উপদ্রুত উপত্যকায় অবশেষে শান্তির সুবাতাস বইল। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েল ও হামাস রাজি হওয়ার পর ফিলিস্তিনজুড়ে মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। এমনকি দীর্ঘদিনের শাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তির আভাসে শিশুরাও রাস্তায় নেমে উল্লাস করে। আনন্দে উদ্বেলিত হয় শান্তিপ্রিয় সাধারণ ইসরায়েলিরাও। চুক্তি অনুযায়ী উপত্যকাটিতে সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি বন্দিবিনিময় করবে দুই পক্ষ। সমঝোতার ভিত্তিতে গাজায় নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সেনা তুলে নেবে ইসরায়েল। মিসরের এক পর্যটন শহরে আলোচনার তৃতীয় দিন (বুধবার) যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলে। মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্ক। যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষ রাজি হওয়ার পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘এটি শক্তিশালী, টেকসই ও চিরস্থায়ী শান্তির পথে প্রথম ধাপ।’ ইসরায়েলি সরকার গতকাল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা ঘোষণার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা এটা অনুমোদন করল। ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলো। তিন দিনের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। চুক্তি অনুযায়ী জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলও ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেবে। দুই বছর ধরে চলা এ যুদ্ধের অবসানে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। যে যুদ্ধে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং যাদের অধিকাংশই নিরস্ত্র শিশু ও নারী। দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজায় গৃহহীন হয়ে পড়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে বসবাস করছে। চুক্তি কার্যকর হলে খাদ্য ও চিকিৎসাসহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো গাজায় ঢুকতে শুরু করবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে গাজার ফিলিস্তিনিরা। তারপরও শঙ্কা রয়েছে। কারণ বুধবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর বৃহস্পতিবারও গাজায় হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেজন্যই বিশ্বসমাজকে ইসরায়েলের ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। দেখতে হবে চুক্তির শর্তগুলো সঠিকভাবে মেনে চলছে কি না। ইসরায়েল যেন গাজায় আবার হামলা বা অবরোধ আরোপ না করে, সীমান্ত দিয়ে ত্রাণের পাশাপাশি বাণিজ্যিক পণ্য ও মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ চায় দীর্ঘদিনের আগ্রাসি নৃশংসতায় ধ্বংসপ্রায় এ উপদ্রুত উপত্যকায় সদ্য বইতে শুরু করা শান্তির সুবাতাস যেন স্থায়ী হয়।
শিরোনাম
- যুক্তরাষ্ট্রে বিস্ফোরক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা
- ২০২৫ শান্তিতে নোবেলজয়ী ভেনেজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদোকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
- সরকার ঘোষিত তারিখে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- আলোচনা ছেড়ে অভিনয়ে মিষ্টি জান্নাত
- তদবিরেও মেলে না ময়নাতদন্ত রিপোর্ট
- চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে ১৩ অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
- নিউজিল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের
- সম্পর্ক জোরদারে কাবুলে ফের দূতাবাস খুলছে ভারত
- রাজধানীতে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ কর্মী আটক
- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মাগুরায় জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- গণভোটে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে : গোলাম পরওয়ার
- আর কোনও স্বৈরাচারকে দেখতে চায় না দেশের মানুষ : আমান উল্লাহ
- কঠিন চীবর একটি ত্যাগের ব্যাপার : আমির খসরু
- কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি
- পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে
- জাতীয়ভাবে টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে জরুরি ৫ প্রশ্নের উত্তর
- স্কোরসেসিকে নিয়ে তথ্যচিত্রে উঠে আসবে অজানা গল্প
- জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বাংলাদেশের বাঁচা–মরার প্রশ্ন : মামুনুল হক
- পাকিস্তান সফরে মাফাকাকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা