সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্যাংকগুলোতে কোনো শৃঙ্খলা নেই

বিশেষ প্রতিনিধি

ব্যাংকগুলোতে কোনো শৃঙ্খলা নেই

দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলার নিয়ে ব্যবসা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ব্যাংকগুলোর মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা নেই। ডলার নিয়ে যা ইচ্ছে তা করছে ব্যাংকগুলো। রাখি মালের (পণ্য মজুদ করে দাম বাড়লে বিক্রি করা) মতো ডলার নিয়ে ব্যবসা করছে কিছু ব্যাংক।গতকাল মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর এসএমই উন্নয়ন ভাবনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন- এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। বক্তব্য দেন- এফবিসিসিআই সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই প্যানেল উপদেষ্টা ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন দেশের ব্যাংকগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ডলার বিক্রি করে লাভ করার জন্য এতগুলো ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটা নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। শুধু মুনাফা করাই ব্যাংকের কাজ নয়। তাদেরকে অবশ্যই জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সে জন্যই তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনকে আর্থিকভাবে সক্ষম করতে হবে। এসএমই নিয়ে সবাই কথা বলে কিন্তু কোনো কাজ করে না।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডলার বিক্রিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুনাফার হার নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। ডলার নিয়ে মুনাফার হার বেঁধে দেওয়া না হলে সামনে বড় বিপদে পড়তে হবে। যেহেতু ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সেহেতু সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি বলেন, এসএমই খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ দিতে অনীহা রয়েছে। তারা সহজে বড় গ্রাহকদের ঋণ দিতে পছন্দ করে। কেননা এতে ব্যাংকারদের কষ্ট কম হয়। প্রধানমন্ত্রী এসএমই খাতে ২২ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। বৃহৎ খাতের ঋণ তিন মাসের মধ্যে বিতরণ হলেও, এসএমই খাতের ঋণ দুই বছরেও বিতরণ হয়নি।

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের মোট বিতরণ করা ঋণের মাত্র ১৮ শতাংশ দেয় দেশের এসএমই খাতে। যা পায় মাত্র ৯ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৯১ শতাংশ এসএমই ব্যাংক ঋণের সহায়তা বঞ্চিত। এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেশের এসএমই ঋণের সম্ভাব্য বাজার ২৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকের ঋণ কাঠামোতে এসএমই খাত অবহেলিত। তাই এই বিশাল লাভজনক খাতে ব্যাংকগুলো নজর দিচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর