১৫ মার্চ, ২০২৩ ১৫:২৭

একটি প্রক্ষালন কক্ষের আত্মকাহিনী

ইফতেখায়রুল ইসলাম

একটি প্রক্ষালন কক্ষের আত্মকাহিনী

ইফতেখায়রুল ইসলাম

প্রক্ষালন কক্ষে আপনার বিশেষ ফান্টা সদৃশ প্রবাহিত তরল দেখবার অভিরুচি কারোরই নেই, তাই স্থান ত্যাগের পূর্বে পূর্ণ মনোযোগ সহকারে ফান্টা অদৃশ্য করে প্রস্থান করুন! কারো নিজস্ব প্রক্ষালন কক্ষ ব্যবহারের পূর্বে অনুমতি নেয়া একটা বেসিক সৌজন্যতা- তাহা আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে মেনে চলুন!

হাই কমোডকে ভুলেও ফ্ল্যাট প্যান ভাবতে যাবেন না, যেভাবে আপনার ফান্টা সদৃশ তরল হাই কমোডের উপরে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রুপে কমোডের বসবার অংশে বিন্যস্ত থাকে। উহাতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আপনি ভুলিয়া গিয়াছেন পরবর্তীজনের ব্যবহারের অনুপযোগী তা! কার্য যদি দন্ডায়মান হয়েই সারিতে হয় তবে একখান টিস্যু লইয়া ঢাকনাখানা তুলিয়া কার্য সারুন নচেৎ পরেরজনের ব্যবহারের উপযোগী রেখে স্থান ত্যাগ করুন!

আপনার আহার্য মিশ্রিত বিশেষ কদাকার ও গন্ধযুক্ত বস্তুর খন্ডিত অংশ যাহা আপনি নিজেই দেখিতে ইচ্ছুক নন তাহা অন্যের জন্য রাখিয়া যাওয়া ঘোরতর পাপ বলে মনে করি! ভুলিয়া যাওয়ার কোনো কারণ নাই যে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মচারীও আপনারই মত মানুষ, তাঁকে পরবর্তী সময়ে আপনার এহেন ফুলেল কান্ডের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়!

প্রক্ষালন কক্ষকে নদী, নালা ভেবে ভুল করবেন না যেন, আপনি যদি সেখানে আপনার অতি মূল্যবান পদযুগলে পানির ছোঁয়া দিতেও চান তবে তাহা এমনভাবেই দিন যেন পরেরজনের না মনে হয় একটু আগেই সেখানে প্লাবন সংঘটিত হয়েছে! এসব বেসিক রুলস আমরা কতিপয় শিক্ষিত সম্প্রদায়ও ভুলতে বসেছি। বিষয়গুলো বলা অস্বস্তির কিন্তু অতীব জরুরি, তাই আজ ঝেড়ে কেঁশে দিলুম, কেউ আবার মনে কষ্ট পাবেন না যেন! 

লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর