আপনি তো আইটিআইর সঙ্গে অনেকদিন ধরে সম্পৃক্ত। আইটিআইর কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন-
১৯৪৮ সালে ইউনেস্কোর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট [আইটিআই]। তখন উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাট্যকর্মীদের মাঝে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়। এর লক্ষ্য বিশ্ব শান্তি নিশ্চিতে কাজ করা। প্রতিষ্ঠালগ্নে এ সংগঠনটির সদস্য ছিল মাত্র ১২টি দেশ। বর্তমানে প্রায় ১০০টি দেশের জাতীয় কেন্দ্র রয়েছে।
বাংলাদেশে আইটিআই কী ধরনের কাজ করে থাকে?
প্রতিটি দেশের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আইটিআই কাজ করে থাকে। এতে হচ্ছে কী, আমরা যেমন নিজ দেশের নাট্যচর্চাকে বেগবান করতে পারি, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও একটা যোগাযোগ রাখতে পারি। ১৯৮২ সালে আমরা আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০টি নাট্যোৎসব ও একাধিক সেমিনারের আয়োজন করেছি।
আপনি তো দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চনাটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তো বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের অবস্থা কেমন?
নাটকের দলের তুলনায় আমাদের মঞ্চ একেবারেই কম। যে কারণে অনেক ভালো দল আছে যারা ভালো কাজ করে, কিন্তু অভিনয়ের সুযোগ পায় না। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মনিপুর, উত্তরা, গুলশান, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ তৈরি করা গেলে মঞ্চ নাটকের বিকাশ আরও অনেক বেশি ঘটবে বলেই আমি মনে করি। তবে দল গঠন করার আগে দলগুলো নিজেদের সঠিকভাবে চালানোর মতো শক্তি আছে কিনা, তা আমাদের নির্ণয় করা প্রয়োজন। আমাদের আরেকটি বড় সংকট হলো নাট্যকারের অভাব।
আপনি তো দীর্ঘ প্রায় ৪৩ বছর ধরে মঞ্চ নাটকবিষয়ক পত্রিকা 'থিয়েটার'এর সম্পাদনা করছেন। মঞ্চকে নিয়ে একটি পত্রিকা সম্পাদনার চিন্তা মাথায় এলো কীভাবে?
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেখলাম নাটক নিয়ে আমাদের দেশে কোনো পত্রিকা নেই। বিষয়টি আমাকে খুব ভাবায়। সে চিন্তা থেকেই 'থিয়েটার' পত্রিকাটির প্রকাশনা শুরু।
থিয়েটার থেকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতিপদক দিয়ে আসছেন। এ সম্পর্কে একটু বলবেন কী?
আমরা ১৯৯০ সাল থেকে এ সম্মাননা দিয়ে আসছি। আমরা মনে করছি, মুনীর চৌধুরীর স্মৃতি জাগরূক থাকুক। দেশের প্রতিভাবান নাট্যব্যক্তিত্বদের তাদের পুরো জীবনের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে এ পদক প্রদান করে আসছে।
মোস্তফা মতিহার