ফরিদপুরে একটি বদ্ধঘর থেকে এক নারীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পাশের কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নিহতের পাঁচ বছর বয়সি শিশুকে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের রঘুনন্দনপুরের হাবিব ভিলার তিন তলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। নিহত রিনা বেগম (৩০) ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের মান্নান ব্যাপারীর মেয়ে। রিনার চাচা আবদুস সালাম ব্যাপারী বলেন, ‘ছয় মাস আগে শহীদের সঙ্গে রিনার বিচ্ছেদ হয়। এরপর মনিরুলকে বিয়ে করে। সাবেক স্বামী ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের শহীদ মোল্যা সৌদি আরবে থাকে। তাদের পাঁচ বছরের এক মেয়ে ও আট বছর বয়সি এক ছেলে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহতের ঘরের ভিতর থেকে পানি গড়িয়ে বাইরে চলে আসতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই নারীর লাশ ও অজ্ঞান শিশুকে উদ্ধার করে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মাসে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই নারীকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে ওই নারী উঠেছিলেন। ঘটনাটি জানার পর মনিরুলকে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে তিনি আর আসেননি। পরে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। নিহত রিনার বাবার বাড়ির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের শহীদ মোল্যার সঙ্গে বিয়ে হয় রিনার। বিয়ের দুই বছর পর শহীদ মোল্যা সৌদি আরবে পাড়ি জমান। এক পর্যায়ে রিনাকেও নিয়ে যান। কয়েক বছর আগে রিনা দেশে চলে আসেন। এর মধ্যে এক বছর আগে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুরের মনিরুল ইসলামের (৪০) সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান রিনা। এ নিয়ে স্বামী শহীদ মোল্যার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তিনি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ শুরু করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ভিতর থেকে বন্ধ একটি বাসা থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশের তদন্তকাজ চলছে। সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।