কেমন আছেন?
এইতো বেশ আছি। আমার সোনামণি আইজান আছে না। তাকে নিয়ে সারাটা সময় শুধুই ভালো থাকা আমার। তার বর্ণিল আলোর ছটায় আমার চারপাশ আলোকিত হয়ে থাকে। এরচেয়ে বেশি ভালো থাকা আর কী হতে পারে বলুন।
বলেছিলেন শিগগিরই অভিনয়ে ফিরছেন, তা কবে নাগাদ দর্শক আপনাকে পাচ্ছে?
হ্যাঁ অভিনয়েতো ফিরতেই হবে আমাকে। অভিনয় আমার জীবন। অভিনয়ের কারণেই আজ আমি শাবনূর। কিছুদিন আগে বলেছিলাম আবার ফিরছি। কিন্তু মধ্যে সাংসারিক ব্যস্ততায় ফিগার ঠিকমতো মেনটেইন করা হয়নি। আগের যেসব ছবির কাজ অসমাপ্ত রয়েছে সেগুলোতে কাজ করতে গেলে আগের লুক ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে দৃশ্যের কন্টিনিউটি থাকবে না। এখন নিয়মিত জিম করছি। পুরাতন লুকে ফিরতে দু থেকে তিনমাস সময় লেগে যেতে পারে। তাই ম্যঙ্মিাম তিন মাস সময়তো লাগবেই ফিরতে।
তাহলে নিয়মিত অভিনয়ে ফিরছেন?
অফকোর্স, ওই যে বললাম অভিনয় আমার জীবন। অভিনয় আমার রক্তে মিশে আছে। যতদিন বেঁচে থাকব চলচ্চিত্র জগতের বসতভিটাকেই আপন করে নিয়ে বাঁচব। চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করে যাব।
নির্মাতারা কতটা মনে রেখেছে আপনাকে?
আমার প্রতি নির্মাতা আর দর্শকের ভালোবাসায় একটুও ঘাটতি পড়েনি। মনে হয় এখনো সেই ক্যরিয়ারের যাত্রালগ্নে আছি। এখনো সবার ভালোবাসা আর সাড়া সেই একই। প্রচুর অভিনয়ের প্রস্তাব আসে। একটু সময় চাই। ফিগারটা আগের অবস্থানে আসুক আর বাচ্চাটা আরেকটু বড় হোক। তারপর চলচ্চিত্রে নিয়মিত হব।
এখন সময় কাটছে কিভাবে?
ওই যে বললাম আদরের ধন আইজান আছে। তাকে গোসল করাই, খাওয়াই, ওর সঙ্গে খেলাধুলা করি। এভাবেই আইজানকে ঘিরে আমার প্রতিটি মুহূর্ত বড় আনন্দে কেটে যাচ্ছে।
আপনিতো অস্ট্রেলিয়ারও সিটিজেন। আবার ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে?
মোটেও না। গেলেও বেড়ানোর জন্যই যাব। একেবারে থাকার জন্য কখনো নয়। আগে থাকতে হয়েছিল আইজানের টিকার কোর্সসহ অন্যান্য পারিবারিক কারণে। এখন আর ওসবের দরকার নেই। তাই অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়া বা সেখানে দীর্ঘদিন থাকার কোনো ইচ্ছাই আমার আর নেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো নিজের দেশের মতো নিরাপত্তা ও সুখ অন্য কোথাও নেই। নিজের প্রিয় দেশের আলো বাতাসকে শেষ দিন পর্যন্ত জীবনের সঙ্গী করে রাখতে চাই।
আলাউদ্দীন মাজিদ