সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আগামী ২ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন।
মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান নতুন তারিখ ধার্য করেন। গত বছর ২৫ নভেম্বর বাদীর নারাজি আবেদন গ্রহণ করে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তদন্ত শেষে মামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত বছর ৩০ এপ্রিল ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন সাংবাদিক (স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক) মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নুর রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। রমনা থানা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দেন।
গত বছর ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক সাংবাদিক ও ক্যামেরা পারসন এবং শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হারানো মোবাইল সাংবাদিকরা চুরি করেছেন বলে গেট আটকে রাখেন এবং সবাইকে তল্লাশির কথা বলেন। পরে টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইরের একজনের কাছ থেকে মোবাইল দু’টি পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় এ মানহানি মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিক সম্প্রদায়সহ সমাজের অন্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক।
আসামির এ রকম আচরণ অনলাইনে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সেদিন নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম