মডেল এলি জনসনের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে। মডেল নিজে অবশ্য দাবি করছেন, তিনি এমন কিছুই করেননি যে, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে দেওয়া হল! টুইটারে এই অভিযোগ করেছেন ওই মডেল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফ্রি দ্য ক্লিভেজ’ ক্যাম্পেন শুরু করেন এই মডেল। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। পার্ক সিটির বাসিন্দা এই মডেল গত মঙ্গলবার টুইটারে অভিযোগ করেছেন, যুক্তিসঙ্গত কোনও ছাড়াই তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। এই প্রথম নয় অবশ্য, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতেও তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ এনেছিলেন বেশ কয়েকজন ইউজার। কয়েকটি স্থানীয় ম্যাগাজিনে এলি জনসনকে ‘টু সেক্সি’ বলে উল্লেখ করা হয়। ইনস্টাগ্রামে চার লক্ষেরও বেশি ‘ফলোয়ার্স’ রয়েছে এলির। এক সাক্ষাৎকরে এই মডেল বলেছেন, “মহিলাদের স্তনবৃন্ত দেখানো ছবিও ইনস্টাগ্রাম থেকে সরানো হয় না। তাহলে আমার বেলায় দ্বিচারিতা কেন?” এলি দাবি করেছেন, তাঁর চেয়েও অনেক বেশি অশ্লীল ছবি অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাঁদের তো ব্লক করা হয় না।
তাঁর আরও অভিযোগ, মহিলাদের নানা দাবি দাওয়া নিয়ে তিনি অনলাইনে আন্দোলন করেন বলে তাঁর কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। ছোট পোশাক পরার অভিযোগে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিমান থেকে এক যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরদার আন্দোলন করছিলেন তিনি, দাবি এলি জনসনের। তবে এত কিছুর পরেও দমে যাননি এই মডেল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার