ইডিপাস, গ্রিক উপকথার থিবিসের রাজা। যিনি নিষ্ঠুর নিয়তির ঘূর্ণিপাকে পতিত হয়ে ভোগ করেছিলেন তীব্র মানসিক যন্ত্রণা। বিবেকের তাড়নায় নিজেকে অন্ধ করে ফেলেছিলেন। প্রাচীন গ্রিকরা বিশ্বাস করতেন মানুষ না চাইলেও অন্ধ নিয়তির ইঙ্গিতে পাপে লিপ্ত হয় এবং দেবতা সেই পাপাচারের শাস্তিও দেন।
ইডিপাসের এই বিয়োগাত্বক কাহিনী নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চস্থ হয়েছে নাটকটি। থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় বারের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রভাষক জনাব মাজহারুল হোসেন তোকদারের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি চত্ত্বরে রবিবার রাত ৮ টায় নাটকটি মঞ্চায়ন হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নাটকটির গতি সঞ্চার করে।
ইডিপাসের এই বিয়োগাত্বক কাহিনীর আকর্ষণ এতই তীব্র যে প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিস থেকে আরম্ভ করে বিংশ শতকের মন বিশ্লেষক সিগমুন্ড ফ্রয়েড অবধি তার তত্ত্বে এই বিয়োগাত্বক আখ্যানটি ব্যবহার করেছেন। যার সম্পূর্ণ কাহিনীটি ফুটে উঠেছে ৫০ মিনিটের নাটকটিতে। তবে কাহিনী ঠিক রেখে ভিন্নতা ছিল উপস্থাপনায়। সাজানো হয় পরিবেশ থিয়েটারের আদলে।
সাধারণ প্রসেনিয়াম মঞ্চে নাটক দেখে অভ্যস্ত দর্শকদের একটু ভিন্ন ধারার নাটক প্রদর্শনের লক্ষেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন নাটকের আয়োজকরা।
নির্দেশক মাজহারুল হোসেন তোকদার বলেন, এত বড় ক্যানভাসে নাটকটি মঞ্চস্থ করা বেশ কষ্টসাধ্য মনে হয়েছে। ৮০ জনেরও বেশি কুশীলব নাটকটিতে কাজ করেছেন। চেষ্টা করেছি প্রথমবারের চেয়ে ভিন্ন কিছু করতে। বেশ সাড়াও পেয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল