শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

হুইলচেয়ারের প্রেসিডেন্ট

আফরোজা পারভীন
প্রিন্ট ভার্সন
হুইলচেয়ারের প্রেসিডেন্ট

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি। আছি ডালাসে। মাঝখানে কয়েক দিন ঘুরে এলাম নিউইয়র্ক। নিউইয়র্কের অনেক দর্শনীয় স্থান আগেই দেখেছি। রুজভেল্ট আইল্যান্ড দেখা হয়নি। জায়গাটা নাকি অপূর্ব সুন্দর! হলিউডের অনেক নামকরা ছবির শুটিং এই আইল্যান্ডে হয়েছে। তা ছাড়া জায়গাটি চেরি ফুলের জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে আসে চেরি ব্লুসম দেখতে। আমার ভাগ্য খারাপ! চেরি শেষ হয়ে গেছে, দেখা হলো না। তবে দেখলাম আইল্যান্ডটিকে মুগ্ধতা নিয়ে। যেতে যেতে মেয়ে বলছিল, এটি একটি বিশাল পার্ক, ইস্ট রিভারের পাড়ে। আইল্যান্ডটি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের নামে। আমেরিকানরা তাদের এই প্রেসিডেন্টকে খুবই ভালোবাসে তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতার জন্য। আইল্যান্ড ঘুরে দেখতে দেখতে একটা জায়গায় এসে থেমে যাই। যেখানে লেখা আছে, শুধু ভয়কেই ভয় পাওয়া উচিত, যা তোমাকে পঙ্গু করতে পারে- ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।

জায়গাটি যেন আমার মতোই হুইলচেয়ারে বসা মানুষের জন্যই করা। এক ব্যক্তি হুইলচেয়ারে বসে আছেন আরেক কিশোরী ক্রাচে ভর দিয়ে তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছে। এই জায়গাটি করা হয়েছে ইনভ্যালিডদের জন্য। অবশ্য আমেরিকানরা কখনই ইনভ্যালিড শব্দটি ব্যবহার করে না। এটি দেখে চোখে পানি আসে আমার। আমি ঠিক বুঝতে পারি না কেন রুজভেল্ট আইল্যান্ডে এই স্ট্যাচু! আর এই স্ট্যাচুর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের সম্পর্ক কী! রুজভেল্ট সম্পর্কে কিছুটা জানতাম। আরও জানতে আগ্রহী হই। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৮৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি নিউইয়র্কের হাইড পার্কের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাসভূমি ছিল স্প্রিং উড এস্টেটে। রুজভেল্টের বাবার নাম জেমস রুজভেল্ট, মা সারা অ্যান ডিলানো। রুজভেল্ট ছিলেন মা-বাবার একমাত্র সন্তান। তাঁর প্রপিতামহ ওলন্দাজ বংশোদ্ভূত ছিলেন বলে জানা যায়। রুজভেল্টের পড়াশোনা গর্টন স্কুলে। ছেলেবেলায় তিনি গড়পড়তা ছাত্র ছিলেন। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত পারিবারিকভাবেই শিক্ষা গ্রহণ করেন। তাঁর জীবনে গর্টন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এন্ডিকোট প্রিবডি অসামান্য প্রভাব রেখেছিল। সামাজিকভাবে খুবই সক্রিয় ছিলেন তিনি। কলেজের সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন। স্নাতক পাস করার পরেরবার এক্সামও পাস করেন। তিনি হার্ভার্ডে পড়ার সময় এলিনূরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং মায়ের প্রবল আপত্তি উপেক্ষা করে ১৯০৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ছেলেবেলায় মারাত্মক অ্যাজমা রোগে ভুগতেন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতেন না।

১৯৩৩ সালের ৪ মার্চ আমেরিকার ৩২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রেসিডেন্ট ভবনে তাঁর প্রথম প্রবেশ ঘটে। এর আগে তিনি একজন সিনেটর, নৌবাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবং নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ১১ বছর আগে তিনি পোলিওতে আক্রান্ত হন। এতে তাঁর কোমরের নিচের অংশ চিরতরে অসাড় হয়ে যায়। কিন্তু এই দুর্ঘটনা রুজভেল্টকে থামাতে পারেনি। তাঁর মানসিক শক্তি ছিল অদম্য। তিনি যখন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল মারাত্মক খারাপ, বেকারত্বের হার ছিল খুবই উচ্চ। পরের বছর মার্চের আগেই দেশটিতে বেকারের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছায়। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম ১০০ দিনে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রুজভেল্ট একের পর এক বিভিন্ন প্রস্তাব দিতে থাকেন আর কংগ্রেস সেগুলো অনুমোদন দেয়।

রুজভেল্টের ঐকান্তিক চেষ্টায় ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেকটা ঘুরে দাঁড়ায়। নানা বিভাগে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। তবে ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা ক্রমাগত তাঁর বিপক্ষে চলে যেতে থাকেন। ১৯৩৬ সালে বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রুজভেল্ট। নিজের দ্বিতীয় মেয়াদেও দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রাণপণ কাজ করেন তিনি।

রুজভেল্ট তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। তখনো মহামন্দার প্রভাব চলছে। অন্যদিকে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। হিটলারের জার্মান বাহিনী ফরাসি বাহিনীকে পরাজিত করে ফেলেছে। দেশে ও দেশের বাইরে তখন অস্থির সময়। যুক্তরাষ্ট্রের রীতি অনুযায়ী তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিয়ম ছিল না। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা রীতি ভেঙে তৃতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দরজা খুলে দিয়েছিল রুজভেল্টের জন্য। আমেরিকার জনগণের বড় অংশ বিশ্বাস করেছিল, অস্থিতিশীল ওই পরিস্থিতির সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রুজভেল্টই পারবেন দেশে ও দেশের বাইরে স্থিতিশীলতা ফেরাতে। যদিও তাঁর ওই সিদ্ধান্তে দলের ভিতরেই অনেকে অসন্তুষ্ট ছিলেন। রিপাবলিকান পার্টি থেকে তাঁর তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিরুদ্ধে চরম আপত্তি তোলা হয়েছিল। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি ছিল, রিপাবলিকান প্রার্থী ওয়েন্ডল উইলকি যোগ্য প্রার্থীই নন। তারা উইলকিকে তৃতীয় শ্রেণির প্রার্থী বলে অভিহিত করেছিলেন।

নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিকে রুজভেল্ট জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ইউরোপের যুদ্ধ থেকে আমেরিকাকে তিনি বাইরে রাখবেন। জনগণ তাঁর ওই প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে তাঁকে ভোট দিয়েছিল। তৃতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েন রুজভেল্ট।

রুজভেল্ট তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন। তিনি আমেরিকাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে সরিয়েই রেখেছিলেন। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে দেননি। কিন্তু সেই বৈরী সময়ে খুব বেশি দিন তিনি এই প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে পারেননি। ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে আক্রমণ করে জাপান। যুদ্ধে জাপান জার্মানির পক্ষ নিয়েছিল। হঠাৎ আক্রমণের শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্র্র। হঠাৎ এই আক্রমণে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র্র। তবে তাদের বিহ্বলতার ঘোর সহজেই কেটে গিয়েছিল। পার্ল হারবার আক্রান্ত হওয়ার পরদিন জাতীয় বেতারে এক ভাষণে রুজভেল্ট দিনটি ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধে অংশ নিতে ১ কোটি ৬০ লাখ আমেরিকান পুরুষকে জড়ো করা হয়। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ৫ হাজার প্রাণ হারান। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও নৌবাহিনীর প্রধান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব চমৎকারভাবে পালন করেছেন রুজভেল্ট। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা জোসেফ স্তালিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তুলেছিলেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র্র প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র এবং যুদ্ধসরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল। অ্যাডলফ হিটলারের জার্মানিকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যুক্তরাষ্ট্র্র। সে সময় এক ভাষণে রুজভেল্ট বলেছিলেন, বাক্স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, ইচ্ছার স্বাধীনতা ও ভয় থেকে মুক্তির জন্য তিনি এই যুদ্ধকে বেছে নিয়েছেন।

১৯৪৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বাদশ বছরে পা রাখেন রুজভেল্ট। সামনে আরও একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রুজভেল্টের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধে অক্ষশক্তিকে শুধু হারালেই হবে না; যুদ্ধের পর দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে হবে। সেজন্য সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অন্য মিত্রদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে হবে। রুজভেল্ট সব পদক্ষেপই নিয়েছিলেন।

দিনরাত পরিশ্রম করছেন রুজভেল্ট। নিজের শরীরের দিকে কোনো খেয়াল নেই। তাঁর শরীর দ্রুত খারাপ হচ্ছিল। কিন্তু রুজভেল্ট তখন থামতে ভুলে গিয়েছিলেন। ক্ষমতার নেশায় পেয়ে বসেছিল তাঁকে। চিকিৎসকরা সতর্কবাণী দিচ্ছিলেন। রুজভেল্ট সেসব সতর্কবাণী উপেক্ষা করে দুর্বল শরীরেই দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। শুধু স্বাস্থ্য নয়, রুজভেল্ট সেবার তাঁর রানিংমেটও বেছে নেন নিজের পছন্দ অনুযায়ী। তিনি নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ওয়ালেসকে বাদ দিয়ে রানিংমেট হিসেবে বেছে নেন হ্যারি এস ট্রুম্যানকে। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়েও ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। দুর্বল স্বাস্থ্য নিয়েই নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জনগণের সামনে নিজেকে যথেষ্ট সুস্থ দেখাতেও সক্ষম হন। আগের তিনবারের মতো ভোট না পেলেও ঠিকই জিতে যান রুজভেল্ট। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারিতে ইয়াল্টা সম্মেলনে যোগ দিতে যান রুজভেল্ট। ১৪ হাজার মাইলের জার্নি। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ও সোভিয়েত নেতা স্তালিনের সঙ্গে রীতিমতো বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সম্মেলন থেকে ফেরার পরদিন ১ মার্চ কংগ্রেসের সামনে সম্মেলনের প্রতিবেদন দিতে আসেন। সেদিন ১২ বছরের প্রেসিডেন্ট জীবনে প্রথমবারের মতো হুইলচেয়ারে জনসমক্ষে আসেন রুজভেল্ট, হুইলচেয়ারে বসেই ভাষণ দেন।

মার্চের শেষ দিকে অবকাশযাপনে ওয়াশিংটন থেকে জর্জিয়া যান রুজভেল্ট। সেখানেই ১২ এপ্রিল ১৯৪৫ মারা যান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ৮২ দিন পর তাঁর মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। এলিনূর ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল মেয়াদে সবচেয়ে দীর্ঘদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান তাঁকে বিশ্বের ফার্স্ট লেডিরূপে আখ্যায়িত করেছিলেন। মানবাধিকার বিষয়ে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতেন তিনি। তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও ছিলেন। আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এলিনূর। স্বামীর মৃত্যুর পর এলিনূর লেখকরূপে আবির্ভূত হন। তিনি মানবাধিকার বিষয়ে মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করেন।

সাধারণত আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ব্যক্তির দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়ার রীতি নেই। তবে রুজভেল্ট চারবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই একই ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টি আইনে পরিণত করা হয়।

ফ্রাঙ্কলিন ডিলেনো রুজভেল্ট আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে প্রিয় ও প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জাতিসংঘ সৃষ্টিতে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি মহামন্দা থেকে জাতিকে বের করতে পেরেছিলেন প্রবল আশাবাদী মনোভাব এবং কঠোর সংকল্পের কারণে। তিনি ছিলেন বিখ্যাত প্রকৃতিবিদ, উদ্ভাবক এবং রাজনীতিবিদ। র্জিয়ার ওয়ার্ম স্প্রিং এ থাকাকালীন নিজের গাড়ির জন্য এমন একটি যন্ত্রের নকশা করেছিলেন যার মাধ্যমে পায়ের ব্যবহার ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারবেন। এ ছাড়াও একটি স্বয়ংক্রিয় সিগারেট বণ্টনকারী যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন, যাতে উপগ্রহ রেডিও সিস্টেম বসানো ছিল। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টেকে এফডিআর নামেই সবাই ডাকত, সাংবাদিকরা তাঁকে স্ফিংকস নামটা (The Sphinx) দিয়েছিলেন। তাঁর আট ফুট দীর্ঘ কাগজের ভাস্কর্য তৈরি করা হয় ১৯৩৯ সালে, যা এখনো হোয়াইট হাউসে আছে। তাঁর বইয়ের সংগ্রহ ছিল বিশাল। ১৯৪৫ সালে তাঁর মৃত্যুর সময়ে তাঁর সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার। তিনি কলেজে পড়ার সময় থেকেই বই সংগ্রহ করা শুরু করেছিলেন। প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে ও মিউজিয়াম হাউসে তাঁর বইগুলো আছে। তিনি অসামান্য দ্রুত গতিতে বই পড়তে পারতেন- সকালের নাশতার আগেই একটি বই পড়ে শেষ করতেন, তিনি প্রচুর কফি পান করতেন। তিনি ৩৫টি বই ও ১ লাখ ৫০ হাজারটি চিঠি লিখেছিলেন।  

আমেরিকায় দীর্ঘতম সময়ব্যাপী ক্ষমতায় থেকে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন ফ্রাঙ্কলিন ডিলান্ডো রুজভেল্ট। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে তিনি পৃথিবীর কেন্দ্রীয় এক চরিত্রে পরিণত হন। রুজভেল্টের মৃত্যুতে আমেরিকার পতাকা অর্ধনমিত রেখে ৩০ দিন জাতীয় শোক পালন করা হয়। তাঁকে স্প্রিং উড এস্টেটের রোজ গার্ডেনে সমাহিত করা হয়। রুজভেল্টের মৃত্যুর এক মাসের মধ্যে হিটলারের নাৎসি বাহিনী এবং জাপানের পরাশক্তির পরাজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। তাঁর উত্তরসূরি হেরি এস ট্রুম্যান মিত্রশক্তির এ বিজয়কে রুজভেল্টের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ৪৭ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও রাজনীতির ব্যাপারে এক জরিপে ক্ষমতা, দক্ষতা ও জনপ্রিয়তায় ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তালিকায় শীর্ষস্থানে দেখানো হয়। যে তিনটি কারণে তাঁকে শীর্ষে রাখা হয়েছে তা হলো- ১. আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতি, ২. অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় একজন সফল রাষ্ট্র্রনায়ক এবং ৩. পররাষ্ট্র্রনীতির ক্ষেত্রে একজন সুদক্ষ কূটনীতিক। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টকে অনেকে আব্রাহাম লিঙ্কন ও জর্জ ওয়াশিংটনের সঙ্গে একই কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ তিন রাজনীতিবিদ বলে থাকেন। রুজভেল্টের অবদানের মূল্যায়ন করতে গিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল, আজ থেকে শতসহস্র বছর পরও মানুষ হাঁটু গেড়ে ঈশ্বরকে এই বলে ধন্যবাদ দেবে, হোয়াইট হাউসে একদা ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি টানা চারবার ক্ষমতায় বসেছেন। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। আর তিনিই সেই প্রেসিডেন্ট যিনি অবশ পা নিয়ে চার মেয়াদে সুনামের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কতটা মানসিক জোর থাকলে এটা করা যায় ভাবলে অবাক হতে হয়! আমেরিকানরা তাঁদের এই প্রাণপ্রিয় প্রেসিডেন্টের প্রতি অসাধারণ ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়েছে রুজভেল্ট আইল্যান্ডে হুইলচেয়ারে বসা রুজভেল্টের স্ট্যাচু নির্মাণ করে, জুলাই ১৭, ২০২১ তারিখে।

    লেখক : কথাশিল্পী, গবেষক

এই বিভাগের আরও খবর
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
জনশক্তির নতুন বাজার
জনশক্তির নতুন বাজার
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
সর্বশেষ খবর
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা
চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৯ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালী নিয়ে কি ভাবছে ইরান?
হরমুজ প্রণালী নিয়ে কি ভাবছে ইরান?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা
মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ