সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বুয়েটে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থী মুখোমুখি

অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি সাবেক ছাত্রনেতাদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগের ব্যানারে শোক দিবসের কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থান নিয়ে ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসে’র দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়াও আজ সোমবার ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মসূচি থেকে বুয়েটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা’ আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসটিতে ছাত্ররাজনীতি পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার ও বিচারের রায় কার্যকরের দাবিতে এক মানববন্ধনে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা যারা মাথাচাড়া দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা হবে।

 জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের সঙ্গে কী বেয়াদবিটা করল দেখেছেন! বুয়েটের প্রশাসনের উদ্দেশে জয় বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে আপনারা কী  বোঝাতে চান? আপনারা কি বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করতে পারবেন? পারবেন না। এই জঙ্গি চক্র আপনাদেরই প্রথমে হত্যা করবে। বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করতে ছাত্ররাজনীতি আবারও সচল করার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিবেচনার কথা বলেন জয়। বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থান নেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তারা। শনিবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সেখানে বলা হয়, সেমিনার কক্ষে (শোক দিবসের) অনুষ্ঠান যথারীতি সমাপ্ত হয় এবং শিক্ষার্থীরা সেখানে কোনোরূপ বাধা প্রদান করেনি। আমাদের বিক্ষোভের মূল উদ্দেশ্য ছিল, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করায় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাবদিহিতা আদায় করা। সংবাদ সম্মেলন থেকে সোমবার শোক দিবস উপলক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিল আয়োজনের কথাও জানানো হয়। বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠানের জন্য বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কিন্তু সেটি করা হয় একটি রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে। এটি নিয়েই মূলত ভুল বোঝাবুঝিটা তৈরি হয়।

সর্বশেষ খবর