শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

সেই ৭ নভেম্বর নিয়ে বিতর্ক

জাসদের হঠকারিতা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল

কর্নেল জাফর ইমাম (অব.) বীরবিক্রম
প্রিন্ট ভার্সন
জাসদের হঠকারিতা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। বিশেষ করে ১৫ আগস্ট আর ৭ নভেম্বরের দুঃখজনক ও কলঙ্কময় অধ্যায়  সৃষ্টির বীজ বপন হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়েই। তখন দেখা গেছে, স্বাধীন বাংলার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক সবার কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমরা বঙ্গবন্ধুকে ও স্বাধীনতা চাও নাকি পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন চাও? সেদিন মোশতাকের আসল চেহারা উন্মোচন হয়ে গিয়েছিল। স্বাধীন বাংলার সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকরা এক সুরে বলেছিলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে চাই। স্বাধীনতা চাই। পাকিস্তানের কনফেডারেশন নয়’। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার পর মোশতাকের কুকর্ম বিষয়ে তাকে জানানো হয়েছিল কিনা জানি না। স্বাধীনতার পরও মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করার বাসনা লালন করতেই থাকল। তাজউদ্দীন আহমদকেও হটানোর জন্য মোশতাকের চাটুকারী ভূমিকা ছিল দৃশ্যমান। পাশাপাশি ‘মুজিব বাহিনী’ নামে ভারতে জেনারেল উবানের নেতৃত্বে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিল স্বাধীনতার পর পর তারা জাসদ হয়ে গেল। মেধাবী ছাত্র সংগঠকদের নিয়ে জাসদ বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে থাকে। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা কমে যায়। এ অবস্থায় পরোক্ষভাবে মোশতাক তার ষড়যন্ত্র এগিয়ে নিতে থাকে তাদের অজান্তেই। ’৭৩/৭৪ সালে জাসদ গণবাহিনীতে রূপ নিলে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন মোশতাক তার নীলনকশা বাস্তবায়নে আরেকধাপ এগিয়ে যায়। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু দেশের হাল ছাড়েননি। ৭ নভেম্বর ৩ নভেম্বরের পাল্টা অভ্যুত্থান ছিল না। ৩ নভেম্বর যা ঘটানো হয় তার মূল লক্ষ্য ছিল খুনি মোশতাক গংদের উচ্ছেদ করা। খালেদ ও তার সমমনারা সেদিন সাফল্যের সঙ্গে মোশতাককে উৎখাত করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরে যাওয়ার ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছিল। ওই দিন আমরা দুঃখজনকভাবে জাতীয় চার নেতাকে হারিয়েছিলাম। সেদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কোনো ট্যাংক বহর বা সেনাবাহিনীর আক্রমণ হয়নি। হাজারের অধিক জেল-পুলিশের প্রহরায় সংরক্ষিত কারাগারে মোশতাকের নির্দেশে গিয়েছিল একটি জিপে চারজন ঘাতক। পরে মোশতাকের স্বীকারোক্তি আমরা ক্যাসেটবন্দী করি। খালেদরা যদি ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান না করতেন, মোশতাক যদি আর কয়েক মাস টুপির রাজনীতি চালু রাখতে পারত তাহলে সময়ের ব্যবধানে আরও কয়েকশ হত্যা করত এবং তার আনুগত্য স্বীকার না করলে আরও অনেককে জেল-জুলুম ও নির্যাতন-গুমের শিকার হতে হতো। ইতিহাসের অন্য কোনো দিন জাসদ কী করতে পারত ইতিহাস তা মূল্যায়ন করবে। ৭ নভেম্বর জাসদের এই হঠকারী উদ্যোগের সফলতা শুধু খালেদের ক্ষেত্রে বানচাল করাই মূল্যায়নে আসে। কিন্তু ওই বানচালের পাশাপাশি তাদের এই অপরিপক্ব প্রয়াস ও হঠকারিতা জিয়াকে বন্দীদশা থেকে এনে পরবর্তীতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পথকেই প্রশস্ত করেছিল।  সৈনিক সংস্থা সৃষ্টি, মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যাসহ পুরো উদ্যোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। বলা হয়ে থাকে, ৭ নভেম্বরের ঘটনা ছিল ৩ নভেম্বরের পাল্টা অভ্যুত্থান। কথাটি ঠিক নয়। অনেক আগে থেকেই সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলোতে গোপন সৈনিক সংস্থার কার্যক্রম চালু ছিল। তারা তাদের হাইকমান্ডের নির্দেশে ৭ নভেম্বরকে অভ্যুত্থান করার সময় হিসেবে বেছে নিয়েছিল। ৬ নভেম্বর রাতে এলিফ্যান্ট রোডে কর্নেল তাহেরের ভাই আনোয়ার হোসেনের বাসায় জাসদ, গণবাহিনী ও বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা গোপন বৈঠক করে এবং পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। ঢাকার সর্বত্র তারা একটি লিফলেট বিতরণ করে। সন্ধ্যায় ওই লিফলেট বিতরণের পর ঢাকায় বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে কিছু একটা হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীতেও সৈনিক সংস্থার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছিল। তাদের সিদ্ধান্ত ছিল, সেনানিবাসে রাত ১২টা ১ মিনিটে সৈনিক সংস্থার নেতৃত্বে ‘Motivated’ সৈনিকরা ওপরের দিকে গুলি শুরু করবে এবং এটাই হবে জাসদ, গণবাহিনীর জন্য অভ্যুত্থান শুরুর সংকেত। সঙ্গে সঙ্গে তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল বের করবে। আদমজী থেকে একটা বড় মিছিল বের করার পরিকল্পনা ছিল। সৈনিকদের বিদ্রোহের সমর্থনে বাইরে মিছিল চলবে এবং জনসমর্থন পক্ষে আনার প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে। ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা সেনানিবাসে গোলাগুলি শুরু হয়ে গেল, একই সময়ে বাইরে পরিকল্পনা অনুযায়ী যে মিছিলটি ঢাকায় হয়েছিল তা আকারে খুব একটা বড় ছিল না। সকালের দিকে রাস্তায় যদিও খ  খ  মিছিল ছিল, তাতে জাসদ ছাড়াও অনেক আওয়ামী লীগবিরোধী লোক ছিল। ঢাকা সেনানিবাসে সিপাহিদের বিদ্রোহের ঘটনার সমর্থনে যদি জাসদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীতে ব্যাপক মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমর্থন ব্যাপক জোরদার করতে পারত, তাহলে জিয়াউর রহমান লংমার্চের পরিকল্পনা বাতিলসহ আরও অনেক সিদ্ধান্ত নিতে সংকটে পড়তেন। জনগণের মধ্যে জাসদের সমর্থন ব্যাপক ছিল না এবং পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার সঠিকভাবে পরিকল্পনা মোতাবেক না করতে পারায় বেলা ১০-১১টার মধ্যে জাসদের প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে যায়। ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা-১১টা পর্যন্ত সৈনিক সংস্থার ‘সিপাহি ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই’ স্লোগান সহকারে অফিসার হত্যা এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। কর্নেল তাহের সেনানিবাসের বাইরে থেকে সৈনিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলেন। যদিও বহু সিপাহি এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল, কিন্তু বেশির ভাগ সৈনিক আসল পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য জানত না। অনেকেই অফিসার হত্যাকে সমর্থন না করে সেনাবাহিনীতে ফিরে আসতে চেয়েছিল, অফিসার হত্যা যাতে চলতে থাকে, পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে না আসে সেজন্য জাসদের একটি অংশ ছাড়াও দেশি-বিদেশি আরও একটি চক্র সক্রিয় ছিল বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। জাসদের একটি অংশও এ ব্যাপারটিকে সমর্থন করছিল না। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে কর্নেল তাহেরদের পরামর্শক্রমে সৈনিক সংস্থার সদস্যরা জিয়া-ভক্ত অন্য  সৈনিকদের নিয়ে জিয়াকে গৃহবন্দী থেকে উদ্ধার করে দ্বিতীয় ফিল্ড রেজিমেন্টে অর্থাৎ কর্নেল রশীদের ইউনিটে নিয়ে আসে। সৈনিক সংস্থা ও জাসদ চেয়েছিল, সেই মুহূর্তে যেহেতু জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাকে সামনে রেখে সিপাহিদের একতাকে তাদের পক্ষে আরও সুদৃঢ় করা এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। জিয়া বিষয়টা বুঝে ওঠার জন্য, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর কমান্ড ঠিক করে আনার জন্য প্রথম কয়েক ঘণ্টার জন্য সব ব্যাপারে জাসদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন। ঢাকা সেনানিবাসে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগের পাশাপাশি জিয়া জাসদের রব, জলিলসহ অন্যদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং ১২টার মধ্যে জিয়া ঈযধরহ ড়ভ ঈড়সসধহফ মোটামুটিভাবে ঠিক করে নেওয়ায় ঢাকা সেনানিবাসের শৃঙ্খলা অনেকটা ফিরে এলো। ওই সময় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাসদের ‘লংমার্চ’ প্রস্তুতি চলছিল। সেনাবাহিনীর সৈন্যবোঝাই কয়েকটি ট্রাক বহর শহীদ মিনারে যায়। বেলা ১২টায় লংমার্চে যোগ দিতে জিয়ার শহীদ মিনারে আসার কথা। কিন্তু তিনি এলেন না। সেনাবাহিনীর যারা শহীদ মিনারে গিয়েছিল তারা লংমার্চের জন্য আসা জাসদকর্মী ও নেতাদের ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে মারধর করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার আগমুহূর্ত পর্যন্ত জাসদ জিয়া ও তাহেরের নামে স্লোগান দিচ্ছিল। শহীদ মিনারের আশপাশে মোশতাকের কিছু পোস্টার ও ছবি ছিল। জাসদের উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়। তারা মোশতাকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এর আগে কর্নেল তাহের ভাষণ দেওয়ার জন্য রেডিও স্টেশনে এসেছিলেন। সেখানে তখন মোশতাকও ছিল। তাহের ও মোশতাক কাউকেই ভাষণ দিতে দেওয়া হলো না। জিয়াকে মুক্ত করার আগে কর্নেল তাহের ইচ্ছা করলে ৭ নভেম্বর ভোরে রেডিওতে ভাষণ দিতে পারতেন। কারণ তখন পরিস্থিতি অনেকাংশে তারই নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং সর্বত্র একটা বিভ্রান্তিকর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। সেক্ষেত্রে সেনানিবাসের বাইরে জাসদের রাজনৈতিক মোবিলাইজেশন ব্যাপক হতো এবং ভাষণের পরপর জিয়াকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত করলে কর্নেল তাহের কিছু সময়ের জন্য সেনাবাহিনীতে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা ও সমর্থন বৃদ্ধির চেষ্টা করতে পারতেন। জিয়াকে মুক্ত করে আনার সময় তাকে ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে, দেশব্যাপী বিশেষ করে ঢাকায় তাদের সমর্থনে ছাত্র, শ্রমিক, জনতার ঢল নামবে এবং পুরো সেনাবাহিনীর  সৈনিকরাও একতাবদ্ধ রয়েছে। জিয়া দ্বিতীয় ফিল্ডে বসে দেখলেন, সৈনিকদের যে অংশটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সমর্থনে বাইরে ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন নেই। অর্থাৎ জাসদের পরিকল্পনা ব্যর্থ। ওই পরিস্থিতিতে কারও পক্ষে সেনাবাহিনীকে একতাবদ্ধ করা হয়তো সম্ভব ছিল না। তাই জিয়া সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ওপরে জোর দেন এবং তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। এক্ষেত্রে জিয়া পরিস্থিতিসৃষ্ট সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছিলেন। জিয়া যদি লংমার্চে আসতেন এবং নেতৃত্ব দিতেন, দেশের অবস্থা কী হতো তা বলছি না। শুধু বলব জাসদ পরবর্তীতে জিয়াকে কখনো তাদের নেতা বলে মেনে নিত না। শেষ পর্যন্ত তাহেরই নেতৃত্বে আসার চেষ্টা করতেন। জিয়া এ ব্যাপারে সজাগ ছিলেন। তাই জিয়া বেলা ১১টা পর্যন্ত জাসদের সঙ্গে ঐকমত্যে ছিলেন। ১১টার পরে লংমার্চে শরিক না হয়ে জাসদের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনানুষ্ঠানিকভাবে ছিন্ন করে তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সে মোতাবেক তিনি পরিকল্পনা তৈরি করে ক্ষমতায় চলেও আসেন। জিয়া বেলা ১১টার পর জাসদের সঙ্গে তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আর কোনো সমঝোতা রক্ষা করছিলেন না। আরও পরে, জাসদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক অ্যাকশনে গিয়েছিলেন। সেজন্য জাসদ জিয়াকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যায়িত করে। জিয়াও ১১টার পরে লংমার্চে না গিয়ে প্রশাসন ও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে লংমার্চের নির্ধারিত সময় বেলা ১২টার আগেই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সেরে নেন। জিয়া লংমার্চে না গিয়ে কৌশলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এনে বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং নিজেকে সেনাপ্রধান ও উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। জিয়ার কৌশলগত এই ভূমিকার বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে তখন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছিল না। সবাই আশা পোষণ করছিল, জিয়া নতুন নির্বাচন দিয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করবেন। ৭ নভেম্বরের প্রথম পর্বে সৈনিক সংস্থার নেতৃত্বে জিয়াকে গৃহবন্দী থেকে দ্বিতীয় ফিল্ড রেজিমেন্টে নিয়ে আসা, জিয়ার সঙ্গে জাসদের সমঝোতা পরে সমঝোতা ভেঙে যাওয়া এবং সর্বোপরি দ্বিতীয় পর্বে জাসদ ও মোশতাক গংদের বাদ দিয়ে ব্যক্তি-সমর্থনে ও কৌশলে এগিয়ে যাওয়ার কারণে ৭ নভেম্বর বিপ্লব দিবস হিসেবে সঠিক মূল্যায়ন অনেকের কাছে এখনো বিতর্কিত। আমি ৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা ও অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফ্লাই ক্লাবের একটি উড়োজাহাজে করে রংপুরে আমার ইউনিটে ফিরে যাই। যাওয়ার সময় খালেদ আমাকে বলেছিলেন, রংপুর ব্রিগেড যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। রংপুরে অবস্থানরত রক্ষীবাহিনীর ইউনিটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে, প্রয়োজনে ইউনিট নিয়ে ঢাকার দিকে আসতে হতে পারে। সর্বশেষ বললেন, ‘যশোর ব্রিগেডের দিকে নজর রাখবে এবং ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।’ আমার মুক্তিযুদ্ধকালীন ইউনিট ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ইতিমধ্যে রংপুর থেকে ঢাকায় এসে শেরেবাংলা নগরে অবস্থান করছিল। এ ইউনিট যেহেতু যুদ্ধ চলাকালে আমার অধিনায়কত্বে ‘কে’ ফোর্সের অধীন ছিল সে কারণে এ ইউনিটের ওপর খালেদের আস্থা ছিল অনেক বেশি। ৬ নভেম্বর রাতে ওই ভয়াবহ পরিস্থিতির সময় খালেদ, রক্ষীবাহিনীর প্রধান নুরুজ্জামান, কর্নেল হায়দার ও কর্নেল হুদা দশম বেঙ্গলে আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশে কাঁঠালবাগানে খালেদের এক আত্মীয়র বাসা হয়ে শেরেবাংলা নগরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। আসাদ গেট পৌঁছার পর ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামান সাভার অভিমুখে চলে যান, বাকি তিনজন দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে এসে উপস্থিত হন। সারা রাত খালেদ-হুদাদের সঙ্গে জিয়া-ভক্ত অফিসারদের কথা কাটাকাটি চলছিল। যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান আর্টিলারি সেলে কপালে আঘাতপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ শান্তভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। তিনি এক বাসায় শেষ রাত পর্যন্ত প্রায় ২-৩ প্যাকেট সিগারেট শেষ করলেন। রংপুর থেকে ঢাকা আসা এ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সৈনিকদের কোনো বিদ্রোহ ছিল না। মাত্র কিছুসংখ্যক অফিসার ও সৈনিকের মধ্যে ওপরের ইঙ্গিতে কিছুটা উত্তেজনা ছিল। এ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অদৃশ্য মহলের ইশারায় খালেদ-হুদা-হায়দার তিন বীরমুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র ও ঢাকা সেনানিবাস থেকে কারও যোগসাজশ ছাড়া এ সুপরিকল্পিত নির্মম হত্যাকা  ভোররাতে সংঘটিত হতে পারে না। বিদ্রোহীদের হাতে যদি খালেদ-হুদা-হায়দার নিহত হতেন তাহলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় তাদের লাশ ঢাকা সিএমএইচে এনে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করা, তাদের আত্মীয়স্বজনকে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খবর পৌঁছানো, এমনকি কর্নেল হুদার স্ত্রীকে রংপুর থেকে আনার জন্য হেলিকপ্টার পাঠানো ইত্যাদি ওইদিন ওই উত্তেজিত পরিস্থিতিতে সম্ভব হতো না। সেদিন খুব সুপরিকল্পিতভাবে এও প্রচার করা হয়েছিল যে, খালেদ ইন্ডিয়ান এজেন্ট ছিলেন এবং তার কাছে ইন্ডিয়ান টাকা পাওয়া গেছে-এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ প্রচার শুধু খালেদের বিরুদ্ধে ছিল না, পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও ছিল। অন্য রাজনৈতিক নেতাদের হত্যাকান্ডে র বিচারের পাশাপাশি এই বীর সেক্টর কমান্ডার মে. জেনারেল খালেদ, কর্নেল হুদা ও কর্নেল হায়দার হত্যার বিচার হওয়া উচিত। এ হত্যাকান্ডে র রহস্য জানার অধিকার জাতির রয়েছে।

অনুলিখন : শফিকুল ইসলাম সোহাগ

এই বিভাগের আরও খবর
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা নয়
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা নয়
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
উত্তাল ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তাল ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না
সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
সর্বশেষ খবর
ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য
আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান
দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ
শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি
পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি

২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক ন্যায্যমজুরি পান না : বিবিএসের জরিপ
দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক ন্যায্যমজুরি পান না : বিবিএসের জরিপ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল
স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাবিশ্বের ভারসাম্যই প্রাণের সম্ভাবনার মূল চাবিকাঠি
মহাবিশ্বের ভারসাম্যই প্রাণের সম্ভাবনার মূল চাবিকাঠি

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মাইলফলকের সামনে শান্ত
মাইলফলকের সামনে শান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই
৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমানের সেই মুন্নি এখন
সালমানের সেই মুন্নি এখন

শোবিজ

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল
মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল

শোবিজ

যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা
যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা

শোবিজ

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’
‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’

মাঠে ময়দানে

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’
সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’

শোবিজ

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন

নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না
সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

নগর জীবন