ডেমোক্রেটিক লীগ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত একটি শরিক দল। ভাষাসৈনিক অলি আহাদের মৃত্যুর পর এ দলটি এখন ‘এক নেতার এক দল’-এ পরিণত হয়েছে। লোকবলের অভাবে এখনো নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনভুক্ত হতে পারেনি। সংগঠনটির নেই স্থায়ী কোনো কার্যালয়। রাজধানীর ৮৫ নয়াপল্টনে বিএনপি জোটভুক্ত বাংলাদেশ ন্যাপ, কল্যাণ পার্টি ও লেবার পার্টির অফিসই এখন দলটির ঠিকানা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘৩১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে মাত্র ১০ জন নেতা সচল। সারা দেশে জেলা-মহানগর পর্যায়ে নেই কোনো কমিটি।’ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিচ্ছেন না কেন— জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনের কোনো দরকার নেই। রাজনৈতিক দলকে ইসির নিবন্ধনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সঙ্কুচিত ও সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’ শুধু ডেমোক্রেটিক লীগই নয়, দেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল রয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ৮০টিই ‘নামসর্বস্ব’। বলা চলে ‘নিখোঁজ’ প্রায়। কাগজ-কলমেই চলে তাদের কার্যক্রম। অবশ্য বিভিন্ন দিবসে গণমাধ্যমে এসব দলের বক্তৃতা-বিবৃতি পাঠানো হয়। অধিকাংশ দলের নেই কোনো কেন্দ্রীয় কার্যালয়। নেতাদের বাসা-বাড়িকে দেখানো হয়েছে কারও কারও স্থায়ী কার্যালয়। গঠনতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিও পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি এসব দল। মাত্র ৪০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনভুক্ত। আবার নিবন্ধনভুক্ত দলগুলোর মধ্যে বড় একটি অংশেরই সারা দেশে নেই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। বেশির ভাগই এক নেতার এক দলে পরিণত হয়েছে। জেলা-মহানগর দূরের কথা, কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিও নেই তাদের।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক গণআজাদী লীগ। ১১ সদস্যের কমিটি দিয়েই চলছে দলীয় কার্যক্রম। ছোটখাটো কিছু কমিটি থাকলেও সেগুলো নিষ্ক্রিয়। রাজধানীর ২৮ দিলকুশা মতিঝিলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস কে শিকদার। তিনি জানালেন, তার দল সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিএনপি জোটের নিবন্ধিত আরেক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ— বাংলাদেশ ন্যাপ। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনভুক্ত হলেও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১০১ সদস্যের কমিটি গঠন করতে পারেনি। তবে ৩৮টি জেলায় কমিটি আছে বলে দাবি সংগঠনের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার। পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।’ বিএনপি থেকে বেরিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল গঠন করেন। এ ছাড়া কামরুল হাসান নাসিম ‘আসল বিএনপি’ নামে গঠন করেন আরেকটি নতুন দল। মাঝেমধ্যেই নতুন নতুন দল গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের নেই কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম। জানা যায়, বাংলাদেশে নিত্যনতুন রাজনৈতিক দল গড়ার পেছনে নানা ‘মদদ’ রয়েছে। কখনো বড় কোনো রাজনৈতিক দল, কখনো ক্ষমতায় থাকা সরকারও ‘ভুঁইফোড়’ দল গঠনে সহায়তা করে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে এই নজির রয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের দেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র জেঁকে বসেছে। প্রধান দুই দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এখন রাজনীতি। এসব কারণে অন্য দল গড়ে ওঠা খুব দুরূহ। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো অগণতান্ত্রিক হওয়ার কারণে নতুন কিছু সৃষ্টি হচ্ছে না।’
স্বাধীনতার পর ভোটযুদ্ধে যত দল : নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে মোট ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এরপর ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯টি, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে আটটি, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ৭৫টি, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ৮১টি, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৫৫টি এবং ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৮টি দল অংশ নেয়। তবে নির্বাচনে অংশ নিলেও নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছে এমন দলের সংখ্যা কম। ১৯৯১ সালে ৭৫টি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও ১২টি বাদে অন্যগুলো একটি আসনও পায়নি। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১১১টি দল প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানায়। প্রতীক বরাদ্দ হয় ৯০টি দলের জন্য। এর মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেয় ৮১টি দল এবং মাত্র সাতটি দল আসন পায়। ২০০১ সালে অংশ নেওয়া ৫৫টি দলের মধ্যে আসন পায় ৯টি দল। ২০০৮ সালে ৩৮টি দলের মধ্যে আসন পায় আটটি দল। এর মধ্যে তিনটি দল জোটভুক্ত হিসেবে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় মাত্র ১২টি রাজনৈতিক দল।
নামেই রাজনৈতিক দল : ২০০৮ সালের শেষ দিকে যে ১০৭টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে, এর মধ্যে ৬৮টি দল প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়। ফ্রিডম পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার পর তা বাতিল করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ৪৩টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করে। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয় ৪১টি দল। মাত্র দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়া দলগুলোর মধ্যে রয়েছে— নির্দলীয় জন আন্দোলন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্য দল, বাংলাদেশ নয়া সমাজ দল, ফরওয়ার্ড পার্টি, গণ ঐক্য ফ্রন্ট (গাফ) বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রগ্রেসিভ পার্টি, জনতার সংহতি, বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী দল, বাংলাদেশ জাতীয় দল, কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাবলিক পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ডেমোক্রেটিক পার্টি, কোরআন ও সুন্নাহ বাস্তবায়ন পার্টি বাংলাদেশ, ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু গণতান্ত্রিক পার্টি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ্, করাপশন ফ্রি পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান পার্টি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ ফ্রন্ট, লিবারেল পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ভাসানী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ফোরাম, বাংলাদেশ জন-গণতান্ত্রিক দল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কৃষক শ্রমিক ঐক্যজোট, পিপলস্ রিপাবলিকান পার্টি (পিআরপি), সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলন, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ দুনিয়া দল, বাংলাদেশ জাতীয় পিপলস পার্টি, পিপলস্ পার্টি অব বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, পাকমন পিপলস্ পার্টি, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, জনমুক্তি পার্টি, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, বাংলাদেশ রেভুলেশনারি পার্টি, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি, ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-স্বনির্ভর পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, বাংলাদেশ দরিদ্র উন্নয়ন পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টি, জেনারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ভূমিহীন দল, সাহসী মুক্তিযোদ্ধা জনতা ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক বাস্তুহারা লীগ, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, লোক দল, পিপলস্ অ্যাকশন পার্টি বাংলাদেশ, সোনার বাংলা পার্টি, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু ঐক্য ফ্রন্ট, জাতীয় জনতা পার্টি, জাতীয়তাবাদী ঐক্য মোর্চা, মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিজম ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ জালালী পার্টি প্রভৃতি। এসব দলের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে আঞ্চলিক দল এবং এ দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় হিসেবে চিহ্নিত করে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ইসি সূত্র জানায়, আবেদনকারী ১০৭টি দল ছাড়াও সে সময় আরও অনেক দল আবেদন ফরম সংগ্রহ করে। কিন্তু নিবন্ধনের শর্ত পূরণ ব্যয়বহুল বিবেচনায় পরে পিছিয়ে যায়। এসব দলের মধ্যে বহুল আলোচিত কৃষক মোহাম্মদ সাদেকের বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনও ছিল। কৃষক মোহাম্মদ সাদেক তার দল থেকে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন, ৩৯ বার জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনে নির্বাচন ও উপনির্বাচন এবং চারবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেন। প্রায় সব নির্বাচনেই তার জামানত হারানোর ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ জোটে যত দল : ২০০৪ সালে ৯ দফা দাবিতে গঠিত ১১ দল ও আওয়ামী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি— ন্যাপ (মোজাফফর), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মিলে রাজনৈতিক জোট ১৪ দল গঠিত হয়। বর্তমানে ১৪ দল মূলত ১২ দলে পরিণত হয়েছে। মতানৈক্যের কারণে গণফোরাম ও সিপিবি অনেক আগেই বেরিয়ে গেছে। বাকি ১২ দল হলো— আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ (ইনু), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (একাংশ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), সাম্যবাদী দল (একাংশ), গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি (একাংশ), গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। ১২টির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই চার দলের।
২০ দলে নিবন্ধনহীনের সংখ্যাই বেশি : ১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে হটাতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জামায়াতের তত্কালীন আমির গোলাম আযম এবং ইসলামী ঐক্যজোটের তত্কালীন চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে ‘চারদলীয় জোট’ গঠন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর এরশাদ বেরিয়ে গেলে যোগ দেয় নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা চারদলীয় জোট কলেবরে বেড়ে ১৮-দলীয় জোট হয়। এরপর আরও দুই দল জোটে যোগ দিলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০-এ। বর্তমানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে— জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ ভাসানী, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ, ডেমোক্রেটিক লীগ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও সাম্যবাদী দল। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই ১২টির।