শিরোনাম
- শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ের লড়াইয়ে পাশে আছে বিএনপি : আমীর খসরু
- শেয়ারমূল্য পড়ে যাচ্ছে, টেসলা খুঁজছে নতুন সিইও
- আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস
- মেসেঞ্জারে ভুল মেসেজ পাঠিয়ে ফেলেছেন? মাত্র ১৫ মিনিটে বাঁচার উপায়!
- আবারও ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামছেন শোবিজ তারকারা
- চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মামলায় জিতলেন তরুণ
- গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি
- পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রামে ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ!
- আমরা শ্রমিকবান্ধব একটি সরকার চাই : মাসুদ সাঈদী
- রাবনাবাদ নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
- দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১১৩৭
- মৃত্যুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কুমির ভর্তি লেকে ঝাঁপ দিলেন নওয়াজ!
- “রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি
- উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া
- ছাদ থেকে পড়ে কলেজ ছাত্রী আহত
- করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান
- দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন চুক্তি না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
- ফেনীতে মে দিবসে আলোচনা সভা
- মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- দিনাজপুরে র্যালি-আলোচনায় প্রাণবন্ত মে দিবস
আফ্রিকার আদিবাসী গোষ্ঠী \\\'মাসাই\\\'
অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন ভার্সন

আফ্রিকার আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে তেমনি এক লড়াকু গোষ্ঠী হলো মাসাই। দীর্ঘ সময় তারা ব্রিটিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাঞ্জানিয়ার মোট ১২৫টি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে মাসাই জনগোষ্ঠী স্বাতন্ত্রের দাবিদার। বৃহৎ আফ্রিকার একমাত্র যোদ্ধা আদিবাসী গোষ্ঠী হিসেবেও তারা সুপরিচিত। কেনিয়া এবং তাঞ্জানিয়ায় এই জনগোষ্ঠীর বসবাস হলেও তারা মূলত তাঞ্জানিয়ার উত্তরের আরুশা অঞ্চলে বাস করে। আর এই আরুশাকে ধরা হতো বর্তমান সুদানের অংশ।
১৯৩০ সাল পর্যন্তও জীবনধারণের জন্য মাসাইদের যুদ্ধ আর হানাহানির আশ্রয় নিতো। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধে অভ্যস্ততা এবং গৃহপালিত পশুদের খাদ্য জোগাড় করার জন্য মাসাইদের সর্বদাই অন্য আদিবাসী গোষ্ঠীর শস্যভাণ্ডারের ওপর নির্ভর করতে হতো। যার কারণে অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠী তাদের ভয় করতো। আফ্রিকায় সেসময় মাসাইদের প্রতিরোধ করার জন্যই মূলত সর্বপ্রথম প্রতিরোধী দেয়াল নির্মাণ শুরু করে আদিবাসীরা। আর এই দেয়ালকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো 'লুহা'। গ্রামের চারপাশে কাদা আর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হতো লুহা। তবে আদিবাসী গোষ্ঠীভেদে লুহার বিভিন্ন নাম হতো। যেমন: তাইতা, কামবা, কিকুউ।
তবে মাসাইদের ক্ষমতার উৎস শুধু যে তাদের সাহসিকতা তা নয়। আরুশার ঠিক পাশেই ঊষর মরুভূমি আর আরব অঞ্চল। আফ্রিকার ভেতর আরব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে হলে আরুশা পার হয়ে যেতে হয়। এসময় স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যবসায়িদের দরকার হয় শ্রমিক। আর এই শ্রমিক সরবরাহের কাজটি একমাত্র করতে পারে মাসাইরাই। তাই মাসাইদের হাতে চলে আসে স্বর্ণ ও অর্থ।
১৮৩০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে মাসাইদের ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। বেশকিছু বড় আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে অনেক মাসাই যোদ্ধা মারা যায় এবং তাদের ভূমি দখল হয়ে যায়। তেমনি এক ইতিহাসখ্যাত যুদ্ধ হলো নাকুরু। অবশ্য যুদ্ধ আর সহিংসতার বাইরে কলেরা, বসন্ত, দুর্ভিক্ষের কবলে অনেক ক্ষতি হয় মাসাই জনগোষ্ঠীর। ১৮৮০ সাল নাগাদ ৫ লাখ জনগোষ্ঠীর মাসাই সম্প্রদায় কমতে কমতে মাত্র ৪০ হাজারে ঠেকে। এসময় তাদের বিট্রিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হয়। ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধেও অনেক মাসাই মারা যায়।
ব্রিটিশদের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ পরিক্রমায় ১৯০৪ সালে মাসাইদের সঙ্গে ব্রিটিশদের একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী মাসাইরা তাদের ভূমি মালিকানার তিন ভাগের দুই ভাগ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আর এই চুক্তিপরবর্তী সময়েই মূলত মাসাই জনগোষ্ঠী ক্রমশ তাঞ্জানিয়া ছেড়ে কেনিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করে।
এই বিভাগের আরও খবর