বছর দশেক আগে `স্বদেশ` নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বলিউডের কিং খান শাহরুখ। সেই ছবিতে তার চরিত্র ছিল মোহন ভার্গব। কল্পনার সেই মোহন ভার্গবের চরিত্রের স্বপ্নকে এবার সফল করল নাসা।
আশুতোষ গায়কোয়াড়ের ছবি স্বদেশে এনআরআই মোহন ভার্গব। নাসার গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্ট প্রকল্পের বিজ্ঞানী। তিনিই পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতের এক অখ্যাত গ্রামে। সেখানে তিনি তুলে ধরেছিলেন বিশ্বজোড়া জল সঙ্কটের সময় গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্ট কোর অবজারভেটারি (জিপিএমও) প্রকল্পের গুরুত্বের কথা। ছবির বাইরেও বিজ্ঞানীরা জিপিএমও নিয়ে বলেছেন একই কথা।
এবার বাস্তবেই পৃথিবীর বৃষ্টি আর তুষারপাতের সম্পর্কে বিস্তারিত হদিশ পেতে মহাকাশে পাড়ি দিল গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্ট কোর অবজারভেটারি। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই নাসার এই প্রকল্প।
জিপিএমও প্রকল্পের সাহায্যে প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর আবহাওয়া সম্পর্কে ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। আরও স্বচ্ছ হবে পূর্বাভাস। বিশেষ করে বৃষ্টি আর তুষারপাত সম্পর্কে। বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। আর এর ফলেই গোটা বিশ্বের জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে নীতি নির্ধারকদের।
তবে এমন উদ্যোগ কিন্তু প্রথম নয়। ১৯৯৭ সালে ট্রপিকাল রেনফল মেজারমেন্ট মিশন শুরু করে নাসা। সেই প্রকল্প এখনও চলছে। এবার উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত নাসার গ্লোবাল প্রেসিপেটরি মেজারমেন্ট অবজারভেটরি। ২০০৬ সালে এই প্রকল্পের কাজ আরম্ভ করে নাসা। স্বদেশ ছবিটি তৈরির অন্তত বছর দুয়েক পর।