বুধবার, ১২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

সব সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি

সব সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি

শোবিজ অঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্ব। এবারের ঈদে তার অভিনীত অনেক নাটক-টেলিফিল্ম প্রচার হয়েছে; কিছু রয়েছে প্রচারের অপেক্ষায়। প্রচারিত নাটকগুলোর মধ্যে কিছু নাটক হয়েছে দর্শক প্রশংসিত। ঈদনাটক ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? ঈদ কেমন কাটল?

জি ভালো আছি। ঈদ তো বরাবরই ভালোই কাটে আমার। ঢাকাতেই ঈদ করেছি।

ছেলে আয়াশ ও স্ত্রীকে নিয়ে ঈদে আনন্দ করেছি। এই তো!

 

ঈদের পরেই তো আবার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন...

হুম! আজ একটি ওয়েব ফিল্মের দ্বিতীয় লটের শুটিং করছি। রুবেল হাসানের ‘রাজকুমার’। আমার সহশিল্পী সাবিলা নূর। জাফরিন সাদিয়ার গল্পে নির্মিত বিগ বাজেটের এ ওয়েব ফিল্মটি একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নির্মিত হচ্ছে। প্রথম লটের শুটিং শেষ হয়েছে এফডিসিসহ বিভিন্ন জায়গায়।

 

এই ওয়েব ফিল্মটির গল্প কি বিষয়কে উপজীব্য করে?

একজন ফিল্মস্টারকে নিয়ে; যার নাম ‘রাজকুমার’।

 

ঈদে তো প্রচুর নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন...

ঈদ উপলক্ষে তো অনেক নাটকেই কাজ করেছি; তবে প্রচার হয়েছে প্রায় ৩১টির মতো। তো অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি বরাবরই ভালো গল্প ও নির্মাণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এই ঈদেও তাই করেছি।

 

সহশিল্পী হিসেবে তানজিন তিশা ও মেহজাবিনের সঙ্গে বেশি কাজ করেছেন মনে হয়। দুজনের মধ্যে কার সঙ্গে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

সবার সঙ্গে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। গল্পের প্রয়োজনে আমাকে বিভিন্ন সহশিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করতে হয়। আমি এ পর্যন্ত যাদের সঙ্গে কাজ করেছি সবাই খুবই কো-অপারেটিভ ছিল। একজন অভিনেতার কাজ তার অভিনয় দিয়ে চরিত্র ও গল্পকে ফুটিয়ে তোলা; সহশিল্পী কোনো ব্যাপার নয়।

 

কয়েক বছর ধরে টিভি থেকে ইউটিউবে দর্শক বেশি নাটক দেখছে। বিষয়টি নিয়ে কোনো পজেটিভ বা নেগেটিভ অভিমত আছে?

পজেটিভ-নেগেটিভ কিছু না। আসলে সময়ের সঙ্গে দর্শকদের দেখার মাধ্যমের পরিবর্তন হবেই। শিল্পী হিসেবে আমি চাই নাটক দর্শক যেকোনো মাধ্যমেই দেখুক। আর চাই প্রচুর মানুষ দেখুক। মাধ্যম কোনো ফ্যাক্ট নয়। আমি শিল্পী; আমার কাজ অভিনয় দিয়ে দর্শককে মুগ্ধ করা। নাটক-টেলিছবি বা ওয়েব ফিল্ম যেকোনো মাধ্যমেই প্রকাশ পায়, সমস্যা নেই।

 

প্রচারিত কোন কাজগুলোর জন্য বেশি সাড়া পেয়েছেন?

ঈদের সব কাজই যত্ন নিয়ে করা। তবে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘দেখা হবে কি? ও ‘২২ শে  এপ্রিল’ ও মোস্তফা কামাল রাজের ‘শিশির-বিন্দু’ কাজটিকে একটু বেশি এগিয়ে রাখতে চাই। নাটকগুলো দর্শক পছন্দ করেছে। এ ছাড়াও তপু খানের ‘কি করে তোকে বলব’ , ইমরাউল রাফাতের ‘টু বি ওয়াইফ’, বিইউ শুভর ‘মেঘের বাড়ী যাবো’, সোহেল আরমানের ‘বেলী ফুলের বিয়ে’, মাহমুদ মাহিনের ‘এভাবেও কি ফিরে আসা যায়?’সহ আরও কিছু নাটক দর্শকের ভালো লেগেছে বলে জেনেছি।

 

নিজের অভিনীত নাটক কি দেখা হয়?

কিছু দেখার চেষ্টা করি। অনেক সময় হয়, কখনো সময় হয়ে ওঠে না। তবে ভুল শুধরে নিতে সব অভিনয় শিল্পীর উচিত নিজের কাজ দেখা।

সর্বশেষ খবর