ডাকসু নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। এটা বিজয়ী প্যানেলের পোশাকি নাম। আসলে ছাত্রশিবির। সবাই জানে। ছাত্রদলের প্যানেল আর ছাত্রশিবিরের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এমনটাই বলাবলি করছিল সবাই। সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সমাজমাধ্যম- সবখানে একই অনুমান। পক্ষেবিপক্ষে ধুন্ধুমার প্রচারণা চলছিল ফেসবুকে। গুজবগুঞ্জনও বেশ উপভোগ করেছেন নেটিজেনরা। দেশে ও বিদেশে কোটি কোটি বাংলাদেশির মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল ডাকসুর ভোট। প্রত্যন্ত পল্লির চায়ের টং দোকানেও পৌঁছে গিয়েছিলা ডাকসু। বাংলাদেশের ইতিহাসে ডাকসুর ইলেকশন আর কখনোই মানুষকে অতটা আন্দোলিত করেনি। এবার করেছে। কারণ জাতীয় রাজনীতির গতিমুখ কোনদিকে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সেই মুখটা কোনদিকে, সেটা বোঝার জন্য মানুষ তাকিয়ে ছিল ডাকসুর দিকে।
জাতীয় নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার বদ্ধপরিকর। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নির্বাচনমুখী অবস্থানের মধ্যে কোনো ‘কিন্তু’ নেই। পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও সমগোত্রীয় দলগুলোর অবস্থান ইলেকশন প্রশ্নে ‘কিন্তু’ ও ‘যদি’ পরিকীর্ণ। তাদের পূর্বশর্ত মানলে ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো অসুবিধা নেই। না মানলে নো। তবু গণতন্ত্রকামী মানুষ আশা করছে যে শেষ পর্যন্ত আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছা যাবে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
এবারের ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটা অ্যাসিড টেস্ট হয়ে গেল। তবে এ টেস্টের মাধ্যমে অনেক মেসেজ পাওয়া গেছে। চলমান রাজনীতি সময়ের দাবি কতটা পূরণ করতে পারছে, মানুষের মনে কোন রাজনীতির জায়গা কতটা, তা-ও বুঝতে পারা যাবে, ডাকসু যে বার্তাগুলো দিয়ে গেছে, তা যদি ঠিকমতো অনুধাবন করা যায়। সুষ্ঠু ইলেকশন ও গণতান্ত্রিক বিকাশের পথে যেসব সূক্ষ্ম বাধা রয়েছে, তারও তালাশ রয়েছে ডাকসু ইলেকশনের অকল্পনীয় ফলাফলের মধ্যে। এ ইলেকশনে দুটো প্যানেলের মধ্যে নেক টু নেক কনটেস্ট হবে, এমনই মনে করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, যারাই পাস করুক খুব বেশি ভোটের ব্যবধান হবে না। ডাকসু ইলেকশনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারাও ছাত্রশিবিরের জন্য ছিল খুব কঠিন একটা টাস্ক। কেননা গত ৫৪ বছরের মধ্যে ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। এরশাদ জমানা থেকে শুরু করে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী জাতীয় রাজনীতিতে দৃষ্টিগ্রাহ্য একটা অবস্থান তৈরি করতে পারলেও শিবির ভালো অবস্থানে ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবির খুব একটা প্রকাশ্যে আসতে পারেনি। রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে থাকতে হয়েছে। শিবিরের পরিচয় জানাজানি হয়ে গেলে বা সন্দেহ হলেও সহপাঠীদের হাতে নির্যাতিত হতে হয়েছে অনেককে, যদিও ঢাকার বাইরে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটি শক্ত অবস্থানে ছিল। এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদেও কয়েকবার শিবিরের প্রাধান্য ছিল। সঙ্গে ছিল সন্ত্রাসের অভিযোগও।
রগকাটা শিবির- এরকম একটা দুর্নাম হয়ে গিয়েছিল। আশি ও নব্বই দশকে সেই সময়ের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক সাময়িকী ‘বিচিত্রা’ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে স্বাধীনতাবিরোধী ভয়ংকর ও নির্দয় সংঘশক্তি হিসেবে চিত্রিত করতে বিরাট ভূমিকা পালন করে। কিছুদিন পরপর তারা দাঁতাল কার্টুনচিত্রসহ জামায়াতকে নিয়ে কভার স্টোরি করেছে। তখন থেকেই ছাত্রশিবিরের একটা নেগেটিভ ইমেজ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ঢাবি ক্যাম্পাসে এদের শক্ত পায়ে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না।
ওরকম বৈরী পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংসদের নির্বাচনে চমকে দেওয়া ফল পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু কেন এবং কীভাবে এমন হলো? জাতীয় রাজনীতিতেই বা ইমপ্যাক্ট পড়বে কতটা? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ডাকসু রাজনীতিতে শক্তিশালী প্রভাবকের কাজ করে। বিশেষ করে আন্দোলন-সংগ্রামের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে আমরা ডাকসুকে নিশান বরদারের ভূমিকায় দেখেছি। উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ ও স্বাধীন বাংলার আন্দোলনে ডাকসুর নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদই ছিল মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের সোনালি মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ স ম আবদুর রব। পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের আয়োজনেও ছিল ডাকসু। ১৯৮৩ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল ডাকসু। নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানেও ডাকসু পালন করে ঐতিহাসিক ভূমিকা।
কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে অতীতে আলাদা করে ডাকসুর বিশেষ কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। ১৯৭২ সালের ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও মাহবুব জামানের নেতৃত্বাধীন পরিষদ বিপুল ভোটে বিজয়ের পর প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে ছাত্র ইউনিয়ন জয় পেয়েছিল। এমনকি কলেজগুলোতেও। কিন্তু ১৯৭৩ সালে সাধারণ নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়নের প্যারেন্ট অরগানাইজেশন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও ভ্রাতৃপ্রতিম মোজাফফর ন্যাপ খুব একটা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি। বেশির ভাগ আসনে কুঁড়েঘর মার্কা নিয়ে ন্যাপ দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও ভোটের ব্যবধান ছিল অনেক বেশি। হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলতে যা বোঝায় তা হয়নি। মান্না ও আখতার যখন ভিপি-জিএস, তখনো তাঁদের মূল দলের অবস্থা মোটেও ভালো ছিলও না।
তবে অতীতে যা-ই ঘটে থাকুক না কেন, এবারের ডাকসুর ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে কোনো ছায়াপাত করবে না, তেমনটি নিশ্চিত করে বলা যায় না। এই কলামটি যখন লেখা হচ্ছে তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভোট গ্রহণ চলছে। এখানেও পোশাকি প্যানেলের আড়ালে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রে রয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। পাঠক যখন লেখাটি পড়ছেন তখন ইলেকশনের ফল হয়তো জেনে গেছেন। এক্ষণে আমরা ডাকসুর নির্বাচনের রেজাল্ট কেন এমন হলো, সেটা বুঝবার চেষ্টা করব। ইলেকশনের দিন বিকাল থেকেই অভিযোগ উঠে যে ডাকসুর ভোটে ম্যানিপুলেশন হচ্ছে। ভাইস চ্যান্সেলর ও কোনো কোনো নির্বাচনি কর্মকর্তার নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যদিও ছাত্রদল শেষ পর্যন্ত ব্যালটের রায় মেনে নিয়েছে। এর আগে ম্যানিপুলেশনের দুয়েকটি প্রামাণ্য ঘটনাও সামনে আনা হয়েছে। তবে বাস্তবে কী ঘটেছে নিরপেক্ষ অনুসন্ধান ছাড়া বলা মুশকিল। আরেকটা অভিযোগ দেখলাম সামাজিক মাধ্যমে। অন্তত একজন সাংবাদিক দাবি করেন যে ডাকসু নির্বাচনে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি টাকা ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভোট কেনার ইঙ্গিত রয়েছে। ছাত্রশিবির বা তার সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত একটি কোচিং সেন্টারে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের নাম করে ডাকসুর ভোটারদের অনেককে ডেকে নিয়ে নাকি উপঢৌকন দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগ খুব গুরুত্ব পাওয়ার মতো বোধ হয় নয়। তবে এর কিয়দংশও যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে সেটা হবে অ্যালার্মিং। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভোটারদের ডিগনিটি ও ইন্টিগ্রিটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জাতীয় নির্বাচনে তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি এলাকা, যেখানে সবাই শিক্ষিত; কমপক্ষে এইচএসসি পাস। এবং তারা গড়পড়তার তুলনায় বেশি মেধাবী বলে পরীক্ষিত। তারাই যদি টাকায় ভোট বিক্রি করেন, তাহলে তো আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এ অভিযোগটি কিছুতেই সত্য না হোক, মনেপ্রাণে সেটাই চাই।
এ তো গেল একটা দিক। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে টাকা দিয়ে ভোট কেনা নতুন নয়। স্থানীয় ইলেকশনে এরূপ চর্চার অনেক অভিযোগ রয়েছে। নিরক্ষর ও লোভী মানুষের কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে নিজের ভোট বিক্রি করে দেন। এ জন্য দায়ী তাদের দারিদ্র্য, লোভ ও অশিক্ষা। এটা সংশোধনযোগ্য। কেউ ভোট কিনতে না এলে নিরক্ষর ভোটার ফেরি করে ভোট বেচতে যাবে না। সমস্যা হলো যে প্রার্থী বা যে দল ভোট কেনার চর্চা করে, তারা অধঃপতিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারকবাহক। জুলাই অভ্যুত্থানের পর নতুন পরিস্থিতিতেও ভোট কেনার সংস্কৃতি যদি জারি থাকে তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে এরূপ জঘন্য চর্চা যাতে না হতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এ ধরনের অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে আইনি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে হবে।
বলা হচ্ছে, ডাকসু ইলেকশনে ছাত্রলীগের সমর্থকরা প্রায় সবাই এবার শিবির প্যানেলে ভোট দিয়েছেন! এটা কি করে সম্ভব? যাদের রাজনৈতিক স্লোগান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, তারা কী করে ছাত্রশিবিরকে সমর্থন দিতে পারে? মন্দের ভালো হিসেবে ছাত্রদলের পক্ষে থাকাই তাদের জন্য স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু উল্টো ঘটনা ঘটল। কেন? তাহলে কি আস্থার সংকট রয়েছে? জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বা প্যারেন্ট অরগানাইজেশন বিএনপিকে কি তারা জামায়াতে ইসলামীর চেয়ে বেশি বিপজ্জনক মনে করে? বিষয়টি বিএনপির পর্যালোচনা করা উচিত। আওয়ামী লীগ মনোভাবাপন্ন কিন্তু অ্যাকটিভিস্ট নন, মিছিলে-সেøাগানে নেই, এমন ভোটারের সংখ্যা দেশে নেহাত কম নেই। এদের মনের ভিতর থেকে টেনেহিঁচড়ে ভাব বের করে স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে শত্রু বানাবেন, আরেক পক্ষ গোপনে যখন ভাই বলে তাদের বুকে টেনে নেবে, তখন আপনি ঠকে যাবেন। আপনার ‘আছে ভোট’ নাই হয়ে যাবে। এবারের ডাকসু নির্বাচনে এরকম কিছুও ঘটে থাকতে পারে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে ইস্যুটি হ্যান্ডেল করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। মনে রাখা দরকার আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তারা অপরাধী। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, গণহত্যা বা ক্ষমতার অপব্যবহার বা প্রতিপক্ষ দলনের, তারা আর সাইলেন্ট সমর্থকদের একপাল্লায় মাপলে হবে না। বিএনপির ৩১ দফায় রিকনসিলিয়েশনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রায়োগিক ক্ষেত্রেও এ নীতির চর্চা দরকার। এ ক্ষেত্রে দলের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। ভোটারসাধারণের কাছে যাতে ভুলবার্তা না পৌঁছায়, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া কর্তব্য।
ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে বলছেন, ঢাবি ছাত্রশিবিরের নিবন্ধিত সদস্যসংখ্যা তিন-চার হাজারের বেশি নেই। তাহলে বাকি দশ-বারো হাজার ভোট কোত্থেকে এলো। এরা আসলে সাইলেন্ট ভোটার। এই নীরব ভোটারদের একটা অংশ অতীতে ছাত্রলীগকে সমর্থন করত। কিন্তু কট্টর নয়। এই নীরব শ্রেণিটি পুরোপুরি শহুরে নয়। এদের শিকড় গ্রামে। গ্রামাঞ্চলে কারা চাঁদাবাজি করে, বিচার-সালিশের নামে জুলুম করে, কারা স্কুল-কলেজে গিয়ে তাফালিং করে, বালুমহাল, রিকশা স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে নিয়ে চান্দাবাজি করে, যাকেতাকে স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে চান্দাবাজির ধান্ধা করে, সে খবরও তাদের জানা। তারা হয়তো তারই জবাব দিয়েছে ডাকসুর ভোটে। এ কথা বলছি না যে, চান্দাবাজি শুধু বিএনপির একশ্রেণির নেতা-কর্মীই করেন। এ কাজ কমবেশি সব দলের একশ্রেণির লোকে করে বৈকি।
শোনা যায়, মিলেমিশে করে। কিন্তু সামনে দেয় বিএনপিকে। বিএনপির এ শ্রেণির নেতা-কর্মীরা মনে করে যে এখন তারাই সবচেয়ে ক্ষমতাশালী। কাজেই এরা কোমর বেঁধে সবার আগে যায়। এই প্রকারে এরা ক্ষতি করছে দলের। ডাকসু নির্বাচন মনে হয়, সেই বার্তাটাই দিয়ে গেল। কাজেই সাধু সাবধান।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক