বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আইনজীবীকে আটকে রাখায় বিচারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনজীবীকে আটকে রাখায় বিচারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের প্রধান গেট বন্ধ করে গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আইনজীবীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা আইনজীবী সমিতির একজন নিয়মিত সদস্যকে বেআইনিভাবে ‘দুই ঘণ্টা আটকে রাখার’ অভিযোগে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের ‘অপসারণ’ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। গতকাল সকালে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে আদালতপাড়ায় স্লোগান দিয়ে এ বিক্ষোভ করেন। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের প্রধান গেট বন্ধ করে বিচারকের বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেন আইনজীবীরা। এ কারণে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই ভবনের বিচারকাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং আদালতপাড়ার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা গেছে। তবে বেলা ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির একজন আইনজীবীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বিচারক আসাদুজ্জামান নূর এবং তাকে আটকে রাখেন। বিচারকের এমন অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল ঢাকা বারের সাধারণ আইনজীবীরা সিএমএম আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন। এর আগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কাছে মঙ্গলবার ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন আইনজীবী রুবেল আহমেদ ভূঞা নামের ওই আইনজীবী। এদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার এসিএমএম আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে একজন আইনজীবীর অসৌজন্যমূলক আচরণ নিয়ে যে বিরোধের সূত্রপাত, সেটির মীমাংসা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন আইনজীবীরা। আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় একটি মামলার শুনানি করতে বিচারক আসাদুজ্জামান নূরের এজলাসে যান আইনজীবী রুবেল আহমেদ ভূঞা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওই আদালতের পেশকার জানান, বেলা ১২টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন। তখন আইনজীবী রুবেল বলেন, ‘আমাদের একটা নির্দিষ্ট সময় বলা হোক, তা না হলে আমাদের সমস্যা হয়। সকালে অন্য আদালতেও মামলা থাকে। এক মামলার শুনানির জন্য এভাবে অপেক্ষা করতে গেলে অন্য মামলা আর করা যায় না।’ পরে বিচারক এজলাসে উঠে ওই আইনজীবীকে অন্য মামলা সেরে আসতে বলেন। অন্য মামলা সেরে আসার পর আইনজীবী রুবেল তার কনিষ্ঠ সহযোগী আইনজীবীকে পাঠান এ মামলা শুনানি করতে। তখন বিচারক বলেন, ‘সেই আইনজীবীকে আসতে হবে, যিনি সময়বিভ্রাটে পড়েছেন।’ পরে আইনজীবী রুবেল এজলাসে এলে কোনো কথা না শুনেই বিচারক এজলাসে থাকা পুলিশকে নির্দেশ দেন ওই আইনজীবীকে আটক করার জন্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর