শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ : আমাদের করণীয়

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, বিপিএম (বার), পিএসসি
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ : আমাদের করণীয়

সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের প্রাচীনতম ঘটনাগুলোর একটি। কালের পরিক্রমায় এটি বিভিন্ন সময়ে নিজের রূপ বদলে ফিরে এসেছে নতুন আঙ্গিকে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক, মতাদর্শগত বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সহিংসতা বা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ক্রমাগত বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ের সন্ত্রাসবাদ মূলত ৯/১১ ও আরব বসন্ত-পরবর্তী ঘটনা। সন্ত্রাসবাদ এ দেশের সৃষ্ট কোনো উপাদেয় না হলেও বিশ্বায়নের উত্তরাধিকারসূত্রে বাংলাদেশ এটি লাভ করেছে। অতীতে আমাদের দেশের কমিউনিস্ট সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যেমন কোল্ড ওয়ার সমসাময়িক সোশ্যালিস্ট আন্দোলনের যোগসূত্র ছিল। তেমন ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গেও সোভিয়েত-আফগান সংকট-পরবর্তী মুজাহিদদের যোগসূত্র ছিল। বাংলাদেশের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি বিভিন্ন সময়ে দেশে অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি সেসব গোষ্ঠীর চূড়ান্ত পরিণতিও দেখেছে। এটি সম্ভব হয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণের সুস্পষ্ট অবস্থান, সরকারের সুনিদিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিচক্ষণ ব্যবহারের কারণে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‌্যাব তার ম্যান্ডেটের আলোকে বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ দেশের প্রথম প্রজন্মের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে হাল আমলের নিষিদ্ধ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার আমিরসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয় র‌্যাব। হুজিবির মুফতি হান্নান, জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইসহ অন্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল এবং ২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমাগুলোর প্রস্তুতকারক জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকেও গ্রেফতার করে র‌্যাব। বিগত দশকে টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে ১৩ জন মুক্তমনা ব্লগার ও লেখককে হত্যার মধ্য দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবিসহ অন্য শীর্ষ নেতারাও র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। পরে দীর্ঘ সময় দেশে তেমন কোনো জঙ্গি হামলা সংঘটিত না হলেও ২০১৬ সালের হোলি আর্টিজান হামলার মাধ্যমে পুনরায় জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব ফুটে ওঠে। হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় প্রাথমিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মূল অভিযান তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে র‌্যাব। পরে আশুলিয়ায় হোলি আর্টিজান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জেএমবিপ্রধান সারোয়ার জাহান, গাজীপুরে হোলি আর্টিজান হামলার অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী জেএমবির শুরা সদস্য মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে হোলি আর্টিজান মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জেএমবির শীর্ষ নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে। দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে একের পর এক জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে দিয়ে বিপুলসংখ্যক জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। জঙ্গিবাদ দমনে দীর্ঘ এ পথচলায় র‌্যাব বিভিন্ন সময় তার অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশে জঙ্গিবাদকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের এর সঙ্গে জড়ানোর কারণ, জঙ্গি সংগঠনগুলোর দ্বারা নতুন জঙ্গিদের নিয়োগ ও তাদের মৌলবাদী করার জন্য নির্ধারিত কৌশল, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের দ্বারা নেওয়া জঙ্গিবাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং জঙ্গিবাদে জড়ানো সদস্যদের পরিবারগুলোর সমাজের মূলধারায় বসবাসের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করে।

মানুষ কেন জঙ্গিবাদে লিপ্ত হয়? বাংলাদেশে জঙ্গিবাদে জড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ হলো আদর্শগত বা ধর্মীয় প্রত্যয়। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়ানো ব্যক্তিরা এমন চরমপন্থি গোষ্ঠীর প্রতি আকৃষ্ট হয় যেগুলো তাদের মতাদর্শগত বা ধর্মীয় বিশ্বাস পূরণের পথে প্রতিশ্রুতি দেয়। এ বিশ্বাসগুলো তাদের সহিংসতাকে একটি পবিত্র বা নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে দেখতে সহায়তা করে। এটি অনেক ক্ষেত্রে লোভনীয় হতে পারে। এ ছাড়া এ মতাদর্শ ধর্ম, জাতীয়তাবাদ বা রাজনৈতিক বিশ্বাসের মধ্যে নিহিত থাকতে পারে। যে ব্যক্তিরা বর্তমান আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে বিতৃষ্ণা বোধ করেন তারা জঙ্গিবাদী মতাদর্শের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি মানসিক দুর্বলতার কারণে জঙ্গিবাদের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন যারা ইতোমধ্যেই জঙ্গিবাদে জড়িত তারা মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের ওপর সহজেই প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ব্যক্তিগত অভিযোগ এবং প্রতিশোধপরায়ণ ব্যক্তিদের তারা জঙ্গিবাদে জড়ানোর জন্য প্ররোচিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বা তাদের কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষতি, অবিচার বা সহিংসতার অভিজ্ঞতা মানুষকে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিতে পারে যা তাদের নিপীড়কদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বলে তারা বিশ্বাস করে। র‌্যাডিক্যালাইজেশন প্রক্রিয়াটি অনেক সময় গোপনীয় সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে ঘটে, যেখানে এর ব্যবহারকারীরা জঙ্গিবাদের ধারণা প্রকাশ করে এবং বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা ক্যারিশমাটিক নেতাদের দ্বারা জঙ্গিবাদে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। অনেক সময় আর্থসামাজিক কারণে মানুষ জঙ্গিবাদে জড়ায়। দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং মৌলিক সেবাগুলো লাভের অভাব মাঝে মাঝে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারে যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো আর্থিক সহায়তা এবং সামাজিক অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি অর্থনৈতিক কষ্টের সম্মুখীন ব্যক্তিবর্গের কাছে একটি আকর্ষণীয় প্রলোভন হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া অনেকে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার উপায় হিসেবে সহিংসতাকে বেছে নেয়।

কীভাবে ও কাদের বেছে নেয় : জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো নতুন সদস্যদের নিয়োগের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে। তারা প্রায়ই নতুন সদস্যদের নিয়োগের জন্য বিদ্যমান সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো কাজে লাগায়। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন ও সমবয়সীদের আদর্শিক প্রবৃত্তির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে যোগদানের জন্য প্রভাবিত করতে পারে। বর্তমানে ইন্টারনেট উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর জন্য নতুন সদস্য নিয়োগ এবং তাদের উগ্রবাদী মনোভাবাপন্ন করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম, অনলাইন ফোরাম এবং এনক্রিপ্ট করা মেসেজিং অ্যাপগুলো জঙ্গিবাদ প্রচার এবং সম্ভাব্য নিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি বিশাল প্ল্যাটফরম। সেখানে তারা তাদের নিজস্ব ডিজাইনকৃত প্রোপাগান্ডা ও র‌্যাডিক্যালাইজেশন ম্যাটেরিয়াল সমৃদ্ধ ভিডিও, পাম্পলেট এবং বিভিন্ন অনলাইন সামগ্রী প্রচার করে যেগুলো জঙ্গিবাদের মতাদর্শ প্রচার করে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপনের মাধ্যমে সহিংসতাকে মহিমান্বিত করে এবং তাদের উদ্দেশ্যকে ন্যায্যতা দিয়ে তাদের মতাদর্শের প্রতি নতুন সদস্যদের আগ্রহী করে তোলে। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো প্রায়ই সেসব দুর্বল ব্যক্তিকে টার্গেট করে, যাদের মধ্যে ব্যক্তিগত হীনমন্যতা, ট্রমা বা বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি রয়েছে। যা তাদের মূলধারার সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের তাদের আহ্বানের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে। এ ছাড়া জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের সংগঠনে যোগদানের বিনিময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রলুব্ধ করতে অর্থের প্রতিশ্রুতি, চাকরির সুযোগ বা তাদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে যেসব অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেখানে প্রান্তিক বা সামাজিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের জঙ্গিবাদে জড়ানোর জন্য বাধ্য করা হয় বা হুমকি দেওয়া হয়। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, কোনো অপরাধের ফলে কারাগারে গিয়ে অনেক কয়েদি জঙ্গিবাদী মতাদর্শের সংস্পর্শে এসে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয় এবং সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাইরে এসে বিদ্যমান জঙ্গিদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে দেখা যায়।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা :  জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের জন্য সরকার, বিভিন্ন সম্প্রদায়, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার নিয়ে একটি বহুমুখী উদ্যোগের প্রয়োজন। জঙ্গিবাদ একটি আদর্শিক সমস্যা। তাই সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থাকে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর দ্বারা প্রচারিত চরমপন্থি মতাদর্শকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পাল্টা-আখ্যান তৈরি করা উচিত। এ আখ্যানগুলোয় সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও অহিংসার ওপর জোর দেওয়া উচিত। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি বিশেষভাবে জরুরি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশ, সহনশীলতার প্রচার এবং চরমপন্থি মতাদর্শের মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রদায়গুলোর সঙ্গে জড়িত হয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জঙ্গিবাদের ঝুঁকিতে থাকা শ্রেণিকে চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করে তাদের বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান করা মৌলবাদ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন র‌্যাডিক্যালাইজেশন প্রতিরোধের প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম, সরকার ও সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোকে উগ্রবাদী মতাদর্শকে চ্যালেঞ্জ করে এমন অনলাইন পাল্টা বর্ণনা প্রচার করার সময় উগ্রবাদী বিষয়বস্তু নিরীক্ষণ এবং অপসারণ করতে সহযোগিতা করতে হবে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের জন্য আর্থসামাজিক কারণগুলোকে মোকাবিলা করা অপরিহার্য। অর্থনৈতিক বিকল্প হিসেবে জঙ্গিবাদের আবেদন কমাতে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা এবং সামাজিক পরিষেবাগুলোয় সরকার ও এনজিওদের বিনিয়োগ করা উচিত। জঙ্গিবাদে জড়িতদের জন্য পুনর্বাসন প্রোগ্রাম, মানসিক সহায়তা, শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং সমাজে পুনরাত্তীকরণের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এসব কার্র্যক্রমের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অবশ্যই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং প্রয়োজনে মৌলবাদে জড়িতদের গ্রেফতার করার মাধ্যমে এদের বিকাশ রোধ করতে হবে।

সমাজে/পরিবারে আত্তীকরণের চ্যালেঞ্জ : জঙ্গিবাদে জড়িতদের পরিবার সমাজে প্রায়ই উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। প্রতিবেশী এবং পরিচিতরা জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার কারণে তাদের এড়িয়ে চলে। এ ছাড়া তাদের পরিবার প্রায়ই তাদের সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কলঙ্ক ও প্রত্যাখ্যানের সম্মুখীন হয়। তাদের সন্দেহের চোখে দেখা এবং তাদের আত্মীয়দের কাজের জন্য তাদের দায়ী করা হয়। প্রিয়জনদের সহিংস কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক আঘাতের ফলে অপরাধবোধ, লজ্জা এবং দুঃখের অনুভূতির সঙ্গে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে অনেক সময় অপ্রতিরোধ্য হতে পারে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা প্রাপ্তি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। জঙ্গিবাদে জড়িতদের মধ্যে অনেকের পরিবার অর্থনৈতিক কষ্টের সম্মুখীন হয়। জঙ্গিদের অনেক পরিবার কারাভোগ বা মৃত্যুর কারণে তাদের প্রাথমিক উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে অর্থনৈতিক কষ্টের দিকে ধাবিত হয়। এ ছাড়া জঙ্গিদের পরিবারগুলো জঙ্গিগোষ্ঠী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হুমকিসহ নিরাপত্তা উদ্বেগের সম্মুখীন হয়। এ নিরাপত্তাঝুঁকি সমাজে তাদের নিরাপদে পুনঃসংযোগ করার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। জঙ্গিবাদে জড়িতদের পরিবারকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ পরিকল্পনাগুলো শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিংভিত্তিক হলে তার সুফল পাওয়া অনেকাংশে সহজ হয়। র‌্যাব সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ভুল বুঝতে পারা কিছু তরুণ-তরুণীকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার সুফল পেয়েছে। র‌্যাব ডির‌্যাডিক্যালাইজেশন ও রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শতাধিক জঙ্গিকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে এনেছে। র‌্যাবের এ সফলতাটি সব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। পরিশেষে, জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করার জন্য এমন একটি বহুমুখী পদক্ষেপের প্রয়োজন যেখানে দেশের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টার মধ্যে শুধু সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধব্যবস্থাই নয় বরং এমন সমন্বিত কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলোকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি জঙ্গিবাদে জড়ানোর পেছনে অনুপ্রেরণাগুলো চিহ্নিত করবে। পরে জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের পদ্ধতিগুলোকে লক্ষ্য রেখে এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে। অন্যদিকে জঙ্গিবাদে জড়ানো ব্যক্তিদের সমাজে পুনরাত্তীকরণের চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে।

লেখক : পরিচালক, লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং র‌্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্স

এই বিভাগের আরও খবর
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
সর্বশেষ খবর
জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো চীন
জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো চীন

৩৭ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেহেরপুর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচনে বকুল-বিজন পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়
মেহেরপুর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচনে বকুল-বিজন পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের 'জকসু ফটো কন্টেস্ট' শুরু ১৬ নভেম্বর
জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের 'জকসু ফটো কন্টেস্ট' শুরু ১৬ নভেম্বর

১৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

২৪ মিনিট আগে | শোবিজ

খসখসে রুক্ষ ত্বক? ঘরেই বানিয়ে নিন ৩ ধরনের প্রাকৃতিক ক্রিম
খসখসে রুক্ষ ত্বক? ঘরেই বানিয়ে নিন ৩ ধরনের প্রাকৃতিক ক্রিম

২৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুম নষ্ট হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুম নষ্ট হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের

৩২ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে কুষ্টিয়ায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে কুষ্টিয়ায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কমেনি পিঁয়াজের দাম, সরবরাহ বাড়ছে শীতের সবজির
কমেনি পিঁয়াজের দাম, সরবরাহ বাড়ছে শীতের সবজির

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

কেমন থাকবে আগামী ৫ দিন আবহাওয়া
কেমন থাকবে আগামী ৫ দিন আবহাওয়া

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

সারাদেশের তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা
সারাদেশের তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কিয়েভে রুশ হামলায় হতাহত ১৬
কিয়েভে রুশ হামলায় হতাহত ১৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয় পেল ইংল্যান্ড-ইতালি
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয় পেল ইংল্যান্ড-ইতালি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কোমর ও গোড়ালির তীব্র যন্ত্রণা? ওষুধ নয়, মুক্তি মিলবে একটি যোগব্যায়ামে
কোমর ও গোড়ালির তীব্র যন্ত্রণা? ওষুধ নয়, মুক্তি মিলবে একটি যোগব্যায়ামে

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল চীন
তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ দলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ দলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

যুদ্ধবিরতির পরেও লেবাননে ১১৪ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
যুদ্ধবিরতির পরেও লেবাননে ১১৪ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সফরের পরিকল্পনা ট্রাম্পের
অর্থনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সফরের পরিকল্পনা ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু
চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত
ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিখোঁজ ২১
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিখোঁজ ২১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যাটরিনার সঙ্গে পরিচয়ের গোপন কথা ফাঁস করলেন ভিকি
ক্যাটরিনার সঙ্গে পরিচয়ের গোপন কথা ফাঁস করলেন ভিকি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জয়ের আরও কাছে টাইগাররা
জয়ের আরও কাছে টাইগাররা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রোনালদো
বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কানাডায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জের মুখে অভিবাসীরা
কানাডায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জের মুখে অভিবাসীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ, এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ
বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ, এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান
সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন

বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস

নগর জীবন

ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা

নগর জীবন