শিরোনাম
- আইসিসিবিতে ১৬তম ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সিবিশন শুরু
- ঠাকুরগাঁও রেজিস্ট্রি অফিসে তালা দিয়ে রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধের অভিযোগ
- স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড পেল গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫
- সোনারগাঁয়ে দুই যুবককে অপহরণ করে নির্যাতন, গ্রেফতার ৫
- বিশ্বনাথে চলন্ত গাড়ি থেকে যুবককে গুলি!
- নাটোরে বাসচাপায় ৪ জন নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেপ্তার
- চসিকের সাবেক কাউন্সিলরের ১১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের নির্দেশ
- চালককে হত্যা করে মিশুক ছিনতাই, নারীসহ গ্রেফতার ৪
- ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে কাতারের ভূমিকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা
- দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ওয়ারড্রপ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
- কলম্বো টেস্টে: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে: আমিনুল হক
- এবার প্রকাশ্যে এলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ ও হাবিবে মিল্লাত
- ‘প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না’ — শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রনি
- ইসলামের সোনালি যুগে চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নয়ন
- কাল থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, অংশ নিচ্ছে ১২ লাক্ষাধিক শিক্ষার্থী
- সচিবালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
- হেডিংলিতে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জয়
- যেভাবে ইসরায়েল ইরানে 'পরাজয়' বরণ করল
- স্মার্টফোনে ব্যাক কভার: সুরক্ষা না ক্ষতির কারণ?
আফ্রিকার আদিবাসী গোষ্ঠী \\\'মাসাই\\\'
অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন ভার্সন

আফ্রিকার আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে তেমনি এক লড়াকু গোষ্ঠী হলো মাসাই। দীর্ঘ সময় তারা ব্রিটিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাঞ্জানিয়ার মোট ১২৫টি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে মাসাই জনগোষ্ঠী স্বাতন্ত্রের দাবিদার। বৃহৎ আফ্রিকার একমাত্র যোদ্ধা আদিবাসী গোষ্ঠী হিসেবেও তারা সুপরিচিত। কেনিয়া এবং তাঞ্জানিয়ায় এই জনগোষ্ঠীর বসবাস হলেও তারা মূলত তাঞ্জানিয়ার উত্তরের আরুশা অঞ্চলে বাস করে। আর এই আরুশাকে ধরা হতো বর্তমান সুদানের অংশ।
১৯৩০ সাল পর্যন্তও জীবনধারণের জন্য মাসাইদের যুদ্ধ আর হানাহানির আশ্রয় নিতো। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধে অভ্যস্ততা এবং গৃহপালিত পশুদের খাদ্য জোগাড় করার জন্য মাসাইদের সর্বদাই অন্য আদিবাসী গোষ্ঠীর শস্যভাণ্ডারের ওপর নির্ভর করতে হতো। যার কারণে অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠী তাদের ভয় করতো। আফ্রিকায় সেসময় মাসাইদের প্রতিরোধ করার জন্যই মূলত সর্বপ্রথম প্রতিরোধী দেয়াল নির্মাণ শুরু করে আদিবাসীরা। আর এই দেয়ালকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো 'লুহা'। গ্রামের চারপাশে কাদা আর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হতো লুহা। তবে আদিবাসী গোষ্ঠীভেদে লুহার বিভিন্ন নাম হতো। যেমন: তাইতা, কামবা, কিকুউ।
তবে মাসাইদের ক্ষমতার উৎস শুধু যে তাদের সাহসিকতা তা নয়। আরুশার ঠিক পাশেই ঊষর মরুভূমি আর আরব অঞ্চল। আফ্রিকার ভেতর আরব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে হলে আরুশা পার হয়ে যেতে হয়। এসময় স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যবসায়িদের দরকার হয় শ্রমিক। আর এই শ্রমিক সরবরাহের কাজটি একমাত্র করতে পারে মাসাইরাই। তাই মাসাইদের হাতে চলে আসে স্বর্ণ ও অর্থ।
১৮৩০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে মাসাইদের ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। বেশকিছু বড় আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে অনেক মাসাই যোদ্ধা মারা যায় এবং তাদের ভূমি দখল হয়ে যায়। তেমনি এক ইতিহাসখ্যাত যুদ্ধ হলো নাকুরু। অবশ্য যুদ্ধ আর সহিংসতার বাইরে কলেরা, বসন্ত, দুর্ভিক্ষের কবলে অনেক ক্ষতি হয় মাসাই জনগোষ্ঠীর। ১৮৮০ সাল নাগাদ ৫ লাখ জনগোষ্ঠীর মাসাই সম্প্রদায় কমতে কমতে মাত্র ৪০ হাজারে ঠেকে। এসময় তাদের বিট্রিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হয়। ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধেও অনেক মাসাই মারা যায়।
ব্রিটিশদের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ পরিক্রমায় ১৯০৪ সালে মাসাইদের সঙ্গে ব্রিটিশদের একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী মাসাইরা তাদের ভূমি মালিকানার তিন ভাগের দুই ভাগ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আর এই চুক্তিপরবর্তী সময়েই মূলত মাসাই জনগোষ্ঠী ক্রমশ তাঞ্জানিয়া ছেড়ে কেনিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করে।
এই বিভাগের আরও খবর