ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ। একই সঙ্গে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে আরও চারজনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ফোরাম সিন্ডিকেট এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক এবং সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় আরও দুজনকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়। সাময়িক বহিষ্কৃত ১৩ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গত ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। ৮৭ জনের মধ্যে ১৫ জনকে ওই বছরই স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। বাকি ৭২ জনের মধ্যে ৬৩ জন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হতে যাচ্ছে। অবশিষ্ট ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানের নোটিস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রাথমিক জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৮৭ শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ জনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়। বাকি ৭২ জনের মধ্যে ৬৩ জনের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৯ জনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রশ্ন। জালিয়াতদের আমরা ছাড় দেব না। তিনি জানান, কিছুদিন আগে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের চার শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসন আজীবন বহিষ্কার করে।
তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ নেই।
