শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন এমপি মোস্তাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসাইনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তিনি বাঁশখালী আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।

বাঁশখালী  উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আ ন ম শাহাদাত আলম বলেন, এমপি মোস্তাফিজুরসহ তিন আসামি আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করে। এমনিতে বাজেট অধিবেশনের ১৫ দিন আগে ও ১৫ দিন পরে কোনো সংসদ সদস্যকে গ্রেফতারের সুযোগ নেই, আমরা তা আদালতকে অবহিত করেছি। এ ছাড়া মামলায় সুনির্দিষ্ট কাউকে সাক্ষী করা হয়নি। কে কোন অপরাধ সংঘটিত করেছে তারও বিবরণ নেই এজাহারে। অন্য দুই আসামি বাহারছড়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বরমা ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক তাজুল ইসলাম এবং স্থানীয় ওলামা লীগ নেতা মাওলানা আকতার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও একটি মসজিদের ইমাম। এসব বিষয় বিবেচনা করে আদালত তাদেরও জামিন মঞ্জুর করেছে। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সহকারী পিপি বিকাশ রঞ্জন ধর বলেন, এই জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছি। আদালত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় চার্জশিট না দেওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছে। প্রসঙ্গত, গত ১ জুন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমার ও তার কয়েকজন অনুসারী। মূলত নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ওই সংসদ সদস্যের পিএস ও চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ না দেওয়ায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ পাঠালে বাঁশখালীর ইউপি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ৩ জুন মোস্তাফিজুরসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়। গত ১২ জুন হাইকোর্টে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে ২০ জুনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর