শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

সেই ৭ নভেম্বর নিয়ে বিতর্ক

জাসদের হঠকারিতা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল

কর্নেল জাফর ইমাম (অব.) বীরবিক্রম
প্রিন্ট ভার্সন
জাসদের হঠকারিতা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। বিশেষ করে ১৫ আগস্ট আর ৭ নভেম্বরের দুঃখজনক ও কলঙ্কময় অধ্যায়  সৃষ্টির বীজ বপন হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়েই। তখন দেখা গেছে, স্বাধীন বাংলার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক সবার কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমরা বঙ্গবন্ধুকে ও স্বাধীনতা চাও নাকি পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন চাও? সেদিন মোশতাকের আসল চেহারা উন্মোচন হয়ে গিয়েছিল। স্বাধীন বাংলার সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকরা এক সুরে বলেছিলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে চাই। স্বাধীনতা চাই। পাকিস্তানের কনফেডারেশন নয়’। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার পর মোশতাকের কুকর্ম বিষয়ে তাকে জানানো হয়েছিল কিনা জানি না। স্বাধীনতার পরও মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করার বাসনা লালন করতেই থাকল। তাজউদ্দীন আহমদকেও হটানোর জন্য মোশতাকের চাটুকারী ভূমিকা ছিল দৃশ্যমান। পাশাপাশি ‘মুজিব বাহিনী’ নামে ভারতে জেনারেল উবানের নেতৃত্বে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিল স্বাধীনতার পর পর তারা জাসদ হয়ে গেল। মেধাবী ছাত্র সংগঠকদের নিয়ে জাসদ বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে থাকে। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা কমে যায়। এ অবস্থায় পরোক্ষভাবে মোশতাক তার ষড়যন্ত্র এগিয়ে নিতে থাকে তাদের অজান্তেই। ’৭৩/৭৪ সালে জাসদ গণবাহিনীতে রূপ নিলে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন মোশতাক তার নীলনকশা বাস্তবায়নে আরেকধাপ এগিয়ে যায়। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু দেশের হাল ছাড়েননি। ৭ নভেম্বর ৩ নভেম্বরের পাল্টা অভ্যুত্থান ছিল না। ৩ নভেম্বর যা ঘটানো হয় তার মূল লক্ষ্য ছিল খুনি মোশতাক গংদের উচ্ছেদ করা। খালেদ ও তার সমমনারা সেদিন সাফল্যের সঙ্গে মোশতাককে উৎখাত করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরে যাওয়ার ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছিল। ওই দিন আমরা দুঃখজনকভাবে জাতীয় চার নেতাকে হারিয়েছিলাম। সেদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কোনো ট্যাংক বহর বা সেনাবাহিনীর আক্রমণ হয়নি। হাজারের অধিক জেল-পুলিশের প্রহরায় সংরক্ষিত কারাগারে মোশতাকের নির্দেশে গিয়েছিল একটি জিপে চারজন ঘাতক। পরে মোশতাকের স্বীকারোক্তি আমরা ক্যাসেটবন্দী করি। খালেদরা যদি ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান না করতেন, মোশতাক যদি আর কয়েক মাস টুপির রাজনীতি চালু রাখতে পারত তাহলে সময়ের ব্যবধানে আরও কয়েকশ হত্যা করত এবং তার আনুগত্য স্বীকার না করলে আরও অনেককে জেল-জুলুম ও নির্যাতন-গুমের শিকার হতে হতো। ইতিহাসের অন্য কোনো দিন জাসদ কী করতে পারত ইতিহাস তা মূল্যায়ন করবে। ৭ নভেম্বর জাসদের এই হঠকারী উদ্যোগের সফলতা শুধু খালেদের ক্ষেত্রে বানচাল করাই মূল্যায়নে আসে। কিন্তু ওই বানচালের পাশাপাশি তাদের এই অপরিপক্ব প্রয়াস ও হঠকারিতা জিয়াকে বন্দীদশা থেকে এনে পরবর্তীতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পথকেই প্রশস্ত করেছিল।  সৈনিক সংস্থা সৃষ্টি, মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যাসহ পুরো উদ্যোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। বলা হয়ে থাকে, ৭ নভেম্বরের ঘটনা ছিল ৩ নভেম্বরের পাল্টা অভ্যুত্থান। কথাটি ঠিক নয়। অনেক আগে থেকেই সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলোতে গোপন সৈনিক সংস্থার কার্যক্রম চালু ছিল। তারা তাদের হাইকমান্ডের নির্দেশে ৭ নভেম্বরকে অভ্যুত্থান করার সময় হিসেবে বেছে নিয়েছিল। ৬ নভেম্বর রাতে এলিফ্যান্ট রোডে কর্নেল তাহেরের ভাই আনোয়ার হোসেনের বাসায় জাসদ, গণবাহিনী ও বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা গোপন বৈঠক করে এবং পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। ঢাকার সর্বত্র তারা একটি লিফলেট বিতরণ করে। সন্ধ্যায় ওই লিফলেট বিতরণের পর ঢাকায় বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে কিছু একটা হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীতেও সৈনিক সংস্থার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছিল। তাদের সিদ্ধান্ত ছিল, সেনানিবাসে রাত ১২টা ১ মিনিটে সৈনিক সংস্থার নেতৃত্বে ‘Motivated’ সৈনিকরা ওপরের দিকে গুলি শুরু করবে এবং এটাই হবে জাসদ, গণবাহিনীর জন্য অভ্যুত্থান শুরুর সংকেত। সঙ্গে সঙ্গে তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল বের করবে। আদমজী থেকে একটা বড় মিছিল বের করার পরিকল্পনা ছিল। সৈনিকদের বিদ্রোহের সমর্থনে বাইরে মিছিল চলবে এবং জনসমর্থন পক্ষে আনার প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে। ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা সেনানিবাসে গোলাগুলি শুরু হয়ে গেল, একই সময়ে বাইরে পরিকল্পনা অনুযায়ী যে মিছিলটি ঢাকায় হয়েছিল তা আকারে খুব একটা বড় ছিল না। সকালের দিকে রাস্তায় যদিও খ  খ  মিছিল ছিল, তাতে জাসদ ছাড়াও অনেক আওয়ামী লীগবিরোধী লোক ছিল। ঢাকা সেনানিবাসে সিপাহিদের বিদ্রোহের ঘটনার সমর্থনে যদি জাসদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীতে ব্যাপক মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমর্থন ব্যাপক জোরদার করতে পারত, তাহলে জিয়াউর রহমান লংমার্চের পরিকল্পনা বাতিলসহ আরও অনেক সিদ্ধান্ত নিতে সংকটে পড়তেন। জনগণের মধ্যে জাসদের সমর্থন ব্যাপক ছিল না এবং পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার সঠিকভাবে পরিকল্পনা মোতাবেক না করতে পারায় বেলা ১০-১১টার মধ্যে জাসদের প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে যায়। ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা-১১টা পর্যন্ত সৈনিক সংস্থার ‘সিপাহি ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই’ স্লোগান সহকারে অফিসার হত্যা এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। কর্নেল তাহের সেনানিবাসের বাইরে থেকে সৈনিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলেন। যদিও বহু সিপাহি এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল, কিন্তু বেশির ভাগ সৈনিক আসল পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য জানত না। অনেকেই অফিসার হত্যাকে সমর্থন না করে সেনাবাহিনীতে ফিরে আসতে চেয়েছিল, অফিসার হত্যা যাতে চলতে থাকে, পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে না আসে সেজন্য জাসদের একটি অংশ ছাড়াও দেশি-বিদেশি আরও একটি চক্র সক্রিয় ছিল বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। জাসদের একটি অংশও এ ব্যাপারটিকে সমর্থন করছিল না। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে কর্নেল তাহেরদের পরামর্শক্রমে সৈনিক সংস্থার সদস্যরা জিয়া-ভক্ত অন্য  সৈনিকদের নিয়ে জিয়াকে গৃহবন্দী থেকে উদ্ধার করে দ্বিতীয় ফিল্ড রেজিমেন্টে অর্থাৎ কর্নেল রশীদের ইউনিটে নিয়ে আসে। সৈনিক সংস্থা ও জাসদ চেয়েছিল, সেই মুহূর্তে যেহেতু জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাকে সামনে রেখে সিপাহিদের একতাকে তাদের পক্ষে আরও সুদৃঢ় করা এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। জিয়া বিষয়টা বুঝে ওঠার জন্য, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর কমান্ড ঠিক করে আনার জন্য প্রথম কয়েক ঘণ্টার জন্য সব ব্যাপারে জাসদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন। ঢাকা সেনানিবাসে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগের পাশাপাশি জিয়া জাসদের রব, জলিলসহ অন্যদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং ১২টার মধ্যে জিয়া ঈযধরহ ড়ভ ঈড়সসধহফ মোটামুটিভাবে ঠিক করে নেওয়ায় ঢাকা সেনানিবাসের শৃঙ্খলা অনেকটা ফিরে এলো। ওই সময় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাসদের ‘লংমার্চ’ প্রস্তুতি চলছিল। সেনাবাহিনীর সৈন্যবোঝাই কয়েকটি ট্রাক বহর শহীদ মিনারে যায়। বেলা ১২টায় লংমার্চে যোগ দিতে জিয়ার শহীদ মিনারে আসার কথা। কিন্তু তিনি এলেন না। সেনাবাহিনীর যারা শহীদ মিনারে গিয়েছিল তারা লংমার্চের জন্য আসা জাসদকর্মী ও নেতাদের ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে মারধর করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার আগমুহূর্ত পর্যন্ত জাসদ জিয়া ও তাহেরের নামে স্লোগান দিচ্ছিল। শহীদ মিনারের আশপাশে মোশতাকের কিছু পোস্টার ও ছবি ছিল। জাসদের উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়। তারা মোশতাকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এর আগে কর্নেল তাহের ভাষণ দেওয়ার জন্য রেডিও স্টেশনে এসেছিলেন। সেখানে তখন মোশতাকও ছিল। তাহের ও মোশতাক কাউকেই ভাষণ দিতে দেওয়া হলো না। জিয়াকে মুক্ত করার আগে কর্নেল তাহের ইচ্ছা করলে ৭ নভেম্বর ভোরে রেডিওতে ভাষণ দিতে পারতেন। কারণ তখন পরিস্থিতি অনেকাংশে তারই নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং সর্বত্র একটা বিভ্রান্তিকর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। সেক্ষেত্রে সেনানিবাসের বাইরে জাসদের রাজনৈতিক মোবিলাইজেশন ব্যাপক হতো এবং ভাষণের পরপর জিয়াকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত করলে কর্নেল তাহের কিছু সময়ের জন্য সেনাবাহিনীতে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা ও সমর্থন বৃদ্ধির চেষ্টা করতে পারতেন। জিয়াকে মুক্ত করে আনার সময় তাকে ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে, দেশব্যাপী বিশেষ করে ঢাকায় তাদের সমর্থনে ছাত্র, শ্রমিক, জনতার ঢল নামবে এবং পুরো সেনাবাহিনীর  সৈনিকরাও একতাবদ্ধ রয়েছে। জিয়া দ্বিতীয় ফিল্ডে বসে দেখলেন, সৈনিকদের যে অংশটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সমর্থনে বাইরে ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন নেই। অর্থাৎ জাসদের পরিকল্পনা ব্যর্থ। ওই পরিস্থিতিতে কারও পক্ষে সেনাবাহিনীকে একতাবদ্ধ করা হয়তো সম্ভব ছিল না। তাই জিয়া সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ওপরে জোর দেন এবং তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। এক্ষেত্রে জিয়া পরিস্থিতিসৃষ্ট সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছিলেন। জিয়া যদি লংমার্চে আসতেন এবং নেতৃত্ব দিতেন, দেশের অবস্থা কী হতো তা বলছি না। শুধু বলব জাসদ পরবর্তীতে জিয়াকে কখনো তাদের নেতা বলে মেনে নিত না। শেষ পর্যন্ত তাহেরই নেতৃত্বে আসার চেষ্টা করতেন। জিয়া এ ব্যাপারে সজাগ ছিলেন। তাই জিয়া বেলা ১১টা পর্যন্ত জাসদের সঙ্গে ঐকমত্যে ছিলেন। ১১টার পরে লংমার্চে শরিক না হয়ে জাসদের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনানুষ্ঠানিকভাবে ছিন্ন করে তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সে মোতাবেক তিনি পরিকল্পনা তৈরি করে ক্ষমতায় চলেও আসেন। জিয়া বেলা ১১টার পর জাসদের সঙ্গে তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আর কোনো সমঝোতা রক্ষা করছিলেন না। আরও পরে, জাসদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক অ্যাকশনে গিয়েছিলেন। সেজন্য জাসদ জিয়াকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যায়িত করে। জিয়াও ১১টার পরে লংমার্চে না গিয়ে প্রশাসন ও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে লংমার্চের নির্ধারিত সময় বেলা ১২টার আগেই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সেরে নেন। জিয়া লংমার্চে না গিয়ে কৌশলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এনে বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং নিজেকে সেনাপ্রধান ও উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। জিয়ার কৌশলগত এই ভূমিকার বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে তখন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছিল না। সবাই আশা পোষণ করছিল, জিয়া নতুন নির্বাচন দিয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করবেন। ৭ নভেম্বরের প্রথম পর্বে সৈনিক সংস্থার নেতৃত্বে জিয়াকে গৃহবন্দী থেকে দ্বিতীয় ফিল্ড রেজিমেন্টে নিয়ে আসা, জিয়ার সঙ্গে জাসদের সমঝোতা পরে সমঝোতা ভেঙে যাওয়া এবং সর্বোপরি দ্বিতীয় পর্বে জাসদ ও মোশতাক গংদের বাদ দিয়ে ব্যক্তি-সমর্থনে ও কৌশলে এগিয়ে যাওয়ার কারণে ৭ নভেম্বর বিপ্লব দিবস হিসেবে সঠিক মূল্যায়ন অনেকের কাছে এখনো বিতর্কিত। আমি ৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা ও অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফ্লাই ক্লাবের একটি উড়োজাহাজে করে রংপুরে আমার ইউনিটে ফিরে যাই। যাওয়ার সময় খালেদ আমাকে বলেছিলেন, রংপুর ব্রিগেড যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। রংপুরে অবস্থানরত রক্ষীবাহিনীর ইউনিটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে, প্রয়োজনে ইউনিট নিয়ে ঢাকার দিকে আসতে হতে পারে। সর্বশেষ বললেন, ‘যশোর ব্রিগেডের দিকে নজর রাখবে এবং ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।’ আমার মুক্তিযুদ্ধকালীন ইউনিট ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ইতিমধ্যে রংপুর থেকে ঢাকায় এসে শেরেবাংলা নগরে অবস্থান করছিল। এ ইউনিট যেহেতু যুদ্ধ চলাকালে আমার অধিনায়কত্বে ‘কে’ ফোর্সের অধীন ছিল সে কারণে এ ইউনিটের ওপর খালেদের আস্থা ছিল অনেক বেশি। ৬ নভেম্বর রাতে ওই ভয়াবহ পরিস্থিতির সময় খালেদ, রক্ষীবাহিনীর প্রধান নুরুজ্জামান, কর্নেল হায়দার ও কর্নেল হুদা দশম বেঙ্গলে আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশে কাঁঠালবাগানে খালেদের এক আত্মীয়র বাসা হয়ে শেরেবাংলা নগরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। আসাদ গেট পৌঁছার পর ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামান সাভার অভিমুখে চলে যান, বাকি তিনজন দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে এসে উপস্থিত হন। সারা রাত খালেদ-হুদাদের সঙ্গে জিয়া-ভক্ত অফিসারদের কথা কাটাকাটি চলছিল। যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান আর্টিলারি সেলে কপালে আঘাতপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ শান্তভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। তিনি এক বাসায় শেষ রাত পর্যন্ত প্রায় ২-৩ প্যাকেট সিগারেট শেষ করলেন। রংপুর থেকে ঢাকা আসা এ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সৈনিকদের কোনো বিদ্রোহ ছিল না। মাত্র কিছুসংখ্যক অফিসার ও সৈনিকের মধ্যে ওপরের ইঙ্গিতে কিছুটা উত্তেজনা ছিল। এ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অদৃশ্য মহলের ইশারায় খালেদ-হুদা-হায়দার তিন বীরমুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র ও ঢাকা সেনানিবাস থেকে কারও যোগসাজশ ছাড়া এ সুপরিকল্পিত নির্মম হত্যাকা  ভোররাতে সংঘটিত হতে পারে না। বিদ্রোহীদের হাতে যদি খালেদ-হুদা-হায়দার নিহত হতেন তাহলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় তাদের লাশ ঢাকা সিএমএইচে এনে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করা, তাদের আত্মীয়স্বজনকে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খবর পৌঁছানো, এমনকি কর্নেল হুদার স্ত্রীকে রংপুর থেকে আনার জন্য হেলিকপ্টার পাঠানো ইত্যাদি ওইদিন ওই উত্তেজিত পরিস্থিতিতে সম্ভব হতো না। সেদিন খুব সুপরিকল্পিতভাবে এও প্রচার করা হয়েছিল যে, খালেদ ইন্ডিয়ান এজেন্ট ছিলেন এবং তার কাছে ইন্ডিয়ান টাকা পাওয়া গেছে-এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ প্রচার শুধু খালেদের বিরুদ্ধে ছিল না, পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও ছিল। অন্য রাজনৈতিক নেতাদের হত্যাকান্ডে র বিচারের পাশাপাশি এই বীর সেক্টর কমান্ডার মে. জেনারেল খালেদ, কর্নেল হুদা ও কর্নেল হায়দার হত্যার বিচার হওয়া উচিত। এ হত্যাকান্ডে র রহস্য জানার অধিকার জাতির রয়েছে।

অনুলিখন : শফিকুল ইসলাম সোহাগ

এই বিভাগের আরও খবর
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
এনসিপিসহ দুই দলকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন
এনসিপিসহ দুই দলকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মুশফিকের ১০০তম টেস্ট আজ
মুশফিকের ১০০তম টেস্ট আজ
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের বৈঠক
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের বৈঠক
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
সর্বশেষ খবর
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি
ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর
জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন
সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

২৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৩১ মিনিট আগে | রাজনীতি

কানাডায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চায়নের ঘোষণা
কানাডায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চায়নের ঘোষণা

৪১ মিনিট আগে | পরবাস

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে বিসিবির বিশেষ আয়োজন
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে বিসিবির বিশেষ আয়োজন

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের
পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

খালি পেটে পানি পানের যত উপকার
খালি পেটে পানি পানের যত উপকার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ
ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসির সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ ১২ দলের বৈঠক আজ
ইসির সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ ১২ দলের বৈঠক আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পৃথিবীর  কাছাকাছি আসছে তিনটি গ্রহাণু, তবে ঝুঁকি নেই বলছে নাসা
পৃথিবীর  কাছাকাছি আসছে তিনটি গ্রহাণু, তবে ঝুঁকি নেই বলছে নাসা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পরিচয় গোপন করে চ্যাটের সুবিধা আনছে হোয়াটসঅ্যাপে
পরিচয় গোপন করে চ্যাটের সুবিধা আনছে হোয়াটসঅ্যাপে

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঢাকার বাতাস আজ কতটা বিষাক্ত?
ঢাকার বাতাস আজ কতটা বিষাক্ত?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন