শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আপডেট:

ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ভালো দিয়ে শুরু করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নতুন প্রধান ১২ জুলাই যোগ দিয়েছেন। নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ছিলেন। কাজে নতুন গভর্নরের কিছু সিদ্ধান্ত দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। তার অন্যতম অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। এরপর একই অভিযোগে ডলার কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা ও বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডিদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করেন। এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে দাম বাড়ায় ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন গভর্নরের আমলে সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছিল অনেক উচ্চে কিন্তু তিনি সে আস্থা মনে হয় ধরে রাখতে পারছেন না! ইতোমধ্যে ব্যাংকপাড়ায় কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে গভর্নর তাঁর সাহসী এবং সময়োপযোগী সঠিক ও কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে পারছেন না। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য চাপের কাছে গভর্নর নত হতে সম্ভবত বাধ্য হচ্ছেন! ইতোমধ্যে তিনি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয় বড় ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিলেন, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগও তিনি দিয়ে দিয়েছেন। বিষয়গুলো জনমনে কেমন যেন অস্বচ্ছ মনে হচ্ছে! প্রথমে বলা হয়েছিল, এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়ায় এবং রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের জোগান এবং চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে। একই অভিযোগে ডলারের কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডির কাছে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনের এ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিদের অপসারণ করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। অত্যন্ত সঠিক ও যথোপযুক্ত সাহসী ভালো সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে অটল থাকতে পারলেন না সাবেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ জাঁদরেল একজন আমলা। জনগণ কিছুতেই বুঝতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কী ভুল করলেন যা ফলাও করে প্রচার করছে একটি মহল। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার নামই তো ন্যায়বিচার। অপরাধীকে ক্ষমা করা বা লঘুদন্ড দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তা ছাড়া বড় অপরাধের লঘুদন্ড বা ক্ষমা প্রকারান্তরে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি করে যা একসময় জাতির জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় ব্যাংকের এমডিদের যে চিঠি দিয়েছিল যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছিল, ‘যে-কোনো ব্যাংক আইন ও নীতিমালা মেনে, নৈতিকতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকের কার্যক্রমের মাধ্যমে মুনাফা করতে পারে। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে অভিযোগ উঠেছে, তা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ-জাতীয় অতি মুনাফা অর্জন হয়েছে বলে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ জানতে পেরেছে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। অর্থাৎ অভিযুক্ত ছয়টি ব্যাংক নেতিবাচক কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছে। তা ছাড়া সংবাদমাধ্যমে আরও প্রকাশিত হয়েছে, ‘ব্যাংকের এমডিরা এ পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এজন্য শর্ত সাপেক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাহলে বিষয়টি নিয়ে কী দাঁড়াল- ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছেন; যা তাঁরা নিজেরা স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। পক্ষান্তরে এখন ক্ষমা চেয়ে তাঁদের নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈধ করে দিল!

বিষয়টি জনগণ ভালো চোখে দেখছে না। এ অতি মুনাফার নগ্ন শিকার দেশের আমদানিকারকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা জমা রাখে এবং অন্যান্য ব্যাংকের প্রয়োজনে সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য বা বিনিময় হার কোনো অবস্থাতেই গড় সংগ্রহমূল্যের অধিক হতে পারে না। বরং সরকারের উদার অর্থনৈতিক নীতির আওতায় তা কম বা ডিসকাউন্টেড হতে পারে। ব্যাংক প্রথমত বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য যার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কতিপয় সুনির্দিষ্ট শাখাকে বিভিন্ন নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার শর্তে অথরাইজড ডিলার বা সংক্ষেপে এডি শাখা বলে সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স দেয় এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট কমিশন বা ফি দেওয়া হয়। তা ছাড়া দেশের বাণিজ্যনীতির আওতায় আমদানি ও রপ্তানির সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয় যার জন্য আমদানি ও রপ্তানি কারকরা ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে বা ব্যাংকের চাহিদামতো কমিশন বা ফি দেন। এর বাইরে ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো আর্থিক মুনাফা নৈতিকভাবে নিতে পারে না। রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বিদেশি মুদ্রা কোনো অবস্থায়ই ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য নন। তবে তিনি বিদেশি মুদ্রা দেশের ভিতরে যথেচ্ছভাবে খরচ করতে পারেন না। দেশে যদি রপ্তানিকারকের কোনো ঋণ বা পাওনা থাকে তাহলে তাঁকে তা অবশ্যই প্রথমে পরিশোধ করতে হবে এবং ঋণ ও পাওনাদি আদায় করা ব্যাংকের দায়িত্ব। ঋণ বা পাওনা পরিশোধ করার জন্য রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিনিময় করিয়ে তাঁর হিসাবে টাকায় জমা করবেন, যেখান থেকে তিনি তাঁর ঋণ ও পাওনা পরিশোধ করবেন। ঋণ ও পাওনা আদায় না করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক রপ্তানিকারককে তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে প্রাপ্য অর্থ থেকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা ন্যায়সংগত বা উচিত নয়। ব্যাংক প্রয়োজনে নতুন ঋণ দিতে পারে। ব্যাংক রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন ঋণ ও সেবা দেয় যার জন্য ব্যাংক সুদ নেয় এবং সেবার জন্য ফি ও কমিশন গ্রহণ করে। বিনিময়ে ব্যাংক বিদেশি ব্যাংক থেকে রপ্তানিকারকের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আদায় করে এনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করে নির্দিষ্ট বিনিময় মূল্যে টাকায় রূপান্তরিত করে রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করে। এর জন্য ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এডি শাখাগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সুনির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। যেহেতু বিদেশি মুদ্রার অবাধ লেনদেন দেশে অবৈধ তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় এবং যথেষ্ট কমিশনের বিনিময়ে মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকের এডি শাখার ব্যবস্থা করেছে যারা শুধু বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারবে। আইনের এ সুযোগে ব্যাংকগুলো তাদের এডি শাখাগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে একচেটিয়া তেজারতি করে। ব্যাংকের এডি শাখার এ ব্যবসা বা তেজারতি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং হতে পারে না কারণ কোনো ব্যবসায় কাউকে একচেটিয়া সুযোগ দেওয়া যেতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অসদুদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে ডলার কিনে তাদের ট্রেজারিতে জমা রেখে তা পরে আরও বেশি দামে বিক্রি করে। বিষয়টি মূলত অনৈতিক। ব্যাংকের তহবিল অন্যের আমানত। এ আমানত দিয়ে অতি মুনাফার লোভে বেশি দামে ডলার কেনার ফলে অর্থনীতিতে ও মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। যে কারণে জনদুর্গতি বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(১০) (চ)-তে ‘বিদেশি ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এ আইনের সুযোগ নিয়ে ডলারের মূল্য অস্থিতিশীল করবেন। এটি সবাই জানেন, বেশি দামে কেনাবেচা করতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগীর মুনাফা বাড়বে। তা ছাড়া ডলার কেনাবেচায় ভ্যাট বা কর নেই; ফলে যে-কোনো অর্থ বিনা করে বিনিয়োগ করা যায়। ব্যাংক ছাড়া ডলার বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠান না থাকায় এ ব্যবসায় ব্যাংকগুলোকে একচেটিয়া সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে যার যথেচ্ছ ব্যবহার করছে কিছু কিছু ব্যাংক। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী, সঠিক ও যথোপযুক্ত ছিল।

বাণিজ্যনীতির আওতায় দেশের তাবৎ আমদানি ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। এলসি বা ঋণপত্র ছাড়া কোনো কিছু আমদানি করা যায় না। এমনকি শতকরা এক শ ভাগ অগ্রিম পরিশোধ করার পরও ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে আমদানি করতে হয়। ব্যাংক ঋণের আওতায় এলসি দিলেও তার বিপরীতে আমদানিকারকদের ন্যূনতম ১০% থেকে ৫০% ভাগ নগদ অর্থ বিনা সুদে অগ্রিম জমা রাখতে হয়। এর ফলে সাধারণ আমদানিকারকদের কোটি কোটি টাকা বিনা সুদে ও লাভে ব্যাংকগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পায়। এলসি বা ঋণপত্রের বিপরীত পরিশোধতব্য সব ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা আমদানিকারকদের পরিশোধ করতে হয়। এর জন্য ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা যেদিন যে-দামেই কেনা হয় তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমদানিকারককেই বহন করতে হয়। ব্যাংক এলসি প্রদানের জন্য সব খরচ ও ব্যাংকের কমিশন, এমনকি সুইফট মেসেজে পাঠানোর খরচসহ সব খরচ আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। তারপর আবার আমদানিকারকের টাকা দিয়ে ডলার কিনে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছেই বিক্রি করা যে-কোনো মানদন্ডে অনৈতিক। যেহেতু আমদানিকারকের আমদানির বিল পরিশোধ করার জন্যই ডলার বা বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন পড়বে তাহলে যেদিন যখন এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয় সেদিন বা তৎপরবর্তী যে -কোনো দিন সুযোগমতো ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিজেদের ভল্টে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রেখে দিলে তো ডলার নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হয় না! যদি ডলার কেনার অর্থ বা টাকা না থাকে তাহলে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হবে কীসের ভিত্তিতে? ডলার বা টাকা না থাকলে ঋণপত্র খুলে আমদানি করা হয় কাদের স্বার্থে- প্রশ্নটি করার অধিকার কি জনগণ রাখে না? এটি জলবৎ তরলং যে দেশি ও আন্তর্জাতিক একটি কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থে নিজেদের সাধ্যের বাইরে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয়; যাতে উচ্চমূল্যে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে আমদানির বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। যেহেতু আমদানির অর্থ জোগান না করেই ব্যাংক এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে দিয়েছে তাই পণ্য আমদানি বা জাহাজিকরণের পরে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যাংক অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য; তাতে ডলারের মূল্য যতই হোক না কেন, এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করার পর তার মূল্য পরিশোধ করা ব্যাংকের দায়িত্ব। যদি আমদানিকারক কোনো কারণে পরিশোধ না-ও করেন তাহলে সেই অর্থ অবশ্যই ব্যাংককেই পরিশোধ করতে হবে। কারণ ব্যাংক এলসি প্রদান করেছে।

ডলার আমাদের জন্য মুদ্রা নয়। ডলার আমাদের কাছে একটি পণ্য। আমরা যে পরিমাণ পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করব সে পরিমাণ পণ্যের মূল্যের সমপরিমাণ ডলার পণ্য হিসেবে কিনে আমাদের নিরাপদ কবজায় রেখে দেব। যদি ব্যাংক আমাদের তথা আমদানিকারকের পক্ষে এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে তাহলে ওই ডলার ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রেখে দেব। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ব্যাংক বিদেশি পণ্য সরবরাহকারীকে যথাযথভাবে পরিশোধ করে দেবে। আর ব্যাংক যদি তার ঋণের বিপরীতে এলসি বা ঋণপত্র খোলে তাহলে ব্যাংক এলসি খোলার সময়ই ঋণ থেকে সমপরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে তার বিনিময়ে ডলার কিনে রাখবে। ব্যাংক তার দেওয়া ঋণ থেকে যথানিয়মে সুদ পাবে। কিন্তু তার এবং কায়েমি স্বার্থবাদীদের স্বার্থে টাকার জোগান নিশ্চিত না করেই ডলারের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে ডলারের প্রাপ্যতার শূন্যতা সৃষ্টি করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়। বর্তমান ডলার সংকটের জন্য মূলত ব্যাংকগুলোই দায়ী। ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করে তারা অপরিকল্পিতভাবে বেশি বেশি এলসি খুলে দেওয়ার পর দেশে প্রচ- ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে দেশের অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি ও জনগণের আর্থিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই আমদানিকারকের আমদানি মূল্য পরিশোধ করার জন্য কেনা ডলার থেকে কোনো প্রকার মুনাফা করতে পারে না। তার প্রথম কারণ হলো, ঋণের বিপরীতে এলসি দিয়ে থাকলে ওই ঋণ থেকে ব্যাংক যথাযথ সুদ নিয়েছে। পরবর্তী কারণ হলো, কোনো মার্জিন বা শতভাগ মার্জিন নিয়ে ব্যাংক এলসি খুলে থাকলে আমদানিকারক তাঁর নিজের অর্থে ডলার কিনে দিয়েছেন এবং এলসি খোলার জন্য যাবতীয় খরচ ব্যাংক আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে। এখন ডলার কেনাবেচা করে যদি কোনো বাড়তি অর্থ আমদানিকারকের কাছ থেকে ব্যাংক আদায় করে তাহলে ব্যাংকের জন্য অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। সম্প্রতি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয়টি বড় ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তা শতভাগ সঠিক, যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী ছিল। হয়তো চাপের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি, যার ফলে তাদের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে জনগণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে। সেই সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা- মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিল, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আমদানিকারককে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। পরিশেষে বলতে চাই, ব্যাংকগুলো ডলার কেনাবেচায় যদি অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ না নিত তাহলে ডলারের মূল্য আরও অনেক কম থাকত। অঙ্ক কিন্তু তা-ই বলে।

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

 

এই বিভাগের আরও খবর
বস্ত্র খাত হুমকিতে
বস্ত্র খাত হুমকিতে
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন