রবিবার, ৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

গ্রেফতার ছাত্রদের মুক্তি দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রেফতার ছাত্রদের মুক্তি দিন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রতি ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার ছাত্রদের মুক্তি দাবি করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, জামিন

পাওয়া নাগরিকের অধিকার। গতকাল দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ দাবি জানান। ঈদের আগে আটককৃত ছাত্রদের জামিনের দাবিতে বিশিষ্টজনরা প্রধান বিচারপতির কাছে যৌথ স্বাক্ষরে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের আটককৃত ছাত্রদের ঈদের আগেই জামিনে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধান বিচারপতিকে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করে আটক ছাত্রদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। অনুষ্ঠান শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ রাজনীতির বলি।

চিকিৎসকরা কেউ ভয়ে মুখ খুলছেন না। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিন। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, হাফিজ উদ্দিন খান, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ড. বদিউল আলম মজুমদার, নারীনেত্রী শিরিন হক, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, লেখক নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জোনায়েদ সাকি প্রমুখ। নিরাপত্তা আইন, পেনাল কোডসহ বিভিন্ন আইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অর্ধশতাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সামনের ঈদ, সর্বোপরি ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই ছাত্ররা অবিলম্বে জামিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকারী বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া চিঠিতে আরও বলা হয়, গত দুই মাসে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারকৃত সব ছাত্রকে আগামী রোজার ঈদের আগে জামিন প্রাপ্তির জন্য আপনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এর মধ্যে রিমান্ডে এবং করোনাকালে তাদের প্রতি কোনো নিপীড়ন হচ্ছে কি না তা তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এ ছাড়াও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যার বিরুদ্ধে কটূক্তি বা মানহানি করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করতে পারবে না, এ ধরনের নির্দেশনা প্রদান করুন।

সর্বশেষ খবর