প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি ভোটাধিকার ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ। জন্মগত এই নাগরিক অধিকার আদায়ে দেশবিদেশে এখনো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসীরা। বিভিন্ন সময় সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইনে প্রবাস থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ কিংবা দেশের কোনো পর্যায়ের নির্বাচনেই অংশগ্রহণের সুযোগ নেই প্রবাসীদের। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের পর আরও তীব্রতর হয় প্রবাসীদের ভোটাধিকারের দাবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দেন প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানের। নির্বাচনব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন এ ব্যাপারে প্রস্তাবনাও পেশ করেছে। কাজ করছে নির্বাচন কমিশনও। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট, জুলাই গণ অভ্যুত্থান দিবসে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা পুনরায় আশ্বাস দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার। প্রবাসীদের ভোটাধিকার একটি জটিল প্রক্রিয়া। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১ কোটি ৩৪ লাখ প্রবাসীকে ভোটাধিকার প্রদানের বিষয়টি সহজ হবে- এমনটি ভাবার কোনো কারণে নেই। অপরদিকে প্রবাসীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা প্রার্থী হওয়ার দাবি নিয়ে কোনো আশ্বাস মেলেনি। সব প্রবাসী ভোটাধিকার পেলেও যেসব প্রবাসী অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, তারা কোনো পর্যায়ের নির্বাচনেই প্রার্থী হতে পারবেন না, বিদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে।
প্রবাসীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব অধিকার : নাগরিক একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম অনুষঙ্গ। সাংবিধানিক বা আইনি মর্যাদায় যিনি অধিবাসী হিসেবেই স্বীকৃত। বাক, ব্যক্তি, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ভোটাধিকারের মতো অনেক মৌলিক সুবিধা ভোগ করে থাকেন একজন নাগরিক। অপরদিকে রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদেরও রয়েছে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। কোনো ব্যক্তির যদি কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব না থাকে তিনি বনে যান রাষ্ট্রহীন। আবার কাউকে বলা হয় বর্ডার ল্যান্ডার, যখন তিনি রাষ্ট্রের সীমানায় বসবাস করেন নাগরিকত্বের পরিচয় ছাড়া। নাগরিকত্ব নির্ধারণে প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই রয়েছে নীতি, বিধান ও মানদণ্ড। জন্মসূত্রে নাগরিক এমন পিতা-মাতার সন্তান সরাসরি সে দেশের নাগরিক বলে বিবেচিত হন। অন্যান্য প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব লাভের জন্য প্রয়োজন শর্তযুক্ত আবেদনপত্র।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬ ধারায় উল্লেখ রয়েছে নাগরিকত্বের বিধান। যা দেশের প্রচলিত নাগরিকত্ব আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইন কার্যত পরিচালিত হয়ে আসছিল পাকিস্তান আমলে গৃহীত ১৯৫১ সালের পুরোনো আইন দ্বারা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে প্রণীত ‘টেম্পরারি সিটিজেনশিপ প্রভিশন্স অর্ডার’ কিছুটা সংশোধন করা হলেও পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব আইন প্রণীত হয়নি। নাগরিকত্ব প্রদান, বাতিল এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব বিষয়-সংবলিত বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন-২০১৬ প্রণীত হয়েছে প্রথমবারের মতো। প্রস্তাবিত নতুন এই আইনটি সে বছরের ১ ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর ভোটিংয়ের জন্য পাঠানো হয় আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। যা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
জীবিকার প্রয়োজনে বিশ্বের ১৮০টিরও অধিক দেশে রয়েছে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশির বসবাস। যারা বছরে দেশে পাঠিয়ে থাকেন প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীরা দেশের আর্থসামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়নের বড় অংশীদার। প্রবাসীদের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগই অস্থায়ীভাবে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে বসবাসরত। বাকি ৩০ শতাংশ বাংলাদেশি স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। দ্বৈত নাগরিকত্বের আওতায় নিশ্চিত করা হয়েছে তাদের অধিকারসমূূহ। এই আইনে জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি একই সঙ্গে দুটি দেশের বিভিন্ন অধিকার ও সুযোগসুবিধা ভোগ করতে পারেন। বিশেষ করে উভয় দেশে বসবাস, কাজ ও পড়াশোনা, আজীবন একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা, নিজ দেশে সম্পত্তির মালিক হওয়া ইত্যাদি। কিন্তু বিদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে রাষ্ট্রপতি, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তারা। বিচারপতিসহ সরকারি, সামরিক-বেসামরিক চাকরি লাভের সুযোগ নেই দ্বৈত নাগরিকত্বধারীদের। বর্তমানে ১০১টি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। মিয়ানমার ও সার্কভুক্ত দেশগুলোতে নেই দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ।
প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইনে প্রবাসীদের অধিকার : দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন বহাল রেখে ২০১৬ সালে তৈরি বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইনে প্রবাসীদের মৌলিক নাগরিক অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন ২০১৬’-এর খসড়া সে বছরই অনুমোদন করে সরকারের মন্ত্রিসভা। যা জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। তবে নাগরিকত্ব আইনের খসড়ার বেশ কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি ওঠায় এটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ এ আইনের খসড়া যে অবস্থায় আছে তা হুবহু কার্যকর হলে প্রবাসীরা তাদের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার হারাবেন। সংকুচিত হয়ে যাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের প্রবাসীদের বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ। এ আইনের কিছু ধারা কিছু মানুষকে রাষ্ট্রহীন করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে এগুলো সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার পরিপন্থি। খসড়া আইনে বিধৃত হয়েছে কোনো ব্যক্তির বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ, নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা, অযোগ্যতা, নাগরিকত্ব বাতিল ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো। দেশবাসীকে এ সম্পর্কে কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার আগে। মন্ত্রিসভা খসড়াটির অনুমোদন দেওয়ার পরই এ নিয়ে ভাবার সুযোগ পেয়েছেন প্রবাসীরা। খসড়া আইনের ৪ ধারায় জন্মসূত্রে অর্জিত নাগরিকত্বের শর্তাবলি বিবৃত হয়েছে। অন্যদিকে ধারা : ৫ (বংশসূত্রে নাগরিকত্ব), ধারা : ৬ (প্রবাসীদের নাগরিকত্ব), ধারা : ৮ (দ্বৈত নাগরিকত্ব), ধারা : ৯ (সম্মানসূচক নাগরিকত্ব), ধারা : ১০ (দেশীয়করণ সূত্রে নাগরিকত্ব), ধারা : ১১ (বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব) এবং ধারা : ১২-তে (ভূখণ্ড সংযোজন সূত্রে নাগরিকত্ব) ইচ্ছাসূত্রে নাগরিক হওয়ার বিধান রয়েছে। ৬ ধারা অনুযায়ী, ‘বিদেশে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে সরকারের নিকট তাহার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করিতে পারিবেন, যদি তাঁহার পিতা বা মাতা বা পিতামহ বা মাতামহ তিনি বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের পূর্বে বাংলাদেশের নাগরিক হইয়া থাকেন।’ অর্থাৎ খসড়া আইনটিতে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিভাজন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের ধারা : ৭-এর ২ উপধারা অনুযায়ী ধারা : ৬-এর আওতায় নাগরিকত্ব লাভকারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার হারাবেন।
যেমন জাতীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ প্রজাতন্ত্রের কোনো দায়িত্বে নিয়োগ লাভ, স্থানীয় সরকারসহ যে কোনো পদে নির্বাচন এবং কোনো রাজনৈতিক সংগঠন করা। ধারা : ৮-এর ১ উপধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, জাতীয় সংসদের সদস্য অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীতে বা প্রজাতন্ত্রের অসামরিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি তার দায়িত্বে বা পদে নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না। এ আইনের খসড়া বিশ্লেষণ করে আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এই আইন প্রবাসের তৃতীয়, চতুর্থ প্রজন্মকে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেবে। একই সঙ্গে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকবে তারা সরকারি চাকরি, সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করাসহ সরকারি নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এ ছাড়া দ্বৈত নাগরিকত্ব, বংশসূত্রে ও সম্মানসূচক নাগরিকত্বসহ বৈবাহিক সূত্রে যারা নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন তারা বিভিন্ন সাংবিধানিক অধিকার হারাবেন। যা বৈষম্যমূলক এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। ধারা : ৫-এর ২(ক) উপধারায় বলা হয়েছে, বংশসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য জন্মের দুই বছর বা আইনটি বলবৎ হওয়ার দুই বছরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জন্মনিবন্ধন করতে হবে। ফলে দুই বছরের মধ্যে জন্মনিবন্ধনে ব্যর্থ হওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রবাসীরা বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এর ফলে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিরাট অংশই তৃতীয় প্রজন্মের। এই আইন কার্যকর হলে তাঁরা বংশসূত্রে নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। এতে অনেকেই আর আগ্রহী হবেন না বাংলাদেশে যেতে ও সেখানে বিনিয়োগ করতে। আইনের ধারা : ৫ ও ১৩-এর মাধ্যমে প্রবাসীদের মূলত গণ্য করা হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে। আইনের ৪(২) উপধারায় বলা হয়েছে, কারও পিতা বা মাতা বিদেশি শত্রু হলে তিনি জন্মসূত্রেও নাগরিক হতে পারবেন না।
প্রবাসীদের ভোটিংয়ের প্রস্তাবিত ব্যবস্থা : অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবেও উত্থাপিত হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি। বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত করা এবং এনআইডি ডেটাবেসের আওতায় আনা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। তারপরও নির্বাচন কমিশন সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে। প্রবাসী ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা মোটা দাগে চারটি পদ্ধতিতে নিজ দেশের নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। উপায় চারটি হলো ১. ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে ২. পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ৩. প্রক্সি ভোট এবং ৪. ইলেকট্রনিক বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোট প্রদান। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রস্তাবিত চারটি পদ্ধতি নিয়েই রয়েছে বড় ধরনের জটিলতা। পোস্টাল ভোটিংব্যবস্থার একটি প্রধান বাধা হলো তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী নিবন্ধিত ভোটার নন এবং তারা তালিকাভুক্ত নন এনআইডি সার্ভারে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি ট্রায়াল শুরু করেছে। যাতে অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশি প্রবাসীদের নির্বাচনি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার।
দেশগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, জর্ডান, সিঙ্গাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ ও কানাডা। তবে নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কেবল সাতটি দেশে আংশিকভাবে ট্রায়ালটি পরিচালিত হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত ও কাতার। এই সাতটি দেশে মোট ৩৪ হাজার ৭৪৮ জন প্রবাসী তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন, যার মধ্যে ১৩ হাজার ১৮২ জনকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার শতভাগ নিশ্চিত করার বিষয়টি হয়তো বা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সম্ভব হবে না। তবে সহজ পদ্ধতিতে বাছাই করে ভোটার নিবন্ধন দ্রুততর করতে হবে। দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান না থাকলেও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে একাধিক আইনি প্রক্রিয়ায়। প্রস্তাবিত বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন-২০১৬, সংশোধন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।
লেখক : সম্পাদক, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ, নিউইয়র্ক