শিরোনাম
- ভারত কোনো শুল্ক আরোপ না করার প্রস্তাব দিয়েছে: ট্রাম্প
- বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
- হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
- ইন্দোনেশিয়ায় ঝাড়ু হাতে নারীদের বিক্ষোভ
- দেশগুলোকে জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘ
- ‘বিএনপি হলো দেশ গড়ার দল’
- রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব এপিএইচআরের
- ভারতকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দিচ্ছে রাশিয়া
- পুতিন, শি ও কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: ট্রাম্প
- জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি বারবার জনগণের পাশে ছিল : মীর হেলাল
- সামরিক কুচকাওয়াজে বিশ্বকে নতুন যেসব অস্ত্র দেখাল চীন
- ফেরারি আসামি নির্বাচনে অযোগ্য, ‘না ভোট’ বাধ্যতামূলক
- সারাদেশে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৪৫০
- যুদ্ধ শুরুর পর গাজায় প্রতিবন্ধী হয়েছে ২১ হাজার শিশু
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতির সাক্ষাৎ
- ১৬ ঘণ্টা পর ক্ষতিপূরণ দিয়ে জাবি ছাড়লো ২৮ বাস
- তিন দেশের অমুসলিম শরণার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেবে ভারত
- চার ঘণ্টা পর কুড়িলের সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা
- পাঁচ বছরে ৩১ লাখ দক্ষ ভারতীয় কর্মী নেবে রাশিয়া
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ
আফ্রিকার আদিবাসী গোষ্ঠী \\\'মাসাই\\\'
অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন ভার্সন

আফ্রিকার আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে তেমনি এক লড়াকু গোষ্ঠী হলো মাসাই। দীর্ঘ সময় তারা ব্রিটিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাঞ্জানিয়ার মোট ১২৫টি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে মাসাই জনগোষ্ঠী স্বাতন্ত্রের দাবিদার। বৃহৎ আফ্রিকার একমাত্র যোদ্ধা আদিবাসী গোষ্ঠী হিসেবেও তারা সুপরিচিত। কেনিয়া এবং তাঞ্জানিয়ায় এই জনগোষ্ঠীর বসবাস হলেও তারা মূলত তাঞ্জানিয়ার উত্তরের আরুশা অঞ্চলে বাস করে। আর এই আরুশাকে ধরা হতো বর্তমান সুদানের অংশ।
১৯৩০ সাল পর্যন্তও জীবনধারণের জন্য মাসাইদের যুদ্ধ আর হানাহানির আশ্রয় নিতো। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধে অভ্যস্ততা এবং গৃহপালিত পশুদের খাদ্য জোগাড় করার জন্য মাসাইদের সর্বদাই অন্য আদিবাসী গোষ্ঠীর শস্যভাণ্ডারের ওপর নির্ভর করতে হতো। যার কারণে অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠী তাদের ভয় করতো। আফ্রিকায় সেসময় মাসাইদের প্রতিরোধ করার জন্যই মূলত সর্বপ্রথম প্রতিরোধী দেয়াল নির্মাণ শুরু করে আদিবাসীরা। আর এই দেয়ালকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো 'লুহা'। গ্রামের চারপাশে কাদা আর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হতো লুহা। তবে আদিবাসী গোষ্ঠীভেদে লুহার বিভিন্ন নাম হতো। যেমন: তাইতা, কামবা, কিকুউ।
তবে মাসাইদের ক্ষমতার উৎস শুধু যে তাদের সাহসিকতা তা নয়। আরুশার ঠিক পাশেই ঊষর মরুভূমি আর আরব অঞ্চল। আফ্রিকার ভেতর আরব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে হলে আরুশা পার হয়ে যেতে হয়। এসময় স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যবসায়িদের দরকার হয় শ্রমিক। আর এই শ্রমিক সরবরাহের কাজটি একমাত্র করতে পারে মাসাইরাই। তাই মাসাইদের হাতে চলে আসে স্বর্ণ ও অর্থ।
১৮৩০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে মাসাইদের ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। বেশকিছু বড় আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে অনেক মাসাই যোদ্ধা মারা যায় এবং তাদের ভূমি দখল হয়ে যায়। তেমনি এক ইতিহাসখ্যাত যুদ্ধ হলো নাকুরু। অবশ্য যুদ্ধ আর সহিংসতার বাইরে কলেরা, বসন্ত, দুর্ভিক্ষের কবলে অনেক ক্ষতি হয় মাসাই জনগোষ্ঠীর। ১৮৮০ সাল নাগাদ ৫ লাখ জনগোষ্ঠীর মাসাই সম্প্রদায় কমতে কমতে মাত্র ৪০ হাজারে ঠেকে। এসময় তাদের বিট্রিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হয়। ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধেও অনেক মাসাই মারা যায়।
ব্রিটিশদের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ পরিক্রমায় ১৯০৪ সালে মাসাইদের সঙ্গে ব্রিটিশদের একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী মাসাইরা তাদের ভূমি মালিকানার তিন ভাগের দুই ভাগ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আর এই চুক্তিপরবর্তী সময়েই মূলত মাসাই জনগোষ্ঠী ক্রমশ তাঞ্জানিয়া ছেড়ে কেনিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া, অভিযোগ ট্রাম্পের
১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় বিমানে ‘বার্ড স্ট্রাইক’, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দেড় শতাধিক যাত্রী
১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম