প্রকাশ্যে এল বহু প্রতীক্ষিত 'বাহুবলী ২'এর প্রথম রিভিউ। তবে ভারতে নয়, প্রথম রিভিউটি এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।ফিল্ম ও ফ্যাশন সমালোচক উমর সাঁধু টুইটারে ওই রিভিউ পোস্ট করেছেন। এই সিনেমাটিকে 'ফাইভ স্টার' দিয়েছেন তিনি। প্রভাস নাকি তার জীবনের সেরা পারফরম্যান্সটা দিয়েছেন এই সিনেমায়। একইসঙ্গে রানা দাগ্গুবাতি, অানুশকা শেঠি ও তামান্নাও নাকি দারুন অভিনয় করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। তবে ভারতে রিলিজ হচ্ছে শুক্রবার। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা নাকি সিনেমাটি শেষ হতে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালিও দিয়েছেন।
রিভিউয়ে উমর সাঁধু আরও লিখেছেন, যে কোনও হলিউডি সিনেমাকে টক্কর দিতে পারে 'বাহুবলী ২'। হলিউডের জনপ্রিয়তম সিনেমা ‘হ্যারি পটার’ সিরিজ বা ‘লর্ডস অফ রিং’কেও হার মানাবে 'বাহুবলী ২'। সাউন্ড, ভিএফএক্স, এডিট, সিনেমাটোগ্রাফি ও স্ক্রিনপ্লেতে মার্ভেল-এর সিনেমাকেও দশ গোল দেবে এস এস রাজামৌলির নতুন এ সিনেমা।
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বা সিবিএফসি-র এক সদস্যও জানান, 'বাহুবলী'র প্রথম অংশের তুলনায় দ্বিতীয় অংশটি একটু লম্বা, প্রায় তিন ঘণ্টার। কিন্তু পর্দা থেকে এক মুহূর্তও চোখ সরানো যাবে না। মূল সিনেমার কোনও দৃশ্য, কোনও সংলাপই কাটেনি সেন্সর বোর্ড। অ্যাকশন সিকোয়েন্সে এবার আরও বেশি স্পেশ্যাল এফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে। মেল গিবসনের ‘হ্যাকস রিজ’-এর মতোই টানটান 'বাহুবলী ২'র অ্যাকশন সিকোয়েন্স। যে প্রশ্নের উত্তর জানতে গত দুই বছর ধরে 'বাহুবলী'র ফ্যানরা অপেক্ষা করছেন, সেই উত্তরটা জানলে তারা চমকে উঠবেন। দু’টি সিংহকে একসঙ্গে খাঁচায় ছেড়ে দিলে যেমনটা দেখতে লাগবে, বাহুবলীর (প্রভাষ) সঙ্গে ভাল্লাল দেবের (রানা) যুদ্ধের দৃশ্যগুলি নাকি ততটাই হিংস্র লেগেছে দেখতে।
'কাটাপ্পা কেন বাহুবলীকে মারল' এই প্রশ্নের একটি উত্তর বুধবার রাত থেকেই অনেকের হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে ঘুরছে। কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, দেবী মাহেশ্বরীর অভিশাপ থেকে বাঁচাতেই নাকি কাটাপ্পা পিছন থেকে বাহুবলীর শরীরে তরোয়াল ঢুকিয়ে দেন। এমনটা না করলে নাকি বাহুবলী যুদ্ধক্ষেত্রে পাথরের মূর্তি হয়ে যেতেন। তবে সেই তলোয়ারের আঘাতেও নাকি বাহুবলী মরেননি, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই পোস্ট করছেন অনেকে।
তবে আরেকটি ওয়েবসাইটের দাবি, রাজমাতা শিবগামীর কথা অগ্রাহ্য করে বাহুবলী দেবসেনাকে (আনুশকা শেঠি) বিয়ে করাতেই নাকি বেজায় চটে যান তিনি। তার স্বামী বিজ্জ্বলা দেব ও সন্তান ভল্লাল দেব (রানা) বারবার তাকে বোঝাতে থাকেন, এমনটা করে রাজ পরিবার ধ্বংস করতে চাইছেন বাহুবলী। তখনই নাকি মেজাজ হারিয়ে শিবগামীদেবী তার একান্ত অনুচর কাটাপ্পাকে নির্দেশ দেন, বাহুবলীকে হত্যা করার। তবে এগুলো সবই জল্পনা, শোনা কথা।
তবে সেন্সর বোর্ডের ওই কর্তা আক্ষেপ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এভাবে বাহুবলী সিরিজ শেষ হবে, সেটা তিনিও আঁচ করতে পারেননি। দর্শকরা যেমন সিনেমাটি দেখে আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠবেন, তেমনই শেষে এসে কেঁদে ফেলবেন।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা
