‘অতীতের অভিজ্ঞতা তাঁকে করেছে আরও সতর্ক, আরও অটল। শৃঙ্খলা, ঐক্য ও আদর্শের ভিত্তিতে তিনি যে পথরেখা আঁকছেন, তা হবে আগামী দিনের বিএনপির শক্তি ও জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের মাইলফলক।’
বাংলাদেশের রাজনীতির স্রোতধারায় এমন কিছু নাম বহমান। যে নামগুলো- শুধু ব্যক্তি নয়, একটি যুগের প্রতীক, সংগ্রামের প্রতীক, আর জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেমনি অন্যতম একটি নাম তারেক রহমান। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তিনি। দশকের পর দশক ধরে রাজনৈতিক পদচারণ এবং কঠোর পরিশ্রম ও সংগ্রামী নেতৃত্বের গুণাবলি দিয়ে লাখো কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তারেক রহমান।
ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারে তারেক রহমানের জন্ম। পিতা- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। মা- বেগম খালেদা জিয়া, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন। তারেক রহমান জন্ম থেকেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও রাষ্ট্র পরিচালনার সরাসরি সাক্ষী ছিলেন। তিনি দেখেছেন- কীভাবে দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান বিপর্যস্ত দেশকে নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়েছেন।
তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে শিক্ষাজীবনের সূচনা করেন তিনি। সেখান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ব্যবসায়িক জগতে প্রবেশ করেন। ইতোমধ্যে তারেক রহমান লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্র নিয়ে লেখাপড়া শেষ করেছেন।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তারেক রহমান। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে মায়ের পাশে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের কৌশল ও দূরদর্শিতার ফলেই বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। তখনই অনেকে বলেছিলেন, ‘তারেক রহমানের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমানের ছায়া স্পষ্ট।’
২০০২ সালে তারেক রহমান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করেন। দেশব্যাপী জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মতো সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় ও তৃণমূলে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দলের ভিতরে নতুন ধারার সূচনা করেন।
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দেশ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যায়। বাংলাদেশ হয়ে ওঠে ‘ইমার্জিং টাইগার’। এই উন্নতি উদ্বিগ্ন করে তোলে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তিকে। ফলে দেশীয় কিছু রাজনৈতিক দালাল, ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী ও কিছু মিডিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ করে বিএনপি ও বিশেষ করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাতে শুরু করে।
২০০২ সালে তারেক রহমান সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে বিএনপিকে পুনর্গঠিত করতে শুরু করলে বিরোধী শক্তি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ষড়যন্ত্রকারীরা বিদেশি স্বার্থের প্ররোচনায় সেনাপ্রধান মইনউদ্দিন আহমদ এক অঘোষিত অভ্যুত্থান সংঘটিত করেন। অভ্যুত্থানের ফলে গঠিত হয় ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের বেসামরিক ছদ্মবেশে সামরিক সরকার। এরপর প্রথম টার্গেট নির্ধারিত হয়- বিএনপি ও তারেক রহমান।
এর অংশ হিসেবে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোররাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ নেতা, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানকে কোনো মামলা, অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর, ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন সরকারের তৈরি মিথ্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানকে রিমান্ডে নিলে শুরু হয় নৃশংস নির্যাতন।
অন্যদিকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক সাজানো মামলা, শতাধিক ফৌজদারি ও দুর্নীতির অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো দেশে-বিদেশে তল্লাশি চালালেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবু অপপ্রচারের ঢেউ থেমে থাকেনি। ‘হাওয়া ভবনের দুর্নীতি’, ‘হাজার কোটি টাকা পাচার’, ‘জঙ্গি মদতদাতা’- এসব মিথ্যাচার চালিয়ে চরিত্র হননের নোংরা খেলা খেলেছে বেসামরিক মোড়কে সামরিক সরকার এবং পরে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার।
ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের বেসামরিক ছদ্মবেশে সামরিক সরকার শুধু তারেক রহমানকেই নয়, মিথ্যা মামলায় তাঁর মা- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকেও কারাগারে পাঠিয়েছিল। কোকো ছিলেন অরাজনৈতিক, নিরীহ ও সরল প্রকৃতির। রাজনীতির সঙ্গে কখনো নিজেকে জড়াননি; তা সত্ত্বেও কোকো সেনাসমর্থিত সরকার ও সরকারের মিডিয়ার ষড়যন্ত্রের শিকার হন। অবশেষে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনের নিঃসঙ্গ কষ্টে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিজের দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার গৌরবটুকুও তিনি অর্জন করতে পারেননি কায়েমি স্বার্থবাদী মহলের কারণে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে ঢাকায় ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ দমন-পীড়নের প্রহরী প্রায়-কারফিউ পরিস্থিতিতেও তাঁর নামাজে জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাজার পর সর্বোচ্চ জনসমাগম কোকোর জানাজায় হয়েছিল। এমন দৃশ্যই প্রমাণ করেছিল- জিয়া পরিবারের রক্তধারাকে এ দেশের মানুষ হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে।
জনরোষে ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা সরকারও পূর্ববর্তী ১/১১-এর সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারেক রহমানকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সম্পূর্ণরূপে সরাতে সচেষ্ট ছিল। এমনকি আদালতের মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রচার পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়, যেন তাঁর কণ্ঠস্বরও এ মাটিতে পৌঁছাতে না পারে।
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির ঐতিহাসিক বিজয়ের মূল কারিগর ছিলেন তারেক রহমান। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও দূরদর্শিতা ছিল- আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ভয়; কারণ তারা জানত- তারেক রহমান থাকলে আগামী দিনের রাজনীতি তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেও দেশের রাজনীতি থেকে তিনি কখনো সরে যাননি। গত ১৭ বছর ধরে তিনি শুধু বিএনপিকে টিকিয়েই রাখেননি, দলকে শক্তিশালীও করেছেন। নানা ষড়যন্ত্রের মাঝেও আজ অবধি দলকে একীভূত রাখতে পারাই এর বড় প্রমাণ।
২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানে তারেক রহমান রেখেছেন অনন্য অবদান। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের অমানবিক ও ফ্যাসিস্ট শাসনকাল ছিল- এক গভীর অন্ধকার, ভয়ের আর শ্বাসরুদ্ধ সময়। সেই দমবন্ধ অমানিশায়, প্রবাসে থেকেও তারেক রহমান হয়ে উঠেছিলেন- এক আলোর প্রদীপ, প্রতিরোধের মশাল। ২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানে তাঁর সেই অসামান্য ভূমিকাই আন্দোলনকে পৌঁছে দিয়েছিল বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।
লন্ডনের নির্বাসন থেকে দিনরাত নির্ঘুম জেগে তিনি পাঠিয়েছেন দিকনির্দেশনা, সাহস ও সংগ্রামের ডাক। প্রতিটি বক্তব্য যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের অগণিত তরুণের মধ্যে। যখন সরকার দমন-পীড়নের ঝড় বইয়ে দিচ্ছিল, তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন- ‘অধিকার আদায়ের লড়াই থামানো যাবে না।’ সেই কণ্ঠে ভেসে আসছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অদম্য সাহসের প্রতিধ্বনি, যা ছাত্র-জনতার বুকের গভীরে অটল বিশ্বাস জাগিয়েছিল- জয় আসবেই।
‘বাংলা ব্লকেড’, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, সর্বাত্মক অসহযোগ- প্রতিটি কর্মসূচির নেপথ্যে ছিলেন তারেক রহমান। নীরব অথচ শক্ত হাতে দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন আন্দোলনের মেরুদণ্ড। বিপ্লবের আগুনে তাঁর আহ্বান ছিল জ্বালানি, বক্তব্য ছিল অনুপ্রেরণার অগ্নিশিখা।
তারেক রহমানের ভূমিকা তাই শুধু একটি আন্দোলনকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার গল্প নয়; এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের হৃদয়ে এক অপ্রতিরোধ্য বিশ্বাসের প্রতীক। ইতিহাসের পাতায় ২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থান চিরকাল লিপিবদ্ধ থাকবে- দেশনায়ক তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব, অবিচল সাহস এবং অসামান্য অবদানের উজ্জ্বল সাক্ষ্য হিসেবে।
চব্বিশের ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক বিজয়ের পরও তারেক রহমান দেখিয়েছেন অসাধারণ দূরদর্শিতা। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর প্রায় প্রতিটি বক্তব্যে তুলে ধরছেন আসন্ন নির্বাচনের গুরুত্ব, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এবং জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা। কখনো সতর্কবার্তা, কখনো আশা-আকাক্সক্ষা। সব মিলিয়ে তিনি একদিকে যেমন দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন, অন্যদিকে জনগণকে সতর্ক করছেন ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে।
দলের ভিতরে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেলেই অভিযুক্তকে বহিষ্কার করেছেন বরং দায় গ্রহণ করে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থাটুকু নিশ্চিত করছেন। জনতার চোখে তারেক রহমান এখন কেবল রাজনীতির নেতা নন; তিনি হয়ে উঠেছেন শান্তির রক্ষাকবচ। রাজনীতির সীমার বাইরে তারেক রহমানের মানবিকতার চিত্রও প্রশংসনীয়। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া, অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তা- এসব কাজে তিনি নীরবে অবদান রেখে চলেছেন। দলের প্রত্যেক কর্মী জানেন- বিপদ ও দুঃসময়ে তিনি ছায়ার মতো পাশে দাঁড়ান।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ একটি মানবিক সংগঠন, যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি কেবল ক্ষমতার প্রতিযোগিতা নয়- এটি মানুষের সেবার মাধ্যম। তাই দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনার যে-কোনো মুহূর্তে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তারেক রহমান গণতন্ত্র ও রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে জনগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। বারবার বলেছেন, ক্ষমতায় ওঠাই নয়, দায়িত্বশীল ও ন্যায্য রাষ্ট্র পরিচালনাই তাঁর লক্ষ্য।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের রাজনীতির কেন্দ্রীয় নেতায় পরিণত হন তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতার পথ বেছে নিয়ে নির্বাচন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারেক রহমান অচিরেই তিনি দেশে ফিরবেন। তাঁর এবারের প্রত্যাবর্তন হবে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার ফিরে আসা নয়, বরং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক নেতৃত্বের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। অতীতের অভিজ্ঞতা তাঁকে করেছে আরও সতর্ক, আরও অটল। তিনি আর কাউকে দলের ভাবমূর্তি নিয়ে খেলতে দেবেন না, আর কাউকে ব্যক্তিস্বার্থে বিএনপির মহৎ লক্ষ্যকে ক্ষুণ্ন করতে দেবেন না। শৃঙ্খলা, ঐক্য এবং আদর্শের ভিত্তিতে তিনি যে পথরেখা আঁকছেন, তা হবে আগামী দিনের বিএনপির শক্তি ও জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের মাইলফলক।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, আহ্বায়ক, আমরা বিএনপি পরিবার ও সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল