সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সামনে শুধু নেপাল

নতুন ইতিহাস গড়তে চায় মেয়েরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন ইতিহাস গড়তে চায় মেয়েরা

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একবারই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০০৩ সালে, ফাইনালে মালদ্বীপকে হারিয়ে। ছেলেদের সেই সাফ জয়ের গল্প এখনো ফুটবলভক্তদের মুখে মুখে। সাফে এরপর থেকে কেবলই ব্যর্থতা। ফাইনালেই আর খেলতে পারেনি ছেলেরা। তবে মেয়েরা ইঙ্গিত দিয়েছে ভিন্ন ইতিহাসের। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা হাতে ঘরে ফেরার প্রত্যয় নিয়ে আজ ফাইনালে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আজ বিকালে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম সাফে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর আরও চারবার মেয়েদের সাফে কখনো নেপাল কখনো বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় মেয়েরা (মোট পাঁচ বার)। ভারতের এই জয়রথ থামিয়ে দিয়ে এবার ফাইনালে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ও নেপাল। নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলবে। কে হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন? বাংলাদেশ নাকি নেপাল? নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত পরিসংখ্যান সুবিধের নয়। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে তিনবার খেলে তিনবারই হেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একবারও প্রতিপক্ষের জালে গোল করতে পারেনি বাংলার বাঘিনিরা। তবে এবার ভিন্ন মঞ্চ। ভিন্ন লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামবেন সাবিনা খাতুনরা। নেপালের এই দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছেলেরা ১৯৯৯ সালে এসএ গেমস ফুটবলে সোনার পদক জিতেছিল। সেই সুখস্মৃতি নিয়েই আজ মাঠে নামবেন সাবিনা খাতুনরা। তবে অতীত খুব একটা মনে রাখছে না বাংলাদেশের মেয়েরা। তারা বর্তমান নিয়েই ভাবতে চায়। নেপাল এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তারা ফাইনালের পথে ভুটানকে ৪-০ এবং শ্রীলঙ্কাকে ৬-০ গোলে হারানোর পর সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। এখনো কোনো গোল হজম করেনি দলটা। প্রতিপক্ষের এই ডিফেন্স লাইন সম্পর্কে সচেতন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলছেন, ‘আমাদের ডিফেন্ডারদেরও সামর্থ্য আছে। পাশাপাশি আমাদের মিডফিল্ডও দুর্দান্ত।’ নিজেদের গোলবার রক্ষা করে প্রতিপক্ষের জালে হামলে পড়ার নীতি নিয়েই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের ডিফেন্স অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। আগের ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স এই ম্যাচে (ফাইনালে) ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছু হবে। ( নেপালের) সাবিত্রা-অনিতাদের আটকে দিতে পারে আমাদের ডিফেন্স। সেই সামর্থ্য তাদের আছে। মিডফিল্ডে মনিকা-মারিয়া-সানজিদার সামর্থ্য নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। ওদের নিয়ে আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী।’ বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে ৩-০, পাকিস্তানকে ৬-০ এবং ভারতকে ৩-০ গোলে হারানোর পর সেমিফাইনালে ভুটানকে হারিয়েছে ৮-০ গোলে। বাংলাদেশও এখনো পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি। তাছাড়া দলটা টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোল করা দল। দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন একাই করেছেন ৮ গোল। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর