বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, বর্তমানে সম্পূর্ণ ভুল নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে দেশের ব্যাংকিং খাত। ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি। অর্থমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন খেলাপি ঋণ আর বাড়বে না, কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি আরও বলেছিলেন, কোনো ঋণখেলাপিকে তিনি জেলে নিতে চান না। তার এই বক্তব্যে খেলাপিরা উৎসাহিত হয়েছেন বলে মনে করেন ইব্রাহীম খালেদ। সাবেক এই ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকার এখন যে নীতিতে ব্যাংক চালাচ্ছে সেটা ভুল নীতি। এভাবে খেলাপি সংস্কৃতি থেকে বেরোনো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে চীনের একটি উদাহরণ দেন তিনি। ইব্রাহীম খালেদ বলেন, চীনে যখন খেলাপি ঋণ বেড়ে গেল তখন চীন সরকার একটি নিয়ম চালু করল তা হলো-ঋণখেলাপিদের পাসপোর্ট সরকারের কাছে জমা রাখতে হবে। তারা বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবে না। ঋণখেলাপিরা কোনো ধরনের সিআইপি সুবিধা পাবে না। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে কোনো পুরস্কার গ্রহণ করতে পারবে না। এসব নীতির ফলে চীনে খেলাপি ঋণের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এমন নীতিও অনুসরণ করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ইব্রাহীম খালেদ আরও বলেন, ব্যাংক পরিচালকদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তারা অন্য ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিচ্ছেন না। কেননা ব্যাংকের যারা মালিক তারা প্রত্যেকেই বড় ব্যবসায়ী। অর্থাৎ ব্যাংক ব্যবসার পাশাপাশি অন্য ব্যবসাও তাদের রয়েছে। এজন্য নিজেদের ব্যবসার প্রয়োজনে তারা ঋণ নিচ্ছেন। যার ফলে অন্য গ্রহীতা বঞ্চিত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্র্তী দেশ ভারতের নীতিকে মনে করিয়ে দেন তিনি। ভারতে যারা ব্যাংক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা শুধু ব্যাংক ব্যবসাই করেন। অন্য কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকবেন না এমন লোকদেরই ব্যাংক ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হয়। এই দুই নীতিতে ব্যাংক খাত পরিচালনা করলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে