ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
অনেকগুলা চিঠি পাওয়া গেলো, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যেখানে দাবি আছে, অভিমান আছে, আবদার আছে। ঢাকার বাইরে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিখেছে আমন্ত্রণ জানানোর পরও আমরা ওদের ওখানে কেনো গেলাম না।উই ফিল ইউ। এবং আশা করি সময়ের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা বিবেচনায় এনে ভালোবেসে ক্ষমা করে দিবেন। আমরা সত্যি চেয়েছিলাম যতো বেশি জায়গা সম্ভব যেতে। কিন্তু সময় এখনো শেষ হয়ে যায় নাই। রিলিজের পরও তো যেতে পারি।
বড় কিছু শহরে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আমাদের টিম।গোছানো হলেই জানাবো। তবে সবচেয়ে বেশি চিঠি পেয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারা যুক্তিসংগত ভাবে লিখেছে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেনো গুরুত্বপূর্ণ মনে করলাম না। 'ভাই-বোনেরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করার কোনো কারণ বা সুযোগ নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজের মহিমাতেই উজ্জ্বল।
ব্যক্তিগত কথা যদি বলি। আমার প্রথম ছবি 'ব্যাচেলর' বলাকায় রিলিজ হয়েছিলো। প্রথমে টিভিতে দেখানোর পরও, মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই বোনেরা বলাকায় গিয়ে ছবিটাকে টক অব দ্য টাউন বানিয়ে দিয়েছিলো।
সেই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিক্যাল কলেজ, ইডেন, বদরুন্নেসা, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ- এই এলাকা সব সময়ই আমার পাশে ছিলো।এবারও আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করেছি। কিন্তু যেতে হলে আমাদেরকে তো কোনো সংগঠন থেকে দাওয়াত দিতে হবে, কেউ না কেউ আয়োজন করতে হবে।
যতো জায়গায় আমরা গেছি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো না কোনো সংগঠন এটা আয়োজন করেছে বলেই যেতে পেরেছি। আমরা অনলাইনে যে ইমেল অ্যাড্রেস দিয়েছি সেখানে প্রতিদিন খুঁজেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো চিঠি আসলো কিনা। আমাদের প্রতিনিধি আপনাদের চলচ্চিত্র সংসদের সঙ্গেও কথা বলেছিলো উপযাচক হয়ে। তারা যে কোনো কারণে হোক আয়োজন করতে পারেনি।
ফলে বুঝতে পারছেন, এটা আমাদের কোনো পছন্দের ব্যাপার ছিলো না।
যাই হোক, আপনাদের আবেগকে আমি শ্রদ্ধা করি। শুক্রবার প্রথম শো থেকেই কয়েক দফা যাবো বলাকায়। শুক্রবার দিন আপনাদের উৎসর্গ করলাম। ভালোবাসা নিবেন।
(চলচ্চিত্রনির্মাতার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা