প্রাপ্যতার শূন্যতা সৃষ্টি করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়। বর্তমান ডলার সংকটের জন্য মূলত ব্যাংকগুলোই দায়ী। ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করে তারা অপরিকল্পিতভাবে বেশি বেশি এলসি খুলে দেওয়ার পর দেশে প্রচ- ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে দেশের অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি ও জনগণের আর্থিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই আমদানিকারকের আমদানি মূল্য পরিশোধ করার জন্য কেনা ডলার থেকে কোনো প্রকার মুনাফা করতে পারে না। তার প্রথম কারণ হলো, ঋণের বিপরীতে এলসি দিয়ে থাকলে ওই ঋণ থেকে ব্যাংক যথাযথ সুদ নিয়েছে। পরবর্তী কারণ হলো, কোনো মার্জিন বা শতভাগ মার্জিন নিয়ে ব্যাংক এলসি খুলে থাকলে আমদানিকারক তাঁর নিজের অর্থে ডলার কিনে দিয়েছেন এবং এলসি খোলার জন্য যাবতীয় খরচ ব্যাংক আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে। এখন ডলার কেনাবেচা করে যদি কোনো বাড়তি অর্থ আমদানিকারকের কাছ থেকে ব্যাংক আদায় করে তাহলে ব্যাংকের জন্য অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। সম্প্রতি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয়টি বড় ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তা শতভাগ সঠিক, যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী ছিল। হয়তো চাপের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি, যার ফলে তাদের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে জনগণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে। সেই সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা- মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিল, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আমদানিকারককে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। পরিশেষে বলতে চাই, ব্যাংকগুলো ডলার কেনাবেচায় যদি অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ না নিত তাহলে ডলারের মূল্য আরও অনেক কম থাকত। অঙ্ক কিন্তু তা-ই বলে।

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

 

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

এই মাত্র | টেক ওয়ার্ল্ড

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১১ মিনিট আগে | রাজনীতি

কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়
কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়

১৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন
নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত
রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে বজ্রবৃষ্টির আভাস
সারাদেশে বজ্রবৃষ্টির আভাস

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ইসলামী রাজনীতির প্রধান উৎস আল-কোরআন
ইসলামী রাজনীতির প্রধান উৎস আল-কোরআন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে শিশু খাদ্য উৎপাদন কারখানায় অভিযান, জরিমানা
টঙ্গীতে শিশু খাদ্য উৎপাদন কারখানায় অভিযান, জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চকরিয়ায় অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ আটক, নারী উদ্ধার
চকরিয়ায় অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ আটক, নারী উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে মিলল ইয়াবা, আটক ২
প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে মিলল ইয়াবা, আটক ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা
সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই
ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা