বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। আজ বৃহস্পতিবার এক দফা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংহতি ব্যানারে কর্মসূচিও পালন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মজুরী ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষকরা অংশ নিয়েছে। একাত্মতা জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। তাদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে ছাত্র-শিক্ষক সংহতি সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।’
সুজয় বিশ্বাস শুভ আরও বলেন, কাল (শুক্রবার) গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা জেনেছি যে ভর্তি পরীক্ষায় উপাচার্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। তাই উপাচার্যকে কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। এছাড়াও শনিবার ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করা হবে। এরপরে কমপ্লিট শাডডাউন কর্মসূচি শুরু করা হবে।
সংহতি সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের সকল দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয় অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলাম, কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক, উম্মেষ রায়, সঞ্জয় কুমার সরকার, লোক প্রশাসন বিভাগের সিরাজিস সাদিক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ববি শিক্ষক ড. মুহসিন উদ্দিন। এ সময় বক্তব্য দেন ড. হাফিজ আশরাফুল হক এবং উন্মেষ রায়।
শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনকে দমানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা স্বৈরাচারের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের স্বৈরাচারী, অপেশাদার আচরণ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অদক্ষতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় দিনদিন চরম অধঃপতনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবির সাথে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি।’
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলবো শিক্ষার্থীদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন চন্দ্র পাল এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান সহযোগী অধ্যাপক ড. গাজী জহিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন। এর আগে শেরে বাংলা হলের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বাছির ও বিজয়-২৪ হলের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান এবং জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ