শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ : আমাদের করণীয়

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, বিপিএম (বার), পিএসসি
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ : আমাদের করণীয়

সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের প্রাচীনতম ঘটনাগুলোর একটি। কালের পরিক্রমায় এটি বিভিন্ন সময়ে নিজের রূপ বদলে ফিরে এসেছে নতুন আঙ্গিকে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক, মতাদর্শগত বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সহিংসতা বা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ক্রমাগত বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ের সন্ত্রাসবাদ মূলত ৯/১১ ও আরব বসন্ত-পরবর্তী ঘটনা। সন্ত্রাসবাদ এ দেশের সৃষ্ট কোনো উপাদেয় না হলেও বিশ্বায়নের উত্তরাধিকারসূত্রে বাংলাদেশ এটি লাভ করেছে। অতীতে আমাদের দেশের কমিউনিস্ট সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যেমন কোল্ড ওয়ার সমসাময়িক সোশ্যালিস্ট আন্দোলনের যোগসূত্র ছিল। তেমন ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গেও সোভিয়েত-আফগান সংকট-পরবর্তী মুজাহিদদের যোগসূত্র ছিল। বাংলাদেশের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি বিভিন্ন সময়ে দেশে অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি সেসব গোষ্ঠীর চূড়ান্ত পরিণতিও দেখেছে। এটি সম্ভব হয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণের সুস্পষ্ট অবস্থান, সরকারের সুনিদিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিচক্ষণ ব্যবহারের কারণে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‌্যাব তার ম্যান্ডেটের আলোকে বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ দেশের প্রথম প্রজন্মের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে হাল আমলের নিষিদ্ধ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার আমিরসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয় র‌্যাব। হুজিবির মুফতি হান্নান, জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইসহ অন্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল এবং ২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমাগুলোর প্রস্তুতকারক জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকেও গ্রেফতার করে র‌্যাব। বিগত দশকে টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে ১৩ জন মুক্তমনা ব্লগার ও লেখককে হত্যার মধ্য দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবিসহ অন্য শীর্ষ নেতারাও র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। পরে দীর্ঘ সময় দেশে তেমন কোনো জঙ্গি হামলা সংঘটিত না হলেও ২০১৬ সালের হোলি আর্টিজান হামলার মাধ্যমে পুনরায় জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব ফুটে ওঠে। হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় প্রাথমিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মূল অভিযান তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে র‌্যাব। পরে আশুলিয়ায় হোলি আর্টিজান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জেএমবিপ্রধান সারোয়ার জাহান, গাজীপুরে হোলি আর্টিজান হামলার অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী জেএমবির শুরা সদস্য মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে হোলি আর্টিজান মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জেএমবির শীর্ষ নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে। দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে একের পর এক জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে দিয়ে বিপুলসংখ্যক জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। জঙ্গিবাদ দমনে দীর্ঘ এ পথচলায় র‌্যাব বিভিন্ন সময় তার অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশে জঙ্গিবাদকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের এর সঙ্গে জড়ানোর কারণ, জঙ্গি সংগঠনগুলোর দ্বারা নতুন জঙ্গিদের নিয়োগ ও তাদের মৌলবাদী করার জন্য নির্ধারিত কৌশল, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের দ্বারা নেওয়া জঙ্গিবাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং জঙ্গিবাদে জড়ানো সদস্যদের পরিবারগুলোর সমাজের মূলধারায় বসবাসের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করে।

মানুষ কেন জঙ্গিবাদে লিপ্ত হয়? বাংলাদেশে জঙ্গিবাদে জড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ হলো আদর্শগত বা ধর্মীয় প্রত্যয়। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়ানো ব্যক্তিরা এমন চরমপন্থি গোষ্ঠীর প্রতি আকৃষ্ট হয় যেগুলো তাদের মতাদর্শগত বা ধর্মীয় বিশ্বাস পূরণের পথে প্রতিশ্রুতি দেয়। এ বিশ্বাসগুলো তাদের সহিংসতাকে একটি পবিত্র বা নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে দেখতে সহায়তা করে। এটি অনেক ক্ষেত্রে লোভনীয় হতে পারে। এ ছাড়া এ মতাদর্শ ধর্ম, জাতীয়তাবাদ বা রাজনৈতিক বিশ্বাসের মধ্যে নিহিত থাকতে পারে। যে ব্যক্তিরা বর্তমান আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে বিতৃষ্ণা বোধ করেন তারা জঙ্গিবাদী মতাদর্শের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি মানসিক দুর্বলতার কারণে জঙ্গিবাদের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন যারা ইতোমধ্যেই জঙ্গিবাদে জড়িত তারা মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের ওপর সহজেই প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ব্যক্তিগত অভিযোগ এবং প্রতিশোধপরায়ণ ব্যক্তিদের তারা জঙ্গিবাদে জড়ানোর জন্য প্ররোচিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বা তাদের কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষতি, অবিচার বা সহিংসতার অভিজ্ঞতা মানুষকে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিতে পারে যা তাদের নিপীড়কদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বলে তারা বিশ্বাস করে। র‌্যাডিক্যালাইজেশন প্রক্রিয়াটি অনেক সময় গোপনীয় সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে ঘটে, যেখানে এর ব্যবহারকারীরা জঙ্গিবাদের ধারণা প্রকাশ করে এবং বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা ক্যারিশমাটিক নেতাদের দ্বারা জঙ্গিবাদে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। অনেক সময় আর্থসামাজিক কারণে মানুষ জঙ্গিবাদে জড়ায়। দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং মৌলিক সেবাগুলো লাভের অভাব মাঝে মাঝে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারে যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো আর্থিক সহায়তা এবং সামাজিক অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি অর্থনৈতিক কষ্টের সম্মুখীন ব্যক্তিবর্গের কাছে একটি আকর্ষণীয় প্রলোভন হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া অনেকে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার উপায় হিসেবে সহিংসতাকে বেছে নেয়।

কীভাবে ও কাদের বেছে নেয় : জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো নতুন সদস্যদের নিয়োগের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে। তারা প্রায়ই নতুন সদস্যদের নিয়োগের জন্য বিদ্যমান সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো কাজে লাগায়। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন ও সমবয়সীদের আদর্শিক প্রবৃত্তির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে যোগদানের জন্য প্রভাবিত করতে পারে। বর্তমানে ইন্টারনেট উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর জন্য নতুন সদস্য নিয়োগ এবং তাদের উগ্রবাদী মনোভাবাপন্ন করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম, অনলাইন ফোরাম এবং এনক্রিপ্ট করা মেসেজিং অ্যাপগুলো জঙ্গিবাদ প্রচার এবং সম্ভাব্য নিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি বিশাল প্ল্যাটফরম। সেখানে তারা তাদের নিজস্ব ডিজাইনকৃত প্রোপাগান্ডা ও র‌্যাডিক্যালাইজেশন ম্যাটেরিয়াল সমৃদ্ধ ভিডিও, পাম্পলেট এবং বিভিন্ন অনলাইন সামগ্রী প্রচার করে যেগুলো জঙ্গিবাদের মতাদর্শ প্রচার করে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপনের মাধ্যমে সহিংসতাকে মহিমান্বিত করে এবং তাদের উদ্দেশ্যকে ন্যায্যতা দিয়ে তাদের মতাদর্শের প্রতি নতুন সদস্যদের আগ্রহী করে তোলে। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো প্রায়ই সেসব দুর্বল ব্যক্তিকে টার্গেট করে, যাদের মধ্যে ব্যক্তিগত হীনমন্যতা, ট্রমা বা বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি রয়েছে। যা তাদের মূলধারার সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের তাদের আহ্বানের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে। এ ছাড়া জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের সংগঠনে যোগদানের বিনিময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রলুব্ধ করতে অর্থের প্রতিশ্রুতি, চাকরির সুযোগ বা তাদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে যেসব অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেখানে প্রান্তিক বা সামাজিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের জঙ্গিবাদে জড়ানোর জন্য বাধ্য করা হয় বা হুমকি দেওয়া হয়। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, কোনো অপরাধের ফলে কারাগারে গিয়ে অনেক কয়েদি জঙ্গিবাদী মতাদর্শের সংস্পর্শে এসে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয় এবং সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাইরে এসে বিদ্যমান জঙ্গিদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে দেখা যায়।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা :  জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের জন্য সরকার, বিভিন্ন সম্প্রদায়, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার নিয়ে একটি বহুমুখী উদ্যোগের প্রয়োজন। জঙ্গিবাদ একটি আদর্শিক সমস্যা। তাই সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থাকে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর দ্বারা প্রচারিত চরমপন্থি মতাদর্শকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পাল্টা-আখ্যান তৈরি করা উচিত। এ আখ্যানগুলোয় সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও অহিংসার ওপর জোর দেওয়া উচিত। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি বিশেষভাবে জরুরি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশ, সহনশীলতার প্রচার এবং চরমপন্থি মতাদর্শের মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রদায়গুলোর সঙ্গে জড়িত হয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জঙ্গিবাদের ঝুঁকিতে থাকা শ্রেণিকে চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করে তাদের বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান করা মৌলবাদ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন র‌্যাডিক্যালাইজেশন প্রতিরোধের প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম, সরকার ও সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোকে উগ্রবাদী মতাদর্শকে চ্যালেঞ্জ করে এমন অনলাইন পাল্টা বর্ণনা প্রচার করার সময় উগ্রবাদী বিষয়বস্তু নিরীক্ষণ এবং অপসারণ করতে সহযোগিতা করতে হবে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের জন্য আর্থসামাজিক কারণগুলোকে মোকাবিলা করা অপরিহার্য। অর্থনৈতিক বিকল্প হিসেবে জঙ্গিবাদের আবেদন কমাতে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা এবং সামাজিক পরিষেবাগুলোয় সরকার ও এনজিওদের বিনিয়োগ করা উচিত। জঙ্গিবাদে জড়িতদের জন্য পুনর্বাসন প্রোগ্রাম, মানসিক সহায়তা, শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং সমাজে পুনরাত্তীকরণের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এসব কার্র্যক্রমের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অবশ্যই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং প্রয়োজনে মৌলবাদে জড়িতদের গ্রেফতার করার মাধ্যমে এদের বিকাশ রোধ করতে হবে।

সমাজে/পরিবারে আত্তীকরণের চ্যালেঞ্জ : জঙ্গিবাদে জড়িতদের পরিবার সমাজে প্রায়ই উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। প্রতিবেশী এবং পরিচিতরা জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার কারণে তাদের এড়িয়ে চলে। এ ছাড়া তাদের পরিবার প্রায়ই তাদের সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কলঙ্ক ও প্রত্যাখ্যানের সম্মুখীন হয়। তাদের সন্দেহের চোখে দেখা এবং তাদের আত্মীয়দের কাজের জন্য তাদের দায়ী করা হয়। প্রিয়জনদের সহিংস কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক আঘাতের ফলে অপরাধবোধ, লজ্জা এবং দুঃখের অনুভূতির সঙ্গে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে অনেক সময় অপ্রতিরোধ্য হতে পারে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা প্রাপ্তি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। জঙ্গিবাদে জড়িতদের মধ্যে অনেকের পরিবার অর্থনৈতিক কষ্টের সম্মুখীন হয়। জঙ্গিদের অনেক পরিবার কারাভোগ বা মৃত্যুর কারণে তাদের প্রাথমিক উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে অর্থনৈতিক কষ্টের দিকে ধাবিত হয়। এ ছাড়া জঙ্গিদের পরিবারগুলো জঙ্গিগোষ্ঠী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হুমকিসহ নিরাপত্তা উদ্বেগের সম্মুখীন হয়। এ নিরাপত্তাঝুঁকি সমাজে তাদের নিরাপদে পুনঃসংযোগ করার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। জঙ্গিবাদে জড়িতদের পরিবারকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ পরিকল্পনাগুলো শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিংভিত্তিক হলে তার সুফল পাওয়া অনেকাংশে সহজ হয়। র‌্যাব সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ভুল বুঝতে পারা কিছু তরুণ-তরুণীকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার সুফল পেয়েছে। র‌্যাব ডির‌্যাডিক্যালাইজেশন ও রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শতাধিক জঙ্গিকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে এনেছে। র‌্যাবের এ সফলতাটি সব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। পরিশেষে, জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করার জন্য এমন একটি বহুমুখী পদক্ষেপের প্রয়োজন যেখানে দেশের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টার মধ্যে শুধু সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধব্যবস্থাই নয় বরং এমন সমন্বিত কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলোকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি জঙ্গিবাদে জড়ানোর পেছনে অনুপ্রেরণাগুলো চিহ্নিত করবে। পরে জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের পদ্ধতিগুলোকে লক্ষ্য রেখে এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে। অন্যদিকে জঙ্গিবাদে জড়ানো ব্যক্তিদের সমাজে পুনরাত্তীকরণের চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে।

লেখক : পরিচালক, লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং র‌্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্স

এই বিভাগের আরও খবর
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
সর্বশেষ খবর
নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ
নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা
লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনে আগুন
মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনে আগুন

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গ্যাস অনুসন্ধানে ১০০ নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করছে পেট্রোবাংলা
গ্যাস অনুসন্ধানে ১০০ নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করছে পেট্রোবাংলা

৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে রাজপথে দিপু ভুঁইয়া
রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে রাজপথে দিপু ভুঁইয়া

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব
হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নির্বাচন কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়: নুর
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়: নুর

১৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

পদ্মার এক কাতলার দাম ৫৫ হাজার টাকা
পদ্মার এক কাতলার দাম ৫৫ হাজার টাকা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না
বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
দেশে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

গভীর রাতে হৃতিকের ফোন, অবাক অভিনেত্রী
গভীর রাতে হৃতিকের ফোন, অবাক অভিনেত্রী

২৮ মিনিট আগে | শোবিজ

শিক্ষিত প্রজন্ম গড়তে ঝড়ো বাতাসের মোমবাতি হতে চাই : বিএনপি প্রার্থী মাজেদ
শিক্ষিত প্রজন্ম গড়তে ঝড়ো বাতাসের মোমবাতি হতে চাই : বিএনপি প্রার্থী মাজেদ

৩০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন
ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

শীঘ্রই ফিরছে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার, চলবে কাপ্তাই লেকেও
শীঘ্রই ফিরছে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার, চলবে কাপ্তাই লেকেও

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

‘মানুষ এখন নৌকা, লাঙ্গল আর দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে চায় না’
‘মানুষ এখন নৌকা, লাঙ্গল আর দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে চায় না’

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-নাসরিনের ৫ বছরের কারাদণ্ড
প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-নাসরিনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

নাহিদ রানাকে আইসিসির জরিমানা
নাহিদ রানাকে আইসিসির জরিমানা

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের সুবিধায় ভেন্ডিং মেশিন চালু
গাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের সুবিধায় ভেন্ডিং মেশিন চালু

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিভার সুস্থ রাখতে উপকারী যেসব খাবার
লিভার সুস্থ রাখতে উপকারী যেসব খাবার

৫৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বিবাহবিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল?
বিবাহবিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মোংলায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
মোংলায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ‘কেমন বন্দর চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জে ‘কেমন বন্দর চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কাজ করবে ফরেনসিক সায়েন্স ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে
কাজ করবে ফরেনসিক সায়েন্স ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশের মানুষের সেবক হয়ে কাজ করবেন তারেক রহমান: ভিপি সাইফুল
দেশের মানুষের সেবক হয়ে কাজ করবেন তারেক রহমান: ভিপি সাইফুল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাবেক সিটি মেয়র আইভীর জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
সাবেক সিটি মেয়র আইভীর জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঘরে বসেই কেনা যাবে বোটানিক্যাল গার্ডেনের টিকিট
ঘরে বসেই কেনা যাবে বোটানিক্যাল গার্ডেনের টিকিট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সৈন্যদের আবারও পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ১
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সৈন্যদের আবারও পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে’
‘চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

১১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু
এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

১১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের
১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট

প্রথম পৃষ্ঠা

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন