বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুধ ভেজালকারীদের নাম চায় হাই কোর্ট

ওয়াসার পানি পরীক্ষায় ৭৬ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে কোন কোন কোম্পানির দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, কীটনাশক ও সিসা মেশানো রয়েছে তা নিরূপণ করে একটি তালিকা তৈরি এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে গৃহীত আইনি পদক্ষেপ প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পুনরায় নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় চেয়ে আবেদনের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ ২৩ জুনের মধ্যে ওই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। ওয়াসার পানি পরীক্ষায় লাগবে ৭৬ লাখ টাকা : ঢাকা ওয়াসার পানির ১ হাজার ৬৫টি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করতে ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা দরকার। গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু হাই কোর্টে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ঢাকার ওয়াসার পানির ১ হাজার ৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করতে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা বাজেট লাগবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে গত সোমবার ঢাকা ওয়াসার কোন কোন এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ, তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

এর আগে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাই কোর্টে রিট করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

সর্বশেষ খবর