মোবাইলের ছোট্ট স্ক্রিনে টাটকা 'কার্টুন'। রাতদুপুরে একলা ঘরে গা ছম ছম ব্যাপার। ভৌতিক শিহরণে মাঝে মাঝেই চোখ চলে যাবে এদিক ওদিক... কেউ দাঁড়িয়ে নেই তো?ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস থাকুক বা না-থাকুক, 'কার্টুন' দেখতে দেখতে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইবেই। ভাবছেন, কার্টুনে আবার ভয় কী? এ কার্টুন আসলে সে কার্টুন নয়।
শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ওয়েব সিরিজ 'কার্টুন'। ভৌতিক এই কাহিনী দেখা যাবে এসভিএফের এন্টারটেনমেন্ট অ্যাপ 'হৈচৈ'-এ। 'কার্টুন' ছাড়াও আরও নানা ওয়েবসিরিজ দেখা যাবে এই অ্যাপে। 'কার্টুন' দেখা যাচ্ছে ৭টি এপিসোডে। পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর পরিচালনায় এই ওয়েবসিরিজের পরতে পরতে ভৌতিক রহস্যের হাতছানি।
কাহিনী ও বিশ্লেষণ
অরিত্র (মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়) পেশায় কার্টুনিস্ট, অরিত্রর স্ত্রী জিনিয়া (পায়েল সরকার) দু'জনে ভাড়া থাকে একটি পুরনো ফ্ল্যাটে। আর তাঁদের সঙ্গে প্রথম দিন নতুন ফ্ল্যাটে আসে অরিত্র-জিনিয়ার কিছু বন্ধু-বান্ধব। ঘর সাজানো গোছানোর পর শুরু হয় পার্টি। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তখনই রহস্যের শুরু কার্টুনিস্ট অরিত্রকে নিয়ে। হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া সবকিছু ওলটপালট করে দেয় অরিত্রর ঘরে তাঁর আঁকার জিনিসপত্র। সেসব কিছুটা সামলে অরিত্র বিছানায় শুতেই তাঁর চোখ লেগে এল। আর তারপরই শুরু ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানা। যদিও চোখ খুলতেই অরিত্র দেখল সে স্বপ্ন দেখছিল। যাক, স্বস্তি। তবে সেটা সাময়িক, শান্তি কিন্তু নেই। তার বাড়ির কোনও এক 'বাসিন্দা' নষ্ট করে দিচ্ছিল অরিত্র আঁকা সব কার্টুন । এর পর থেকে অরিত্রর সঙ্গেই ঘটতে থাকে নানান সব ভয়ানক ঘটনা। কিন্তু কেন? এখানেই রহস্য।
'কার্টুন'-এর ৭টা এপিসোডেই আপাদমস্তক রহস্যে ও ভৌতিক কাণ্ডকারখানায় ভরা। যা দেখলে আপনিও শিহরিত হতে বাধ্য। ওয়েবসিরিজ শেষ এপিসোডে গিয়ে রহস্যে উদঘাটন হয়। তবে ততক্ষণ টিকে থাকাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলায় ভৌতিক কাহিনি নিয়ে এটাই প্রথম ছবি নয়। তবে পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর এই ওয়েবসিরিজটি একেবারেই অন্যরকম। সমকালীন মোড়কে কাহিনীকে উপস্থাপিত করেছেন পরিচালক। ফলে তরুণ দর্শকদের তা গ্রহণ করতে কখনো অসুবিধা হয় না। অরিত্রর চরিত্র মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় আর জিনিয়ার চরিত্রে পায়েল সরকার অভিনয়ও খুব সাবলীল, যা আপনাকেও গল্পের সঙ্গে একাত্ম করে তুলবে। অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দেখিয়েছেন অন্যান্যরাও।
সূত্র: জি নিউজ ২৪
বিডি প্রতিদিন/১৩ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল