সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যথাযথ দৃঢ়তায় সবাইকে সতর্ক করে বললেন, ‘নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি-কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। দেশ আমাদের, এখানে আমরা সবাই সুখ-শান্তিতে থাকতে চাই’। মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে, ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের এক স্মরণানুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন। জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের পর সাত মাস পার হচ্ছে। কিন্তু নানা বিশৃঙ্খলা, সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে এখনো হযবরল অবস্থা। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বখ্যাত বিদগ্ধজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশাল সংস্কার-কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। বৈষম্যহীন, দুর্নীতি-দুরাচার ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ গঠনই লক্ষ্য। দেড় দশকের স্বৈরশাসনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো অনিয়ম-অনাচারে ভেসে যাওয়ায়, মূলত ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ শুরু করতে হয় অন্তর্বর্তী সরকারকে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, হাজারটা দাবিদাওয়া, বিক্ষোভ-বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় তারা হিমশিম। বাজার নিয়ন্ত্রণে নাকাল। ব্যবসাবাণিজ্য-অর্থনীতিতে ধস। পুলিশের ভাবমূর্তি শতভাগ পুনরুদ্ধার হয়নি। বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা নামাতে হয়েছে। স্বভাবতই জাতীয় নির্বাচনের দাবি উঠছে সব মহল থেকে। কেউ বলছেন, সংস্কারের পর নির্বাচন। কারও দাবি- আগে নির্বাচন, পরে বাকি সংস্কার। এর মধ্যে হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশঙ্কাজনক অবনতি হয়েছে। জনগণ উদ্বিগ্ন, আতঙ্কগ্রস্ত। এমন একটা সময় সেনাপ্রধানের দৃপ্তকণ্ঠ দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছে। তিনি বলেছেন, তাঁর অন্য কোনো আকাক্সক্ষা নেই। দেশ-জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে যেতে চান। তাঁর মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের বড় কারণ আমরা নিজেরাই হানাহানিতে জড়িয়ে পড়েছি। পুলিশ সদস্যরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র্যাব-বিজিবি-ডিজিএফআই-এনএসআইকে নানা বিষয়ে দায়ী করে খাটো করা হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত। সব মিলে যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, তারই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিডিআর সদস্যরাই ঘটিয়েছেন। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সুযোগ নেই। এর বিচারিক প্রক্রিয়া নষ্ট না করার এবং কোনো বিষয়েই সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ না করার আহ্বান জানান সেনাপ্রধান। বলেন, ড. ইউনূস ও তাঁর সরকার জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে সচেষ্ট। দেশ একটা অবাধ সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। এ কাজে সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করা জরুরি। দেশ ও সমাজের বর্তমান বাস্তবতায় সেনাধ্যক্ষের সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও পরামর্শ যথাযথ এবং প্রশংসনীয়। তাঁর বক্তব্য জনমনে স্বস্তির আবহ সৃষ্টি করেছে। এ কারণে, ধন্যবাদ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আপনাকে আন্তরিক অভিবাদন জানাই। এটা আপনার প্রাপ্য।
শিরোনাম
- চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সাইকেলারোহী নিহত
- বান্দরবানের লামায় এক নারী করোনা আক্রান্ত
- বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার উন্নতি
- পাথরঘাটায় সাপের কামড়ে ওঝার মৃত্যু
- চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯ জুয়াড়ি আটক
- বর্ণবাদী আচরণের শিকার রাজা
- ক্লাব বিশ্বকাপের আগে শক্তি আরও বাড়ালো ম্যান সিটি
- ৪০ কোটি ডলারের মানহানি মামলায় হারলেন বলডোনি
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১২০ ফিলিস্তিনি নিহত
- ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬: এখন পর্যন্ত কোয়ালিফাই করেছে যারা
- চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছাকাছি আরাকান আর্মি
- আরব আমিরাতে ২০টি যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৯
- চীনা শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার শর্ত হিসেবে খনিজ সরবরাহ চাইলেন ট্রাম্প
- মিয়ানমার সীমান্তে অপহৃত বাংলাদেশি যুবককে ফিরিয়ে আনল বিজিবি
- তুরস্ক থেকে ৪৮টি যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
- ডেল্টার চেয়ে বিষাক্ত করেনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: চসিক মেয়র
- বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান, খেলোয়াড়দের বিলাসবহুল গাড়ি উপহার
- মির্জাপুরে নাম্বারবিহীন সিএনজি অটোসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
- টাঙ্গাইলে পানিতে ডুবে ব্র্যাক শিক্ষার্থীসহ দুইজনের মৃত্যু
- শতাধিক জামগাছ ঘিরে চিলুয়ায় উৎসবের আমেজ
ধন্যবাদ সেনাপ্রধান
পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও পরামর্শ যথাযথ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর