শিরোনাম
সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

চলে গেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলে গেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ

ঢাকা সেনানিবাস মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের প্রথম জানাজা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চলে গেলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গতকাল সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ, দুই ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও এরিক এরশাদ, পালিত কন্যা মাহজাবিন জেবিনসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এইচ এম এরশাদ দীর্ঘ নয় বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এক ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি বর্তমান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। এরশাদ রক্তের ক্যান্সার মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন। শেষ দিকে তার ফুসফুসে দেখা দিয়েছিল সংক্রমণ। কিডনিও কাজ করছিল না। গত বছরের শেষ ভাগে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা নেন এরশাদ। গত ২৭ জুন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিএমএইচের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১০ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গতকাল সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরশাদের ছোট ছেলে এরিক এরশাদও প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় বাবার মৃত্যু সংবাদে কান্নাকাটি করেন। গতকাল সকাল পৌনে ৮টায় এরশাদের মৃত্যুর ঘোষণা দেন সিএমএইচের চিকিৎসকরা। এর পরপরই এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ, ছোট ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। দলীয় নেতা-কর্মীরা পার্টির বনানীর কার্যালয়ে ভিড় করতে থাকেন। পার্টির চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে তাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সেনা কর্মকর্তা থেকে রাষ্ট্রপতি : ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগ দেন এইচ এম এরশাদ। ৩১ বছরে সেনা অফিসার থেকে বনে যান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদ সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এইচ এম এরশাদ। এরপর তিনি গঠন করেন রাজনৈতিক দল জনদল। পরে এই জনদল থেকে গঠন করেন জাতীয় পার্টি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যান। এর আগে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে সরিয়ে তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। দীর্ঘ নয় বছর রাষ্ট্রপতি থাকাকালে এরশাদ ছিলেন একক ক্ষমতার মালিক। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবন ছিল নানা ঘটনা ও নাটকীয়তায় ভরপুর। তার চলাফেরা, ব্যক্তিত্ব, ব্যক্তিগত জীবন, রাজনৈতিক জীবনসহ সবকিছুই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এরশাদের শাসন ব্যবস্থায় একনায়কত্বের কারণে তাকে স্বৈরশাসক বলা হলেও উপজেলা পদ্ধতি চালুসহ বহু উন্নয়ন কর্মকাে র জন্য তিনি ইতিবাচক আলোচনায় ছিলেন। রাজনৈতিকভাবেও তিনি ছিলেন আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে। ঘনঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য তাকে ‘রাজনীতিতে আনপ্রেডিক্টেবল’ বলা হতো। তার স্বপ্ন ছিল যে কোনো মূল্যে আরেকবার জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া এবং রাষ্ট্রপতি হওয়া। প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছিল তার অন্যতম লক্ষ্য। কিন্তু তার শেষ স্বপ্নগুলো পূরণ হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেই তিনি শেষ বিদায় নেন।

জন্ম ও কর্ম বৃত্তান্ত : হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন (যদিও ২০ মার্চ সাবেক রাষ্ট্রপতির জন্মদিন পালন করা হতো)। ভারত ভাগের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের রংপুরে চলে আসেন তিনি। কোচবিহার ও নিজ শহর রংপুরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৬০-৬২ সালে তিনি চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন।

এরশাদ ১৯৬৬ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটায় অবস্থিত স্টাফ কলেজে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে শিয়ালকোটে ৫৪তম ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯-৭০ সালে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে এবং ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৭৩ সালে এরশাদকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৭৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কর্নেল পদে এবং ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। একই বছর তিনি ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রতিরক্ষা কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাে র অব্যবহিত পর থেকেই সংবাদপত্রে বিবৃতি ও কভারেজের মাধ্যমে রাজনীতিতে এরশাদের আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি ১৯৮২ সালের ২৭ মার্চ বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন। তবে তার কোনো প্রকার কর্তৃত্ব ছিল না। কারণ ঘোষিত সামরিক আইনে সুনির্দিষ্টভাবে বলা ছিল, সিএমএলএ’র উপদেশ বা অনুমোদন ব্যতীত প্রেসিডেন্ট কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ বা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন না। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক (সিএমএলএ) হিসেবে দেশ শাসন করেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে ১৮ দফা ঘোষণা করে তিনি এর বাস্তবায়ন পরিষদ গঠন করেন। ওই বছরই সিনিয়র রাজনীতিকদের নিয়ে তিনি ‘জনদল’ গঠন করেন। কিছুদিন পর জনদল পরিবর্তন করে এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করেন। তিনি নিজেই দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। এরশাদ ১৯৮৪ সালে দশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় উপজেলা পদ্ধতির প্রচলন করেন। উপজেলা পরিষদসমূহের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালের মে মাসে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের মধ্যে ১৯৮৬ সালের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরশাদ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। যদিও এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এরপর একই বছর তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেন। এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর তৃতীয় জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেন। সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী আইন পাস করে সেদিন জাতীয় সংসদ সংবিধান পুনর্বহাল করে। এর মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখলসহ সামরিক আইন ও বিধিবিধান দ্বারা সম্পাদিত সব কাজ ও পদক্ষেপকে বৈধ করে নেন এরশাদ। বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি এরশাদ তৃতীয় জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন। ১৯৮৮ সালে আবারও সংসদ নির্বাচন দেন এরশাদ। আওয়ামী লীগ-বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এ সময় শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। বড় দুটি দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় সম্মিলিত বিরোধী দলের নেতা আ স ম আবদুর রবকে সংসদে বিরোধী দলের নেতা করা হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন শুরু করে এরশাদের বিরুদ্ধে। ব্যাপক আন্দোলনের মুখে নয় বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন জেনারেল এরশাদ। এরপর ছাত্র-জনতার দাবির মুখে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে তিনি বিজয়ী হন। নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করেই এরশাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। তিনি কারাদে  দি ত হন। ১৯৯৬-এর সাধারণ নির্বাচনেও এরশাদ সংসদের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ছয় বছর জেলে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্ত হন। ২০০০ সালে জাতীয় পার্টি তিনটি উপদলে বিভক্ত হয়। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে একটি, নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে একাংশ, আরেকটি অংশের চেয়ারম্যান ছিলেন এরশাদ। পরে দশম নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে আরেক দফা ভাঙন হয়। তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বে একটি অংশ বেরিয়ে গঠন করে জাতীয় পার্টি। ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। এরপর তিনি ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে বিজয়ী হয়। দশম জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি ৩৪টি আসনে জয়লাভ করে। এ নির্বাচনে অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশ নেয়নি। দশম সংসদ নির্বাচনের পর মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত করা হয় তাকে। এ পদ ছিল মন্ত্রীর পদমর্যাদায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২২টি আসন লাভ করে। তিনি বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।

জাতীয় পার্টির তিন দিনের শোক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। গতকাল বিকালে এরশাদের বনানী অফিসের সামনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরশাদের কবর উন্মুক্ত স্থানে দেওয়ার দাবি : এইচ এম এরশাদের কবর ঢাকার কোনো উন্মুক্ত স্থানে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে এরশাদের বনানী কার্যালয়ে এ দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেন।

সর্বশেষ খবর