ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘আটলান্টিক কাউন্সিল’-এর এক ওয়েবিনারে আলোচকরা উল্লেখ করেছেন, করোনা মহামারী ও রোহিঙ্গা সংকটের মতো অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার উন্নয়নের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় আটলান্টিক কাউন্সিলের এ মুক্ত আলোচনার বিষয় ছিল ‘আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের ভূমিকা’। সঞ্চালনা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও থিঙ্কট্যাঙ্কটির সাউথ-এশিয়ান সেন্টারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ওসমান সিদ্দিক। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিগন্ত প্রসারিত এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থানির্ভর যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সংযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এভাবেই আঞ্চলিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ অনন্য এক উদাহরণ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, করোনা নিয়ন্ত্রণ এবং জলবায়ু দূষণ রোধকল্পে আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের আন্তরিকতার কথাও তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল।
এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক, তিস্তার পানি চুক্তি, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রসঙ্গও স্থান পায় এ আলোচনায়। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার চলমান অগ্রযাত্রা ও আঞ্চলিক উন্নয়নে যে কোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে চায়। নিকট প্রতিবেশীসহ গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আগ্রহী এবং কারও সঙ্গে বৈরিতায় বিশ্বাসী নয়। যে কোনো সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। বাইডেন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ওসমান সিদ্দিক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে নানা পরিস্থিতির মধ্যেও আন্তর্জাতিক কিছু সূচকের উদ্ধৃতি দিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উপস্থাপন করেন। উন্নয়নের ধারা টেকসই করতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে বাস্তবতার আলোকে ঢেলে সাজাতে বাংলাদেশকে আরও উদার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
