চলতি বছরে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সংক্রান্ত মামলায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, সুশান্ত আত্মহত্যাই করেছিলেন। এই মৃত্যুকে ঘিরে দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল।
অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন অভিনেতার প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়, যার জেরে ২৭ দিন কারাবাসে থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
তবে জামিন পাওয়ার পর আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, রিয়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। কিন্তু সিবিআইয়ের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পর আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ফের রিয়ার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করল আদালত। এই নোটিশটি আইনি প্রক্রিয়ার একটি অংশ, যাতে কোনও মামলায় তদন্তকারী সংস্থার ‘ক্লোজার রিপোর্ট’-এর বিরুদ্ধে আপত্তি তোলার সুযোগ থাকে অভিযোগকারীর।
সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া তার দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং ও মিতু সিং এবং চিকিৎসক ডা. তরুণ নাথু রামের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তার দাবি, এই তিনজন চিকিৎসকের তদারকি ছাড়াই সুশান্তকে মানসিক রোগের ওষুধ সংগ্রহে সাহায্য করতেন।
রিয়ার অভিযোগ, সুশান্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। তা সত্ত্বেও দিদিরা প্রায়শই তার ওষুধ বন্ধ করে দিতেন এবং টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই নতুন ওষুধের ব্যবস্থা করতেন। এমনকি, কখনও কখনও জাল প্রেসক্রিপশনও তৈরি করা হতো বলে দাবি করেছেন রিয়া চক্রবর্তী।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/নাজিম