রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

গুচ্ছ সংক্রমণ ঠেকানো জরুরি

----------- ডা. মুশতাক হোসেন

গুচ্ছ সংক্রমণ ঠেকানো জরুরি

জনস্বাস্থ্যবিদ এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, আগামী মাসে সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। শনাক্ত কমার তিন সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুহারও কমবে। কিন্তু এ মুহূর্তে প্রধান কাজ গুচ্ছ সংক্রমণ ঠেকানো। গুচ্ছগুলো ভেঙে দিলে ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়বে। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ কমলে, সবাই টিকা পেলে দেশেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। পৃথিবী থেকে করোনা দূর না হওয়া পর্যন্ত দুশ্চিন্তা থাকবেই। দেশে এখন শনাক্ত ও সংক্রমণ হার কমছে এটা স্বস্তির। আগামী মাসে আরও কমবে। শনাক্তের তিন সপ্তাহ পর্যন্ত মৃত্যুর ওপর প্রভাব থাকে। শনাক্ত কমলে মৃত্যুহারও কমবে। কিন্তু সামাজিক, অর্থনৈতিক, দৈনিক প্রয়োজনে সবকিছু একসঙ্গে শিথিল করা হয়েছে। গণপরিবহন, অফিস, কলকারখানা সবকিছু একসঙ্গে খুলে দেওয়ায় সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে। গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। দেশের যেসব জায়গায় গুচ্ছ আকারে সংক্রমণ হচ্ছে সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব জায়গায় সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুচ্ছ ভেঙে দিতে হবে। এতে ভাইরাস একসঙ্গে অনেক বেশি মানুষকে সংক্রমিত করতে পারবে না। ফলে দুর্বল হয়ে পড়বে। সংক্রমণ হার কমে এলে আমরা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারব। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। তবে সবকিছু রয়েসয়ে করতে হবে। কারণ কোনোভাবে যদি সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে হিতের বিপরীত হবে। এই জনস্বাস্থ্যবিদ আরও বলেন, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতাও জরুরি। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এসবের পাশাপাশি টিকা কর্মসূচিতে জোর দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব বেশিসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার।

সর্বশেষ খবর