হলিউডের প্রভাবশালী অভিনয় শিল্পী দম্পতি ব্লেক লাইভলি ও রায়ান রেনল্ডসের বিরুদ্ধে অভিনেতা ও পরিচালক জাস্টিন বলডোনি যে ৪০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন, সেটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
সিএনএন লিখেছে, লাইভলি ও তার স্বামী রেনল্ডসের বিরুদ্ধে বলডোনি মামলাটি করেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ওই মামলায় বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি করে বলডোনি অভিযোগ করেছিলেন যে লাইভলি তার ক্যারিয়ার ‘ধ্বংস’ করতে চাইছেন।
হলিউডে ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমার পরিচালক-অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মামলা ও পাল্টা মামলায় তোলপাড় হয় গেল বছরের শেষ নাগাদ। গত বছরের ৬ অগাস্টে মুক্তি পাওয়া অল্প বাজেটের ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমাটি একটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটি বানিয়েছেন জাস্টিন বলডোনি। তবে তিনি কেবল পরিচালনাই করেননি, ওই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও অভিনয়ও করেন।
সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ব্লেক লাইভলি; তিনি এই সিনেমার অন্যতম প্রযোজকও ছিলেন তিনি।‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমায় বলডোনি ও লাইভলি স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। চিত্রনাট্যে পারিবারিক সহিংসতা তুলে ধরা হয়।
তবে বছরের শেষে বলডোনি এবং লাইভলি সিনেমাটি নিয়ে আলোচনায় আসেন মামলা মোকদ্দমার কারণে। গেল ডিসেম্বরে প্রথমে বলডোনির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন লাইভলি। পরে বলডোনিও পাল্টা মামলা করেন লাইভলির বিরুদ্ধে। অভিনেত্রী লাইভলির সেই মামলাতেই জয় এসেছে।
রায়ে মামলার গুণাগুন নিয়ে কোনো বিষয় তুলে না ধরে বলা হয়েছে, লাইভলির বিরুদ্ধে বলডোনির অভিযোগের ‘কোনো ভিত্তি নেই’। এক বিবৃতিতে লাইভলির আইনজীবী এসরা হাডসন এবং মাইক গটলিব মানহানির মামলা খারিজের এই রায়কে ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিবৃতিতে আইনজীবীরা বলেছেন, “আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি, ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মামলাটি ছিল জাল। এবং আদালত সঠিকভাবে রায় দিয়েছে।” রায়ের পর লাইভলি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি বিবৃতি দিয়ে।
সেখানে লাইভলি লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর পুরো আইনি প্রক্রিয়ার সময় তিনি যে সমর্থন পেয়েছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। নারীদের লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বিবৃতিতে বলা হয়, "অন্যান্য অনেকের মত, আমিও প্রতিশোধমূলক মামলার যন্ত্রণা অনুভব করেছি। আমার বিরুদ্ধে মামলাটি পরাজিত হয়েছে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমর্থবান নন।
প্রতিটি নারীর নিজেদের সুরক্ষা, তাদের সততা, তাদের মর্যাদা এবং তাদের জীবনের গল্পসহ তাদের কণ্ঠস্বরের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে আমি আগের চেয়ে আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।"
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ