শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

অধ্যাপক আবদুল মালিক

জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক বলেছেন, দেশে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে ডায়াবেটিসে আক্রান্তও বাড়ছে। দেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে জাতিকে সুস্থ রাখতে হবে।

গতকাল সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা সম্মিলিতভাবে ‘খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয় : ভোক্তা প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ট্রান্স ফ্যাটের প্রভাব, এর বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে তিনটি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, প্রজ্ঞার পরিচালক ও কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার এবং ক্যাবের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহম্মদ একরামুল্লাহ।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবদুল মালিক আরও বলেন, দূরারোগ্য অন্য ব্যাধি হলে হয়তো মানুষ হঠাৎ মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু হৃদরোগ-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সারাজনম এ রোগ বয়ে বেড়াতে হয়। এসব রোগ এড়াতে হলে শাক-সবজিসহ অন্য স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে, ফাস্টফুডের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাতে আমাদের খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করতে হবে। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত গাইডলাইন অনুসরণ না করে যেসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে, প্রয়োজনে জনস্বার্থে সেগুলো নিষিদ্ধ করা হবে। তিনি বলেন, ট্রান্স ফ্যাটের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই কাজ শুরু করেছে। খাদ্যপণ্যের লেবেলে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে। যেসব খাদ্যপণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে, সেগুলো সম্পর্কে শিল্প মন্ত্রণালয় সজাগ রয়েছে। বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে নিরাপদ খাদ্যের ঘাটতি রয়েই গেছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোলাম রহমান। বক্তব্য দেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর