জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল দাবি করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) পার্বত্যাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, ইউপিডিএফকে দ্রুত নিষিদ্ধ করা না হলে পাহাড়ে যেমন সন্ত্রাস, খুন, গুম, চাঁদাবাজি, অপহরণ বন্ধ হবে না তেমন বাংলাদেশ থেকে এ অঞ্চল বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রও বন্ধ হবে না। বন্ধ হবে না সাধারণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালির ওপর সন্ত্রাসীদের অত্যাচার। গতকাল দুপুর ১২টায় রাঙামাটির বনরূপা চত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে কাজী মজিবর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইউপিডিএফসহ সব অবৈধ আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পাহাড় থেকে সেনাক্যাম্প তুলে নিয়ে সন্ত্রাসীদের রাজত্ব কায়েমের সুযোগ করে দিয়েছিল। সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের পর পাহাড় আর ভালো নেই। শান্তিবাহিনী নামের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ভেঙে ছয়টি সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের মানুষ এখন তাদের কাছে জিম্মি। সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্রের কারণে মানুষ অসহায়। চাঁদা ছাড়া চলে না পাহাড়বাসীর জীবন। ইউপিডিএফ পার্বত্যাঞ্চল দ্বিখি ত করতে চায়। সীমান্ত দিয়ে পাহাড়ে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে তাদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।
অবিলম্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ নিষিদ্ধ করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রাঙামাটির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল মাহমুদ, রাঙামাটির সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক মো. ইসমাঈল গাজী, লংগদু উপজেলা শাখার সভাপতি মো. সুমন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা চত্বরে এসে মহাসমাবেশে মিলিত হয়।