বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেছেন, অপরিকল্পিত লকডাউন বা বিধিনিষেধের কোনো যুক্তি নেই। লকডাউন যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। আলাপকালে অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, হঠাৎ করে দেওয়া লকডাউন যে কার্যকর হচ্ছে না, এটা সবাই জানে। লকডাউন কার্যকর করতে হলে আগে জনগণকে সজাগ বা প্রস্তুতি নিতে বলতে হবে। জনগণকে লকডাউনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। সরকার যখন হঠাৎ করেই সাত জেলায় লকডাউন দিল, তাতে জনগণ প্রস্তুত ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তারা এই লকডাউনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারছে না। এ কারণে লকডাউনের যে উদ্দেশ্য সেটা সফল হবে না। অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, সরকারের যদি কোনো এলাকায় লকডাউনের পরিকল্পনা থাকে তাহলে আগে থেকেই বলে দিতে হবে, কোথাও যদি সংক্রমণের হার এত শতাংশ হয়, তবে লকডাউন দেওয়া হবে। জনগণও সেটার জন্য প্রস্তুত থাকবে। জনগণ যখন প্রস্তুত থাকবে তাহলে সরকার দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিতে পারে। এক সপ্তাহ লকডাউন দেওয়ারও বৈজ্ঞানিক কোনো যুক্তি নেই। ডা. মোজাহেরুল হক আরও বলেন, যেভাবে এখন দেশজুড়ে লকডাউন দেওয়া হচ্ছে তার বিজ্ঞানসম্মত কোনো যুক্তি নেই। যেই এলাকায় সংক্রমণ, সেই এলাকায় লকডাউন থাকা উচিত। সরকার এতদিন পর সেই পথেই যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে লকডাউন মানেই লকডাউন। নির্দিষ্ট এলাকায় লকডাউন করতে হবে, লকডাউনের মতো করেই। সেই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, বের হতে দেওয়া হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তে যারা সংক্রমিত তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। জেলা সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ থাকতে হবে। বিশেষ করে এখন সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আইসিইউ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি জেলায় আইসিইউ থাকা উচিত। এতে রাজধানীর ওপর চাপ কমবে।