শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের মন্তব্য

গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেসটিনি, ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পরই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। গতকাল অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী। শুনানিতে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে হাই কোর্ট উল্লেখ করে, ‘আমার বাড়ি কেন অরক্ষিত? আমার বাড়ি মানে বাংলাদেশ। দেশের মানুষ দরজা-জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে, কিন্তু আমার ঘর কেন অরক্ষিত? মানুষের টাকা কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে? এগুলো বন্ধ করা কাদের দায়িত্ব? এটা আমরা দেখতে চাই। আমরা এটা পরীক্ষা করতে চাই।’ তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, ‘মাই লর্ড! সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছ, ইভ্যালির কর্তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।’ তখন বিচারক বলেন, ‘সরকার তো ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু সেটা কখন? যখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমার রেমিডিটা কোথায়? আমার টাকাটা নিয়ে গেল, আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। সে থানায় যাবে, জেলে যাবে যাক, কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটা কোথায়? আমরা মামলা করার পর চোর ধরা পড়ছে। চুরি তো ঠেকানো যাচ্ছে না।’ হাই কোর্ট আরও উল্লেখ করে, ‘সরকারের কাজ কী? এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, তাদের আইনের শাসন সবকিছু ঠিকমতো কাজ করছে কি না আমরা দেখব।’ পরে এ রিটের ওপর আরও শুনানির জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন রাখে হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, গ্রামপর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা সুদ কারবারিদের তালিকা করার নির্দেশনা চেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। রিটে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিবাদী করা হয়।

সর্বশেষ খবর