আসন্ন জন্মদিনের আগে দলের কর্মীদের একটি প্রশংসনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বলেছেন, ‘একজন সহকর্মী ও আপনাদের নেতা হিসেবে আমার অনুরোধ-দয়া করে আজকের পর থেকে আমার নামের সঙ্গে ‘দেশনায়ক’, ‘রাষ্ট্রনায়ক’ শব্দ ব্যবহার করবেন না।’ সম্প্রতি রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। তারেক রহমানের এ নির্দেশনা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। কেননা, বিশেষণের আতিশয্যে রাজনৈতিক নেতাদের ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে মোহগ্রস্ত করে তোলা একশ্রেণির মানুষের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। জাতি হিসেবে তৈলমর্দনকারী হিসেবে আমাদের সুনাম কুখ্যাতির পর্যায়ে পৌঁছেছে। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বলেছিলেন, ‘নেতাদের বেশি জিন্দাবাদ দিও না। তাহাতে উহাদের মাথা খারাপ হইবার সম্ভাবনা থাকে।’ এতটুকু ভুল বলেননি মজলুম জননেতা। অবশ্য কিছু কিছু রাজনীতিক রয়েছেন, যারা কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষের তোষামোদী খুবই ভালোবাসেন, উপভোগ করেন। এই তৈলমর্দন যে একজন নেতাকে দ্রুত সর্বনাশের দিকে নিয়ে যেতে পারে, তা ওই নেতা বা তৈলমর্দনকারী কেউই তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারেন না।
ধন্যবাদ তারেক রহমানকে, তিনি বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, এবার ২০ নভেম্বর তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো অনুষ্ঠান করতে বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এটাও যে তারেক রহমানের নির্দেশনার ফলশ্রুতি, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। এ দুটি ইতিবাচক নির্দেশনা জনসাধারণের কাছে তারেক রহমানের ভাবমর্যাদা অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
তারেক রহমান একটি অনন্য সাধারণ উত্তরাধিকার নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। মনে পড়ছে ২০০২ সালের ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর গণচীন সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে সে সফরে ম্যাডামের সফরসঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রচণ্ড তুষারপাতের মধ্যে আমরা সেদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে বেইজিং ক্যাপিটাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করেছিলাম। ম্যাডামের সেই সফরে তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানও সঙ্গে ছিলেন। পরদিন বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা। তার পরের দিন চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারেক রহমান খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন। পরিচিত হওয়ার সময় জিয়াং জেমিন তারেক রহমানকে বলেছিলেন, ‘তোমার হাতে দুটি পতাকা। একটি তোমার পিতার, আরেকটি তোমার মায়ের। এ দুটো তোমার সম্পদ। ভবিষ্যতে এ সম্পদ কাজে লাগিও, এই পতাকা দুটিকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করো।’ চীনের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন তারেক রহমানকে সেদিন যে কথা বলেছিলেন, তার যথার্থতা নিয়ে দ্বিমতের অবকাশ নেই। কেননা পারিবারিক-রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নিয়ে অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনীতিতে এসেছেন, সফলও হয়েছেন। তাঁদের কারও পিতার, আবার কারও মায়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছে। যেমন ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজনীতিতে এসেছিলেন তাঁর পিতা জওহরলাল নেহরুর উত্তরাধিকারী হিসেবে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো (পরবর্তীকালে নিহত) রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন সেদেশের একসময়ের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর উত্তরাধিকারী হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর পিতা সিনিয়র জর্জ বুশের উত্তরাধিকারী ছিলেন।
কিন্তু একই সঙ্গে বাবা ও মায়ের রাজনৈতিক-পারিবারিক উত্তরাধিকার নিয়ে রাজনীতিতে আগমন ও অবস্থানের নজির বিরল। এই গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার পিতা সলোমন বন্দরনায়েকে ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এবং সেদেশের জাতীয়তাবাদী বামপন্থি রাজনৈতিক দল ‘শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর শাসনামলে দেশটির আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৯৫৯ সালে বৌদ্ধ সন্যাসী সোমারামা কর্তৃক সলোমন বন্দরনায়েকে নিহত হলে তাঁর বিধবা পত্নী সিরিমাভো বন্দরনায়েকে দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৬০ সালে সিরিমাভো শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। পিতা-মাতার উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজনীতিতে এসে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা শ্রীলঙ্কার সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাফল্যের সূর্য ছুঁতে সক্ষম হয়েছিলেন।
কাকতালীয় হলেও শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারপ্রাপ্তির সঙ্গে তারেক রহমানের রয়েছে চমৎকার মিল। তারেক রহমানের পিতা জিয়াউর রহমানও এ দেশের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছিলেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিভ্রান্ত সদস্যের হাতে তিনি নিহত হলে তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্বের স্টিয়ারিং হাতে নেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাঠে শক্ত অবস্থানে চলে আসে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর তিনি স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলেন আপসহীন সংগ্রমী। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে তিনি দলকে নিয়ে যান রাষ্ট্রক্ষমতায়। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। শ্রীলঙ্কার সিরিমাভো বন্দরনায়েকের মতো বেগম খালেদা জিয়াও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
পিতা-মাতার সেই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার পুঁজি করেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তারেক রহমানের পদচারণ শুরু। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষনেতা। এটা স্বীকার করতেই হবে, এ মুহূর্তে বিএনপি যেমন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল, তেমনি এর নেতা তারেক রহমানও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন অনেকের চেয়ে। তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ-সরকারের জুলুম-নির্যাতনের মধ্যেও তিনি তাঁর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে বিএনপি সরকার গঠন করলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়াটাও একরকম নিশ্চিত। ফলে দেশবাসীর একটি বড় অংশের মধ্যে তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ও আশাবাদ সৃষ্টি হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। তাই তাঁর সব কথা ও কাজে জাতীয় নেতার যথাযথ অভিব্যক্তি দেখার প্রত্যাশা তাদের। যার প্রতিফলন তারেক রহমানকেই ঘটাতে হবে।
যেহেতু একসময় আমি এ দলটির একজন কর্মী ছিলাম, সেই সুবাদে তারেক রহমানের সঙ্গে আমার বেশ ঘনিষ্ঠতাও হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে পরিচয় ১৯৯৮ সালে দৈনিক দিনকালে কাজ করতে গিয়ে। তিনি তখন পত্রিকাটির নির্বাহী পরিচালক। অত্যন্ত স্বল্পভাষী তারেক রহমানকে ভালো না লাগার কোনো কারণ ছিল না। তারপর ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে প্রায় এক বছর হাওয়া ভবনে বিএনপির নির্বাচনি প্রচার সেলে কাজ করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি সরকার গঠনের পর আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব পদে নিযুক্তির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। সে সময় তাঁকে একজন সপ্রতিভ ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা অর্জনে আগ্রহী নবীন নেতা বলে মনে হয়েছে। মাঝেমধ্যে আমাকে ডেকে কাজের নির্দেশনা যেমন দিতেন, তেমনি অতীত রাজনৈতিক ঘটনাবলি ও তার পরিণতি সম্বন্ধে জানতে চাইতেন। ওই সময় জাতীয় নেতাদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধের কোনো অভাব দেখিনি। এমনকি সে সময় একবার সম্ভবত খুলনা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাঁকে প্রতিপক্ষের প্রতি কখনো কখনো অসহিষ্ণু ও ক্রুদ্ধ হতে দেখে ব্যথিত হয়েছি। কেননা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এভারেস্ট-শৃঙ্গসম ভাবমূর্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি কারও প্রতি কটূক্তি করবেন এটা শোভন নয়। সম্ভবত পিতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পতিত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার অশালীন-অশ্রাব্য মন্তব্য-কটূক্তি তাঁকে উত্তেজিত করে থাকবে। কিন্তু অশালীন মন্তব্যের জবাব সমানভাবে দেওয়া যে সমীচীন নয়, এটা তারেক রহমান বিস্মৃত হলে চলবে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কখনো কোনো জাতীয় নেতাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেননি। বেগম খালেদা জিয়াও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন। তিনিও কখনো শেখ মুজিব সম্পর্কে কোনো কটুবাক্য উচ্চারণ করেননি। বরং বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন, জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশন কিংবা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি জাতীয় চার নেতা- ‘মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের’ প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমানও শ্রদ্ধা নিবেদনের সে ঐতিহ্য রক্ষা করবেন, এটাই তাঁর শুভ্যার্থীরা আশা করেন।
একটি বিষয় রাজনৈতিক পর্যক্ষেক মহলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, সম্প্রতি তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা, সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ ও বক্তব্যে যথেষ্ট পরিপক্বতার ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন বক্তৃতায় তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে যে ক্রুদ্ধতা পরিলক্ষিত হতো, এখন তা নেই। বরং পরমতসহিষ্ণুতা ও সহনশীলতার মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। একজন রাজনৈতিক নেতার সাফল্যের অন্যতম নিয়ামক এই দুটি গুণ। তারেক রহমান তাঁর আগামী দিনের পথচলায় এই ধারা অব্যাহত রাখবেন-এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এ দেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পরবর্তী নিশান-বরদার তারেক রহমানকে অনেক ভেবেচিন্তে অগ্রসর হতে হবে। সস্তা ভাবাবেগ বা পছন্দ-অপছন্দ ছুড়ে ফেলে দিয়ে হতে হবে বাস্তববাদী। দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তাঁকে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করতে হবে। পিতা জিয়াউর রহমান ও মা খালেদা জিয়ার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সমাজের জ্ঞানী-গুণী ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমাবেশ ঘটাতে হবে দলে ও সান্নিধ্যে। একক সিদ্ধান্তে নয়, দল পরিচালনা করতে হবে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের যৌথ সিদ্ধান্তে। বাড়াতে হবে দলের ধারণক্ষমতা। ‘বিয়োগ নয়, যোগ’ এই নীতি অবলম্বন করে বাড়াতে হবে বিএনপির বিস্তৃতি। দল থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং স্বার্থবাদীদের। স্মরণ রাখতে হবে, এখন বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে বিএনপি অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও অবস্থা সব সময় একরকম নাও থাকতে পারে। যে কোনো সময় শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর আবির্ভাব ঘটতে পারে। অনাগত সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি না থাকলে বিএনপিকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, নেতৃত্বের ‘বলিষ্ঠতা ও দক্ষতা’ প্রদর্শন করে সাফল্যের সূর্য স্পর্শ করার যে সুযোগ তারেক রহমানের সামনে এসেছে, সুচিন্তিত পদক্ষেপেই তা নিশ্চিত হতে পারে।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক