বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, গত ১১ দিন ধরে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য কিংবা দলীয় নেতা কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য হলো, সরকারের এক নম্বর ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তিনি কিছুই করতে পারবেন না। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, জেলকোডের বিধান অনুযায়ী এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এর ফলে আমরা আশঙ্কা করছি— তাঁকে (খালেদা) রাজনীতি, নির্বাচন, এমনকি পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা! গতকাল ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন। এ সময় নির্বাচনের নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় জনরোষ থেকে এ সরকার কিছুতেই রেহাই পাবে না। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, বেলাল আহমেদ, রফিক শিকদার প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১১ দিন ধরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে এবং কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এটি নিয়ে তারা কোনো কথা না বলে কারাবিধির অজুহাত দেখাচ্ছে। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বার বার যোগাযোগ করা হলেও এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। অথচ কারাবিধি অনুযায়ী এজন্য জেল সুপারই যথেষ্ট। কিন্তু জেল সুপারকে বললে তিনি বলেন, আইজি প্রিজনের কাছে যান। আইজি প্রিজনের কাছে গেলে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যান। মন্ত্রীর কাছে গেলে বলেন, এক নম্বর ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া কিছু করতে পারবেন না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য যদি সরকারপ্রধানের কাছে অনুমতির জন্য যেতে হয়, তাহলে এটা কি আইনের শাসন? জেলকোড লঙ্ঘন করে বেগম জিয়াকে তাঁর পরিবার, বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না সরকার। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আসলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মামলার ফাঁদ পাতা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জন্য আইন লঙ্ঘন করে আলাদা আদালত গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যায়ভাবে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর এই সাজা দেওয়ার মূল কারণ হলো- তাঁকে এবং বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতার দখল দীর্ঘায়িত করা। কারণ খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া মূল মামলায় জামিন পেয়েছেন। কিন্তু অন্য মামলায় তাঁর জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে, যেন তাঁকে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা যায়। এ সময় বিএনপি নেতাদের পুরনো মামলায় নতুন করে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
শিরোনাম
- বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
- দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল
- দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
- বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প
- মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
- আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
- প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
- বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
- খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
- শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
- নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী