শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আপডেট:

ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
ডলার সংকট নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ভালো দিয়ে শুরু করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নতুন প্রধান ১২ জুলাই যোগ দিয়েছেন। নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ছিলেন। কাজে নতুন গভর্নরের কিছু সিদ্ধান্ত দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। তার অন্যতম অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। এরপর একই অভিযোগে ডলার কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা ও বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডিদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করেন। এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে দাম বাড়ায় ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন গভর্নরের আমলে সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছিল অনেক উচ্চে কিন্তু তিনি সে আস্থা মনে হয় ধরে রাখতে পারছেন না! ইতোমধ্যে ব্যাংকপাড়ায় কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে গভর্নর তাঁর সাহসী এবং সময়োপযোগী সঠিক ও কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে পারছেন না। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য চাপের কাছে গভর্নর নত হতে সম্ভবত বাধ্য হচ্ছেন! ইতোমধ্যে তিনি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয় বড় ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিলেন, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগও তিনি দিয়ে দিয়েছেন। বিষয়গুলো জনমনে কেমন যেন অস্বচ্ছ মনে হচ্ছে! প্রথমে বলা হয়েছিল, এপ্রিলে ডলার সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়ায় এবং রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। এর পরও বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাইয়ে ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফা করার তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতি মুনাফার জন্য ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের জোগান এবং চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে। একই অভিযোগে ডলারের কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের এমডির কাছে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাখ্যা তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনের এ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিদের অপসারণ করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। অত্যন্ত সঠিক ও যথোপযুক্ত সাহসী ভালো সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে অটল থাকতে পারলেন না সাবেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ জাঁদরেল একজন আমলা। জনগণ কিছুতেই বুঝতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কী ভুল করলেন যা ফলাও করে প্রচার করছে একটি মহল। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার নামই তো ন্যায়বিচার। অপরাধীকে ক্ষমা করা বা লঘুদন্ড দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তা ছাড়া বড় অপরাধের লঘুদন্ড বা ক্ষমা প্রকারান্তরে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি করে যা একসময় জাতির জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় ব্যাংকের এমডিদের যে চিঠি দিয়েছিল যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছিল, ‘যে-কোনো ব্যাংক আইন ও নীতিমালা মেনে, নৈতিকতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকের কার্যক্রমের মাধ্যমে মুনাফা করতে পারে। তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে অভিযোগ উঠেছে, তা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ-জাতীয় অতি মুনাফা অর্জন হয়েছে বলে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ জানতে পেরেছে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। অর্থাৎ অভিযুক্ত ছয়টি ব্যাংক নেতিবাচক কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছে। তা ছাড়া সংবাদমাধ্যমে আরও প্রকাশিত হয়েছে, ‘ব্যাংকের এমডিরা এ পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এজন্য শর্ত সাপেক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাহলে বিষয়টি নিয়ে কী দাঁড়াল- ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করেছেন; যা তাঁরা নিজেরা স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। পক্ষান্তরে এখন ক্ষমা চেয়ে তাঁদের নেতিবাচক ব্যাংকিং কার্যকলাপের মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈধ করে দিল!

বিষয়টি জনগণ ভালো চোখে দেখছে না। এ অতি মুনাফার নগ্ন শিকার দেশের আমদানিকারকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা জমা রাখে এবং অন্যান্য ব্যাংকের প্রয়োজনে সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য বা বিনিময় হার কোনো অবস্থাতেই গড় সংগ্রহমূল্যের অধিক হতে পারে না। বরং সরকারের উদার অর্থনৈতিক নীতির আওতায় তা কম বা ডিসকাউন্টেড হতে পারে। ব্যাংক প্রথমত বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য যার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কতিপয় সুনির্দিষ্ট শাখাকে বিভিন্ন নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার শর্তে অথরাইজড ডিলার বা সংক্ষেপে এডি শাখা বলে সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স দেয় এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট কমিশন বা ফি দেওয়া হয়। তা ছাড়া দেশের বাণিজ্যনীতির আওতায় আমদানি ও রপ্তানির সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয় যার জন্য আমদানি ও রপ্তানি কারকরা ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে বা ব্যাংকের চাহিদামতো কমিশন বা ফি দেন। এর বাইরে ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো আর্থিক মুনাফা নৈতিকভাবে নিতে পারে না। রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বিদেশি মুদ্রা কোনো অবস্থায়ই ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য নন। তবে তিনি বিদেশি মুদ্রা দেশের ভিতরে যথেচ্ছভাবে খরচ করতে পারেন না। দেশে যদি রপ্তানিকারকের কোনো ঋণ বা পাওনা থাকে তাহলে তাঁকে তা অবশ্যই প্রথমে পরিশোধ করতে হবে এবং ঋণ ও পাওনাদি আদায় করা ব্যাংকের দায়িত্ব। ঋণ বা পাওনা পরিশোধ করার জন্য রপ্তানিকারক তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিনিময় করিয়ে তাঁর হিসাবে টাকায় জমা করবেন, যেখান থেকে তিনি তাঁর ঋণ ও পাওনা পরিশোধ করবেন। ঋণ ও পাওনা আদায় না করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক রপ্তানিকারককে তাঁর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে প্রাপ্য অর্থ থেকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা ন্যায়সংগত বা উচিত নয়। ব্যাংক প্রয়োজনে নতুন ঋণ দিতে পারে। ব্যাংক রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন ঋণ ও সেবা দেয় যার জন্য ব্যাংক সুদ নেয় এবং সেবার জন্য ফি ও কমিশন গ্রহণ করে। বিনিময়ে ব্যাংক বিদেশি ব্যাংক থেকে রপ্তানিকারকের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আদায় করে এনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করে নির্দিষ্ট বিনিময় মূল্যে টাকায় রূপান্তরিত করে রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করে। এর জন্য ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এডি শাখাগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সুনির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। যেহেতু বিদেশি মুদ্রার অবাধ লেনদেন দেশে অবৈধ তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় এবং যথেষ্ট কমিশনের বিনিময়ে মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকের এডি শাখার ব্যবস্থা করেছে যারা শুধু বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারবে। আইনের এ সুযোগে ব্যাংকগুলো তাদের এডি শাখাগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে একচেটিয়া তেজারতি করে। ব্যাংকের এডি শাখার এ ব্যবসা বা তেজারতি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং হতে পারে না কারণ কোনো ব্যবসায় কাউকে একচেটিয়া সুযোগ দেওয়া যেতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অসদুদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে ডলার কিনে তাদের ট্রেজারিতে জমা রেখে তা পরে আরও বেশি দামে বিক্রি করে। বিষয়টি মূলত অনৈতিক। ব্যাংকের তহবিল অন্যের আমানত। এ আমানত দিয়ে অতি মুনাফার লোভে বেশি দামে ডলার কেনার ফলে অর্থনীতিতে ও মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। যে কারণে জনদুর্গতি বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(১০) (চ)-তে ‘বিদেশি ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এ আইনের সুযোগ নিয়ে ডলারের মূল্য অস্থিতিশীল করবেন। এটি সবাই জানেন, বেশি দামে কেনাবেচা করতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগীর মুনাফা বাড়বে। তা ছাড়া ডলার কেনাবেচায় ভ্যাট বা কর নেই; ফলে যে-কোনো অর্থ বিনা করে বিনিয়োগ করা যায়। ব্যাংক ছাড়া ডলার বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠান না থাকায় এ ব্যবসায় ব্যাংকগুলোকে একচেটিয়া সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে যার যথেচ্ছ ব্যবহার করছে কিছু কিছু ব্যাংক। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী, সঠিক ও যথোপযুক্ত ছিল।

বাণিজ্যনীতির আওতায় দেশের তাবৎ আমদানি ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। এলসি বা ঋণপত্র ছাড়া কোনো কিছু আমদানি করা যায় না। এমনকি শতকরা এক শ ভাগ অগ্রিম পরিশোধ করার পরও ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে আমদানি করতে হয়। ব্যাংক ঋণের আওতায় এলসি দিলেও তার বিপরীতে আমদানিকারকদের ন্যূনতম ১০% থেকে ৫০% ভাগ নগদ অর্থ বিনা সুদে অগ্রিম জমা রাখতে হয়। এর ফলে সাধারণ আমদানিকারকদের কোটি কোটি টাকা বিনা সুদে ও লাভে ব্যাংকগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পায়। এলসি বা ঋণপত্রের বিপরীত পরিশোধতব্য সব ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা আমদানিকারকদের পরিশোধ করতে হয়। এর জন্য ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা যেদিন যে-দামেই কেনা হয় তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমদানিকারককেই বহন করতে হয়। ব্যাংক এলসি প্রদানের জন্য সব খরচ ও ব্যাংকের কমিশন, এমনকি সুইফট মেসেজে পাঠানোর খরচসহ সব খরচ আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। তারপর আবার আমদানিকারকের টাকা দিয়ে ডলার কিনে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছেই বিক্রি করা যে-কোনো মানদন্ডে অনৈতিক। যেহেতু আমদানিকারকের আমদানির বিল পরিশোধ করার জন্যই ডলার বা বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন পড়বে তাহলে যেদিন যখন এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয় সেদিন বা তৎপরবর্তী যে -কোনো দিন সুযোগমতো ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিজেদের ভল্টে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রেখে দিলে তো ডলার নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হয় না! যদি ডলার কেনার অর্থ বা টাকা না থাকে তাহলে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হবে কীসের ভিত্তিতে? ডলার বা টাকা না থাকলে ঋণপত্র খুলে আমদানি করা হয় কাদের স্বার্থে- প্রশ্নটি করার অধিকার কি জনগণ রাখে না? এটি জলবৎ তরলং যে দেশি ও আন্তর্জাতিক একটি কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থে নিজেদের সাধ্যের বাইরে এলসি বা ঋণপত্র দেওয়া হয়; যাতে উচ্চমূল্যে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা কিনে আমদানির বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। যেহেতু আমদানির অর্থ জোগান না করেই ব্যাংক এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে দিয়েছে তাই পণ্য আমদানি বা জাহাজিকরণের পরে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যাংক অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য; তাতে ডলারের মূল্য যতই হোক না কেন, এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করার পর তার মূল্য পরিশোধ করা ব্যাংকের দায়িত্ব। যদি আমদানিকারক কোনো কারণে পরিশোধ না-ও করেন তাহলে সেই অর্থ অবশ্যই ব্যাংককেই পরিশোধ করতে হবে। কারণ ব্যাংক এলসি প্রদান করেছে।

ডলার আমাদের জন্য মুদ্রা নয়। ডলার আমাদের কাছে একটি পণ্য। আমরা যে পরিমাণ পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করব সে পরিমাণ পণ্যের মূল্যের সমপরিমাণ ডলার পণ্য হিসেবে কিনে আমাদের নিরাপদ কবজায় রেখে দেব। যদি ব্যাংক আমাদের তথা আমদানিকারকের পক্ষে এলসি বা ঋণপত্র প্রদান করে তাহলে ওই ডলার ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রেখে দেব। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ব্যাংক বিদেশি পণ্য সরবরাহকারীকে যথাযথভাবে পরিশোধ করে দেবে। আর ব্যাংক যদি তার ঋণের বিপরীতে এলসি বা ঋণপত্র খোলে তাহলে ব্যাংক এলসি খোলার সময়ই ঋণ থেকে সমপরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে তার বিনিময়ে ডলার কিনে রাখবে। ব্যাংক তার দেওয়া ঋণ থেকে যথানিয়মে সুদ পাবে। কিন্তু তার এবং কায়েমি স্বার্থবাদীদের স্বার্থে টাকার জোগান নিশ্চিত না করেই ডলারের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে ডলারের প্রাপ্যতার শূন্যতা সৃষ্টি করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়। বর্তমান ডলার সংকটের জন্য মূলত ব্যাংকগুলোই দায়ী। ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করে তারা অপরিকল্পিতভাবে বেশি বেশি এলসি খুলে দেওয়ার পর দেশে প্রচ- ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে দেশের অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি ও জনগণের আর্থিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই আমদানিকারকের আমদানি মূল্য পরিশোধ করার জন্য কেনা ডলার থেকে কোনো প্রকার মুনাফা করতে পারে না। তার প্রথম কারণ হলো, ঋণের বিপরীতে এলসি দিয়ে থাকলে ওই ঋণ থেকে ব্যাংক যথাযথ সুদ নিয়েছে। পরবর্তী কারণ হলো, কোনো মার্জিন বা শতভাগ মার্জিন নিয়ে ব্যাংক এলসি খুলে থাকলে আমদানিকারক তাঁর নিজের অর্থে ডলার কিনে দিয়েছেন এবং এলসি খোলার জন্য যাবতীয় খরচ ব্যাংক আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে। এখন ডলার কেনাবেচা করে যদি কোনো বাড়তি অর্থ আমদানিকারকের কাছ থেকে ব্যাংক আদায় করে তাহলে ব্যাংকের জন্য অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। সম্প্রতি ডলার কেনাবেচায় অতি মুনাফার অভিযোগে ছয়টি বড় ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তা শতভাগ সঠিক, যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী ছিল। হয়তো চাপের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি, যার ফলে তাদের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে জনগণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে। সেই সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা- মে-জুনে ডলারের বাজার থেকে যে মুনাফা তারা করেছিল, তা ব্যাংকের আয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আমদানিকারককে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। পরিশেষে বলতে চাই, ব্যাংকগুলো ডলার কেনাবেচায় যদি অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ না নিত তাহলে ডলারের মূল্য আরও অনেক কম থাকত। অঙ্ক কিন্তু তা-ই বলে।

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

 

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

৪১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা